নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার আটপাড়ায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উঠেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষকের নাম নুরুল আমিন তালুকদার। তিনি উপজেলার সীতারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
জানা গেছে, উপজেলায় বিসিআইসির মোট ৯টি ডিলারশিপের মধ্যে ৫টিই তাঁর সরাসরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাকিগুলোও পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। দীর্ঘ বছর ধরে সারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে রাখলেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। অনেকে এসব নিয়ে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বিসিআইসির সারের ডিলার রয়েছেন ৯ জন। এর মধ্যে নুরুল আমিন তালুকদার ও তাঁর ছেলে সাইমুন তালুকদারের নামে রয়েছে ২টি ডিলারশিপের লাইসেন্স। আরও ৩টি ডিলারশিপসহ মোট ৫টি ডিলারশিপ তাঁর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাকিগুলোও পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন। ফলে সারের বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য গড়ে তুলেছেন তিনি। এদিকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পাওয়া তালিকায় ৯ জন ডিলারের মধ্যে ৫ জনের নামের পাশে নুরুল আমিনের মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া আছে।
স্থানীয়রা বলছেন, পুরো সিন্ডিকেট সামলাতে সিজনে নুরুল আমিনের অন্তত ৭-৮ কোটি টাকার দরকার। শিক্ষক হয়ে এত টাকার জোগান কীভাবে দেন, আর এত বড় ব্যবসা সামলিয়ে স্কুলে শিক্ষকতায় সময় দেন কখন?
উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিসিআইসি ডিলার বিল্লাল হোসেন বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে নুরুল আমিন উপজেলায় সারের পুরো সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন। সরকারি চাকরির পাশাপাশি ডিলারশিপ লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করার নিয়ম নেই।
সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো সরকারি চাকরিজীবী সরকারি কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিক হতে পারেন না। কিন্তু নুরুল আমিন তালুকদার নিয়মের তোয়াক্কা না করেই শিক্ষকতার পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক ও ডিলার নুরুল আমিন তালুকদার বলেন, এসব নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে ডিসি অফিস, শিক্ষা অফিস—সব জায়গায় অভিযোগ হয়েছে। অনিয়মের কিছু থাকলে এত দিনে অবশ্যই আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। তিনি বলেন, ‘অনেক ডিলারই বরাদ্দ করা সার তুলতে পারেন না। আমি তাঁদের সহায়তা করি। সে কারণে হয়তো কাগজে আমার মোবাইল ফোন নম্বরটা দেওয়া রয়েছে। ডিলারশিপ চালাতে অনেক টাকার দরকার হয়। ইতিমধ্যে ব্যাংকে আমার ২ কোটি টাকার ঋণ আছে। সারের ২টা ডিলারশিপ ছাড়াও মাছ ও মুরগির খাবারের ব্যবসা আছে আমার।’
এত কিছু সামলানোর পর শিক্ষকতার করার সময় পান কীভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে এ শিক্ষক বলেন, ‘স্কুলে নিয়মিত উপস্থিত থাকি। শিক্ষকতার বিষয়ে কোনো গাফিলতি করি না। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির সরকারি চাকরিজীবীরা ডিউটি টাইম ব্যতীত অন্য যেকোনো ব্যবসা বা চাকরি করতে পারেন। এমন একটা প্রজ্ঞাপন আছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়জুন নাহার নিপা বলেন, ‘নুরুল আমিন সারের ডিলারশিপ নিয়েছেন ২০০২-২০০৫ সালের মধ্যে। তখনকার সময়ে কোনো একটা প্রক্রিয়ায় হয়তো তিনি ডিলারশিপ নিয়েছেন। ২০০৯ সালে যখন নীতিমালা হয়েছে তখন অনেকের নাম বাদ পড়েছে, অনেকের আবার যুক্ত হয়েছে। তখনো নুরুল আমিন কোনোভাবে টিকে গেছেন। ডিলারশিপ বাদ দেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। তিনি যে শিক্ষকতা করেন, এটা তো কয়দিন আগে জেনেছি। আগে জানতামই না যে তিনি শিক্ষক। তবে এটা সত্যি উপজেলায় সারের প্রায় পুরোটাই তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন। অন্য ডিলারদের বেশির ভাগই তাঁর ওপর নির্ভরশীল। সারের জন্য অনেক টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। সবাই সেটা পারে না।’
আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুয়েল সাংমা বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইমদাদুল হক বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক সরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ডিলার হতে পারেন না। এটা নিয়মবহির্ভূত।
নেত্রকোনার আটপাড়ায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উঠেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষকের নাম নুরুল আমিন তালুকদার। তিনি উপজেলার সীতারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
জানা গেছে, উপজেলায় বিসিআইসির মোট ৯টি ডিলারশিপের মধ্যে ৫টিই তাঁর সরাসরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাকিগুলোও পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। দীর্ঘ বছর ধরে সারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে রাখলেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। অনেকে এসব নিয়ে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বিসিআইসির সারের ডিলার রয়েছেন ৯ জন। এর মধ্যে নুরুল আমিন তালুকদার ও তাঁর ছেলে সাইমুন তালুকদারের নামে রয়েছে ২টি ডিলারশিপের লাইসেন্স। আরও ৩টি ডিলারশিপসহ মোট ৫টি ডিলারশিপ তাঁর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাকিগুলোও পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন। ফলে সারের বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য গড়ে তুলেছেন তিনি। এদিকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পাওয়া তালিকায় ৯ জন ডিলারের মধ্যে ৫ জনের নামের পাশে নুরুল আমিনের মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া আছে।
স্থানীয়রা বলছেন, পুরো সিন্ডিকেট সামলাতে সিজনে নুরুল আমিনের অন্তত ৭-৮ কোটি টাকার দরকার। শিক্ষক হয়ে এত টাকার জোগান কীভাবে দেন, আর এত বড় ব্যবসা সামলিয়ে স্কুলে শিক্ষকতায় সময় দেন কখন?
উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিসিআইসি ডিলার বিল্লাল হোসেন বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে নুরুল আমিন উপজেলায় সারের পুরো সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন। সরকারি চাকরির পাশাপাশি ডিলারশিপ লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করার নিয়ম নেই।
সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো সরকারি চাকরিজীবী সরকারি কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিক হতে পারেন না। কিন্তু নুরুল আমিন তালুকদার নিয়মের তোয়াক্কা না করেই শিক্ষকতার পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক ও ডিলার নুরুল আমিন তালুকদার বলেন, এসব নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে ডিসি অফিস, শিক্ষা অফিস—সব জায়গায় অভিযোগ হয়েছে। অনিয়মের কিছু থাকলে এত দিনে অবশ্যই আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। তিনি বলেন, ‘অনেক ডিলারই বরাদ্দ করা সার তুলতে পারেন না। আমি তাঁদের সহায়তা করি। সে কারণে হয়তো কাগজে আমার মোবাইল ফোন নম্বরটা দেওয়া রয়েছে। ডিলারশিপ চালাতে অনেক টাকার দরকার হয়। ইতিমধ্যে ব্যাংকে আমার ২ কোটি টাকার ঋণ আছে। সারের ২টা ডিলারশিপ ছাড়াও মাছ ও মুরগির খাবারের ব্যবসা আছে আমার।’
এত কিছু সামলানোর পর শিক্ষকতার করার সময় পান কীভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে এ শিক্ষক বলেন, ‘স্কুলে নিয়মিত উপস্থিত থাকি। শিক্ষকতার বিষয়ে কোনো গাফিলতি করি না। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির সরকারি চাকরিজীবীরা ডিউটি টাইম ব্যতীত অন্য যেকোনো ব্যবসা বা চাকরি করতে পারেন। এমন একটা প্রজ্ঞাপন আছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়জুন নাহার নিপা বলেন, ‘নুরুল আমিন সারের ডিলারশিপ নিয়েছেন ২০০২-২০০৫ সালের মধ্যে। তখনকার সময়ে কোনো একটা প্রক্রিয়ায় হয়তো তিনি ডিলারশিপ নিয়েছেন। ২০০৯ সালে যখন নীতিমালা হয়েছে তখন অনেকের নাম বাদ পড়েছে, অনেকের আবার যুক্ত হয়েছে। তখনো নুরুল আমিন কোনোভাবে টিকে গেছেন। ডিলারশিপ বাদ দেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। তিনি যে শিক্ষকতা করেন, এটা তো কয়দিন আগে জেনেছি। আগে জানতামই না যে তিনি শিক্ষক। তবে এটা সত্যি উপজেলায় সারের প্রায় পুরোটাই তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন। অন্য ডিলারদের বেশির ভাগই তাঁর ওপর নির্ভরশীল। সারের জন্য অনেক টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। সবাই সেটা পারে না।’
আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুয়েল সাংমা বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইমদাদুল হক বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক সরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ডিলার হতে পারেন না। এটা নিয়মবহির্ভূত।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
৬ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৮ ঘণ্টা আগে