হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
গরুর অন্যতম খাদ্য খড়ের সংকটে বিপাকে খামারিরা। সীমান্তবর্তী উপজেলার হালুয়াঘাট গ্রাম কিংবা উপজেলা কেন্দ্রিক বাজারে খড় বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। অতিরিক্ত খরচের কারণে খড় কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন গরুর মালিকেরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় গবাদিপশুর খামার রয়েছে ১১৪ টি। যেখানে মোট গবাদিপশুর সংখ্যা ১ লাখ ৪৪ হাজার। এ ছাড়া পারিবারিকভাবে অনেকেই নিজ বাড়িতে পালন করেন গবাদিপশু। এসব পশুকে ৪ মাস বোরো ধানের খড় ও ৮ মাস আমন ধানের খড় খাওয়ানো হয়। এবার বোরো মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টি হওয়ায় ধানের খড় শুকাতে পারেননি কৃষকেরা। এতে পচে গেছে বিপুল পরিমাণ খড়। ফলে উপজেলায় খড়ের সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ বছর উপজেলায় মোট ২৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় আগাম ধান কাটা শুরু হলেও নভেম্বর মাসের শেষের দিকে পুরোপুরি ধান কাটা শুরু হবে। অর্থাৎ নতুন খড়ের জন্য কৃষকদের এখনো প্রায় দেড় মাস অপেক্ষা করতে হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ধুরাইল, ধারা, নাগলা, শাকুয়াই, বিলডোরা ও হালুয়াঘাট সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী খড়ের বাজার বসেছে। সেখানে প্রতি কেজি আমন ধানের খড় ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গ্রামে কৃষকদের মজুতকৃত খড়ও বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে।
এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, এ বছর টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চরণভূমি। আবার বোরো ধানের খড় শুকাতে না পারায় খড় পচে গেছে। ফলে দেখা দিয়েছে খড়ের সংকট।
ধারা বাজারে খড় কিনতে আসা গরু খামারি নাজমুল ইসলাম বলেন, এবার বোরো মৌসুমে খড় শুকানোর সুযোগ পাইনি। বৃষ্টির পানিতে সব খড় নষ্ট হয়ে গেছে। যেটুকু সংগ্রহ করতে পেরেছিলাম তাও শেষ। আমন ধান ঘরে না ওঠা পর্যন্ত খড় কেনা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। গরু নিয়ে খুব বিপদে আছি। প্রতিদিন বাজার থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে খড় কিনতে হচ্ছে।
ধুরাইল ইউনিয়নের গোরকপুর গ্রামে খড় কিনতে আসা পার্শ্ববর্তী এলাকার গরুর খামারি সাব্বির মাহমুদ বলেন, নিজে কিছু জমি করছিলাম। সেই জমির খড় শেষ হয়ে গেছে। তাই প্রতিদিন বাজার থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে আর না হয় এলাকায় এলাকায় গিয়ে মাচা (সংগৃহীত খড়) কিনে আনতে হয়।
খড় বিক্রেতা আবদুল হাকিম বলেন, ৪০ শতাংশ জমিতে বোরো আবাদ করছিলাম। আইজ সেই জমির থেকে পাওয়া খড় ১২ হাজার ট্যাহায় বেচলাম (বিক্রি করলাম)। বৃষ্টিতে নষ্ট না অইলে ২০ হাজার ট্যাহা বেচুন যাইত।
এ নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল আলম বলেন, নিম্নাঞ্চলের অনেক কৃষক এবার আকস্মিক বন্যায় বোরোর খড় শুকাতে পারেননি। সংরক্ষণ করা খড়ও শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে উপজেলার কিছু কিছু জায়গায় খড়ের সংকট দেখা দিতে পারে। তবে আমরা কৃষকদের খড়ের বিকল্প হিসেবে কচুরিপানা ও উন্নতজাতের ঘাস খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছি।
গরুর অন্যতম খাদ্য খড়ের সংকটে বিপাকে খামারিরা। সীমান্তবর্তী উপজেলার হালুয়াঘাট গ্রাম কিংবা উপজেলা কেন্দ্রিক বাজারে খড় বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। অতিরিক্ত খরচের কারণে খড় কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন গরুর মালিকেরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় গবাদিপশুর খামার রয়েছে ১১৪ টি। যেখানে মোট গবাদিপশুর সংখ্যা ১ লাখ ৪৪ হাজার। এ ছাড়া পারিবারিকভাবে অনেকেই নিজ বাড়িতে পালন করেন গবাদিপশু। এসব পশুকে ৪ মাস বোরো ধানের খড় ও ৮ মাস আমন ধানের খড় খাওয়ানো হয়। এবার বোরো মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টি হওয়ায় ধানের খড় শুকাতে পারেননি কৃষকেরা। এতে পচে গেছে বিপুল পরিমাণ খড়। ফলে উপজেলায় খড়ের সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ বছর উপজেলায় মোট ২৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় আগাম ধান কাটা শুরু হলেও নভেম্বর মাসের শেষের দিকে পুরোপুরি ধান কাটা শুরু হবে। অর্থাৎ নতুন খড়ের জন্য কৃষকদের এখনো প্রায় দেড় মাস অপেক্ষা করতে হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ধুরাইল, ধারা, নাগলা, শাকুয়াই, বিলডোরা ও হালুয়াঘাট সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী খড়ের বাজার বসেছে। সেখানে প্রতি কেজি আমন ধানের খড় ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গ্রামে কৃষকদের মজুতকৃত খড়ও বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে।
এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, এ বছর টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চরণভূমি। আবার বোরো ধানের খড় শুকাতে না পারায় খড় পচে গেছে। ফলে দেখা দিয়েছে খড়ের সংকট।
ধারা বাজারে খড় কিনতে আসা গরু খামারি নাজমুল ইসলাম বলেন, এবার বোরো মৌসুমে খড় শুকানোর সুযোগ পাইনি। বৃষ্টির পানিতে সব খড় নষ্ট হয়ে গেছে। যেটুকু সংগ্রহ করতে পেরেছিলাম তাও শেষ। আমন ধান ঘরে না ওঠা পর্যন্ত খড় কেনা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। গরু নিয়ে খুব বিপদে আছি। প্রতিদিন বাজার থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে খড় কিনতে হচ্ছে।
ধুরাইল ইউনিয়নের গোরকপুর গ্রামে খড় কিনতে আসা পার্শ্ববর্তী এলাকার গরুর খামারি সাব্বির মাহমুদ বলেন, নিজে কিছু জমি করছিলাম। সেই জমির খড় শেষ হয়ে গেছে। তাই প্রতিদিন বাজার থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে আর না হয় এলাকায় এলাকায় গিয়ে মাচা (সংগৃহীত খড়) কিনে আনতে হয়।
খড় বিক্রেতা আবদুল হাকিম বলেন, ৪০ শতাংশ জমিতে বোরো আবাদ করছিলাম। আইজ সেই জমির থেকে পাওয়া খড় ১২ হাজার ট্যাহায় বেচলাম (বিক্রি করলাম)। বৃষ্টিতে নষ্ট না অইলে ২০ হাজার ট্যাহা বেচুন যাইত।
এ নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল আলম বলেন, নিম্নাঞ্চলের অনেক কৃষক এবার আকস্মিক বন্যায় বোরোর খড় শুকাতে পারেননি। সংরক্ষণ করা খড়ও শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে উপজেলার কিছু কিছু জায়গায় খড়ের সংকট দেখা দিতে পারে। তবে আমরা কৃষকদের খড়ের বিকল্প হিসেবে কচুরিপানা ও উন্নতজাতের ঘাস খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছি।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ লাভলুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে বাঁশতৈল বাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাগর আহমেদ লাভলু বাঁশতৈল ইউনিয়নের গাইরাবেতিল গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে।
৮ মিনিট আগে৫৫ হাজার টাকার মোবাইল কেনার বায়না ধরে সাব্বির মোল্লা (১৬) নামের এক স্কুলছাত্র কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। টের পেয়ে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় সে প্রাণে বেঁচে যায়। তার এমন কর্মকাণ্ডে পরিবার ও এলাকাবাসী হতবাক।
৯ মিনিট আগেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পোড়াগাছা গ্রামের মিলন মাদবর দীর্ঘদিন ধরে ওমানপ্রবাসী। গ্রামের বাড়িতে কেউ না থাকায় মিলন মাদবরের বসতঘরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ দুপুরে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে পাঁচটি বালতিতে রাখা ৩০টি তাজা হাতবোমা উদ্ধার করা হয়।
১৩ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ৭ আগস্ট যে স্থানে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যা করেছিল, সেই একই স্থানে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে এক শরবত বিক্রেতাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। গুরুতর আহত ওই ব্যক্তিকে পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২৭ মিনিট আগে