রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মুন্না ইসলাম নামে এক ছাত্রকে মারধর করে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মুন্না ইসলাম রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন—নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হাসান জয় ও ছাত্রলীগের কর্মী তওহীদ।
হলের একাধিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পারভেজ, তওহীদসহ কয়েকজন হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষে গিয়ে মুন্নাকে সিট ছেড়ে চলে যেতে বলেন। কিন্তু মুন্না তাঁর বৈধ সিট ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একপর্যায়ে মুন্নার ঘাড় ধরে টানতে টানতে দরজার কাছে নিয়ে এসে মারধর শুরু করেন তওহীদ। পরে তাঁর বিছানাপত্র নামিয়ে দিয়ে ওই সিটে মাকছুদুল হাসান আসিফ নামে এক শিক্ষার্থীকে তুলে দেন। আসিফ বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ এবং ২৩০ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। আসিফকে ২৪৮ নম্বর কক্ষ থেকে নামিয়ে দিয়ে তাঁর জায়গায় এক অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে তুলে দেন ছাত্রলীগের নেতারা।
পরে আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও একজন সহকারী প্রক্টর ২৪৮ নম্বর কক্ষে গিয়ে মুন্নাকে তাঁর সিটে তুলে দেন। এতে বিপাকে পড়েন ২৩০ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী আসিফ। ২৪৮ নম্বর থেকে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়, অপরদিকে ২৩০-এর সিটটিও ছাত্রলীগের দখলে। সে বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষকে জানালে প্রাধ্যক্ষ তাঁকে ২৩০ নম্বর কক্ষের সিটেই থাকতে বলেন।
এদিকে, শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়টি জানাজানি হলে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষক প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। তাঁরা প্রাধ্যক্ষকে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেন। এ সময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কুদরত-ই-জাহান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মুন্না ইসলাম বলেন, ‘আমি এই (নবাব আব্দুল লতিফ) হলের ২৪৮ নম্বর রুমের একজন আবাসিক ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রলীগের নেতারা এসে আমাকে সিট থেকে নামিয়ে দেয় এবং মারধর করে। পরে আজ সকালে প্রাধ্যক্ষ স্যার এসে আমাকে আমার সিটে তুলে দেন। তবে আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
মাকছুদুল হাসান আসিফ জানান, গতকাল রাতে পারভেজসহ কয়েকজন তাঁর রুমে এসে তাঁকে বিছানাপত্র নিয়ে ২৪৮-এ যেতে বলেন। ২৩০ নম্বরের আবাসিক শিক্ষার্থী হয়েও ছাত্রলীগের ভয়ে ওই কক্ষে যেতে বাধ্য হন তিনি। পরে শুক্রবার দুপুরে প্রাধ্যক্ষ তাঁকে ২৩০ নম্বর কক্ষে তাঁর সিটেই থাকতে বলেন।
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের কর্মী তওহীদ বলেন, ‘মুন্না নামের ওই শিক্ষার্থীকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমাদের ছাত্রলীগের এক কর্মী আসিফের (মাকছুদুল) বাবা স্ট্রোক করায় মানবিক কারণে আমরা তাঁকে ওই সিটে তুলি এবং ওই সিটে থাকা শিক্ষার্থীকে আসিফের সঙ্গে বেড শেয়ার করে থাকতে বলি। কিন্তু মুন্না নামের ওই শিক্ষার্থী আমাদের সঙ্গে তুই-তোকারি করে। পরে হল প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে এ ঘটনার মীমাংসা হয়ে গেছে।’
নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন বলেন, ‘আসিফের আবাসিকতা আছে, কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশ আছে ১৯-২০ সেশনের কোনো শিক্ষার্থীকে হলে সিট দেওয়া যাবে না। তবু প্রাধ্যক্ষ মুন্নাকে মানবিক কারণে সিট দিয়েছেন। আর আসিফও ১৯-২০ সেশনের। আসিফেরও সমস্যা থাকায় আমরা দুজনকেই বেড শেয়ার করে থাকতে বলি। মারধরের ঘটনা মিথ্যা ও বানোয়াট।’
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কাল রাতে বিষয়টি জানতে পেরে আজ সকালেই আমি হলে এসে মুন্না ও মাকছুদুল নামের দুই শিক্ষার্থীকে নিজেদের সিটে তুলে দিয়েছি। মারধরের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছি। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, শামীমের বিরুদ্ধে পাঁচ দিন আগেও এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওই শিক্ষার্থীর নাম সজীব কুমার। তিনি বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পরে তাঁকে হল প্রাধ্যক্ষ তাঁর সিটে তুলে দেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মুন্না ইসলাম নামে এক ছাত্রকে মারধর করে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মুন্না ইসলাম রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন—নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হাসান জয় ও ছাত্রলীগের কর্মী তওহীদ।
হলের একাধিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পারভেজ, তওহীদসহ কয়েকজন হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষে গিয়ে মুন্নাকে সিট ছেড়ে চলে যেতে বলেন। কিন্তু মুন্না তাঁর বৈধ সিট ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একপর্যায়ে মুন্নার ঘাড় ধরে টানতে টানতে দরজার কাছে নিয়ে এসে মারধর শুরু করেন তওহীদ। পরে তাঁর বিছানাপত্র নামিয়ে দিয়ে ওই সিটে মাকছুদুল হাসান আসিফ নামে এক শিক্ষার্থীকে তুলে দেন। আসিফ বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ এবং ২৩০ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। আসিফকে ২৪৮ নম্বর কক্ষ থেকে নামিয়ে দিয়ে তাঁর জায়গায় এক অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে তুলে দেন ছাত্রলীগের নেতারা।
পরে আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও একজন সহকারী প্রক্টর ২৪৮ নম্বর কক্ষে গিয়ে মুন্নাকে তাঁর সিটে তুলে দেন। এতে বিপাকে পড়েন ২৩০ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী আসিফ। ২৪৮ নম্বর থেকে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়, অপরদিকে ২৩০-এর সিটটিও ছাত্রলীগের দখলে। সে বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষকে জানালে প্রাধ্যক্ষ তাঁকে ২৩০ নম্বর কক্ষের সিটেই থাকতে বলেন।
এদিকে, শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়টি জানাজানি হলে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষক প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। তাঁরা প্রাধ্যক্ষকে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেন। এ সময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কুদরত-ই-জাহান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মুন্না ইসলাম বলেন, ‘আমি এই (নবাব আব্দুল লতিফ) হলের ২৪৮ নম্বর রুমের একজন আবাসিক ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রলীগের নেতারা এসে আমাকে সিট থেকে নামিয়ে দেয় এবং মারধর করে। পরে আজ সকালে প্রাধ্যক্ষ স্যার এসে আমাকে আমার সিটে তুলে দেন। তবে আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
মাকছুদুল হাসান আসিফ জানান, গতকাল রাতে পারভেজসহ কয়েকজন তাঁর রুমে এসে তাঁকে বিছানাপত্র নিয়ে ২৪৮-এ যেতে বলেন। ২৩০ নম্বরের আবাসিক শিক্ষার্থী হয়েও ছাত্রলীগের ভয়ে ওই কক্ষে যেতে বাধ্য হন তিনি। পরে শুক্রবার দুপুরে প্রাধ্যক্ষ তাঁকে ২৩০ নম্বর কক্ষে তাঁর সিটেই থাকতে বলেন।
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের কর্মী তওহীদ বলেন, ‘মুন্না নামের ওই শিক্ষার্থীকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমাদের ছাত্রলীগের এক কর্মী আসিফের (মাকছুদুল) বাবা স্ট্রোক করায় মানবিক কারণে আমরা তাঁকে ওই সিটে তুলি এবং ওই সিটে থাকা শিক্ষার্থীকে আসিফের সঙ্গে বেড শেয়ার করে থাকতে বলি। কিন্তু মুন্না নামের ওই শিক্ষার্থী আমাদের সঙ্গে তুই-তোকারি করে। পরে হল প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে এ ঘটনার মীমাংসা হয়ে গেছে।’
নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন বলেন, ‘আসিফের আবাসিকতা আছে, কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশ আছে ১৯-২০ সেশনের কোনো শিক্ষার্থীকে হলে সিট দেওয়া যাবে না। তবু প্রাধ্যক্ষ মুন্নাকে মানবিক কারণে সিট দিয়েছেন। আর আসিফও ১৯-২০ সেশনের। আসিফেরও সমস্যা থাকায় আমরা দুজনকেই বেড শেয়ার করে থাকতে বলি। মারধরের ঘটনা মিথ্যা ও বানোয়াট।’
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কাল রাতে বিষয়টি জানতে পেরে আজ সকালেই আমি হলে এসে মুন্না ও মাকছুদুল নামের দুই শিক্ষার্থীকে নিজেদের সিটে তুলে দিয়েছি। মারধরের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছি। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, শামীমের বিরুদ্ধে পাঁচ দিন আগেও এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওই শিক্ষার্থীর নাম সজীব কুমার। তিনি বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পরে তাঁকে হল প্রাধ্যক্ষ তাঁর সিটে তুলে দেন।
নরসিংদীতে পাওনার ৫০০ টাকার জন্য ইসমাইল হোসেন (৩৫) নামের এক দিনমজুরকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের খিলপাড়া (পূবালী বাজার) এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ইসমাইল হোসেন জেলার মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর এলাকার মোতালিব মিয়ার ছেলে।
২৪ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সরকারি দিঘির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম।
৮ ঘণ্টা আগেপ্রকৃতির কোলে অরণ্যবেষ্টিত গ্রামের নাম হাগুড়াকুড়ি। মধুপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে প্রতিদিন ছুটে আসে শত শত রোগী। আধুনিক চিকিৎসা নয়; আন্তরিক সেবার টানেই নির্ভাবনায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিয়ত তাদের ছুটে আসা।
৮ ঘণ্টা আগেদেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার মধ্যে আরেকটি ক্যারেজ কারখানা নির্মাণ প্রকল্প ৯ বছরেও বাস্তবায়ন করা হয়নি। দৃশ্যত সাইনবোর্ডেই সীমাবদ্ধ রয়েছে সব। ভারত সরকারের অর্থায়নে এ কারখানা নির্মাণ করার কথা ছিল। কিন্তু ভারত মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় প্রকল্পটি আদৌ বাস্তবায়ন হবে কি না, সেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে