ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ নগরীর চর ব্রাহ্মপল্লী এলাকার পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতালে কিডনির পাথর অপসারণের সময় গর্ভে যমজ সন্তানসহ গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, রোগীকে অজ্ঞান না করে অপারেশন করায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত রেখা আক্তার (২৫) ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া এলাকার মাহবুবুল আলমের স্ত্রী। রেখা ১৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
গতকাল গভীর রাতের এই ঘটনায় মৃতের স্বামী সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার অভিযোগে শুক্রবার মামলা করেছেন বলে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন জানান।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, মৃতের স্বামী মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালের পরিচালকসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেছে। এবিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেখার গর্ভে দুটি সন্তান ছিল। সম্প্রতি পরীক্ষায় তাঁর কিডনিতে পাথর ধরা পড়ে। তাঁকে বৃহস্পতিবার রাতে পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত ৮টায় অপারেশন করার কথা ছিল। পরে রাত ১টার দিকে অপারেশন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘অপারেশনের শুরুতে ওটির ভেতর থেকে চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই। কারণ জানতে চাইলে একজন নার্স বলেন, অজ্ঞান করার ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে, তাই চিৎকার করছেন। এরপরও বহুবার চিৎকার করার শব্দ শুনতে পেয়েছি। অপারেশন শেষে পোস্ট অপারেটিভ রুমে তাঁকে রেখে সবাই চলে যায়।’
মাহবুবুল বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে পোস্ট অপারেটিভ রুমে গিয়ে রেখার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে নার্সকে জানাই। নার্স দৌড়ে গিয়ে আরেকজনকে ডেকে আনেন। তিনি এসে দেখেই বলেন, রোগীকে মেরে ফেলছিস। পরে তারা রেখাকে চুরখাই সিবিএমসিবি হাসপাতালে পাঠায়। সেখান নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতালের চারপাশে লোকজন জড়ো হলে ক্লিনিক মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্লিনিকে তালা লাগিয়ে চলে যান। পরে পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।
রেখার বড় ভাই আব্দুল জব্বার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অজ্ঞান করা ছাড়াই অপারেশন করেছে। পরে অবস্থা খারাপ হলে অন্য আরেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে নেওয়ার পথেই আমার বোন মারা গেছে। তার পেটের দুটি সন্তানও মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, ‘অপারেশন কোন ডাক্তার করেছেন, তা আমার জানা নেই। রোগীর লোকজন বিষয়টি বলতে পারবেন। আমি ঢাকায় আছি, ফিরে বিস্তারিত জানানো যাবে।’
১৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এ ধরনের অপারেশন করা যায় কিনা জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীর অবস্থা বিবেচনা করে অপারেশন করা যেতে পারে।
ময়মনসিংহ নগরীর চর ব্রাহ্মপল্লী এলাকার পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতালে কিডনির পাথর অপসারণের সময় গর্ভে যমজ সন্তানসহ গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, রোগীকে অজ্ঞান না করে অপারেশন করায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত রেখা আক্তার (২৫) ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া এলাকার মাহবুবুল আলমের স্ত্রী। রেখা ১৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
গতকাল গভীর রাতের এই ঘটনায় মৃতের স্বামী সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার অভিযোগে শুক্রবার মামলা করেছেন বলে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন জানান।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, মৃতের স্বামী মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালের পরিচালকসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেছে। এবিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেখার গর্ভে দুটি সন্তান ছিল। সম্প্রতি পরীক্ষায় তাঁর কিডনিতে পাথর ধরা পড়ে। তাঁকে বৃহস্পতিবার রাতে পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত ৮টায় অপারেশন করার কথা ছিল। পরে রাত ১টার দিকে অপারেশন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘অপারেশনের শুরুতে ওটির ভেতর থেকে চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই। কারণ জানতে চাইলে একজন নার্স বলেন, অজ্ঞান করার ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে, তাই চিৎকার করছেন। এরপরও বহুবার চিৎকার করার শব্দ শুনতে পেয়েছি। অপারেশন শেষে পোস্ট অপারেটিভ রুমে তাঁকে রেখে সবাই চলে যায়।’
মাহবুবুল বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে পোস্ট অপারেটিভ রুমে গিয়ে রেখার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে নার্সকে জানাই। নার্স দৌড়ে গিয়ে আরেকজনকে ডেকে আনেন। তিনি এসে দেখেই বলেন, রোগীকে মেরে ফেলছিস। পরে তারা রেখাকে চুরখাই সিবিএমসিবি হাসপাতালে পাঠায়। সেখান নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতালের চারপাশে লোকজন জড়ো হলে ক্লিনিক মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্লিনিকে তালা লাগিয়ে চলে যান। পরে পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।
রেখার বড় ভাই আব্দুল জব্বার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অজ্ঞান করা ছাড়াই অপারেশন করেছে। পরে অবস্থা খারাপ হলে অন্য আরেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে নেওয়ার পথেই আমার বোন মারা গেছে। তার পেটের দুটি সন্তানও মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, ‘অপারেশন কোন ডাক্তার করেছেন, তা আমার জানা নেই। রোগীর লোকজন বিষয়টি বলতে পারবেন। আমি ঢাকায় আছি, ফিরে বিস্তারিত জানানো যাবে।’
১৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এ ধরনের অপারেশন করা যায় কিনা জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীর অবস্থা বিবেচনা করে অপারেশন করা যেতে পারে।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৪ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৫ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৫ ঘণ্টা আগে