Ajker Patrika

ইসলামপুরে প্রথম নির্মিত শহীদ মিনারে ফুল দেয়নি কেউ

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬: ১০
ইসলামপুরে প্রথম নির্মিত শহীদ মিনারে ফুল দেয়নি কেউ

ইসলামপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসটি পালন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরের পূর্ব পাশে সম্প্রতি নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। কিন্তু শহীদ দিবসে ইসলামপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও স্বাধীনতার স্তম্ভটি ছিল এবার অযত্ন আর অবহেলায় উপেক্ষিত।  

জানা যায়, ভাষাশহীদদের স্মরণে প্রথমবারের মতো উপজেলার স্থানীয় জনতা মাঠে ইসলামপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও স্বাধীনতার স্তম্ভটি নির্মিত হয়। নির্মাণের পর থেকে জাতীয় দিবসগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হতো। তবে ভাষাশহীদদের স্মরণে ইসলামপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও স্বাধীনতার স্তম্ভে এবার ২১ ফেব্রুয়ারি পালনের ছিটেফোঁটাও চোখে পড়েনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলায় প্রথম নির্মিত শহীদ মিনারটি এবার করা হয়নি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। প্রতিবছর জাতীয় দিবসগুলোতে লোকজনে পরিপূর্ণ হলেও এবার ছিল জনশূন্য। এবার স্তম্ভটিতে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবকও অর্পণ করা হয়নি।  

স্বাধীনতার স্তম্ভটির নাম ফলক থেকে জানা যায়, স্বাধীনতার পর ২০০৫ সালে ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে অন্তত ৫০ ফুট উচ্চতায় ইসলামপুর উপজেলায় প্রথমবার নির্মাণ করা হয় ইসলামপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও স্বাধীনতার স্তম্ভ।  

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, ২০০৫ সালে নির্মাণের পর থেকে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসহ বিভিন্ন স্তরের লোকজন ইসলামপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও স্বাধীনতার স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে আসছিল। এবার জনশূন্য ছিল শহীদদের স্মরণে নির্মিত ওই স্তম্ভ। নতুন প্রজন্মের অনেকেই জানেন না এই শহীদ মিনারের কথা। 

মিজানুর রহমান নামে এক কলেজছাত্র বলেন, ‘২১শে ফেব্রুয়ারিতে সবাই নতুন নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেয়। আমরাও সেখানে ফুল দিয়েছি।’ 

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিম্ন অঞ্চলীয় ঐক্যজোটের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম কালা মানিক বলেন, ‘জাতীয় দিবসে প্রশাসন যে স্থানে আয়োজন করে, সেখানে সবাই ফুল দিতে যায়। ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে এ উপজেলায় প্রথম নির্মিত শহীদ মিনারের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত।’ 

এ বিষয়ে চলতি দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রোকনুজ্জামান খান জানান, ‘উপজেলায় প্রথম শহীদ মিনার সম্পর্কে আমি অবগত নই। ২১শে ফেব্রুয়ারি উদ্‌যাপন কমিটি শহরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে গঠিত। প্রস্তুতি সভার মিটিংয়ে উদ্‌যাপন কমিটির কেউ বিষয়টি উত্থাপন করেননি। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের সীমানাপ্রাচীরের পূর্ব পাশে নবনির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের সিদ্ধান্ত হয়। তবে স্বাধীনতার স্তম্ভটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: ফেসবুকে বাকের মজুমদার

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতায় এক দিনে ১০০ ডলার কমল সোনার দাম

যুদ্ধ বলিউডের সিনেমা নয়: ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত