রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের ছোট ভাই রেজাউল হক। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারি বাগমারায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আসলাম আলী আসকান বলছেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের লোকজনকে নিয়ে ভোট করছেন সাংসদের ভাই। বিষয়টি অস্বীকার করেননি রেজাউল হকও। তিনি বলেন, ‘আমার পক্ষে সবাই কাজ করছে। বিএনপি-আওয়ামী লীগ সবাই। আওয়ামী লীগের ঝরে পড়া, পুরোনো নেতারাই বেশি কাজ করছেন।’
নির্বাচনে প্রচার শুরুর পরই সাংসদের ভাই নানাভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম আলী বলেন, ‘সাংসদ এনামুল হক নৌকার পক্ষেই আছেন। তবে তাঁর ভাই রেজাউল হক ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছেন। রেজাউলের মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকেরা ১ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকার কোনো পোস্টার রাখছেন না। সেখানে নৌকার এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় অভিযোগও করা হয়েছে।’
আসলাম বলেন, ‘রেজাউল ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তাঁরা কেন্দ্র দখল করে নেবেন বলে ঘোষণা দিচ্ছেন। নৌকায় ভোট দিলে পরিণতি খারাপ হবে বলেও ঘোষণা দিচ্ছেন। এ নিয়ে সাধারণ ভোটাররা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই ভোট দিতে যাবেন কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে রেজাউল হক বলেন, ‘মানুষের চাওয়া আমি চেয়ারম্যান হই। আমার জন্য সব শ্রেণি-পেশার সব দলের মানুষ কাজ করছে। মনোনয়ন না পেয়ে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। এটা ‘বিদ্রোহী’ নয়। এখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় নৌকার প্রার্থী এবং তাঁর সমর্থকেরাই আমার লোকদের মারধর করছেন। এ কারণে আমার তিন কর্মী থানায় অভিযোগ করেছে।’
দুপক্ষের অভিযোগ প্রসঙ্গে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘দুপক্ষেরই থানায় অভিযোগ আছে। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। তবে ভোটের পরিবেশ ভালো।’
প্রসঙ্গত, মাড়িয়া ইউপি নির্বাচনে আসলাম ও রেজাউল ছাড়াও আরও একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। তিনিও আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী। তাঁর নাম আকবর আলী। তিনি ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনিও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। গতবার ইউপি নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। সেবারই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।
এবার নির্বাচনে ছোট ভাই বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে কথা বলতে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।
সাংসদ এনামুলের ব্যক্তিগত সহকারী মো. আসাদুজ্জামান উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘বাগমারায় যারাই বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের সবাইকেই বহিষ্কার করা হয়েছে। সাংসদের ভাইও বহিষ্কার হয়েছেন।’
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের ছোট ভাই রেজাউল হক। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারি বাগমারায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আসলাম আলী আসকান বলছেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের লোকজনকে নিয়ে ভোট করছেন সাংসদের ভাই। বিষয়টি অস্বীকার করেননি রেজাউল হকও। তিনি বলেন, ‘আমার পক্ষে সবাই কাজ করছে। বিএনপি-আওয়ামী লীগ সবাই। আওয়ামী লীগের ঝরে পড়া, পুরোনো নেতারাই বেশি কাজ করছেন।’
নির্বাচনে প্রচার শুরুর পরই সাংসদের ভাই নানাভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম আলী বলেন, ‘সাংসদ এনামুল হক নৌকার পক্ষেই আছেন। তবে তাঁর ভাই রেজাউল হক ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছেন। রেজাউলের মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকেরা ১ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকার কোনো পোস্টার রাখছেন না। সেখানে নৌকার এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় অভিযোগও করা হয়েছে।’
আসলাম বলেন, ‘রেজাউল ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তাঁরা কেন্দ্র দখল করে নেবেন বলে ঘোষণা দিচ্ছেন। নৌকায় ভোট দিলে পরিণতি খারাপ হবে বলেও ঘোষণা দিচ্ছেন। এ নিয়ে সাধারণ ভোটাররা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই ভোট দিতে যাবেন কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে রেজাউল হক বলেন, ‘মানুষের চাওয়া আমি চেয়ারম্যান হই। আমার জন্য সব শ্রেণি-পেশার সব দলের মানুষ কাজ করছে। মনোনয়ন না পেয়ে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। এটা ‘বিদ্রোহী’ নয়। এখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় নৌকার প্রার্থী এবং তাঁর সমর্থকেরাই আমার লোকদের মারধর করছেন। এ কারণে আমার তিন কর্মী থানায় অভিযোগ করেছে।’
দুপক্ষের অভিযোগ প্রসঙ্গে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘দুপক্ষেরই থানায় অভিযোগ আছে। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। তবে ভোটের পরিবেশ ভালো।’
প্রসঙ্গত, মাড়িয়া ইউপি নির্বাচনে আসলাম ও রেজাউল ছাড়াও আরও একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। তিনিও আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী। তাঁর নাম আকবর আলী। তিনি ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনিও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। গতবার ইউপি নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। সেবারই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।
এবার নির্বাচনে ছোট ভাই বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে কথা বলতে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।
সাংসদ এনামুলের ব্যক্তিগত সহকারী মো. আসাদুজ্জামান উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘বাগমারায় যারাই বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের সবাইকেই বহিষ্কার করা হয়েছে। সাংসদের ভাইও বহিষ্কার হয়েছেন।’
রাজধানীর মৌচাকে সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ে থাকা প্রাইভেট কার থেকে উদ্ধার হওয়া দুই মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তাঁদের দুজনের বাড়ি একই এলাকায়।
৮ মিনিট আগেআগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের জন্য আলাদা বুথ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ সোমবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জে র্যাব-১০ সদর দপ্তর, কেন্দ্রীয় কারাগার ও তেঘরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা এই তথ্য জানান।
১৯ মিনিট আগেসাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। এই নিয়ে ১২০ বারের মতো তারিখ পিছিয়ে নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এই তারিখ ধার্য করেন।
২২ মিনিট আগেমৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন গণপিটুনির শিকার রূপলাল দাস ও প্রদীপ লাল। দুই হাতজোড় করে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘আমি চোর না, ডাকাত না।’ তবুও শেষরক্ষা হয়নি রূপলাল দাস ও প্রদীপ লালের। তাঁদের সেই মর্মস্পর্শী আকুতির ভিডিও এখন ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, যা দেখে অনেকেই..
২২ মিনিট আগে