মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে করোনার প্রথম দিকে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য স্থাপন করা পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন পরাজিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান। নির্বাচনে হেরে পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের বানিয়াহারী বাজারের মোড়ে থাকা পানির ট্যাংকটি খুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরাজিত চেয়ারম্যান হাজী মুখলেছুর রহমান স্থানীয় দফাদার নান্টু চন্দ্রকে দিয়ে ওই পানির ট্যাংকটি খুলে নিয়ে তাঁর অস্থায়ী কার্যালয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে উপজেলার বানিয়াহারী বাজারের মোড়ে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য একটি পানির ট্যাংক স্থাপন করা হয়। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে দেওয়া এ ট্যাংকটি ওখানে স্থাপন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমান। কিন্তু গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। এতে স্থানীয়দের প্রতি ক্ষিপ্ত চেয়ারম্যান তাঁর সময়ে দেওয়া পানির ট্যাংকটি খুলে নেন।
উল্লেখ্য গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউপি থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন মুখলেছুর রহমান। আর জয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহাগ মিয়া।
বানিয়াহারী বাজারের দোকানি মো. কাজল মিয়া বলেন, এলাকার দফাদার নান্টু চন্দ্র বুধবার দুপুরে পানির ট্যাংকটি খুলে নেন। পরাজিত চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের নির্দেশে খুলে নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি আমাদের জানান। কিন্তু এটি তো চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত টাকায় কিনে দেওয়া নয়। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে দেওয়া এটি সরকারি সম্পত্তি। জনগণের জিনিস জনগণের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
বানিয়াহারী গ্রামের বাসিন্দা শামীম মিয়া বলেন, ‘মুখলেছুর রহমান এবার পাশ করতে পারেননি। বিগত ৫ বছর চেয়ারম্যান থাকাকালে তাঁর কাজকর্মে মানুষ অসন্তুষ্ট বলেই এমন ফল পেয়েছেন। ফেল করে এখন তাঁর সময়কার সরকারিভাবে দেওয়া পানির ব্যবস্থা খুলে নিয়েছেন। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের এখনো শপথ হয়নি বিধায় মুখলেছুর রহমান এখনো চেয়ারম্যান পদে থেকে মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। কেউ পরিচয়পত্র আনতে গেলে তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। এমনকি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জন্ম নিবন্ধন আনতে গেলে অভিভাবকদের গালাগাল করছেন, সই দিচ্ছেন না। এই বিষয় দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় দফাদার নান্টু চন্দ্র বলেন, চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের নির্দেশে পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছি। কেন নেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিস্তারিত জানতে হলে তাঁকেই জিজ্ঞেস করেন। ট্যাংকটি বর্তমানে পৌরশহরের বউ বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের অস্থায়ী কার্যালয়ে রয়েছে।
বড়তলী-বানিয়াহারী ইউপির সদ্য পাশ করা চেয়ারম্যান মো. সোহাগ মিয়া এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি একটি অমানবিক ও দুঃখজনক ঘটনা। এলাকার জনগণ এখান থেকে পানি ব্যবহার করত। ট্যাংকটি খুলে নেওয়া ঠিক হয়নি। মানুষের সুবিধা কেড়ে নেওয়া ভালো কাজ নয়।
বিষটি জানতে চেয়ারম্যান হাজী মুখলেছুর রহমান বলেন, ওই ট্যাংকটি করোনাকালীন সময়ে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য আমার নিজের টাকায় দিয়েছিলাম। এখন মসজিদে ব্যবহারের জন্য খুলে এনেছি।
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্যের উপ-প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমি কয়েক দিন হলো এখানে যোগদান করেছি। কোন কোন এলাকায় পানির ট্যাংক দেওয়া হয়েছিল এটি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সরকারিভাবে দেওয়া হলে এটি কারও খুলে নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে করোনার প্রথম দিকে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য স্থাপন করা পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন পরাজিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান। নির্বাচনে হেরে পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের বানিয়াহারী বাজারের মোড়ে থাকা পানির ট্যাংকটি খুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরাজিত চেয়ারম্যান হাজী মুখলেছুর রহমান স্থানীয় দফাদার নান্টু চন্দ্রকে দিয়ে ওই পানির ট্যাংকটি খুলে নিয়ে তাঁর অস্থায়ী কার্যালয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে উপজেলার বানিয়াহারী বাজারের মোড়ে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য একটি পানির ট্যাংক স্থাপন করা হয়। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে দেওয়া এ ট্যাংকটি ওখানে স্থাপন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমান। কিন্তু গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। এতে স্থানীয়দের প্রতি ক্ষিপ্ত চেয়ারম্যান তাঁর সময়ে দেওয়া পানির ট্যাংকটি খুলে নেন।
উল্লেখ্য গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউপি থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন মুখলেছুর রহমান। আর জয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহাগ মিয়া।
বানিয়াহারী বাজারের দোকানি মো. কাজল মিয়া বলেন, এলাকার দফাদার নান্টু চন্দ্র বুধবার দুপুরে পানির ট্যাংকটি খুলে নেন। পরাজিত চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের নির্দেশে খুলে নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি আমাদের জানান। কিন্তু এটি তো চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত টাকায় কিনে দেওয়া নয়। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে দেওয়া এটি সরকারি সম্পত্তি। জনগণের জিনিস জনগণের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
বানিয়াহারী গ্রামের বাসিন্দা শামীম মিয়া বলেন, ‘মুখলেছুর রহমান এবার পাশ করতে পারেননি। বিগত ৫ বছর চেয়ারম্যান থাকাকালে তাঁর কাজকর্মে মানুষ অসন্তুষ্ট বলেই এমন ফল পেয়েছেন। ফেল করে এখন তাঁর সময়কার সরকারিভাবে দেওয়া পানির ব্যবস্থা খুলে নিয়েছেন। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের এখনো শপথ হয়নি বিধায় মুখলেছুর রহমান এখনো চেয়ারম্যান পদে থেকে মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। কেউ পরিচয়পত্র আনতে গেলে তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। এমনকি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জন্ম নিবন্ধন আনতে গেলে অভিভাবকদের গালাগাল করছেন, সই দিচ্ছেন না। এই বিষয় দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় দফাদার নান্টু চন্দ্র বলেন, চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের নির্দেশে পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছি। কেন নেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিস্তারিত জানতে হলে তাঁকেই জিজ্ঞেস করেন। ট্যাংকটি বর্তমানে পৌরশহরের বউ বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের অস্থায়ী কার্যালয়ে রয়েছে।
বড়তলী-বানিয়াহারী ইউপির সদ্য পাশ করা চেয়ারম্যান মো. সোহাগ মিয়া এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি একটি অমানবিক ও দুঃখজনক ঘটনা। এলাকার জনগণ এখান থেকে পানি ব্যবহার করত। ট্যাংকটি খুলে নেওয়া ঠিক হয়নি। মানুষের সুবিধা কেড়ে নেওয়া ভালো কাজ নয়।
বিষটি জানতে চেয়ারম্যান হাজী মুখলেছুর রহমান বলেন, ওই ট্যাংকটি করোনাকালীন সময়ে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য আমার নিজের টাকায় দিয়েছিলাম। এখন মসজিদে ব্যবহারের জন্য খুলে এনেছি।
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্যের উপ-প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমি কয়েক দিন হলো এখানে যোগদান করেছি। কোন কোন এলাকায় পানির ট্যাংক দেওয়া হয়েছিল এটি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সরকারিভাবে দেওয়া হলে এটি কারও খুলে নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় চলন্ত ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার আহমদাবাদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগেপাবনার চাটমোহরে আর্থিক বিরোধের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের রতনপুরে আজ সোমবার সকালে এই সংঘর্ষ ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
৭ মিনিট আগে‘মব আমরা কঠোর হস্তে দমনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে, এতে আমাদের বাহিনীর কেউ দায়ী থাকলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং যারা এটা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১০ মিনিট আগেভোলার মেঘনা নদীতে বড় আকারের ইলিশের পর এবার জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১৩ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি বিশালাকৃতির আইড় মাছ। আজ সোমবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি মৎস্য ঘাটে নিলামের মাধ্যমে মাছটি ১৮ হাজার ৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়।
১৫ মিনিট আগে