মহিউদ্দিন রানা, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)
সকাল থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে ভিজে আছে পাড়াগাঁয়ের আঁকাবাঁকা মেঠো পথ-প্রান্তর। বৃষ্টি থেমে গেলেও ফোটাগুলো মুক্তোদানার মতো ঝলমল করছে ফসলি খেতের আলের দুর্বাঘাস ও তৃণলতার ওপর। পুব আকাশে তখনো দেখা নেই সোনালি রোদের। গ্রামের মেঠো পথ ধরে হাঁটার সময় পরিত্যক্ত ধানখেতে দেখা মিলল একদল বকের। পাশেই ছিল দুটো শামুকখোল পাখি।
দূর থেকে একটু কাছে যেতেই সাঁইসাঁই করে উড়ে গেল বকের দল। সঙ্গে শামুকখোলগুলোও। সম্প্রতি এমন দৃশ্যের দেখা মিলল ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের উত্তর সাটিহারি গ্রামে। এ দৃশ্য দেখে যে কারওরই মনে হবে—এ যেন বক-শামুকখোলের মিতালি।
স্থানীয়রা বলছেন, বকের মতো দেখতে বড় পাখিগুলো সম্প্রতি হুটহাট এই অঞ্চলে দেখা মিলছে। তবে শামুকখোলকে স্থানীয়দের কেউ কেউ অতিথি পাখি, আবার অনেকে বুড়ো বক হিসেবেই জানেন।
স্থানীয়রা জানান, একটা সময়ে উপজেলার ছোট-বড় জলাভূমিগুলোতে শামুকখোলের অহরহ দেখা মিলত। তবে প্রকৃতিগত কারণে এখন আর খুব বেশি চোখে পড়ে না শামুকখোলের। একটা সময়ের পর আর হয়তো দেখাই মিলবে না বিলুপ্তপ্রায় শামুকখোলের।
এ সময় কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা হাসানুল হক তারিফের সঙ্গে। তারিফ বলেন, ‘সারা বছর এগুলোর তেমন দেখা মেলে না। তবে বর্ষা মৌসুমে মাঝেমধ্যে পরিত্যক্ত খেত-খামারে এগুলো চোখে পড়ে। যে কারণে আমরা এগুলোকে অতিথি পাখি হিসেবেই জানি।’
মাইজবাগ ইউনিয়নের উত্তর সাটিহারি গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বাসিন্দা মো. আক্কাছ আলী বলেন, কয়েক বছর আগেও পাখিগুলোর খুবই বিচরণ ছিল। কিন্তু, একদিকে পাখি শিকারিদের কবলে পড়ে, অন্যদিকে পরিবেশ অনুকূলে না থাকার কারণে আস্তে আস্তে পাখিটি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
‘আমরা তো জানতাম এগুলো বকপাখি। বকগুলো যখন বুড়ো হয়, তখন এ রকম হয়।’ যুক্ত করেন আক্কাছ আলী।
আরেক বাসিন্দা মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘গত কয়েক দিন যাবৎ দেখছি এই পাখিগুলো খাবারের খোঁজে সকাল-বিকেল এখানে আসে। তবে পাখিগুলোর নাম জানি না।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশে প্রকৃতিগত কারণেই অনেক পাখি বিলুপ্তির তালিকায় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শামুকখোলও। শামুকখোল দেখতে অনেকটা বক পাখির মতো হলেও এর ঠোঁট লম্বা ও ভারী। গায়ের রং ধূসর ও সাদা। প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ বিভিন্ন জলাভূমিতে লম্বা ঠোঁট দিয়ে শামুকসহ অন্যান্য খাবার খুঁজে বেড়ায় এরা।
তিনি আরও বলেন, শামুক ছাড়াও ঝিনুক, মাছ, কাঁকড়া, ছোট জলচর প্রাণী, ব্যাঙ শামুকখোলের পছন্দের খাবার। বাংলাদেশের আবাসিক এই পাখি বর্তমানে বন্যপ্রাণী আইনে সংরক্ষিত পাখির তালিকায় রয়েছে।
সকাল থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে ভিজে আছে পাড়াগাঁয়ের আঁকাবাঁকা মেঠো পথ-প্রান্তর। বৃষ্টি থেমে গেলেও ফোটাগুলো মুক্তোদানার মতো ঝলমল করছে ফসলি খেতের আলের দুর্বাঘাস ও তৃণলতার ওপর। পুব আকাশে তখনো দেখা নেই সোনালি রোদের। গ্রামের মেঠো পথ ধরে হাঁটার সময় পরিত্যক্ত ধানখেতে দেখা মিলল একদল বকের। পাশেই ছিল দুটো শামুকখোল পাখি।
দূর থেকে একটু কাছে যেতেই সাঁইসাঁই করে উড়ে গেল বকের দল। সঙ্গে শামুকখোলগুলোও। সম্প্রতি এমন দৃশ্যের দেখা মিলল ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের উত্তর সাটিহারি গ্রামে। এ দৃশ্য দেখে যে কারওরই মনে হবে—এ যেন বক-শামুকখোলের মিতালি।
স্থানীয়রা বলছেন, বকের মতো দেখতে বড় পাখিগুলো সম্প্রতি হুটহাট এই অঞ্চলে দেখা মিলছে। তবে শামুকখোলকে স্থানীয়দের কেউ কেউ অতিথি পাখি, আবার অনেকে বুড়ো বক হিসেবেই জানেন।
স্থানীয়রা জানান, একটা সময়ে উপজেলার ছোট-বড় জলাভূমিগুলোতে শামুকখোলের অহরহ দেখা মিলত। তবে প্রকৃতিগত কারণে এখন আর খুব বেশি চোখে পড়ে না শামুকখোলের। একটা সময়ের পর আর হয়তো দেখাই মিলবে না বিলুপ্তপ্রায় শামুকখোলের।
এ সময় কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা হাসানুল হক তারিফের সঙ্গে। তারিফ বলেন, ‘সারা বছর এগুলোর তেমন দেখা মেলে না। তবে বর্ষা মৌসুমে মাঝেমধ্যে পরিত্যক্ত খেত-খামারে এগুলো চোখে পড়ে। যে কারণে আমরা এগুলোকে অতিথি পাখি হিসেবেই জানি।’
মাইজবাগ ইউনিয়নের উত্তর সাটিহারি গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বাসিন্দা মো. আক্কাছ আলী বলেন, কয়েক বছর আগেও পাখিগুলোর খুবই বিচরণ ছিল। কিন্তু, একদিকে পাখি শিকারিদের কবলে পড়ে, অন্যদিকে পরিবেশ অনুকূলে না থাকার কারণে আস্তে আস্তে পাখিটি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
‘আমরা তো জানতাম এগুলো বকপাখি। বকগুলো যখন বুড়ো হয়, তখন এ রকম হয়।’ যুক্ত করেন আক্কাছ আলী।
আরেক বাসিন্দা মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘গত কয়েক দিন যাবৎ দেখছি এই পাখিগুলো খাবারের খোঁজে সকাল-বিকেল এখানে আসে। তবে পাখিগুলোর নাম জানি না।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশে প্রকৃতিগত কারণেই অনেক পাখি বিলুপ্তির তালিকায় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শামুকখোলও। শামুকখোল দেখতে অনেকটা বক পাখির মতো হলেও এর ঠোঁট লম্বা ও ভারী। গায়ের রং ধূসর ও সাদা। প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ বিভিন্ন জলাভূমিতে লম্বা ঠোঁট দিয়ে শামুকসহ অন্যান্য খাবার খুঁজে বেড়ায় এরা।
তিনি আরও বলেন, শামুক ছাড়াও ঝিনুক, মাছ, কাঁকড়া, ছোট জলচর প্রাণী, ব্যাঙ শামুকখোলের পছন্দের খাবার। বাংলাদেশের আবাসিক এই পাখি বর্তমানে বন্যপ্রাণী আইনে সংরক্ষিত পাখির তালিকায় রয়েছে।
সহপাঠীদের থেকে জানা যায়, বিকেলে এক যুবক ওই শিক্ষার্থীকে মেস থেকে উদ্ধার করে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে সূত্রাপুর থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর নাম ইয়াসিন মজুমদার।
১ মিনিট আগেনাটোর-বগুড়া মহাসড়কে সিংড়ার শেরকোল এলাকায় ধানের ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির সময় বিএনপি নেতাসহ তিনজনকে আটক করেছেন সেনাবাহিনী সদস্যরা। আটককৃতরা হলেন শেরকোল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পলাশ আহমেদ ও জয়নাল আবেদীনের অনুসারী মিলন হোসেন। আটকের পর তাদেরকে...
৪২ মিনিট আগেনোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর হাউজিং এলাকা থেকে মিরাজ হোসেন শান্ত নামে এক যুবলীগ নেতাকে অবরুদ্ধ করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে হাউজিং সরকারি আবাসিক এলাকার সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে