Ajker Patrika

ময়মনসিংহে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মানহানির মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ মে ২০২৫, ১৯: ৪৫
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় দুই সাংবাদিকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম শমসের আলী।

শনিবার (২৪ মে) বিকেলে ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অমিত হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শমসের আলীর দায়ের করা মামলার আবেদন আদালত গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার নথিতে বলা হয়, ১৯ মে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা পরিষদের সামনে টোল আদায়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন স্থানীয় কয়েকটি রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

মানববন্ধনে বর্তমান ইজারাদার ও ময়মনসিংহ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌসিফ ইবনে মান্নানের বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত টোল আদায়, ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়।

বিএনপি নেতা শমসের আলীর দাবি, মানববন্ধনের প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম তরফদার ও শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁর ছবি ব্যবহার করে ‘চাঁদাবাজ শমসের, বাটপার শমসের’ লেখা প্ল্যাকার্ড বানায় এবং সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এতে তিনি সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে অপমানিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম তরফদার ও শফিকুল ইসলামকে। এ ছাড়াও আসামি করা হয় কবির হোসেন, আজাহারুল ইসলাম রিপনসহ অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে।

সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম তরফদার বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের মানববন্ধনের খবর আমি একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে সংগ্রহ করেছি। কিন্তু এতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ঠুকে দেওয়া হয়েছে।’

সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শুধু সংবাদ করেছি। এটিই আমার অপরাধ। আমি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

ফুলবাড়ীয়া প্রেসক্লাবের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’

পৌর বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম শমসের আলী বলেন, ‘আমি সাংবাদিকবান্ধব মানুষ। কিন্তু আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে মানববন্ধন ও সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। এতে আমার মানহানি হয়েছে। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত