পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালাল, কর্মকর্তা–কর্মচারীর যোগসাজশে গ্রাহক হয়রানি, জিম্মি করে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ তদন্তে আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে প্রাথমিকভাবে গ্রাহক হয়রানি ও অফিস কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিকাশে টাকা নিয়ে কাজ করার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা সিরাজগঞ্জ দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্রধর। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় এই অফিসের কম্পিউটার অপারেটর আমিনুলের বিরুদ্ধে বিকাশে টাকা নিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আমরা লক্ষ করেছি, অতিরিক্ত টাকা দিয়ে দালালদের মাধ্যমে আসা আবেদনগুলোতে একটি বিশেষ সাইন বা সিল রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এই সাইন থাকলে সেই ফাইল সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদন পায়। এই সাইনের বিষয়ে অফিসের সহকারী পরিচালককে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।’
সাধন চন্দ্র সুত্রধর আরও বলেন, ‘অভিযানের শুরুতেই আমরা বিভিন্ন গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও নানা ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন এবং এসবের বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতাও রয়েছে। অভিযান শেষ করে সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিবেদন দুদক প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযান চলাকালে পাসপোর্ট অফিসের নানা অনিয়ম ও ভোগান্তির বিষয়ে জানতে কথা হয় উপস্থিত কয়েকজন গ্রাহকের সঙ্গে। গ্রাহক শাহিন হোসেন জানান, ‘দালাল ধরা ছাড়া কোনো কাজ হয় না পাসপোর্ট অফিসে। দালাল ছাড়া এলে দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। দালাল ধরলেই সব সহজ। এ দালাল চক্রের সঙ্গে এই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও জড়িত। কম্পিউটার অপারেটর আমিনুল আমার একটি পাসপোর্ট করার জন্য বিকাশে ২৪০০ টাকা নিয়েছে। টাকা দেওয়ার আগে দিনের পর দিন ঘুরিয়েছে। বিকাশ লেনদেনের তথ্য আমি দুদককে দিয়েছি।’
ঈশ্বরদী থেকে আসা তৌশিক আহমেদ বলেন, ‘সেই ঈশ্বরদী থেকে এসে বারবার ঘুরতে হয়। এর আগে আমি বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বসে থেকেও সংশোধনের কাজ হয়নি। অথচ বেলা ২টার পর কয়েকজন এসে কাজ করে নিয়ে চলে গেল। কারণ, তারা দালাল ধরেছে। আমি দালাল ধরিনি, এ জন্য একটার পর একটা সমস্যা দেখিয়ে ঘুরিয়েছে। এখন আপনাদের (দুদক ও সাংবাদিক) দেখে কাজ করে দিল।’
সদর উপজেলার হাজিরহাট এলাকার গাফফার হোসেন বলেন, ‘ছবি ওঠার পর আমাকে ১৪ দিন ধরে বিভিন্নভাবে ঘুরাচ্ছে। একেক দিন একেক সমস্যা দেখিয়ে ঘোরানো হয়। এটি সর্বোচ্চ তিন দিনের কাজ। অথচ আমাকে এত দিন ঘোরানো হয়েছে। কারণ আমি দালাল ধরিনি। যারা ধরেছে, তাদের এত ঘুরতে হয়নি।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাবনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আহসান উদ্দিন বলেন, ‘এখানে কোনো দালাল চক্র নেই। সব নিয়মিত পরিচালনা হয়ে থাকে। দুদক অভিযান করছে। দুদকের অভিযোগের বিষয়টি দেখা হবে।’
পাবনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালাল, কর্মকর্তা–কর্মচারীর যোগসাজশে গ্রাহক হয়রানি, জিম্মি করে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ তদন্তে আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে প্রাথমিকভাবে গ্রাহক হয়রানি ও অফিস কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিকাশে টাকা নিয়ে কাজ করার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা সিরাজগঞ্জ দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্রধর। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় এই অফিসের কম্পিউটার অপারেটর আমিনুলের বিরুদ্ধে বিকাশে টাকা নিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আমরা লক্ষ করেছি, অতিরিক্ত টাকা দিয়ে দালালদের মাধ্যমে আসা আবেদনগুলোতে একটি বিশেষ সাইন বা সিল রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এই সাইন থাকলে সেই ফাইল সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদন পায়। এই সাইনের বিষয়ে অফিসের সহকারী পরিচালককে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।’
সাধন চন্দ্র সুত্রধর আরও বলেন, ‘অভিযানের শুরুতেই আমরা বিভিন্ন গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও নানা ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন এবং এসবের বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতাও রয়েছে। অভিযান শেষ করে সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিবেদন দুদক প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযান চলাকালে পাসপোর্ট অফিসের নানা অনিয়ম ও ভোগান্তির বিষয়ে জানতে কথা হয় উপস্থিত কয়েকজন গ্রাহকের সঙ্গে। গ্রাহক শাহিন হোসেন জানান, ‘দালাল ধরা ছাড়া কোনো কাজ হয় না পাসপোর্ট অফিসে। দালাল ছাড়া এলে দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। দালাল ধরলেই সব সহজ। এ দালাল চক্রের সঙ্গে এই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও জড়িত। কম্পিউটার অপারেটর আমিনুল আমার একটি পাসপোর্ট করার জন্য বিকাশে ২৪০০ টাকা নিয়েছে। টাকা দেওয়ার আগে দিনের পর দিন ঘুরিয়েছে। বিকাশ লেনদেনের তথ্য আমি দুদককে দিয়েছি।’
ঈশ্বরদী থেকে আসা তৌশিক আহমেদ বলেন, ‘সেই ঈশ্বরদী থেকে এসে বারবার ঘুরতে হয়। এর আগে আমি বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বসে থেকেও সংশোধনের কাজ হয়নি। অথচ বেলা ২টার পর কয়েকজন এসে কাজ করে নিয়ে চলে গেল। কারণ, তারা দালাল ধরেছে। আমি দালাল ধরিনি, এ জন্য একটার পর একটা সমস্যা দেখিয়ে ঘুরিয়েছে। এখন আপনাদের (দুদক ও সাংবাদিক) দেখে কাজ করে দিল।’
সদর উপজেলার হাজিরহাট এলাকার গাফফার হোসেন বলেন, ‘ছবি ওঠার পর আমাকে ১৪ দিন ধরে বিভিন্নভাবে ঘুরাচ্ছে। একেক দিন একেক সমস্যা দেখিয়ে ঘোরানো হয়। এটি সর্বোচ্চ তিন দিনের কাজ। অথচ আমাকে এত দিন ঘোরানো হয়েছে। কারণ আমি দালাল ধরিনি। যারা ধরেছে, তাদের এত ঘুরতে হয়নি।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাবনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আহসান উদ্দিন বলেন, ‘এখানে কোনো দালাল চক্র নেই। সব নিয়মিত পরিচালনা হয়ে থাকে। দুদক অভিযান করছে। দুদকের অভিযোগের বিষয়টি দেখা হবে।’
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে