প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
খাবার নিয়ে ছুটছে একদল তরুণ। তাঁদের মধ্যে কেউ মাধ্যমিকে কেউবা উচ্চ মাধ্যমিকে পড়েন। করোনার থাবা থেকে কুকুরসহ অন্যান্য প্রাণীকে বাঁচাতে নিজ উদ্যোগে এগিয়ে এসেছে এসব তরুণ। নেত্রকোনা বিভিন্ন সড়ক ঘুরে যেখানে অসহায় কুকুর, বিড়াল ও অন্যান্য প্রাণী করোনার এ সময়ে খাবার থেকে বঞ্চিত তাদের খাবার দিয়ে আনন্দ পাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের এ কাজকে সংঘবদ্ধ করতে প্রতিষ্ঠা করেছেন 'পেট রেসকিউ টিম' নামে একটি সংগঠন যা নেত্রকোনায় প্রথম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা মহামারির কারণে নেত্রকোনা জেলার প্রায় সকল হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় বিপাকে আছে ওই সব প্রাণী। মানুষের খাবারের ব্যবস্থা কোন রকম হলেও প্রাণীদের নিয়ে কেউ ভাবছেন না। খাবার অভাবে নিদারুণ কষ্টে দিনযাপন করা ওই সব অসহায় প্রাণীকে চোখের সামনে কাতরাতে দেখে বিষণ্ন হন খান মাহবুব আলম আবিদ (১৯)। কলেজ বন্ধ, পড়াশোনার চাপ কম তাই আবিদ বিষয়টি অনুধাবন করে বন্ধু ও ছোট ভাইয়ের নিয়ে 'পেট রেসকিউ টিম' নামে একটি সংগঠন। তারপর থেকে সমমনা চারজন প্রাণীপ্রেমীকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। গ্রুপের সংগঠক খান মাহাবুব আলম আবিদের সঙ্গে যুক্ত হন ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী ঈশিতা জাহান ঈশা (১৫), আকাশ সাহা (১৬), অরণ্য কিশোর দে (১৭)। প্রথম অভিযানের পর এটি এখন দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে। ফেসবুকে পেজ খোলার পর মিলে দারুণ সাড়া।
শুরুতে পরিবার থেকে সমর্থন না করলেও ওদের আগ্রহ দেখে এগিয়ে আসেন নিজেদের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব। অরণ্য মা মালী রানী পাল তো বলে বসেন 'বাসায় একটা কুকুর থাকতে আরেকটা আনার দরকার কি! তবে ছেলের আগ্রহ দেখে পরে তিনিই বলেন, পড়াশোনা ঠিক রেখে সবকিছু করো।
মেয়ের এমন কাজে গর্বিত ঈশার মা শারমীন আক্তার শিখা। কুকুরদের খাওয়ানোর জন্য মেয়ের পাশে দাঁড়াতে নিজ হাতে রান্না করে দিয়েছেন খাবার।
এ বিষয় ঈশার মা শারমীন আক্তার শিখা বলেন, ওরা স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি ভালো কাজ করছে। সবার উচিত ওদেরকে সহযোগিতা করা। এইটুকু বয়সে ওদের মাথায় যে এটা এসেছে তাতে আমি ওদের সবাইকে নিয়ে গর্বিত।
তিন কেজি চাল, আধা কেজি ডাল, দেড় কেজি মাংসের সংমিশ্রণে রান্না করা খিচুড়ি প্রথম দিন প্রায় ৩০-৩৫টি কুকুরকে খাওয়ানো হয়। শহরের ঢাকা বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল রোড, জয়নগর, সাতপাই এলাকা ঘুরে এসব কুকুরকে খাওয়ানো হয় খাবার। বাজেট কম থাকায় মূলত যেসব জায়গায় খাবার, উচ্ছিষ্ট কম থাকে সে এলাকাগুলো বাছাই করে তারা খাবার দিচ্ছেন বলে জানান অন্যতম সংগঠক আকাশ সাহা।
আকাশ সাহা বলেন, প্রতি শনিবার আমরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি। সবার সহযোগিতা পেলে আমাদের কর্ম পরিকল্পনা আরও বাড়বে।
তবে শুধু খাবার দিয়েই ক্ষান্ত নন তাঁরা। একই সঙ্গে চলছে রেসকিউ। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নানাভাবে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া অসহায় প্রাণীদের খবর পেলেই উদ্ধার করে চিকিৎসা ও সেবা দেন তাঁরা।
অরণ্য কিশোর দে নামে একজন বলেন, আমরা এখনো নিজ খরচে এ সকল কাজ করছি। কোন অনুদান পাইনি। স্পনসর বা প্রশাসন থেকে সাহায্য করা হলে আমাদের কর্মপরিধি বাড়াব। যারা এ কাজে আগ্রহী তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা খান মাহবুব আলম আবিদ বলেন, আমরা চাই সমাজের কেউই যেন কিছু থেকে বঞ্চিত না হয়। অসহায় প্রাণিরাও যেন ঠিকমতো বাঁচতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে প্রতিটি উপজেলায় একাজ বিস্তার করা হবে।
বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মতীন্দ্র সরকার বলেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ। ওরা আমাদের সমাজ ও পরিবেশের অংশ। আমি ওই সংগঠনের সদস্যদের সাধুবাদ জানাই। যতটুকু পারি আমি ওদের সহায়তা করে যাব।
জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, এটি নিঃসন্দেহে ভালো কাজ। তরুণদের এমন উদ্যোগ অনেককে অনুপ্রাণিত করবে। এভাবেই এগিয়ে যাবে মানবিক বাংলাদেশ। ভালো কাজে আমরা পাশে থাকব।
খাবার নিয়ে ছুটছে একদল তরুণ। তাঁদের মধ্যে কেউ মাধ্যমিকে কেউবা উচ্চ মাধ্যমিকে পড়েন। করোনার থাবা থেকে কুকুরসহ অন্যান্য প্রাণীকে বাঁচাতে নিজ উদ্যোগে এগিয়ে এসেছে এসব তরুণ। নেত্রকোনা বিভিন্ন সড়ক ঘুরে যেখানে অসহায় কুকুর, বিড়াল ও অন্যান্য প্রাণী করোনার এ সময়ে খাবার থেকে বঞ্চিত তাদের খাবার দিয়ে আনন্দ পাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের এ কাজকে সংঘবদ্ধ করতে প্রতিষ্ঠা করেছেন 'পেট রেসকিউ টিম' নামে একটি সংগঠন যা নেত্রকোনায় প্রথম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা মহামারির কারণে নেত্রকোনা জেলার প্রায় সকল হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় বিপাকে আছে ওই সব প্রাণী। মানুষের খাবারের ব্যবস্থা কোন রকম হলেও প্রাণীদের নিয়ে কেউ ভাবছেন না। খাবার অভাবে নিদারুণ কষ্টে দিনযাপন করা ওই সব অসহায় প্রাণীকে চোখের সামনে কাতরাতে দেখে বিষণ্ন হন খান মাহবুব আলম আবিদ (১৯)। কলেজ বন্ধ, পড়াশোনার চাপ কম তাই আবিদ বিষয়টি অনুধাবন করে বন্ধু ও ছোট ভাইয়ের নিয়ে 'পেট রেসকিউ টিম' নামে একটি সংগঠন। তারপর থেকে সমমনা চারজন প্রাণীপ্রেমীকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। গ্রুপের সংগঠক খান মাহাবুব আলম আবিদের সঙ্গে যুক্ত হন ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী ঈশিতা জাহান ঈশা (১৫), আকাশ সাহা (১৬), অরণ্য কিশোর দে (১৭)। প্রথম অভিযানের পর এটি এখন দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে। ফেসবুকে পেজ খোলার পর মিলে দারুণ সাড়া।
শুরুতে পরিবার থেকে সমর্থন না করলেও ওদের আগ্রহ দেখে এগিয়ে আসেন নিজেদের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব। অরণ্য মা মালী রানী পাল তো বলে বসেন 'বাসায় একটা কুকুর থাকতে আরেকটা আনার দরকার কি! তবে ছেলের আগ্রহ দেখে পরে তিনিই বলেন, পড়াশোনা ঠিক রেখে সবকিছু করো।
মেয়ের এমন কাজে গর্বিত ঈশার মা শারমীন আক্তার শিখা। কুকুরদের খাওয়ানোর জন্য মেয়ের পাশে দাঁড়াতে নিজ হাতে রান্না করে দিয়েছেন খাবার।
এ বিষয় ঈশার মা শারমীন আক্তার শিখা বলেন, ওরা স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি ভালো কাজ করছে। সবার উচিত ওদেরকে সহযোগিতা করা। এইটুকু বয়সে ওদের মাথায় যে এটা এসেছে তাতে আমি ওদের সবাইকে নিয়ে গর্বিত।
তিন কেজি চাল, আধা কেজি ডাল, দেড় কেজি মাংসের সংমিশ্রণে রান্না করা খিচুড়ি প্রথম দিন প্রায় ৩০-৩৫টি কুকুরকে খাওয়ানো হয়। শহরের ঢাকা বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল রোড, জয়নগর, সাতপাই এলাকা ঘুরে এসব কুকুরকে খাওয়ানো হয় খাবার। বাজেট কম থাকায় মূলত যেসব জায়গায় খাবার, উচ্ছিষ্ট কম থাকে সে এলাকাগুলো বাছাই করে তারা খাবার দিচ্ছেন বলে জানান অন্যতম সংগঠক আকাশ সাহা।
আকাশ সাহা বলেন, প্রতি শনিবার আমরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি। সবার সহযোগিতা পেলে আমাদের কর্ম পরিকল্পনা আরও বাড়বে।
তবে শুধু খাবার দিয়েই ক্ষান্ত নন তাঁরা। একই সঙ্গে চলছে রেসকিউ। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নানাভাবে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া অসহায় প্রাণীদের খবর পেলেই উদ্ধার করে চিকিৎসা ও সেবা দেন তাঁরা।
অরণ্য কিশোর দে নামে একজন বলেন, আমরা এখনো নিজ খরচে এ সকল কাজ করছি। কোন অনুদান পাইনি। স্পনসর বা প্রশাসন থেকে সাহায্য করা হলে আমাদের কর্মপরিধি বাড়াব। যারা এ কাজে আগ্রহী তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা খান মাহবুব আলম আবিদ বলেন, আমরা চাই সমাজের কেউই যেন কিছু থেকে বঞ্চিত না হয়। অসহায় প্রাণিরাও যেন ঠিকমতো বাঁচতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে প্রতিটি উপজেলায় একাজ বিস্তার করা হবে।
বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মতীন্দ্র সরকার বলেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ। ওরা আমাদের সমাজ ও পরিবেশের অংশ। আমি ওই সংগঠনের সদস্যদের সাধুবাদ জানাই। যতটুকু পারি আমি ওদের সহায়তা করে যাব।
জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, এটি নিঃসন্দেহে ভালো কাজ। তরুণদের এমন উদ্যোগ অনেককে অনুপ্রাণিত করবে। এভাবেই এগিয়ে যাবে মানবিক বাংলাদেশ। ভালো কাজে আমরা পাশে থাকব।
ইঞ্জিনের হেডলাইট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তালশহর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার পথ মোবাইল ফোনের টর্চের আলোতে পাড়ি দিয়েছে তিতাস কমিউটার ট্রেন। গতকাল শনিবার (২১ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাসেম আলী (৩৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ গোড়ের পাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগেসম্প্রতি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়োগের বিষয়ে নাহিদ রাব্বি নামের একজন চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে ২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে ঘুষ লেনদেনের কথা স্পষ্টভাবে উঠে আসে।
১৪ মিনিট আগেময়মনসিংহের তারাকান্দায় নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি বাসে অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান ও লরিসহ চারটি গাড়ির ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
৩৮ মিনিট আগে