ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ

আড়াই শ বছরের পুরোনো ময়মনসিংহ শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। নব্বইয়ের দশকেও উত্তাল ছিল নদটি। সেটি এখন দখল-দূষণে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনও নদের পাড় দখলের তালিকায় নাম লিখিয়েছে; পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে ময়লা। অথচ খননও আটকে আছে। সে কারণে ব্রহ্মপুত্রের প্রাণ ফেরানো খুব কঠিন হবে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিক ও পরিবেশবাদীরা।
সম্প্রতি নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়, থানা ঘাট, কাচারী ঘাট এবং পুলিশ লাইনস কাশর চর জেলখানা এলাকায় গিয়ে ব্রহ্মপুত্রের দুই পাড় দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলার চিত্র দেখা গেছে। ময়লা-আবর্জনা নদে ফেলায় পানি দূষিত হয়ে গেছে। তা ছাড়া বিভিন্ন স্থানে চর জেগে উঠেছে।
কাশর চর জেলখানা এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, নব্বইয়ের দশকের দিকে ব্রহ্মপুত্র ছিল উত্তাল; এখন ধু ধু বালুচর। তারপর আবার পাড় দখল করে বেশ কয়েকটি স্থাপনা তৈরি হয়েছে। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় এ নিয়ে কেউ কথাও বলছে না।
মসজিদ, মাদ্রাসা করা একই এলাকার আলী আহম্মেদ ফিরোজের দাবি, যে জমিতে মসজিদ, মাদ্রাসা গড়ে তোলা হয়েছে, সেটি তাঁদের জায়গা। ভাঙনের কারণে ব্রহ্মপুত্র নদে গিয়ে জায়গা একীভূত হয়েছে। তাই আমাদের জায়গায় সবার সহযোগিতায় মসজিদ, মাদ্রাসা করা হয়েছে।’
তা ছাড়া নগরীর কাচারী ঘাট নির্বাচন অফিস-সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সেতুবন্ধন হিজড়া সমবায় সমিতি ক্যাফে নামের একটি সাইনবোর্ড। এই সাইনবোর্ডের আশপাশে নদের মধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে অর্ধশতাধিক দোকানপাট।
কাচারী ঘাট এলাকার দোকানি ফিরোজা বেগম বলেন, ‘সাত বছর ধরে নদীর পাড়ে চায়ের দোকান করে সংসার চালাচ্ছি। প্রশাসনের লোকজন বলে গেছে সেই জায়গা হিজড়াদের জন্য ছেড়ে দিতে।’
সেতুবন্ধন কল্যাণ সংঘের সভাপতি তনু হিজড়া বলেন, ‘হাত না পেতে কিছু করে চলার জন্যই বিভাগীয় কমিশনার ম্যাডামের কাছে গিয়ে কর্মসংস্থানের জন্য সহযোগিতা চাই। তারপর ম্যাডাম নদের পাড়ে আমাদের জন্য জায়গাটি বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ নিয়ে সমস্যা হলে স্যার-ম্যাডামরা যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাই করব।’
পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকার ষাটোর্ধ্ব কামাল উদ্দিন বলেন, একটা সময় এই নদে মাছ, জলজ প্রাণী থাকলেও এখন নদে চর জাগার পাশাপাশি পানি দূষিত হওয়ায় আর কিছুই নেই।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক দিলরুবা আহমেদ বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদের দখল-দূষণরোধে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তরও কাজ করে চলেছে; বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মানুষকে বোঝানো হচ্ছে, তারা যেন তাদের ময়লা নদে না ফেলে। মানুষ সচেতন না হলে দখল-দূষণ রোধ থেকে আমাদের নদ-নদীগুলো রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, ময়মনসিংহের প্রাণ হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদ। এই নদ ঘিরে এখানকার ইতিহাস-ঐতিহ্য রচিত। মানুষের স্বার্থের চেয়ে নদের স্বার্থকে আমরা বড় করে দেখতে চাই।’
প্রশাসনও নদ দখল করার অভিযোগের বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘হিজড়াদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ক্যাফে তৈরির পাশাপাশি বিকল্প একটি জায়গাও নির্ধারণ করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় একটি সামাজিক সংগঠন মানববন্ধন করেছে; অনেকে মোবাইলে কল করে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন। এতে বোঝা যাচ্ছে, সেখানে ক্যাফে নির্মাণ করা ঠিক হবে না। তাই আমাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসব।’
নাব্যতা ফেরাতে খনন
এদিকে দখল, দূষণ আর পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ২০১৯ সালের শেষের দিকে শুরু হয় খননকাজ। প্রায় ২ হাজার ৭৬৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নদের ২২৭ কিলোমিটার খনন করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। খননের পর যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের সংযোগস্থল জামালপুরের কুলকান্দি থেকে কিশোরগঞ্জের টোক পর্যন্ত নদটি ৩০০ ফুট প্রশস্ত ও শুষ্ক মৌসুমে ১০ ফুট গভীর রাখার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও খনন হয়েছে মাত্র ২৬ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মহসীন মিয়া বলেন, করোনাকালসহ বেশ কিছু কারণে প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ২৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। সংযোগস্থল জামালপুরের কুলকান্দিতে স্থানীয়রা বাধা দেওয়ায় খননকাজে ব্যাঘাত ঘটছে।
তিনি আরও বলেন, খননকাজ সম্পন্ন হওয়ার পরপরেই দখল-দূষণ রোধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আড়াই শ বছরের পুরোনো ময়মনসিংহ শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। নব্বইয়ের দশকেও উত্তাল ছিল নদটি। সেটি এখন দখল-দূষণে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনও নদের পাড় দখলের তালিকায় নাম লিখিয়েছে; পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে ময়লা। অথচ খননও আটকে আছে। সে কারণে ব্রহ্মপুত্রের প্রাণ ফেরানো খুব কঠিন হবে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিক ও পরিবেশবাদীরা।
সম্প্রতি নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়, থানা ঘাট, কাচারী ঘাট এবং পুলিশ লাইনস কাশর চর জেলখানা এলাকায় গিয়ে ব্রহ্মপুত্রের দুই পাড় দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলার চিত্র দেখা গেছে। ময়লা-আবর্জনা নদে ফেলায় পানি দূষিত হয়ে গেছে। তা ছাড়া বিভিন্ন স্থানে চর জেগে উঠেছে।
কাশর চর জেলখানা এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, নব্বইয়ের দশকের দিকে ব্রহ্মপুত্র ছিল উত্তাল; এখন ধু ধু বালুচর। তারপর আবার পাড় দখল করে বেশ কয়েকটি স্থাপনা তৈরি হয়েছে। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় এ নিয়ে কেউ কথাও বলছে না।
মসজিদ, মাদ্রাসা করা একই এলাকার আলী আহম্মেদ ফিরোজের দাবি, যে জমিতে মসজিদ, মাদ্রাসা গড়ে তোলা হয়েছে, সেটি তাঁদের জায়গা। ভাঙনের কারণে ব্রহ্মপুত্র নদে গিয়ে জায়গা একীভূত হয়েছে। তাই আমাদের জায়গায় সবার সহযোগিতায় মসজিদ, মাদ্রাসা করা হয়েছে।’
তা ছাড়া নগরীর কাচারী ঘাট নির্বাচন অফিস-সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সেতুবন্ধন হিজড়া সমবায় সমিতি ক্যাফে নামের একটি সাইনবোর্ড। এই সাইনবোর্ডের আশপাশে নদের মধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে অর্ধশতাধিক দোকানপাট।
কাচারী ঘাট এলাকার দোকানি ফিরোজা বেগম বলেন, ‘সাত বছর ধরে নদীর পাড়ে চায়ের দোকান করে সংসার চালাচ্ছি। প্রশাসনের লোকজন বলে গেছে সেই জায়গা হিজড়াদের জন্য ছেড়ে দিতে।’
সেতুবন্ধন কল্যাণ সংঘের সভাপতি তনু হিজড়া বলেন, ‘হাত না পেতে কিছু করে চলার জন্যই বিভাগীয় কমিশনার ম্যাডামের কাছে গিয়ে কর্মসংস্থানের জন্য সহযোগিতা চাই। তারপর ম্যাডাম নদের পাড়ে আমাদের জন্য জায়গাটি বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ নিয়ে সমস্যা হলে স্যার-ম্যাডামরা যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাই করব।’
পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকার ষাটোর্ধ্ব কামাল উদ্দিন বলেন, একটা সময় এই নদে মাছ, জলজ প্রাণী থাকলেও এখন নদে চর জাগার পাশাপাশি পানি দূষিত হওয়ায় আর কিছুই নেই।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক দিলরুবা আহমেদ বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদের দখল-দূষণরোধে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তরও কাজ করে চলেছে; বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মানুষকে বোঝানো হচ্ছে, তারা যেন তাদের ময়লা নদে না ফেলে। মানুষ সচেতন না হলে দখল-দূষণ রোধ থেকে আমাদের নদ-নদীগুলো রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, ময়মনসিংহের প্রাণ হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদ। এই নদ ঘিরে এখানকার ইতিহাস-ঐতিহ্য রচিত। মানুষের স্বার্থের চেয়ে নদের স্বার্থকে আমরা বড় করে দেখতে চাই।’
প্রশাসনও নদ দখল করার অভিযোগের বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘হিজড়াদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ক্যাফে তৈরির পাশাপাশি বিকল্প একটি জায়গাও নির্ধারণ করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় একটি সামাজিক সংগঠন মানববন্ধন করেছে; অনেকে মোবাইলে কল করে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন। এতে বোঝা যাচ্ছে, সেখানে ক্যাফে নির্মাণ করা ঠিক হবে না। তাই আমাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসব।’
নাব্যতা ফেরাতে খনন
এদিকে দখল, দূষণ আর পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ২০১৯ সালের শেষের দিকে শুরু হয় খননকাজ। প্রায় ২ হাজার ৭৬৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নদের ২২৭ কিলোমিটার খনন করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। খননের পর যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের সংযোগস্থল জামালপুরের কুলকান্দি থেকে কিশোরগঞ্জের টোক পর্যন্ত নদটি ৩০০ ফুট প্রশস্ত ও শুষ্ক মৌসুমে ১০ ফুট গভীর রাখার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও খনন হয়েছে মাত্র ২৬ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মহসীন মিয়া বলেন, করোনাকালসহ বেশ কিছু কারণে প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ২৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। সংযোগস্থল জামালপুরের কুলকান্দিতে স্থানীয়রা বাধা দেওয়ায় খননকাজে ব্যাঘাত ঘটছে।
তিনি আরও বলেন, খননকাজ সম্পন্ন হওয়ার পরপরেই দখল-দূষণ রোধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ

আড়াই শ বছরের পুরোনো ময়মনসিংহ শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। নব্বইয়ের দশকেও উত্তাল ছিল নদটি। সেটি এখন দখল-দূষণে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনও নদের পাড় দখলের তালিকায় নাম লিখিয়েছে; পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে ময়লা। অথচ খননও আটকে আছে। সে কারণে ব্রহ্মপুত্রের প্রাণ ফেরানো খুব কঠিন হবে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিক ও পরিবেশবাদীরা।
সম্প্রতি নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়, থানা ঘাট, কাচারী ঘাট এবং পুলিশ লাইনস কাশর চর জেলখানা এলাকায় গিয়ে ব্রহ্মপুত্রের দুই পাড় দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলার চিত্র দেখা গেছে। ময়লা-আবর্জনা নদে ফেলায় পানি দূষিত হয়ে গেছে। তা ছাড়া বিভিন্ন স্থানে চর জেগে উঠেছে।
কাশর চর জেলখানা এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, নব্বইয়ের দশকের দিকে ব্রহ্মপুত্র ছিল উত্তাল; এখন ধু ধু বালুচর। তারপর আবার পাড় দখল করে বেশ কয়েকটি স্থাপনা তৈরি হয়েছে। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় এ নিয়ে কেউ কথাও বলছে না।
মসজিদ, মাদ্রাসা করা একই এলাকার আলী আহম্মেদ ফিরোজের দাবি, যে জমিতে মসজিদ, মাদ্রাসা গড়ে তোলা হয়েছে, সেটি তাঁদের জায়গা। ভাঙনের কারণে ব্রহ্মপুত্র নদে গিয়ে জায়গা একীভূত হয়েছে। তাই আমাদের জায়গায় সবার সহযোগিতায় মসজিদ, মাদ্রাসা করা হয়েছে।’
তা ছাড়া নগরীর কাচারী ঘাট নির্বাচন অফিস-সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সেতুবন্ধন হিজড়া সমবায় সমিতি ক্যাফে নামের একটি সাইনবোর্ড। এই সাইনবোর্ডের আশপাশে নদের মধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে অর্ধশতাধিক দোকানপাট।
কাচারী ঘাট এলাকার দোকানি ফিরোজা বেগম বলেন, ‘সাত বছর ধরে নদীর পাড়ে চায়ের দোকান করে সংসার চালাচ্ছি। প্রশাসনের লোকজন বলে গেছে সেই জায়গা হিজড়াদের জন্য ছেড়ে দিতে।’
সেতুবন্ধন কল্যাণ সংঘের সভাপতি তনু হিজড়া বলেন, ‘হাত না পেতে কিছু করে চলার জন্যই বিভাগীয় কমিশনার ম্যাডামের কাছে গিয়ে কর্মসংস্থানের জন্য সহযোগিতা চাই। তারপর ম্যাডাম নদের পাড়ে আমাদের জন্য জায়গাটি বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ নিয়ে সমস্যা হলে স্যার-ম্যাডামরা যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাই করব।’
পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকার ষাটোর্ধ্ব কামাল উদ্দিন বলেন, একটা সময় এই নদে মাছ, জলজ প্রাণী থাকলেও এখন নদে চর জাগার পাশাপাশি পানি দূষিত হওয়ায় আর কিছুই নেই।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক দিলরুবা আহমেদ বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদের দখল-দূষণরোধে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তরও কাজ করে চলেছে; বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মানুষকে বোঝানো হচ্ছে, তারা যেন তাদের ময়লা নদে না ফেলে। মানুষ সচেতন না হলে দখল-দূষণ রোধ থেকে আমাদের নদ-নদীগুলো রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, ময়মনসিংহের প্রাণ হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদ। এই নদ ঘিরে এখানকার ইতিহাস-ঐতিহ্য রচিত। মানুষের স্বার্থের চেয়ে নদের স্বার্থকে আমরা বড় করে দেখতে চাই।’
প্রশাসনও নদ দখল করার অভিযোগের বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘হিজড়াদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ক্যাফে তৈরির পাশাপাশি বিকল্প একটি জায়গাও নির্ধারণ করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় একটি সামাজিক সংগঠন মানববন্ধন করেছে; অনেকে মোবাইলে কল করে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন। এতে বোঝা যাচ্ছে, সেখানে ক্যাফে নির্মাণ করা ঠিক হবে না। তাই আমাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসব।’
নাব্যতা ফেরাতে খনন
এদিকে দখল, দূষণ আর পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ২০১৯ সালের শেষের দিকে শুরু হয় খননকাজ। প্রায় ২ হাজার ৭৬৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নদের ২২৭ কিলোমিটার খনন করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। খননের পর যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের সংযোগস্থল জামালপুরের কুলকান্দি থেকে কিশোরগঞ্জের টোক পর্যন্ত নদটি ৩০০ ফুট প্রশস্ত ও শুষ্ক মৌসুমে ১০ ফুট গভীর রাখার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও খনন হয়েছে মাত্র ২৬ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মহসীন মিয়া বলেন, করোনাকালসহ বেশ কিছু কারণে প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ২৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। সংযোগস্থল জামালপুরের কুলকান্দিতে স্থানীয়রা বাধা দেওয়ায় খননকাজে ব্যাঘাত ঘটছে।
তিনি আরও বলেন, খননকাজ সম্পন্ন হওয়ার পরপরেই দখল-দূষণ রোধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আড়াই শ বছরের পুরোনো ময়মনসিংহ শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। নব্বইয়ের দশকেও উত্তাল ছিল নদটি। সেটি এখন দখল-দূষণে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনও নদের পাড় দখলের তালিকায় নাম লিখিয়েছে; পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে ময়লা। অথচ খননও আটকে আছে। সে কারণে ব্রহ্মপুত্রের প্রাণ ফেরানো খুব কঠিন হবে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিক ও পরিবেশবাদীরা।
সম্প্রতি নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়, থানা ঘাট, কাচারী ঘাট এবং পুলিশ লাইনস কাশর চর জেলখানা এলাকায় গিয়ে ব্রহ্মপুত্রের দুই পাড় দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলার চিত্র দেখা গেছে। ময়লা-আবর্জনা নদে ফেলায় পানি দূষিত হয়ে গেছে। তা ছাড়া বিভিন্ন স্থানে চর জেগে উঠেছে।
কাশর চর জেলখানা এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, নব্বইয়ের দশকের দিকে ব্রহ্মপুত্র ছিল উত্তাল; এখন ধু ধু বালুচর। তারপর আবার পাড় দখল করে বেশ কয়েকটি স্থাপনা তৈরি হয়েছে। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় এ নিয়ে কেউ কথাও বলছে না।
মসজিদ, মাদ্রাসা করা একই এলাকার আলী আহম্মেদ ফিরোজের দাবি, যে জমিতে মসজিদ, মাদ্রাসা গড়ে তোলা হয়েছে, সেটি তাঁদের জায়গা। ভাঙনের কারণে ব্রহ্মপুত্র নদে গিয়ে জায়গা একীভূত হয়েছে। তাই আমাদের জায়গায় সবার সহযোগিতায় মসজিদ, মাদ্রাসা করা হয়েছে।’
তা ছাড়া নগরীর কাচারী ঘাট নির্বাচন অফিস-সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সেতুবন্ধন হিজড়া সমবায় সমিতি ক্যাফে নামের একটি সাইনবোর্ড। এই সাইনবোর্ডের আশপাশে নদের মধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে অর্ধশতাধিক দোকানপাট।
কাচারী ঘাট এলাকার দোকানি ফিরোজা বেগম বলেন, ‘সাত বছর ধরে নদীর পাড়ে চায়ের দোকান করে সংসার চালাচ্ছি। প্রশাসনের লোকজন বলে গেছে সেই জায়গা হিজড়াদের জন্য ছেড়ে দিতে।’
সেতুবন্ধন কল্যাণ সংঘের সভাপতি তনু হিজড়া বলেন, ‘হাত না পেতে কিছু করে চলার জন্যই বিভাগীয় কমিশনার ম্যাডামের কাছে গিয়ে কর্মসংস্থানের জন্য সহযোগিতা চাই। তারপর ম্যাডাম নদের পাড়ে আমাদের জন্য জায়গাটি বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ নিয়ে সমস্যা হলে স্যার-ম্যাডামরা যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাই করব।’
পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকার ষাটোর্ধ্ব কামাল উদ্দিন বলেন, একটা সময় এই নদে মাছ, জলজ প্রাণী থাকলেও এখন নদে চর জাগার পাশাপাশি পানি দূষিত হওয়ায় আর কিছুই নেই।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক দিলরুবা আহমেদ বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদের দখল-দূষণরোধে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তরও কাজ করে চলেছে; বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মানুষকে বোঝানো হচ্ছে, তারা যেন তাদের ময়লা নদে না ফেলে। মানুষ সচেতন না হলে দখল-দূষণ রোধ থেকে আমাদের নদ-নদীগুলো রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, ময়মনসিংহের প্রাণ হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদ। এই নদ ঘিরে এখানকার ইতিহাস-ঐতিহ্য রচিত। মানুষের স্বার্থের চেয়ে নদের স্বার্থকে আমরা বড় করে দেখতে চাই।’
প্রশাসনও নদ দখল করার অভিযোগের বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘হিজড়াদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ক্যাফে তৈরির পাশাপাশি বিকল্প একটি জায়গাও নির্ধারণ করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় একটি সামাজিক সংগঠন মানববন্ধন করেছে; অনেকে মোবাইলে কল করে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন। এতে বোঝা যাচ্ছে, সেখানে ক্যাফে নির্মাণ করা ঠিক হবে না। তাই আমাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসব।’
নাব্যতা ফেরাতে খনন
এদিকে দখল, দূষণ আর পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ২০১৯ সালের শেষের দিকে শুরু হয় খননকাজ। প্রায় ২ হাজার ৭৬৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নদের ২২৭ কিলোমিটার খনন করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। খননের পর যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের সংযোগস্থল জামালপুরের কুলকান্দি থেকে কিশোরগঞ্জের টোক পর্যন্ত নদটি ৩০০ ফুট প্রশস্ত ও শুষ্ক মৌসুমে ১০ ফুট গভীর রাখার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও খনন হয়েছে মাত্র ২৬ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মহসীন মিয়া বলেন, করোনাকালসহ বেশ কিছু কারণে প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ২৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। সংযোগস্থল জামালপুরের কুলকান্দিতে স্থানীয়রা বাধা দেওয়ায় খননকাজে ব্যাঘাত ঘটছে।
তিনি আরও বলেন, খননকাজ সম্পন্ন হওয়ার পরপরেই দখল-দূষণ রোধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সকালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তারিক সাইফ মামুন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, মামুনের বাবার নাম এস এম ইকবাল।
৪ মিনিট আগে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে নির্বাচনকে বানচাল করে দেওয়ার এবং পিছিয়ে দেওয়ার যে চক্রান্ত চলছে, তা সফল হলে দেশের সর্বনাশ হবে। এই সংকটময় মুহূর্তে একটি নির্বাচিত সরকার খুব জরুরি।
২১ মিনিট আগে
মুমূর্ষু অবস্থায় আরাফ আফতাহীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচন কমিশনার বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাঠপর্যায়ের নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাহস এবং পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সকালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তারিক সাইফ মামুন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, মামুনের বাবার নাম এস এম ইকবাল। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার মোবারক কলোনি এলাকায়।
ওই ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী। তবে পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তি চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (লালবাগ বিভাগ) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, ‘গুলিতে নিহত ব্যক্তিটি শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন। তিনি কোনো ব্যবসায়ী নন। তিনি ইমন-মামুন গ্রুপের মামুন।’
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ঢালিউড নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা এবং সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ভাই সাইদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলায় ঢাকার আন্ডাগ্রাউন্ড সন্ত্রাসী গ্রুপ ইমন-মামুন জড়িত। এই গ্রুপের ইমন বর্তমানে পলাতক। মামুন আজ মামলায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন।
ঘটনার বর্ণনায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ জানান, আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের সামনে গোলাগুলি হয়। গুলির শব্দ শুনে হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে এসে তিনি এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভেতরে আনা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক হাসপাতালে আনার পর মৃত ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেলে নিহতের পূর্বপরিচিত দাবি করা জনৈক ফাইজুল হক অপু জানান, সকালে তারিক সাইফ মামুনের ফোন নম্বর থেকে তাঁকে কল করে ঘটনাটি জানানো হয়। এরপর তিনি ঢাকা মেডিকেলে এসে পরিচয় শনাক্ত করেন।
ঢামেকে মামুনের স্ত্রী দিপা জানান, মিরপুরে মামুনের গার্মেন্টস ব্যবসা রয়েছে। দুই মেয়েকে নিয়ে আফতাবনগরের এফ ব্লকে থাকেন তাঁরা। তিনি আরও জানান, দুই দিন পর আজ সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মামুন। জজকোর্টে একটি মামলার হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। এরপরই ফোনে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে।
দীপা বলেন, ‘কারা আমার স্বামীকে খুন করছে জানি না।’ এ সময় ‘ইমন’ নামে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইমন ছাড়া কেউ এই কাজ করে নাই। কয়েকদিন আগে ইমনই লোক দিয়ে মামুনকে মারধর করেছিল।’
তবে ইমনের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে তাৎক্ষণিকভাবে রাজি হননি দীপা।

পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সকালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তারিক সাইফ মামুন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, মামুনের বাবার নাম এস এম ইকবাল। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার মোবারক কলোনি এলাকায়।
ওই ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী। তবে পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তি চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (লালবাগ বিভাগ) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, ‘গুলিতে নিহত ব্যক্তিটি শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন। তিনি কোনো ব্যবসায়ী নন। তিনি ইমন-মামুন গ্রুপের মামুন।’
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ঢালিউড নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা এবং সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ভাই সাইদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলায় ঢাকার আন্ডাগ্রাউন্ড সন্ত্রাসী গ্রুপ ইমন-মামুন জড়িত। এই গ্রুপের ইমন বর্তমানে পলাতক। মামুন আজ মামলায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন।
ঘটনার বর্ণনায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ জানান, আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের সামনে গোলাগুলি হয়। গুলির শব্দ শুনে হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে এসে তিনি এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভেতরে আনা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক হাসপাতালে আনার পর মৃত ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেলে নিহতের পূর্বপরিচিত দাবি করা জনৈক ফাইজুল হক অপু জানান, সকালে তারিক সাইফ মামুনের ফোন নম্বর থেকে তাঁকে কল করে ঘটনাটি জানানো হয়। এরপর তিনি ঢাকা মেডিকেলে এসে পরিচয় শনাক্ত করেন।
ঢামেকে মামুনের স্ত্রী দিপা জানান, মিরপুরে মামুনের গার্মেন্টস ব্যবসা রয়েছে। দুই মেয়েকে নিয়ে আফতাবনগরের এফ ব্লকে থাকেন তাঁরা। তিনি আরও জানান, দুই দিন পর আজ সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মামুন। জজকোর্টে একটি মামলার হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। এরপরই ফোনে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে।
দীপা বলেন, ‘কারা আমার স্বামীকে খুন করছে জানি না।’ এ সময় ‘ইমন’ নামে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইমন ছাড়া কেউ এই কাজ করে নাই। কয়েকদিন আগে ইমনই লোক দিয়ে মামুনকে মারধর করেছিল।’
তবে ইমনের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে তাৎক্ষণিকভাবে রাজি হননি দীপা।

আড়াই শ বছরের পুরোনো ময়মনসিংহ শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। নব্বই দশকেও উত্তাল ছিল নদটি। সেটি এখন দখল-দূষণে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনও নদের পাড় দখলের তালিকায় নাম লিখিয়েছে; পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে ময়লা। অথচ খননও আটকে আছে। সে কারণে ব্রহ্মপুত্রের প্রাণ ফেরা
১৭ মে ২০২৪
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে নির্বাচনকে বানচাল করে দেওয়ার এবং পিছিয়ে দেওয়ার যে চক্রান্ত চলছে, তা সফল হলে দেশের সর্বনাশ হবে। এই সংকটময় মুহূর্তে একটি নির্বাচিত সরকার খুব জরুরি।
২১ মিনিট আগে
মুমূর্ষু অবস্থায় আরাফ আফতাহীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচন কমিশনার বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাঠপর্যায়ের নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাহস এবং পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে নির্বাচনকে বানচাল করে দেওয়ার এবং পিছিয়ে দেওয়ার যে চক্রান্ত চলছে, তা সফল হলে দেশের সর্বনাশ হবে। এই সংকটময় মুহূর্তে একটি নির্বাচিত সরকার খুব জরুরি। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঠাকুরগাঁও জেলা ইউনিট কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর করিম সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বিএনপি মহাসচিব জানান, তাঁর দল অন্তর্বর্তী সরকারকে সম্মান করে ও শ্রদ্ধা করে এবং আশা করে যে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) অতি দ্রুত আর কোনো কাল বিলম্ব না করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ব্যবস্থা করবেন। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন।
তিনি বলেন, ’একটা কথা মনে রাখতে হবে দেশটা আমাদের, এই মাটি আমাদের। এই মানুষগুলো আমাদের।’
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে পরিকল্পিতভাবে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যারা একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর ছিল, সেই চক্রই এখন ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে দেশটাকে ’গ্রাস করার চেষ্টা’ করছে। এ সময় তিনি সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান।
মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে একটা চেষ্টা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে ঘুরিয়ে দেওয়ার। বলা হচ্ছে—’৭১-এ হয় নাই, আমরা কিছুই করি নাই। দেশটার জন্য আমরা কোনো অবদানই রাখিনি। এখন যারা ’২৪-এ করেছে তারাই সব করেছে—এই রকম একটা ধারণা দিচ্ছে।’
তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাস যারা যুদ্ধ করেছি, পরিবার-পরিজনের কোনো খবর নিতে পারিনি... সেই দিনটাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে—সেটাকে কি ভুলিয়ে দেওয়া যায়?’ মুক্তিযোদ্ধারা ’না’ বললে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘আমার জন্মটাকে কি আমি ভুলতে পারি?’
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, একটি মহল দেশের স্বাধীনতা ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তিনি বলেন, ’আজকে সুপরিকল্পিতভাবে একটি চক্র, একটি মহল, যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশ করে এ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল, তাদের পরিবারকে হত্যা করেছিল, তাদের মেয়েদের তুলে দিয়েছিল পাক বাহিনীর হাতে। তাদের সঙ্গে কি এ দেশের মানুষ আপস করতে পারে?’
তাঁর এই বক্তব্যের সমর্থনে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা ’না’ সূচক মন্তব্য করেন। এ সময় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা স্লোগান দেন, ’একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার। রাজাকার, আলবদর হুঁশিয়ার সাবধান।’
মির্জা ফখরুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি এসব কথা বলতে চাই না, কিন্তু যারা দেশটাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছে, গ্রাস করার চেষ্টা করতেছে’, তাদের রুখতে আজ বিভেদের চেতনাকে সামনে আনতে হবে।
তিনি জানান, তাঁদের দল ক্ষমতায় থাকাকালে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় তৈরি করেছিলেন এবং মুক্তিযোদ্ধার ভাতা শুরু করেছিলেন। তিনি হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে নির্বাচনকে বানচাল করে দেওয়ার এবং পিছিয়ে দেওয়ার যে চক্রান্ত চলছে, তা সফল হলে দেশের সর্বনাশ হবে। এই সংকটময় মুহূর্তে একটি নির্বাচিত সরকার খুব জরুরি। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঠাকুরগাঁও জেলা ইউনিট কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর করিম সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বিএনপি মহাসচিব জানান, তাঁর দল অন্তর্বর্তী সরকারকে সম্মান করে ও শ্রদ্ধা করে এবং আশা করে যে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) অতি দ্রুত আর কোনো কাল বিলম্ব না করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ব্যবস্থা করবেন। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন।
তিনি বলেন, ’একটা কথা মনে রাখতে হবে দেশটা আমাদের, এই মাটি আমাদের। এই মানুষগুলো আমাদের।’
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে পরিকল্পিতভাবে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যারা একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর ছিল, সেই চক্রই এখন ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে দেশটাকে ’গ্রাস করার চেষ্টা’ করছে। এ সময় তিনি সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান।
মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে একটা চেষ্টা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে ঘুরিয়ে দেওয়ার। বলা হচ্ছে—’৭১-এ হয় নাই, আমরা কিছুই করি নাই। দেশটার জন্য আমরা কোনো অবদানই রাখিনি। এখন যারা ’২৪-এ করেছে তারাই সব করেছে—এই রকম একটা ধারণা দিচ্ছে।’
তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাস যারা যুদ্ধ করেছি, পরিবার-পরিজনের কোনো খবর নিতে পারিনি... সেই দিনটাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে—সেটাকে কি ভুলিয়ে দেওয়া যায়?’ মুক্তিযোদ্ধারা ’না’ বললে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘আমার জন্মটাকে কি আমি ভুলতে পারি?’
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, একটি মহল দেশের স্বাধীনতা ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তিনি বলেন, ’আজকে সুপরিকল্পিতভাবে একটি চক্র, একটি মহল, যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশ করে এ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল, তাদের পরিবারকে হত্যা করেছিল, তাদের মেয়েদের তুলে দিয়েছিল পাক বাহিনীর হাতে। তাদের সঙ্গে কি এ দেশের মানুষ আপস করতে পারে?’
তাঁর এই বক্তব্যের সমর্থনে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা ’না’ সূচক মন্তব্য করেন। এ সময় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা স্লোগান দেন, ’একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার। রাজাকার, আলবদর হুঁশিয়ার সাবধান।’
মির্জা ফখরুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি এসব কথা বলতে চাই না, কিন্তু যারা দেশটাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছে, গ্রাস করার চেষ্টা করতেছে’, তাদের রুখতে আজ বিভেদের চেতনাকে সামনে আনতে হবে।
তিনি জানান, তাঁদের দল ক্ষমতায় থাকাকালে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় তৈরি করেছিলেন এবং মুক্তিযোদ্ধার ভাতা শুরু করেছিলেন। তিনি হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

আড়াই শ বছরের পুরোনো ময়মনসিংহ শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। নব্বই দশকেও উত্তাল ছিল নদটি। সেটি এখন দখল-দূষণে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনও নদের পাড় দখলের তালিকায় নাম লিখিয়েছে; পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে ময়লা। অথচ খননও আটকে আছে। সে কারণে ব্রহ্মপুত্রের প্রাণ ফেরা
১৭ মে ২০২৪
পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সকালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তারিক সাইফ মামুন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, মামুনের বাবার নাম এস এম ইকবাল।
৪ মিনিট আগে
মুমূর্ষু অবস্থায় আরাফ আফতাহীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচন কমিশনার বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাঠপর্যায়ের নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাহস এবং পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর বনশ্রীতে ট্রাক ধাক্কায় আরাফ আফতাহী (৮) নামে এক প্রতিবন্ধী শিশু মারা গেছে। আজ সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মুমূর্ষু অবস্থায় আরাফ আফতাহীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আরাফের বাবা ইঞ্জিনিয়ার আজহারুল ইসলাম জানান, তাদের বাসা বনশ্রী জি ব্লকে। বাসার বিপরীতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের একটি স্কুলে পড়ত আরাফ। সকালে তাদের বাসার আয়া সোনিয়া আরাফকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক আরাফকে ধাক্কা দেয়। এতে আরাফ রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরাজি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে আনার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

রাজধানীর বনশ্রীতে ট্রাক ধাক্কায় আরাফ আফতাহী (৮) নামে এক প্রতিবন্ধী শিশু মারা গেছে। আজ সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মুমূর্ষু অবস্থায় আরাফ আফতাহীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আরাফের বাবা ইঞ্জিনিয়ার আজহারুল ইসলাম জানান, তাদের বাসা বনশ্রী জি ব্লকে। বাসার বিপরীতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের একটি স্কুলে পড়ত আরাফ। সকালে তাদের বাসার আয়া সোনিয়া আরাফকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক আরাফকে ধাক্কা দেয়। এতে আরাফ রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরাজি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে আনার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

আড়াই শ বছরের পুরোনো ময়মনসিংহ শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। নব্বই দশকেও উত্তাল ছিল নদটি। সেটি এখন দখল-দূষণে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনও নদের পাড় দখলের তালিকায় নাম লিখিয়েছে; পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে ময়লা। অথচ খননও আটকে আছে। সে কারণে ব্রহ্মপুত্রের প্রাণ ফেরা
১৭ মে ২০২৪
পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সকালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তারিক সাইফ মামুন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, মামুনের বাবার নাম এস এম ইকবাল।
৪ মিনিট আগে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে নির্বাচনকে বানচাল করে দেওয়ার এবং পিছিয়ে দেওয়ার যে চক্রান্ত চলছে, তা সফল হলে দেশের সর্বনাশ হবে। এই সংকটময় মুহূর্তে একটি নির্বাচিত সরকার খুব জরুরি।
২১ মিনিট আগে
নির্বাচন কমিশনার বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাঠপর্যায়ের নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাহস এবং পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

অতীতের ভুল ও বিতর্ক কাটিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, ‘অতীতের কলঙ্ক মুছতে হলে একটি ভালো নির্বাচনের বিকল্প নেই।’
সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) কুমিল্লার সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আয়োজিত ‘ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাঠপর্যায়ের নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাহস এবং পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। একক প্রচেষ্টায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়—প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বিত ভূমিকা অপরিহার্য।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের দিন নিরপেক্ষতা ও সততা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো চাপ, ভীতি বা প্রভাবের কাছে নতিস্বীকার করা নয়।’
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুল হালিম খান, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার, জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম এবং জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ভোট পরিচালনায় যুক্ত কর্মকর্তারা অংশ নেন।

অতীতের ভুল ও বিতর্ক কাটিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, ‘অতীতের কলঙ্ক মুছতে হলে একটি ভালো নির্বাচনের বিকল্প নেই।’
সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) কুমিল্লার সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আয়োজিত ‘ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাঠপর্যায়ের নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাহস এবং পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। একক প্রচেষ্টায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়—প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বিত ভূমিকা অপরিহার্য।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের দিন নিরপেক্ষতা ও সততা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো চাপ, ভীতি বা প্রভাবের কাছে নতিস্বীকার করা নয়।’
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুল হালিম খান, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার, জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম এবং জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ভোট পরিচালনায় যুক্ত কর্মকর্তারা অংশ নেন।

আড়াই শ বছরের পুরোনো ময়মনসিংহ শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। নব্বই দশকেও উত্তাল ছিল নদটি। সেটি এখন দখল-দূষণে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনও নদের পাড় দখলের তালিকায় নাম লিখিয়েছে; পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে ময়লা। অথচ খননও আটকে আছে। সে কারণে ব্রহ্মপুত্রের প্রাণ ফেরা
১৭ মে ২০২৪
পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সকালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তারিক সাইফ মামুন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, মামুনের বাবার নাম এস এম ইকবাল।
৪ মিনিট আগে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে নির্বাচনকে বানচাল করে দেওয়ার এবং পিছিয়ে দেওয়ার যে চক্রান্ত চলছে, তা সফল হলে দেশের সর্বনাশ হবে। এই সংকটময় মুহূর্তে একটি নির্বাচিত সরকার খুব জরুরি।
২১ মিনিট আগে
মুমূর্ষু অবস্থায় আরাফ আফতাহীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগে