Ajker Patrika

মমেক হাসপাতালে ভর্তি ৫০ রোগী, ডেঙ্গুর নতুন ধরনে শঙ্কায় চিকিৎসকেরা 

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২২, ১৫: ৪৯
মমেক হাসপাতালে ভর্তি ৫০ রোগী, ডেঙ্গুর নতুন ধরনে শঙ্কায় চিকিৎসকেরা 

কোনোভাবেই কমছে না ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী। গত দুই মাসে মমেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে একাধিক ব্যক্তি বারবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্কিত চিকিৎসকেরাও। ডেঙ্গু সংক্রমণ রোধ ও মৃত্যু কমাতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মমেক হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ডেঙ্গু আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শনিবার ভর্তি হয়েছে ১৩ জন। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন নতুন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে। বর্তমানে ভর্তি রোগীর মধ্যে পাঁচজন নারী, তিনজন শিশু এবং বাকি সবাই পুরুষ।

ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় অনেকে বারান্দা ও মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে। ১০ থেকে ১২ জন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। 

চিকিৎসকেরা বলছেন, ২০১৯ সালের পর চলতি বছর ডেঙ্গুর ভয়াবহতা লক্ষ করা যাচ্ছে। ডেঙ্গু ধরন পাল্টিয়েছে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিলেও অনেকে ভালো হচ্ছে না। তবে আক্রান্ত বেশির ভাগ ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন। তবু তারা উড়ন্ত মশা নিধনে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন সোহেল মিয়া নামের একজন। তিনি বলেন, ‘প্রথমে জ্বর আসে, পরে বমি হয়। পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হই।’

রোগী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা নিচ্ছি, কিন্তু কোনো পরিবর্তন নেই। চিকিৎসকেরা আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা দিচ্ছেন।’

হাসপাতালের ডেঙ্গু ইউনিটের ফোকাল পারসন চিকিৎসক কায়সার ইমরান সোহেল বলেন, নভেম্বর মাসে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী থাকে না। এ বছর চিত্র ভিন্ন। এবার ডেঙ্গুর ধরন নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আক্রান্তরা সহজে ভালো হচ্ছে না।

এই চিকিৎসক বলেন, ওয়ার্ডে বর্তমানে ১০-১২ জন ক্রিটিক্যাল ডেঙ্গু রোগী রয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছে।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক কুমার মজুমদার বলেন, উড়ন্ত মশা নিধনে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শেষ হয়েছে। এখন সিটি করপোরেশনে বিশেষ প্রোগ্রাম চলমান। যদিও সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবু মেয়রের নির্দেশে ডেঙ্গু রোধে কাজ চলছে। প্রতিদিন সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে ২২টি টিম কাজ করছে।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মধ্যে কোনো ডেঙ্গু রোগী নেই। দু-একজন আক্রান্ত হয়েছে মমেক হাসপাতাল থেকে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেওয়ায় ভালো অবস্থানে রয়েছি। ডেঙ্গু সচেতনতা বাড়াতে মাইকিংসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত