Ajker Patrika

বগুড়া-৫: শেরপুরের বেশির ভাগ কেন্দ্রেই নৌকা ছাড়া অন্য প্রতীকের পোলিং এজেন্ট নেই

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২: ৩৬
বগুড়া-৫: শেরপুরের বেশির ভাগ কেন্দ্রেই নৌকা ছাড়া অন্য প্রতীকের পোলিং এজেন্ট নেই

বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে শেরপুরের বেশির ভাগ কেন্দ্রেই আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ছাড়া অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলের প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট চোখে পড়েনি। ওই প্রার্থীদের তিনজনই পোলিং এজেন্ট না দেওয়ার কারণ হিসেবে আর্থিক সংকটকে দায়ী করেছেন। 

শেরপুরে উপজেলায় মোট ৯৯টি ভোটকেন্দ্র। ভোটকক্ষের সংখ্যা ৬০১। উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৮৮ হাজার ৮৯৬ জন। 

এই আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নৌকা প্রতীকের মজিবর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফের টেলিভিশন প্রতীকের প্রার্থী আলী আসলাম হোসেন রাসেল, ইসলামী ঐক্য জোটের মিনার প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির ডাব প্রতীকের প্রার্থী মামুনার রশিদ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের মশাল প্রতীকের প্রার্থী রাসেল মাহমুদ। 

রোববার সকাল ৮টা থেকে সারা দেশের মতো উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। শেরপুর পৌরসভাসহ গাড়িদহ খামারকান্দি খানপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক ভোটকেন্দ্রে দেখা গেছে উল্লেখিত প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর নৌকা প্রতীকের দলীয় পোলিং এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট নেই। 

পোলিং এজেন্ট না থাকার কারণ নিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রার্থী রাসেল মাহমুদ, ইসলামী ঐক্য জোটের প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী মামুনার রশিদ জানান, নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে আর্থিক সংকটের কারণে তাঁরা ভোটকেন্দ্রের কক্ষগুলোতে পোলিং এজেন্ট দিতে পারেননি। তাঁরা মনে করেন ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিলে নির্বাচনে কোনো অনিয়ম থাকবে না। 

এই আসনের বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফের প্রার্থী মো. আলী আসলাম হোসেন জানান, তিনি তাঁর দলীয় প্রতীকের পোলিং এজেন্টের জন্য একাধিক ভোটারকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু যাঁরা পোলিং এজেন্ট হওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন, তাঁরা পরবর্তী সময়ে জানিয়েছেন, তাঁদের পারিবারিক সাপোর্ট না থাকার কারণে পোলিং এজেন্ট হতে পারবেন না। এ কারণে তিনি কোনো ভোটকেন্দ্রেই দলীয় প্রতীকের পক্ষে পোলিং এজেন্ট দিতে পারেননি। 

শেরপুর সরকারি ডি জে মডেল হাইস্কুল (উত্তর ভবনের) কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শেরপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক আনিছুর রহমান বলেন, তাঁর ভোটকেন্দ্রে মোট সাতটি বুথ (ভোট কক্ষ) রয়েছে। ভোট গ্রহণ শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট তিনি পাননি। একই কথা বলেন শেরপুর উলিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম। 

শেরপুর উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন জিহাদী বলেন, পোলিং এজেন্ট দেওয়া-না দেওয়া প্রার্থীদের বিষয়। এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

পিটুনিতে নিহত সেই শামীম মোল্লাকে বহিষ্কার করল জাবি প্রশাসন, সমালোচনার ঝড়

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

মধুপুরে বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষককে জুতাপেটা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত