Ajker Patrika

গ্রুপিংয়ে স্থবির কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দল, চাপা ক্ষোভ

মো. ফাহাদ বিন সাঈদ, জাককানইবি
গ্রুপিংয়ে স্থবির কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দল, চাপা ক্ষোভ

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমন্বয়হীনতা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু-নীল দলের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম-মৃত্যু দিবস থেকে শুরু করে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো দিবসেও নেই তেমন কোনো আয়োজন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনের সময় পেরিয়ে গেলেও নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নীল দলের সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০২১ সালের ২৪ মার্চ। এই নির্বাচনে দুই বছর মেয়াদের জন্য সভাপতি হিসেবে অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ড. সেলিম আল মামুন নির্বাচিত হন। এ ছাড়াও বিভিন্ন পদে সব মিলিয়ে ১৫ জন শিক্ষক নির্বাচিত হন। তবে নির্দিষ্ট দুই বছর পেরিয়ে গেলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কোনো অনুষ্ঠান করতে পারেনি এই কমিটি।

এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষকদের অভিযোগ, জাতীয় দিবসগুলোতে দায়সারাভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা ও মাঝেমধ্যে নিজেদের লোকজন নিয়ে নির্বাহী পরিষদের সভা করা ছাড়া কিছুই করেনি বর্তমান কমিটি।

সংগঠনের গঠনতন্ত্র থেকে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাসের ১০ তারিখের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ৩১ মার্চের মধ্যেই দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে (অনুচ্ছেদ-৮)। তবে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা নেই সংগঠনটির নেতাদের। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা।

এ ছাড়াও বলা আছে, কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রতি দুই মাসে অন্তত একটি সভা আহ্বান করে শিক্ষক সমাজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ও পরিস্থিতি মূল্যায়নপূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন (অনুচ্ছেদ ১১.১)। যেটি নিয়মিতভাবে করা হয় না বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও গত দুই বছরে একটিও সাধারণ সভা করেনি সংগঠনটি। অথচ গঠনতন্ত্রে প্রতি তিন মাসে একটি সাধারণ সভা করার কথা বলা আছে।

ক্ষুব্ধ শিক্ষকদের অভিযোগ, গ্রুপিং রাজনীতির কারণে স্থবির হয়ে আছে নীল দলের কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এবং নীলদলের কার্যনির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য আসিফ ইকবাল আরিফ বলেন, ‘বর্তমান কমিটি গত দুই বছরে একটিও সাধারণ সভা আয়োজন করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের অধীনে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন মুজিব বর্ষের মতো গুরুত্বপূর্ণ উদ্‌যাপনের মতো ব্যাপারেও এই কমিটি কোনো কার্যক্রম হাতে নেয়নি। যেটি আমাদের জন্য আসলেই হতাশাজনক। শুধু নিয়মরক্ষার জন্য বিশেষ দিবসগুলোতে পুষ্পস্তবক অর্পণ হয়েছে। সেখানেও গ্রুপভিত্তিক কিছু শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠনের এমন আচরণ সত্যিই হতাশাজনক।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে একাধিকবার বলেও নেতৃবৃন্দের নিকট থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। এমনকি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের মাধ্যমে প্রার্থিতা চেয়ে আমি চিঠিও দিয়েছিলাম। তারও জবাব পাইনি। শুধুমাত্র ব্যক্তিস্বার্থকে রক্ষা করার জন্য বর্তমান নেতৃত্ব মূলত ১৮০ জনেরও অধিক শিক্ষকের মতামতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন তারা। এমনকি সর্বশেষ নিয়োগকৃত সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলীদেরকে দলীয় সদস্য করার ব্যাপারে নেতৃত্ব পর্যায়ে থাকাদের থেকে কোনো পদক্ষেপ দেখিনি।’

এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে নীল দল কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী দেওয়ার কথা গঠনতন্ত্রে থাকলেও তাঁর কোনো বাস্তবতা লক্ষ্য করা যায়নি। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে লড়াই করা দুইটি প্যানেলের সবাই ‘নীলদল অনুসারী শিক্ষক’ বলে চালিয়েছে। উজ্জ্বল-সেলিমের নেতৃত্বে এই কার্যনির্বাহী কমিটি তাদের দুই বছর সময়ে নতুন কোনো সদস্যও যুক্ত করতে পারেনি।

নীল দলের স্থবিরতা নিয়ে বর্তমান কমিটির সহসভাপতি ড. সৈয়দ মামুন রেজা বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সভা আহ্বান করে থাকে সাধারণ সম্পাদক। আমি ব্যক্তিগতভাবে একাধিকবার বিভিন্ন সময়ে তাঁকে সাধারণ সভা আহ্বান করতে বলেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। প্রায় দু শ জন শিক্ষকের একটি বৃহৎ সংগঠন হিসেবে দলীয় স্বার্থ বিবেচনা করে হলেও ঐক্যবদ্ধভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত ছিল। দলমত থাকলেও ঐক্যবদ্ধভাবে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত ছিল। সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকা দরকার ছিল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের। তাদের ভেতরে হয়তো কোনো দূরত্ব আছে।’

অভিযোগের বিষয়ে বর্তমান কমিটির সভাপতি ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। সাধারণ সম্পাদকের কাছে জিজ্ঞেস করেন।’ 

নির্বাচন বিষয়ে সিদ্ধান্ত কী—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব সিদ্ধান্ত সাধারণ সভায় হবে।’ সাধারণ সভা কবে হবে—এ প্রশ্নের জবাবে ড. উজ্জ্বল বলেন, ‘আমি গত ফেব্রুয়ারি মাসেই সাধারণ সম্পাদককে সাধারণ সভা আহ্বান করতে বলেছি।’

এসব বিষয়ে জানতে সাধারণ সম্পাদক ড. সেলিম আল মামুনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। নীল দলের বিষয়ে প্রশ্ন শোনামাত্রই তিনি ‘সভাপতির কাছে যান’ বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন সন্ত্রাসী ছিলেন না, দাবি ছোট ভাইয়ের

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া
ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া

রাজধানীর সূত্রাপুরে একটি হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে গুলিতে নিহত তারিক সাইফ মামুন সন্ত্রাসী ছিলেন না বলে দাবি করেছেন তাঁর ছোট ভাই আকরাম হোসেন সুমন।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দৈনিক আজকের পত্রিকাকে আকরাম হোসেন সুমন জানান, তাঁর ভাই তারিক সাইফ মামুন কখনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন না বা সন্ত্রাসী ছিলেন না। মিডিয়া ও পুলিশ তাঁকে সন্ত্রাসী বানিয়েছে। এর বিচারও হবে একদিন। মামুন ঢাকায় ব্যবসা করতেন। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে আদায় করার চেষ্টা করতেন। তিনি অনেক ভালো মানুষ ছিলেন।

মামুন বিএনপির একজন কর্মী ছিলেন জানিয়ে ছোট ভাই বলেন, ঢাকায় তিনি ব্যবসা করতেন। আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। এ সময় তাঁকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন করার ইচ্ছার কথাও জানান ছোট ভাই।

মামুনের জাতীয় পরিচয়পত্রে ঠিকানা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মোবারক কলোনি রয়েছে। মূলত গ্রামের বাড়ি মিরিকপুর। ছোটবেলা থেকে ঢাকায় বসবাস করতেন মামুন। গ্রামে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে ঢাকায় চলে আসেন। এরপর মাঝেমধ্যে বাড়িতে এলেও থাকতেন না।

নিহত মামুনের গ্রামের বাড়িতে পরিবারের তেমন কেউ থাকেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইউএনওর লেখা কবিতার বই কিনে নিতে হলো শিক্ষকদের

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
সমন্বয় সভায় বই হাতে শিক্ষকেরা। ছবি: সংগৃহীত
সমন্বয় সভায় বই হাতে শিক্ষকেরা। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) লেখা একটি কবিতার বই বাধ্য হয়ে শিক্ষকদের কিনতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভায় ইউএনওর লেখা বই শিক্ষকদের কাছে বিক্রি করা হয়। শিক্ষকেরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার জসিম আহমেদের নির্দেশে মাসিক সমন্বয় সভা ও স্যানিটেশনবিষয়ক সভায় ১৬৯ জন প্রধান শিক্ষকের হাতে ওই বই তুলে দেওয়া হয়। প্রতিটি বইয়ের মূল্য হিসেবে নেওয়া হয় নগদ ১৫০ টাকা। শিক্ষকদের কাছে ২৫ হাজার ৩৫০ টাকার বই বিক্রি করা হয়।

শিক্ষকদের কাছে বিক্রি করা বইটির মলাটে লেখকের নাম বলা হয়েছে ‘মো. জাহিদুল ইসলাম শামীম’, যিনি নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। বইয়ের নাম ‘পথহীন প্রান্তরে’, যা একটি কবিতার বই।

৭০ নম্বর পাথুলীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপূর্ব কুমার মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের সমন্বয় সভায় বইটি নিতে হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয় সভায় উপস্থিত সব শিক্ষকের হাতে একটি করে বই দিয়েছেন এবং ১৫০ টাকা করে মূল্য নিয়েছেন। যেহেতু ইউএনও স্যারের লেখা বই, না কিনলে চাকরিতে সমস্যা হতে পারে। এই ভয়ে বইটি নিয়েছি।’

দক্ষিণ কামারকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার দাস বলেন, ‘আমাকে বই নিতে বলা হয়। আমি চাইনি, কিন্তু দেখি, সবাই টাকা দিয়ে ইউএনওর লেখা বই নিচ্ছে। তাই আমিও ১৫০ টাকা দিয়ে বই নিয়েছি।’

৩২ নম্বর ঘনমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজমিন আক্তার বলেন, ‘সমন্বয় সভায় উপস্থিত সবাইকে বই নিতে হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে বই হাতে দেওয়া হয় এবং ১৫০ টাকা মূল্য দিতে হয়। যেহেতু ইউএনও স্যারের লেখা বই, তাই নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।’

এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার জসিম আহমদ বলেন, ‘আমাদের ইউএনও স্যার তাঁর লেখা বই শিক্ষকদের হাতে দিতে বলেছেন। তাই বই দিয়ে প্রতি বইয়ে ১৫০ টাকা করে নিয়েছি।’ বই বিক্রি করে কোনো কমিশন পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো কমিশন খাইনি। ইউএনও ডেকে আমার হাতে বিক্রির জন্য বইগুলো দিয়েছেন।’

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘আমার লেখা বই কাউকে চাপিয়ে দেওয়া বা বিক্রি করা হচ্ছে, তা আমার জানা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগ্‌বিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাবি রেজিস্ট্রারকে অপসারণের আলটিমেটাম

রাবি প্রতিনিধি  
রাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগ্‌বিতণ্ডার ভিডিও ভাইরালের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদকে অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)। আজ সোমবার রাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এই আলটিমেটাম দেন নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। তিনি বলেন, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যানকে অপসারণের নির্দেশে উপাচার্য স্বাক্ষর করে ফাইলটি রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠান। প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী, রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে একই দিনে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চিঠিটি ইস্যু হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু দেখা যায়, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত রেজিস্ট্রার দপ্তর চিঠি ইস্যু করেনি। এতে বিভাগটির ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ক্ষতির মুখে পড়েন।

মোস্তাকুর রহমান জাহিদ আরও বলেন, ‘বিষয়টি জানতে রাকসুর সাধারণ সম্পাদক ও সিনেট সদস্য সালাহউদ্দিন আম্মার রেজিস্ট্রার দপ্তরে গেলে এক কর্মকর্তা জানান, রেজিস্ট্রার তখন রাজনৈতিক প্রোগ্রামে ব্যস্ত আছেন এবং পরে আসতে বলেছেন। প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনকালে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা যেমন নীতিগতভাবে অনুচিত, তেমনি এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশাসনের পরিপন্থী।

রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবি করে রাকসুর ভিপি বলেন, রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আলম মাসউদের অশোভন আচরণের তদন্ত করে তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে।

এর আগে গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ ও রাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারের মধ্যে উত্তপ্ত বাগ্‌বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। রাতে এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

সূত্রে জানা যায়, বিতর্কটির সূত্রপাত দুটি কারণে। প্রথমত, সম্প্রতি চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছিলেন। রোববার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব ওই শিক্ষকের অব্যাহতির চিঠিতে সই করলেও চিঠিটি রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে বিভাগে পাঠানোয় বিলম্ব হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

দ্বিতীয়ত, জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার অভিযোগ পান, রেজিস্ট্রার তাঁর কক্ষে ‘মহানগর বিএনপির’ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সভা করছেন। এই দুটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েই আম্মার রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে চিলাহাটি আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে হারেজ শেখ (৬৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের আলোকদিয়া এলাকার রেলব্রিজে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হারেজ শেখ সিরাজগঞ্জের চরদীঘলকান্দি এলাকার মৃত গোলাম আলী শেখের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে কোবাদ শেখ মোড়ের পাশের আলোকদিয়া রেলব্রিজ পার হচ্ছিলেন হারেজ শেখ। এ সময় চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চিলাহাটি আন্তনগর এক্সপ্রেসের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার আব্দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিলাহাটি আন্তনগর এক্সপ্রেসে কাটা পড়ে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত