Ajker Patrika

শেখ পরিবারের সবাই চোর-ডাকাত: শামীম সাঈদী

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
স্বরূপকাঠি পৌরসভা চত্বরে বক্তব্য দেন শামীম সাঈদী। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্বরূপকাঠি পৌরসভা চত্বরে বক্তব্য দেন শামীম সাঈদী। ছবি: আজকের পত্রিকা

পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম সাঈদী বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন এটা সত্য। তবে, শেখ পরিবারের সবাই চোর-ডাকাত। শেখ মুজিবের ছেলে স্বাধীনতার যুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশে প্রথম ব্যাংক ডাকাতি করেছে। তার মেয়ে ১৪টি ব্যাংক ডাকাতি করেছে। সারা বাংলাদেশের রাস্তাঘাটের কাজ না করে বিল তুলে নিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে। শুধু পিরোজপুরের রাস্তাঘাটের কাজ না করেই ছাব্বিশ শ কোটি টাকা চুরি করে নিয়েছে তারা। আমরা চোরদের বিপক্ষে। এই জুলাইয়ের বিপ্লব ছিল বৈষম্যবিরোধী বিপ্লব। দুর্নীতিবিরোধী বিপ্লব।’

মঙ্গলবার সকালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেছারাবাদ উপজেলা শাখার আয়োজনে স্বরূপকাঠি পৌরসভা চত্বরে অনুষ্ঠিত গণজমায়েত ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শামীম সাঈদী বলেন, ‘আমরা দুর্নীতির বিপক্ষে। আমরা মেধার পক্ষে থাকব। কোনো কোটার পক্ষে থাকব না। আমরা আগামী দিনে সব কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে থাকব। আর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি। হাজার বছরের ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে এই বাংলাদেশকে সোনার বাংলা করে গড়ব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ১৯৯৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পিরোজপুরের এমপি ছিলেন। তখন এখানকার হিন্দু ভাইয়েরা বলত, ডিমের ভেতরে কুসুম যেমন নিরাপদ থাকে; ঠিক তেমনি এখানকার হিন্দুরা নিরাপদ। আগামী দিনে যদি আপনারা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লার পক্ষে রায় দেন, তাহলে ঠিক তেমনিভাবে সবাই নিরাপদে থাকবেন। তাই আগামী দিনের ভোট দাঁড়িপাল্লার পক্ষে হোক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘন কুয়াশায় নোঙর করে রাখা বাল্কহেডে লঞ্চের ধাক্কা, নিখোঁজ ২

নারায়ণগঞ্জ, প্রতিনিধি
ডুবে যাওয়া বাল্কহেড। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডুবে যাওয়া বাল্কহেড। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় নোঙর করে রাখা একটি বালুবাহী বাল্কহেডে যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ডুবে গেছে নোঙর করে রাখা বাল্কহেডটি। আজ শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে ঘন কুয়াশায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বাল্কহেডের দুজন স্টাফ নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

নিখোঁজ দুজন হচ্ছেন, পটুয়াখালী জেলার জহিরুল (২৫) ও ঝালকাঠি জেলার হাসান (২০)।

পুলিশ জানায়, সকালে ঢাকাগামী সুন্দরবন ১৬ নামের লঞ্চ ডকইয়ার্ডের সামনে নোঙর করে রাখা বাল্কহেড এম বি কাসফা সাহানাকে ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটি পানিতে ডুবে যায়। ভেতরে থাকা পাঁচজন স্টাফের মধ্যে তিনজন লাফিয়ে প্রাণে বাঁচলেও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের ধারণা ভেতরেই আটকে আছেন দুজন। তবে দুপুর পর্যন্ত তাঁদের পাওয়া যায়নি।

নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আলমগীর হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশায় ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ধাক্কা দেওয়া লঞ্চটিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় উদ্ধার অভিযান চলমান আছে।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘নিখোঁজ দুজন স্টাফ যেই কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন, সেখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। তীব্র ঠান্ডার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। তবে আমাদের উদ্ধার অভিযান চলমান আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে গোপনে ঘোড়া জবাই করে ঢাকায় নেওয়ার পথে চক্র আটক, জরিমানা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
জব্দ করা ঘোড়ার মাংস। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ করা ঘোড়ার মাংস। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায় যমুনা নদীর চরে গোপনে ঘোড়া জবাই করে বিক্রির উদ্দেশ্যে ঢাকায় মাংস পরিবহনের সময় একটি চক্রকে আটক করেছে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জড়িতদের জরিমানা করেন এবং জব্দ করা মাংস মাটি চাপা দিয়ে ধ্বংস করেন।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মেঘাই ঘাট এলাকায় যমুনা নদীর তীরে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘোড়া জবাই ও মাংস পরিবহনের সঙ্গে জড়িত বগুড়া জেলার মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে জাইদুলকে ‘পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন’ অনুযায়ী ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মাংস পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চালক মো. তারকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট গাড়িটির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে বিআরটিএর মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. দিদারুল আহসান এবং কাজীপুর থানা-পুলিশের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লঞ্চ দুর্ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৬
আজ শুক্রবার রাজধানীর সদরঘাটে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট–৩ পরিদর্শন করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শুক্রবার রাজধানীর সদরঘাটে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট–৩ পরিদর্শন করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

আজ শুক্রবার রাজধানীর সদরঘাটে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনায় নিহত প্রতিটি পরিবারের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি লঞ্চ দুটির মালিকপক্ষকে ডাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দায়ী মালিকপক্ষের কাছ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের চার কর্মীকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ঘন কুয়াশার মধ্যে লঞ্চ না চালানোর নির্দেশনা দেন তিনি। একই সঙ্গে প্রতিটি লঞ্চে ফগ লাইট ও সাইড লাইট সচল থাকা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

এ ছাড়া সব লঞ্চের ফিটনেস ও লাইসেন্স নিয়মিত তদারকি করতে নৌপরিবহন অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন উপদেষ্টা। সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় নিহত ও আহত যাত্রীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন সাখাওয়াত হোসেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়।

চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরিশাল ও ঝালকাঠির উদ্দেশে যাচ্ছিল। অন্যদিকে এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি ভোলা থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে আসছিল। রাত ১টা ৩৮ মিনিটের দিকে চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায় ঘন কুয়াশার মধ্যে লঞ্চ দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গ্রাম্য বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত, বাড়িঘর ভাঙচুর

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় সাইফুল সরদার ওরফে সাইফেল (৪৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার ভোরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ইসমাইল মোল্যা নামের আরেক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহত সাইফুল সরদার উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর-ব্রাহ্মণ জাটিগ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ শরীফুল ইসলামের (মেম্বার গ্রুপ) সমর্থক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিদ্যাধর-ব্রাহ্মণ জাটিগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন ৩ নম্বর ইউপি সদস্য সৈয়দ শরীফুল ইসলাম এবং অপর পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন শাহাদাৎ হোসেন খোকন মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (৩৮)। পুলিশ জানায়, জুয়েল মিয়া একটি মামলায় কারাভোগের পর প্রায় এক মাস আগে জামিনে মুক্ত হন।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে জুয়েল মিয়ার নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল সৈয়দ শরীফুল ইসলামের সমর্থকদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাইফুল সরদার ওরফে সাইফেলসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

ইউপি সদস্য সৈয়দ শরীফুল ইসলামের অভিযোগ, গ্রাম্য বিরোধের জেরে জুয়েল মিয়ার নেতৃত্বে তাঁর সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে সাইফুল সরদার নিহত হন এবং ১০-১৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত জুয়েল মিয়া পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে এই ঘটনায় গ্রামটিতে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ এ ছাড়া এই ঘটনায় শফিক মিয়া ও আয়ুব মিয়া নামে জুয়েল গ্রুপের দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) মো. আজম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেম্বার গ্রুপ ও জুয়েল গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বর্বরতা চলছে। পাশাপাশি দুই গ্রুপের মধ্যে একাধিক পাল্টাপাল্টি মামলা রয়েছে এবং মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে জুয়েল পলাতক ছিলেন এবং কিছুদিন আগে একটি মামলায় গ্রেপ্তার হলেও এক মাস আগে জামিনে বের হয়ে এসেছেন। তাঁর নেতৃত্বে রাত ৩টার দিকে মেম্বার গ্রুপের ওপর হামলা করা হয় এবং একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর ভোররাতে আমরা ছুটে এসেছি এবং দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত