নেত্রকোনা প্রতিনিধি
মা–বাবার একমাত্র ছেলে নাজিম উদ্দিন। গ্রামের বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পাস করে গত ১৬ জুলাই কলেজে ভর্তি হয় সে। এর দুই দিন পরই রাজধানীর উত্তরায় থাকা মা-বাবার কাছে চলে যায় সে। সেখানে গিয়েই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেয় নাজিম।
৫ আগস্ট বিকেলে উত্তরা পূর্ব থানার ভেতর থেকে ছোড়া পুলিশের গুলিতে নিহত হয় নাজিম। গুলিটি নাজিমের বাঁ চোখের ভেতর দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়। রাতেই তার লাশ গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার ভাটগাঁও গ্রামে নিয়ে আসা হয়। পরদিন সকাল ১০টার দিকে বসতঘরের সামনেই নাজিমকে দাফন করা হয়।
নাজিম উদ্দিন (১৭) নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার ভাটগাঁও গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে। রুস্তম আলীর এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে নিজাম উদ্দিন ছোট। দরিদ্র রুস্তম আলীর থাকার ভিটে ছাড়া আর কোনো জমিজমা নেই।
রোজগারের জন্য ১০-১১ বছর আগে পরিবারসহ এলাকা ছেড়ে ঢাকা চলে যান রুস্তম আলী। রাজধানীর উত্তরা আজমপুর এলাকায় গিয়ে স্ত্রীসহ একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ শুরু করেন। ছেলে পড়াশোনার জন্য পার্শ্ববর্তী গ্রামে নানাবাড়িতে থেকে যায়। নানাবাড়িতে থেকেই চালিয়ে যাচ্ছিল পড়াশোনা।
নাজিম স্থানীয় চিরাম তাহেরা মান্নান স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয় থেকে চলতি বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৪.৩৫ জিপিএ পয়েন্ট পেয়ে এসএসসি পাস করে। গত ১৬ জুলাই বারহাট্টা সরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে দুই দিন পর বাবা-মায়ের কাছে রাজধানীর উত্তরা আজমপুর এলাকায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেয়।
আজ সোমবার বিকেলে বারহাট্টা উপজেলার ভাটগাঁও গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ছেলের কবরের পাশে বসে অঝোরে কাঁদছেন তার বাবা রুস্তম আলী। পাশে দাঁড়িয়ে কান্না করছিলেন মা শিমুলা আক্তার ও বোন নাজমা আক্তার। এ সময় প্রতিবেশীরা তাঁদের সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন।
নাজিমের বৃদ্ধ বাবা রুস্তম আলী কানে কম শোনেন, তাই তিনি কারও কথার জবাব দিতে পারেন না। শুধু এক নাগারে বলে যাচ্ছেন, ‘আমার একটাই ছেলে আছিন। এইডাই আমার একমাত্র সম্বল। তারে গুলি কইরা মাইরা ফালাইছে। আমার আর কিছু বাকি রইল না। আমি এর বিচার চাই।’
নাজিমের মা শিমুলা আক্তার বলেন, ‘জমিজমা নাই গরিব মানুষ ঢাকায় ফ্যাক্টরিতে কাজ করি। যা পাই তা দিয়ে নিজেরা খেয়েদেয়ে চলি, আর ছেলের পড়াশোনার খরচ চালাই। স্বপ্ন ছিল ছেলেটা পড়াশোনা করে একদিন সংসারের হাল ধরবে। পরিবারের অভাব দূর হবে। যখন কাজ করার শক্তি থাকবে না তখন ছেলে চাকরি করে আমাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবে। মুহূর্তে আমার সাজানো স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। এখন কী নিয়ে বাঁচব, কে আমাদের দেখবে, কাকে বাবা বলে ডাকব।’
মা শিমুলা আক্তার আরও বলেন, ‘আন্দোলন চলার সময় ফ্যাক্টরি বন্ধ ছিল তাই সবাই বাসায় ছিলাম। জুলাইয়ে শেষ দিকে ঢাকায় এসে আমাদের না জানিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিদিনই আন্দোলনে যেত নিজাম। ৫ আগস্ট দুপুরের দিকে বের হয়ে বাসা থেকে। বেলা ৩টার দিকে মোবাইলে কল দিয়ে কোথায় আছে জানতে চাই। সে আমার কল রিসিভ করে বলে, “মা চিন্তা কইরো না, একটু পরেই চলে আসতেছি।” এটাই তার শেষ কথা ছিল।
তিনি বলেন, ‘বিকেল ৪টার দিকে আবার কল দিই তখন অন্য একজন তার ফোনটা রিসিভ করে জানায় নাজিমের গুলি লেগেছে। আমরা দৌড়ে যাই উত্তরা পূর্ব থানার সামনে। যাওয়ার পর লোকজন জানায় নাজিমকে ঘটনাস্থল থেকে আন্দোলনকারীরা হাসপাতালে নিয়ে গেছে। কতক্ষণ পর তার লাশ পাই।’
বোন নাজমা আক্তার বলেন, ‘জরাজীর্ণ একটা ঘর আর ভিটে ছাড়া আমাদের কোনো জমিজমা নেই। তাই ঘরের সামনে উঠানেই তাকে দাফন করা হয়েছে। নাজিমই ছিল পরিবারের একমাত্র ভরসা। পড়াশোনা করার প্রচুর ইচ্ছা ছিল তার। মৃত্যুতে সব শেষ হয়ে গেল।’
নাজিমের চাচা আরব আলী বলেন, ‘খুবই শান্ত ছেলে ছিল নাজিম। যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনো কিছুর বিনিময়ে পূরণ হওয়ার নয়। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুক।’
মা–বাবার একমাত্র ছেলে নাজিম উদ্দিন। গ্রামের বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পাস করে গত ১৬ জুলাই কলেজে ভর্তি হয় সে। এর দুই দিন পরই রাজধানীর উত্তরায় থাকা মা-বাবার কাছে চলে যায় সে। সেখানে গিয়েই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেয় নাজিম।
৫ আগস্ট বিকেলে উত্তরা পূর্ব থানার ভেতর থেকে ছোড়া পুলিশের গুলিতে নিহত হয় নাজিম। গুলিটি নাজিমের বাঁ চোখের ভেতর দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়। রাতেই তার লাশ গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার ভাটগাঁও গ্রামে নিয়ে আসা হয়। পরদিন সকাল ১০টার দিকে বসতঘরের সামনেই নাজিমকে দাফন করা হয়।
নাজিম উদ্দিন (১৭) নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার ভাটগাঁও গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে। রুস্তম আলীর এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে নিজাম উদ্দিন ছোট। দরিদ্র রুস্তম আলীর থাকার ভিটে ছাড়া আর কোনো জমিজমা নেই।
রোজগারের জন্য ১০-১১ বছর আগে পরিবারসহ এলাকা ছেড়ে ঢাকা চলে যান রুস্তম আলী। রাজধানীর উত্তরা আজমপুর এলাকায় গিয়ে স্ত্রীসহ একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ শুরু করেন। ছেলে পড়াশোনার জন্য পার্শ্ববর্তী গ্রামে নানাবাড়িতে থেকে যায়। নানাবাড়িতে থেকেই চালিয়ে যাচ্ছিল পড়াশোনা।
নাজিম স্থানীয় চিরাম তাহেরা মান্নান স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয় থেকে চলতি বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৪.৩৫ জিপিএ পয়েন্ট পেয়ে এসএসসি পাস করে। গত ১৬ জুলাই বারহাট্টা সরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে দুই দিন পর বাবা-মায়ের কাছে রাজধানীর উত্তরা আজমপুর এলাকায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেয়।
আজ সোমবার বিকেলে বারহাট্টা উপজেলার ভাটগাঁও গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ছেলের কবরের পাশে বসে অঝোরে কাঁদছেন তার বাবা রুস্তম আলী। পাশে দাঁড়িয়ে কান্না করছিলেন মা শিমুলা আক্তার ও বোন নাজমা আক্তার। এ সময় প্রতিবেশীরা তাঁদের সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন।
নাজিমের বৃদ্ধ বাবা রুস্তম আলী কানে কম শোনেন, তাই তিনি কারও কথার জবাব দিতে পারেন না। শুধু এক নাগারে বলে যাচ্ছেন, ‘আমার একটাই ছেলে আছিন। এইডাই আমার একমাত্র সম্বল। তারে গুলি কইরা মাইরা ফালাইছে। আমার আর কিছু বাকি রইল না। আমি এর বিচার চাই।’
নাজিমের মা শিমুলা আক্তার বলেন, ‘জমিজমা নাই গরিব মানুষ ঢাকায় ফ্যাক্টরিতে কাজ করি। যা পাই তা দিয়ে নিজেরা খেয়েদেয়ে চলি, আর ছেলের পড়াশোনার খরচ চালাই। স্বপ্ন ছিল ছেলেটা পড়াশোনা করে একদিন সংসারের হাল ধরবে। পরিবারের অভাব দূর হবে। যখন কাজ করার শক্তি থাকবে না তখন ছেলে চাকরি করে আমাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবে। মুহূর্তে আমার সাজানো স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। এখন কী নিয়ে বাঁচব, কে আমাদের দেখবে, কাকে বাবা বলে ডাকব।’
মা শিমুলা আক্তার আরও বলেন, ‘আন্দোলন চলার সময় ফ্যাক্টরি বন্ধ ছিল তাই সবাই বাসায় ছিলাম। জুলাইয়ে শেষ দিকে ঢাকায় এসে আমাদের না জানিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিদিনই আন্দোলনে যেত নিজাম। ৫ আগস্ট দুপুরের দিকে বের হয়ে বাসা থেকে। বেলা ৩টার দিকে মোবাইলে কল দিয়ে কোথায় আছে জানতে চাই। সে আমার কল রিসিভ করে বলে, “মা চিন্তা কইরো না, একটু পরেই চলে আসতেছি।” এটাই তার শেষ কথা ছিল।
তিনি বলেন, ‘বিকেল ৪টার দিকে আবার কল দিই তখন অন্য একজন তার ফোনটা রিসিভ করে জানায় নাজিমের গুলি লেগেছে। আমরা দৌড়ে যাই উত্তরা পূর্ব থানার সামনে। যাওয়ার পর লোকজন জানায় নাজিমকে ঘটনাস্থল থেকে আন্দোলনকারীরা হাসপাতালে নিয়ে গেছে। কতক্ষণ পর তার লাশ পাই।’
বোন নাজমা আক্তার বলেন, ‘জরাজীর্ণ একটা ঘর আর ভিটে ছাড়া আমাদের কোনো জমিজমা নেই। তাই ঘরের সামনে উঠানেই তাকে দাফন করা হয়েছে। নাজিমই ছিল পরিবারের একমাত্র ভরসা। পড়াশোনা করার প্রচুর ইচ্ছা ছিল তার। মৃত্যুতে সব শেষ হয়ে গেল।’
নাজিমের চাচা আরব আলী বলেন, ‘খুবই শান্ত ছেলে ছিল নাজিম। যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনো কিছুর বিনিময়ে পূরণ হওয়ার নয়। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুক।’
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৪ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৪ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৪ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৪ ঘণ্টা আগে