Ajker Patrika

বগুড়ায় হাটের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২২, ১২: ৫৫
বগুড়ায় হাটের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

বগুড়ার শেরপুরে উপজেলার জামাইল হাটের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ করেছেন ইজারাদার ও স্থানীয়রা। প্রায় ৪০ বছর ধরে সপ্তাহে প্রতি শুক্রবার ও মঙ্গলবার ঐতিহ্যবাহী এই হাট বসে। কিন্তু অবৈধ দখলদারত্বে হাটের জায়গা কমে আসায় হাটটি তার জৌলুশ হারিয়েছে, মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। 

স্থানীয়রা জানিয়েছে, সম্প্রতি হাটের পাশেই ২০০ ফুট পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা শুরু করেছেন আব্দুর রাজ্জাক নামে এক স্থানীয় ব্যক্তি। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হাটের ইজারাদার আলহাজ্ব শেখ। তবে আব্দুর রাজ্জাক তার নিজের জায়গাতেই ঘর নির্মাণ করছেন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘এখানে হাটের কোনো জায়গা নেই। আমার বাবা স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ৬৮ শতক ও মাদ্রাসাকে ৮৫ শতক জায়গা দান করেছিলেন। দীর্ঘদিন থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গাতেই এই হাট বসছে। আমি আমার ফুফুর কাছ থেকে কেনা জায়গায় ঘর নির্মাণ করছি।’ 

তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ আব্দুর রাজ্জাক হাটের জায়গায় ঘর নির্মাণ করে খাজনা আদায় করছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই হাটে আগে দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতা-বিক্রেতা আসত। কিন্তু দফায় দফায় রাস্তায় চাঁদা আদায়ের কারণে তাঁরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। বিশেষ করে আব্দুর রাজ্জাক হাটের জায়গায় ঘর নির্মাণ করে বিক্রেতাদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করেন। আবার ইজারাদাররা ও খাজনা আদায় করেন।’ 

এই বিষয়ে বিশালপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানোর পর, তিনি কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁরা জানান, রাজ্জাক এর আগেও হাটের জায়গায় ঘর তৈরি করেছেন। এখন নতুন করে প্রায় ২০০ ফুট ঘর নির্মাণ শুরু করেছেন। হাটের জায়গা এভাবে দখল হতে থাকলে এক সময় হাটটি ই আর থাকবে না। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান কে জানানোর পর তিনিও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। 

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই হাটের জায়গা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তির কথা শুনেছি। এ ছাড়া হাটের জায়গায় অবৈধভাবে ঘর নির্মাণের সময় আমি নিজেই গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে বন্ধ করে দিয়েছি। অনতিবিলম্বে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এ হাটের দখল মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

হাট বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) আইন অনুযায়ী কোনো স্থানে দীর্ঘদিন হাট বসলে তা সরকারি সম্পত্তি হয়ে যায় উল্লেখ করে, শেরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছি। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর নিজের জায়গা দাবি করায় তাঁকে কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা অফিসে আসতে বলেছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত