জুয়েল বিশ্বাস, নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আছে দুটি এক্স-রে মেশিন। এর মধ্যে একটি এখনো বাক্সবন্দী আরেকটি রয়েছে খোলা অবস্থায়। দুটি মেশিন থাকা সত্ত্বেও প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে হাসপাতালে রোগীরা পাচ্ছেন না কোনো এক্স-রে সুবিধা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, রেডিওগ্রাফার না থাকায় মেশিন দুটি ব্যবহার হচ্ছেনা। ফলে রোগীদের বেসরকারি ক্লিনিক থেকে কয়েক গুণ বেশি টাকা দিয়ে এক্স-রে করাতে হচ্ছে, সেই সঙ্গে হচ্ছে ভোগান্তি।
গত শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রায় ৫৬ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। তাঁদের মধ্যে চিকিৎসক অন্তত সাতজনকে এক্স-রে করানোর পরামর্শ দেন।
উপজেলার বড়পারুয়া গ্রামের ফজলু মিয়া (৫৮) দিকে বলেন, ‘বুকের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলাম। ডাক্তার বলছেন এক্স-রে করাতে। পরে প্রাইভেট ক্লিনিকে ৪২০ টাকা দিয়ে এক্স-রে করেছি।’
খারনৈ এলাকার এমএ পড়ুয়া শিক্ষার্থী নার্গিস আক্তার বলেন, ইজিবাইক থেকে পড়ে তিনি হাতে ব্যথা পেয়েছিলেন তিনি। জরুরি বিভাগে চিকিৎসক তাঁকে এক্স-রে করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে তিনি জেলা শহরের বেসরকারি ডায়াগনস্টিকে গিয়ে এক্স-রে করান। এতে তাঁর ৪০০ টাকা দিতে হয়েছে। শহরের যাওয়া-আসার ভাড়াসহ সব মিলিয়ে তাঁর ১ হাজার ২০০ টাকা খরচ হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, কলমাকান্দার আটটি ইউনিয়নে প্রায় দুই লাখ ৭৫ হাজার মানুষের বাস। সেখানকার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০০৫ সালে একটি এক্স-রে মেশিন বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। সেটি দিয়েই চলছিল চিকিৎসাসেবা। কিন্তু হাসপাতালের রেডিওগ্রাফার পদের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ আশ্রাফুজ্জামান ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট টাঙ্গাইল জেলা সদর হাসপাতালে বদলি হয়ে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন। তাঁর বদলি বাতিল চেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিন বার চিঠি পাঠায়। কিন্তু গত তিন মাস আগে তিনি সেখানে স্থায়ীভাবে যোগদান করেন।
সেবা নিতে আসা অন্যান্য রোগীরা বলেন, উপজেলা হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন চালু থাকলে তাঁরা দুই থেকে তিনগুণ কম খরচে পরীক্ষা করাতে পারতেন। এত ভোগান্তিও তাঁদের হতো না।
এই বিষয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের রেডিওগ্রাফার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারী হাসপাতালে ডিজিটাল মেশিনে এক্স-রে করাতে প্রতি প্রিন্ট ১৫০ থেকে ২০০ টাকা নেওয়া হয়। আর এনালগে খরচ অর্ধেক।
এদিকে, রেডিওগ্রাফার না থাকায় কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে। আর স্থানীয়রা সরকারি এক্স-রে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত বছরের জানুয়ারিতে হাসপাতালে আরও ৫০০ এমএ মানের একটি অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন স্বাস্থ্য বিভাগ বরাদ্দ দেয়। ওই মেশিনটিও এখনো বাক্সবন্দী করে রাখা হয়েছে।
কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক বলেন, ‘এই অঞ্চলের বেশির ভাগ রোগীই সড়ক দুর্ঘটনায় জখম ও মারামারির ঘটনা নিয়ে হাসপাতালে যান। তাদের মধ্যে অনেককে ডাক্তার এক্স-রে করাতে পরামর্শ দেন। হাসপাতাল থেকে বাইরে রোগী নিয়ে গিয়ে এক্স-রে করানো খুবই জটিল ও ব্যয়বহুল। হাসপাতালে রেডিওগ্রাফার না থাকার বিষয়টি আমরা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন সভায় উপস্থাপন করি। কিন্তু কাজ হচ্ছে না।’
কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আল মামুন রোগীদের দুর্ভোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘হাসপাতালে দুটি এক্স-রে মেশিন থাকার পরও শুধু একজন রেডিওগ্রাফারের অভাবে জন্য যন্ত্র দুটি ব্যবহার করা যাচ্ছেনা। প্রতি মাসেই বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের জানানো হয়। আশা করা যাচ্ছে বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে।’
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আছে দুটি এক্স-রে মেশিন। এর মধ্যে একটি এখনো বাক্সবন্দী আরেকটি রয়েছে খোলা অবস্থায়। দুটি মেশিন থাকা সত্ত্বেও প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে হাসপাতালে রোগীরা পাচ্ছেন না কোনো এক্স-রে সুবিধা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, রেডিওগ্রাফার না থাকায় মেশিন দুটি ব্যবহার হচ্ছেনা। ফলে রোগীদের বেসরকারি ক্লিনিক থেকে কয়েক গুণ বেশি টাকা দিয়ে এক্স-রে করাতে হচ্ছে, সেই সঙ্গে হচ্ছে ভোগান্তি।
গত শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রায় ৫৬ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। তাঁদের মধ্যে চিকিৎসক অন্তত সাতজনকে এক্স-রে করানোর পরামর্শ দেন।
উপজেলার বড়পারুয়া গ্রামের ফজলু মিয়া (৫৮) দিকে বলেন, ‘বুকের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলাম। ডাক্তার বলছেন এক্স-রে করাতে। পরে প্রাইভেট ক্লিনিকে ৪২০ টাকা দিয়ে এক্স-রে করেছি।’
খারনৈ এলাকার এমএ পড়ুয়া শিক্ষার্থী নার্গিস আক্তার বলেন, ইজিবাইক থেকে পড়ে তিনি হাতে ব্যথা পেয়েছিলেন তিনি। জরুরি বিভাগে চিকিৎসক তাঁকে এক্স-রে করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে তিনি জেলা শহরের বেসরকারি ডায়াগনস্টিকে গিয়ে এক্স-রে করান। এতে তাঁর ৪০০ টাকা দিতে হয়েছে। শহরের যাওয়া-আসার ভাড়াসহ সব মিলিয়ে তাঁর ১ হাজার ২০০ টাকা খরচ হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, কলমাকান্দার আটটি ইউনিয়নে প্রায় দুই লাখ ৭৫ হাজার মানুষের বাস। সেখানকার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০০৫ সালে একটি এক্স-রে মেশিন বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। সেটি দিয়েই চলছিল চিকিৎসাসেবা। কিন্তু হাসপাতালের রেডিওগ্রাফার পদের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ আশ্রাফুজ্জামান ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট টাঙ্গাইল জেলা সদর হাসপাতালে বদলি হয়ে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন। তাঁর বদলি বাতিল চেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিন বার চিঠি পাঠায়। কিন্তু গত তিন মাস আগে তিনি সেখানে স্থায়ীভাবে যোগদান করেন।
সেবা নিতে আসা অন্যান্য রোগীরা বলেন, উপজেলা হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন চালু থাকলে তাঁরা দুই থেকে তিনগুণ কম খরচে পরীক্ষা করাতে পারতেন। এত ভোগান্তিও তাঁদের হতো না।
এই বিষয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের রেডিওগ্রাফার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারী হাসপাতালে ডিজিটাল মেশিনে এক্স-রে করাতে প্রতি প্রিন্ট ১৫০ থেকে ২০০ টাকা নেওয়া হয়। আর এনালগে খরচ অর্ধেক।
এদিকে, রেডিওগ্রাফার না থাকায় কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে। আর স্থানীয়রা সরকারি এক্স-রে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত বছরের জানুয়ারিতে হাসপাতালে আরও ৫০০ এমএ মানের একটি অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন স্বাস্থ্য বিভাগ বরাদ্দ দেয়। ওই মেশিনটিও এখনো বাক্সবন্দী করে রাখা হয়েছে।
কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক বলেন, ‘এই অঞ্চলের বেশির ভাগ রোগীই সড়ক দুর্ঘটনায় জখম ও মারামারির ঘটনা নিয়ে হাসপাতালে যান। তাদের মধ্যে অনেককে ডাক্তার এক্স-রে করাতে পরামর্শ দেন। হাসপাতাল থেকে বাইরে রোগী নিয়ে গিয়ে এক্স-রে করানো খুবই জটিল ও ব্যয়বহুল। হাসপাতালে রেডিওগ্রাফার না থাকার বিষয়টি আমরা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন সভায় উপস্থাপন করি। কিন্তু কাজ হচ্ছে না।’
কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আল মামুন রোগীদের দুর্ভোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘হাসপাতালে দুটি এক্স-রে মেশিন থাকার পরও শুধু একজন রেডিওগ্রাফারের অভাবে জন্য যন্ত্র দুটি ব্যবহার করা যাচ্ছেনা। প্রতি মাসেই বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের জানানো হয়। আশা করা যাচ্ছে বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে।’
ফেনীর দাগনভূঞার পানিতে ডুবে নাফিজ (৯) ও ইয়াছিন (৭) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে দাগনভূঞা উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী মিঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাফিজ একই বাড়ির মো. নেজামের ও ইয়াছিন মো. সাইফুলের ছেলে। এদিকে একই বাড়ির দুই শিশুর মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকায় শোকের
১ সেকেন্ড আগেসাতক্ষীরার তালা উপজেলায় আগুনে পুড়ে সানজিদা আক্তার তুলি (১৮) নামের এক কলেজছাত্রীর মারা যাওয়ার ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
৬ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জ সদরে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধের জেরে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে। ২৮ বছর ধরে চলা এই রক্তারক্তির সর্বশেষ শিকার হয়েছেন একজন গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে। মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মাকাহাটি এলাকায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে একজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
১১ মিনিট আগেরাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় গ্যাস–সংকট নিরসনের দাবিতে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঘণ্টাব্যাপী ধলপুর-সায়েদাবাদ সড়ক অবরোধ করে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় অত্র এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
৩৫ মিনিট আগে