Ajker Patrika

চাকরির প্রলোভনে প্রতারণা, নারীসহ কথিত এমপি আটক

প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ জুন ২০২১, ১৮: ১৭
চাকরির প্রলোভনে প্রতারণা, নারীসহ কথিত এমপি আটক

ময়মনসিংহ: সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুই প্রতারককে আটক করেছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৪৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকার ৮টি চেক উদ্ধার করা হয়। গতকাল বুধবার রাত ৮টায় ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

আটক দুজন হলেন কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হালিমপুর গ্রামের মৃত ডা. মাহতাব উদ্দিন আহাম্মদের ছেলে জহির উদ্দিন বাবুল (৫৫) এবং তাঁর সহযোগী নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার আব্দুল শহিদ খান পাঠানের মেয়ে গুলশান আরা খানম লাভলী (৪৫)। তিনি ময়মনসিংহ নগরীর সেনবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন।

এর আগে গত বুধবার সকালে ঢাকার ফকিরাপুল থেকে জহির উদ্দিন বাবুল ও ময়মনসিংহের সেনবাড়ি এলাকা থেকে গুলশান আরাকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, জহির উদ্দিন নিজেকে এমপি পরিচয় দিয়ে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। এ কাজে তাঁকে সহায়তা করতেন গুলশান আরা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ফকিরাপুল এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ নগরীর সেনবাড়ি এলাকা থেকে তাঁর সহযোগী গুলশান আরাকে আটক করে পুলিশ।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রতারক গুলশান আরা কথিত এমপি জহির উদ্দিন বাবুলের হয়ে চাকরি দেওয়ার নামে মাঠপর্যায়ে কাজ করে আসছেন। তিনি সহজ-সরল মানুষের ছেলেমেয়েদের চাকরি দেওয়ার কথা বলে কথিত ওই এমপির সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতেন।

প্রতারণার শিকার ময়মনসিংহ নগরীর আফরোজা আক্তার ডালিয়া নামের এক নারী বলেন, `গুলশান আরার সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক ছিল। তার বাসায় যাতায়াত ছিল। সে বলেছিল সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের এমপি তানভীর ইমাম তার খালাতো ভাই। তাই আমার ভাশুরের ছেলে ও মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দিতে ১৭ লাখ টাকার চুক্তি করি এবং ৬ লাখ টাকা নগদ দিই। বাকি টাকার পাঁচটি চেক দিই। পরে সময়ক্ষেপণ হলেও তারা চাকরি দিতে পারেনি। এতে চাপ প্রয়োগ করলে উল্টো গুলশান আরা চেকে ২০ টাকা বসিয়ে ডিজঅনার করে আমাদের উকিল নোটিশ পাঠায়। এই প্রতারকদের কঠিন শাস্তি হোক যাতে আর কোনো মানুষের ক্ষতি না করতে পারে।'

জেলা পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান বলেন, তাঁরা মূলত নারীদের টার্গেট করে প্রতারণা করতেন। চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের দুর্বল করতেন। প্রতারক বাবুল আমাদের কাছে এমপি পরিচয়ে ফোন দিয়ে তদবির করেন। এতে সন্দেহ হয়। পরে আমরা বিষয়টি অনুসন্ধান করি। অনুসন্ধানে জানতে পারি, এমপি পরিচয় দানকারী আসলে ভুয়া। এরপর তাঁকে ঢাকা থেকে আটক করে নিয়ে আসি।' প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি প্রতারণা কথা স্বীকার করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় মিলেছে

বুড়িগঙ্গা থেকে তরুণ-তরুণীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাইরান কাজীর বিষয়ে ইলন মাস্কের মন্তব্যে বিস্ময়

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে আটকের দাবি বিএসএফের

অমীমাংসিত বিষয় সমাধানে পাকিস্তানের দাবি নাকচ করল সরকার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত