নেত্রকোনা প্রতিনিধি
মায়ের নিষেধ অমান্য করে গভীর রাতে এক ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে মেয়ে। নিষেধ করলেই উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে, ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ মাকে মারধরও করে। একপর্যায়ে ধৈর্য হারিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মেয়েকে হত্যা করেন মা। পরে পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে মেয়ের স্বাভাবিক মৃত্যুর গল্প সাজান।
হত্যার শিকার ওই তরুণীর মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে হত্যার শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি জানা গেলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সব তথ্য দিতে থাকেন মা। আজ মঙ্গলবার ওই নারীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। আদালতে তিনি মেয়েকে হত্যার বিষয়ে জবানবন্দিও দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।
এ ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার দরুন বৈরাটি গ্রামে। ওই নারী নাম—জোসনা বেগম (৪৭)। তিনি উপজেলার দরুন বৈরাটি গ্রামের মৃত এমএল মিয়ার স্ত্রী। তাঁর মেয়ের নাম সুমী কাউছার (১৮)। ২০২১ সালে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন সুমী। পরে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও অর্থনৈতিক কারণে কলেজে ভর্তি হননি তিনি।
পুলিশ বলছে, ‘২০২২ সালের ২২ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বাড়ির পূর্ব পাশে টয়লেটে যায় সুমী কাউছার। টয়লেট শেষে চিৎকার দিলে মা জোসনা বেগম দৌড়ে গিয়ে তাঁকে ঘরে নিয়ে আসেন। পরে সুমী বুক জ্বলছে বলে চিৎকার করে, একপর্যায়ে মারা যায়।’ এমন খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় পরদিন থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়।
কয়েক মাস পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়ে পর্যালোচনায় দেখা যায়—সুমীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। কিন্তু বিভিন্ন কৌশল এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করেও ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হচ্ছিল না।
পুলিশ আরও জানায়, মামলা তদন্তকালীন ঘটনাচক্রে সন্দেহের তির যায় সুমীর মা জোসনার দিকে। অবশেষে গত রোববার ওসি রাশেদুল ইসলামসহ কয়েকজন কর্মকর্তার কৌশলী জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জোসনা বেগম নিজের মেয়েকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে পূর্বধলা থানার ওসি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করেও মামলার কোনো কূল-কিনারা করা যাচ্ছিল না। শেষে জোসনা বেগম আমাদের কৌশলী প্রশ্নে মেয়েকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। জোসনা বেগম মেয়েকে হত্যার কারণ হিসেবে জানান-নিষেধ করা সত্ত্বেও সুমী এক ছেলের সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। তাঁকে বাধা দিলে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করতে, ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করতেন। এমনি একাধিকবার মাকে মারধরও করেছে সুমী।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন গভীর রাত পর্যন্ত সুমী মোবাইল ফোনে কথা বলতে থাকেন। নিষেধ করলে সেদিনও মাকে মারধর করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওড়না পেঁচিয়ে সুমীকে হত্যা করেন জোসনা বেগম।’
ওসি রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনা স্বীকার করার পর জোসনা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে তাকে আদালতে পাঠানো হলে, মেয়েকে হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’
মায়ের নিষেধ অমান্য করে গভীর রাতে এক ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে মেয়ে। নিষেধ করলেই উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে, ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ মাকে মারধরও করে। একপর্যায়ে ধৈর্য হারিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মেয়েকে হত্যা করেন মা। পরে পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে মেয়ের স্বাভাবিক মৃত্যুর গল্প সাজান।
হত্যার শিকার ওই তরুণীর মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে হত্যার শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি জানা গেলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সব তথ্য দিতে থাকেন মা। আজ মঙ্গলবার ওই নারীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। আদালতে তিনি মেয়েকে হত্যার বিষয়ে জবানবন্দিও দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।
এ ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার দরুন বৈরাটি গ্রামে। ওই নারী নাম—জোসনা বেগম (৪৭)। তিনি উপজেলার দরুন বৈরাটি গ্রামের মৃত এমএল মিয়ার স্ত্রী। তাঁর মেয়ের নাম সুমী কাউছার (১৮)। ২০২১ সালে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন সুমী। পরে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও অর্থনৈতিক কারণে কলেজে ভর্তি হননি তিনি।
পুলিশ বলছে, ‘২০২২ সালের ২২ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বাড়ির পূর্ব পাশে টয়লেটে যায় সুমী কাউছার। টয়লেট শেষে চিৎকার দিলে মা জোসনা বেগম দৌড়ে গিয়ে তাঁকে ঘরে নিয়ে আসেন। পরে সুমী বুক জ্বলছে বলে চিৎকার করে, একপর্যায়ে মারা যায়।’ এমন খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় পরদিন থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়।
কয়েক মাস পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়ে পর্যালোচনায় দেখা যায়—সুমীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। কিন্তু বিভিন্ন কৌশল এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করেও ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হচ্ছিল না।
পুলিশ আরও জানায়, মামলা তদন্তকালীন ঘটনাচক্রে সন্দেহের তির যায় সুমীর মা জোসনার দিকে। অবশেষে গত রোববার ওসি রাশেদুল ইসলামসহ কয়েকজন কর্মকর্তার কৌশলী জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জোসনা বেগম নিজের মেয়েকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে পূর্বধলা থানার ওসি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করেও মামলার কোনো কূল-কিনারা করা যাচ্ছিল না। শেষে জোসনা বেগম আমাদের কৌশলী প্রশ্নে মেয়েকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। জোসনা বেগম মেয়েকে হত্যার কারণ হিসেবে জানান-নিষেধ করা সত্ত্বেও সুমী এক ছেলের সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। তাঁকে বাধা দিলে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করতে, ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করতেন। এমনি একাধিকবার মাকে মারধরও করেছে সুমী।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন গভীর রাত পর্যন্ত সুমী মোবাইল ফোনে কথা বলতে থাকেন। নিষেধ করলে সেদিনও মাকে মারধর করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওড়না পেঁচিয়ে সুমীকে হত্যা করেন জোসনা বেগম।’
ওসি রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনা স্বীকার করার পর জোসনা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে তাকে আদালতে পাঠানো হলে, মেয়েকে হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শেখ সাদেক আলীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর পোস্টার লাগানো ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুর ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিলটি শুরু হয়। কলেজ ক্যাম্পাস ও মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজের প্রশাসনিক...
২৮ মিনিট আগেপটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ঋণ শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয় ঋণের কিস্তির টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে ভুয়া স্লিপ দেখিয়ে তাঁরা এ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
৩৮ মিনিট আগেপটুয়াখালীতে এক সাংবাদিককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আফরোজা সীমা। হুমকির ওই ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেরোববার গভীর রাতে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মো. রাহাত খানের নেতৃত্বে পালেরহাট এলাকায় ফরিদ উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক ও নগদ এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ফরিদের দেওয়া তথ্যে সহযোগী নাঈমের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, গাঁজা...
২ ঘণ্টা আগে