Ajker Patrika

ফেসবুক লাইভে হুমকির পর কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
নিহত কলেজছাত্র মারফত আলী। ছবি: সংগৃহীত
নিহত কলেজছাত্র মারফত আলী। ছবি: সংগৃহীত

কাকে কখন কুপিয়ে রক্তাক্ত করবেন, তা আগেই ফেসবুক লাইভে এসে জানিয়ে দিতেন ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর নামে এক যুবক। শুধু জানান দিয়েই নীরব থাকেননি, এ পর্যন্ত সাত-আটজনকে কুপিয়ে পঙ্গু করার মতো ঘটনা ঘটিয়েন তিনি। তানভীরের ভয়ে দিনের পর দিন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের ধুরুয়া, চণ্ডীপাশা ও রসুলপুর গ্রামের মানুষ আতঙ্কে দিন পার করতেন।

এদিকে, এই আতঙ্কের মধ্যে গতকাল শুক্রবার তানভীর ফেসবুক লাইভে এসে কলেজছাত্র মারফত আলীসহ বেশ কয়েকজনকে হুমকি দেন। এরপর মারফত আলীকে (১৯) গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়া এলাকায় কুপিয়ে জখম করেন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহত মারফত আলী চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের ধুরুয়া গ্রামের আবুল কাশেম ফকিরের পুত্র। তিনি খুররম খান চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে শিক্ষার্থী ছিল। এদিকে মারফত আলীকে কোপানোর পর ‘আবার শুরু’ এবং ‘অলরাউন্ডার মাঠ কাঁপাতে লোকের নয় বুকে সাহসের প্রয়োজন’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট দেন ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর। তবে মারফত আলীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ফেসবুক হুমকি দেওয়ার লাইভটি সরিয়ে ফেলেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মারফত আলী তাঁর ভাগনির বিয়েতে গৌরীপুর যান। সেখানে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেল করে বাড়ি ফেরার পথে গৌরীপুর এলাকায় তানভীর, বরকত উল্লাহ্সহ তিন-চারজন মিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে জখম করেন। পরে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহতের চাচাতো ভাই নোমান তালুকদার বলেন, ‘তানভীর এত ঘটনা ঘটানোর পরেও পুলিশ প্রশাসন নীরব রয়েছে। যার কারণে নিরীহ কলেজছাত্রের প্রাণ দিতে হয়েছে। আমরা এর কঠিন বিচার চাই—যাতে এ রকম ঘটনায় আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়।’

এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মাজহারুল আনোয়ার বলেন, খুনের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দেয়নি। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল থেকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর একই এলাকার ওসমান গণির পুত্র। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম এমপির নৌকার মিছিলে দুই হাতে অস্ত্র উঠিয়ে মিছিল করে তানভীর। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে রাতেই দুই অস্ত্রসহ পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সে থেকেই আলোচনায় আসে ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর।

নিহত কলেজছাত্র মারফত আলীর ছবিসহ হুমকি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর। ছবি: সংগৃহীত
নিহত কলেজছাত্র মারফত আলীর ছবিসহ হুমকি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর। ছবি: সংগৃহীত

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব দেখিয়ে এলাকায় বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে ধুরুয়া গ্রামের আরমান মিয়া, ফয়সাল মিয়া, মো. সাইফুল্লাহ, চণ্ডীপাশা গ্রামের জুয়েল মিয়া, রসুলপুর গ্রামের হেলাল মিয়া ও হেলিম এবং কাটলিপাড়া গ্রামের সুজন মিয়াকে বিভিন্ন সময় কুপিয়ে জখমের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পঙ্গু অবস্থায় জীবন যাপন করছে। তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিএনপির পরিচয়ে এলাকায় অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন।

জানতে চাইলে তানভীরের হামলার শিকার জুয়েল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে বিনা অপরাধে রাতের আঁধারে কুপিয়ে পঙ্গু করে দিয়েছে। আমি অনেক কষ্টে দিন পার করতেছি। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ভয়ে মুখ খুলতে পারি না।’

এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তানভীরের বিরুদ্ধে নান্দাইল মডেল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। খুনের ঘটনা গৌরীপুর এলাকায় ঘটেছে, সে বিষয়ে তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চবি ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা

চবি প্রতিনিধি 
আবাসিক আলাওল হলের গেটের সামনের দেয়ালে টানানো নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার। ছবি: আজকের পত্রিকা
আবাসিক আলাওল হলের গেটের সামনের দেয়ালে টানানো নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসের আবাসিক আলাওল হলের গেটের সামনের দেয়ালে গভীর রাতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দুটি ব্যানার টানানো হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এতে অনেকে প্রশাসনের নীরবতাকেও দায়ী করছেন।

গতকাল শনিবার গভীর রাতে সংগঠনটির নাম ও নেতাদের ছবিসংবলিত ব্যানার দুটি টানানো হয়। আজ রোববার সকালে শিক্ষার্থীদের চোখে পড়ার পরপরই ব্যানার দুটি সরিয়ে ফেলা হয়। দুটি ব্যানারেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিল। একটিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ছবি ব্যবহার করা হয়। নিচে লেখা ছিল—‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ’। অন্যটিতে ইংরেজিতে বাংলাদেশ স্টুডেন্ট লীগ লেখা ছিল। এ ঘটনার পর ছাত্রলীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’ ক্যাপশন দিয়ে ব্যানারের ছবি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি ঘিরে অনলাইনেও ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি তাঁর ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি স্থানে রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ব্যানার টানানো হয়েছে। তারা ভুলে গেছে এটা শহীদ তরুয়া ও শহীদ ফরহাদের রক্তসিক্ত পবিত্র ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাস নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের কোন ছাড় নয়।’

জিএস সাঈদ বিন হাবিব ফেসবুকে লেখেন, ‘আলাওল হল গেটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ব্যানার সাঁটিয়েছে গতরাতে। অভ্যুত্থানের পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন লীগের দোসর, চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং জুলাই আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও লীগের সন্ত্রাসী কর্মীদের বিরুদ্ধে নূন্যতম (ন্যূনতম) শাস্তিমূলক কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। অনেক ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা এখনও অনেকের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে ক্যাম্পাসে অবাধ বিচরণ করছে। অভ্যুত্থানের পরও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিচার না হওয়া ন্যাক্কারজনক (ন্যক্কারজনক) এই কাজের জন্য দায়ী।’ তিনি আরও লেখেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গোটা ক্যাম্পাসকে সিসি টিভির আওতায় আনতে হবে এবং প্রশাসনকে তদন্ত সাপেক্ষে এর সাথে জড়িতদের শাস্তি এবং পূর্বে অভিযুক্ত সকলের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান লেখেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের গেইটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ব্যানার সাঁটিয়েছে। রাতের আধারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একাজ করেছে। ক্যাম্পাসে নিরাপদে থাকা সাবেক ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ও স্বৈরাচারের দোসর যারা প্রশাসনে বসে আছে তারা এসব কাজে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। অভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নূন্যতম (ন্যূনতম) শাস্তির আওতায় আনা হয়নি।’ তিনি আরও লেখেন, ‘ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে তৎপর হয়েছে এসব গোষ্ঠী। ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এখনি যথাযথ ভূমিকা নিতে হবে, ক্যাস্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসকে সম্পূর্ণ সিসিটিভি ক্যামরার আওতায় আনতে হবে। না হলে যে কোন উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে।’

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ লেখেন, ‘জুলাই বিপ্লবে যেসকল শিক্ষক, কর্মকর্তা প্রকাশ্যে খুনি হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে ষড়যন্ত্র করেছিল, তারা এখনো বহাল তবিয়তে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে। বিভিন্ন কমিটির সদস্য হচ্ছে। আর গোপনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছে। তাদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে যার নমুনা ক্যাম্পাসে এসে ব্যানার টানিয়ে যাওয়া।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ব্যানারটি প্রচারিত হয়েছে, সেটি আদৌ আজকের নাকি আগের, সেটি বোঝার উপায় নেই। তবুও আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা ব্যানারটি পাইনি।’ সিসিটিভির ব্যবস্থা ছিল কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হল গেটের সামনে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। এরপরেও আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। কে বা কারা এটি লাগিয়েছে, খোঁজখবর পেলে ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গ্যাস নিতে গিয়ে আবারও অটোরিকশায় আগুন

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
কর্ণফুলীতে গ্যাস নিতে গিয়ে অটোরিকশায় আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কর্ণফুলীতে গ্যাস নিতে গিয়ে অটোরিকশায় আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা

গ্যাস নিতে গিয়ে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে আবারও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগুন ধরে গেছে। আজ রোববার উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকার ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, গ্যাস নিতে গেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে কর্ণফুলী মডেল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মো. সাঈদুজ্জামান বলেন, ‘ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিতে গিয়ে অটোরিকশায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’

এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে কর্ণফুলী থানার সামনে একটি চলন্ত যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায়ও কেউ হতাহত হননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে হেলমেট পরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ৬০

ফরিদপুর প্রতিনিধি
হেলমেট পরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
হেলমেট পরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। চার ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়েছে। এ সময় একাধিক বাড়িঘর, দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

রোববার (২ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

হেলমেট পরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
হেলমেট পরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার জমির বিরোধ নিয়ে গোপীনাথপুর গ্রামের সাইমন মাতুব্বর ও কুদ্দুস মাতুব্বরের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।

আজ রোববার বিকেলে সালিস বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। আশপাশের কয়েক গ্রামের সালিসকারীরা চলে আসেন। সালিস বৈঠকে বসা নিয়ে গোপীনাথপুর গ্রামের দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখন ছোট হামেরদী, খাড়া কান্দি ও বাইশাখালি এলাকার লোকজন দুই দলের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ও হেলমেট পরে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সংঘর্ষকারীরা ঢাল, কাতরা ও টেঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।

খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। পরে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয় এবং তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় প্রায় ২০ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন জানান, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আমরা পিছু হটি। গ্রামবাসীকে কোনোভাবেই শান্ত করা যাচ্ছিল না। পরে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুবাইফেরত ৩২ মামলার আসামি বিমান থেকে নেমেই গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
সিলেট বিমানবন্দর থেকে ৩২ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিলেট বিমানবন্দর থেকে ৩২ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার। ছবি: আজকের পত্রিকা

দুবাইফেরত মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। গতকাল শনিবার সিলেট বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার পটিয়া থানা-পুলিশের হেফাজতে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার রুহুল আমিন পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নগরীর ফিশারিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত সুপার মোহাম্মদ রাসেল বলেন, গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় ২৭টি সিআর মামলা, একটি জিআর মামলা, চারটি সিআর সাজা ওয়ারেন্টসহ ৩২টি ওয়ারেন্ট মুলতবি রয়েছে।

এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কোতোয়ালি থানায় ১৯টি সিআর মামলা রয়েছে। একই থানায় আরও ছয়টি মামলার সাজা ওয়ারেন্ট মুলতবি রয়েছে

পুলিশ জানায়, আসামিদের বিরুদ্ধে অধিকাংশই চেক প্রতারণার মামলা। মামলাগুলো বিচারাধীন অবস্থায় রুহুল আমিন পাঁচ বছর আগে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। সেখানে থাকাবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে ১০টি মামলায় সাজা হয়। আদালত সাজা পরোয়ানা জারির পাশাপাশি তাঁর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন। দীর্ঘদিন দুবাইয়ে থাকার পর দেশে ফেরেন ওই ব্যবসায়ী।

এ সময় গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দুবাই থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে না এসে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত