Ajker Patrika

বয়স্ক-বিধবার ভাতা মহিলা লীগ নেত্রীর মোবাইলে নেওয়ার অভিযোগ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
বয়স্ক-বিধবার ভাতা মহিলা লীগ নেত্রীর মোবাইলে নেওয়ার অভিযোগ

ময়মনসিংহের নান্দাইলে দুই উপকারভোগীর বয়স্ক-বিধবার ভাতার টাকা যাচ্ছে রিনা পণ্ডিত দেবনাথ নামের এক মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীর মোবাইল ফোনের নম্বরে। অভিযোগ উঠেছে দুই বছর ধরে এই টাকা তুলে উপকারভোগীদের না দিয়ে তিনি ভোগ করছেন। 

নিজের মোবাইল ফোনে টাকা আসার বিষয়টি স্বীকার করেছেন মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী রিনা। 

রিনার মোবাইল ফোনের নম্বরে টাকা ঢোকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নান্দাইল উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের মাঠকর্মী মাহাবুব মিয়া। তিনি বলেন, ‘নেত্রী রিনা আমাদের কাছে কাগজপত্র নিয়ে এসে দুজনের ভাতার কার্ড করেছে। উপকারভোগীদের মোবাইল ফোনের নম্বরের জায়গায় নেত্রী নিজের দুটি নম্বর ব্যবহার করেছেন। আমরা তো ভেবেছি এটি উপকারভোগীদের নম্বর। ২০২১ থেকে ওই দুটি নম্বরে টাকা যাচ্ছে।’ 

রিনা পণ্ডিত দেবনাথ হলেন নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। উপকারভোগী দুই নারী হলেন চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের খামারগাঁও গ্রামের বিধবা নারী মোছা. নুরুন্নাহার আক্তার (৩৩) ও একই এলাকার মোছা. রাশিদা বেগম (৬৬)। 

জানা গেছে, খামারগাঁও গ্রামের বিধবা নারী নুরুন্নাহারের ভোটার আইডি দিয়ে ২০২১ সালে বিধবা ভাতার কার্ড করেন নেত্রী রিনা। এতে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের নম্বরে দুই বছর ধরে টাকা ঢুকছে। অপরদিকে রাশিদা নামের এক নারীর ভোটার আইডি দিয়ে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে রিনা নিজের আরেকটি নম্বরে, এটি দিয়েও দুই বছর ধরে তিনি টাকা তুলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

বিধবা নুরুন্নাহার বলেন, ‘দুই বছর আগে আমি রিনা নেত্রীর কাছে বিধবা ভাতা কার্ডের জন্য কাগজ দিছিলাম। পরে আমার কাছে টাকা চাইছে দিতে পারিনি। নেত্রী জানাইলো কার্ড হয়নি। কার্ড হলে তো আমার মোবাইল ফোনে টাকা আসতো? ইদানীং শুনছি আমার কার্ড আরও দুই বছর আগে হয়েছে, টাকা যাচ্ছে নেত্রীর মোবাইল ফোনে। আমার ভাতার টাকা ফেরত চাইলেও তিনি দেন না।’ 

রাশিদার ছেলে সুমন মিয়া বলেন, ‘আমার মায়ের বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য তাঁর (রিনা) কাছে গিয়েছিলাম। পরে কাগজপত্র নিয়েছে কিন্তু কার্ড আর করে দেয়নি। কয়েক দিন আগে সমাজসেবা অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মায়ের নামে ভাতার কার্ড হয়েছে। মোবাইল ফোনের নম্বর মিলিয়ে দেখি রিনার নম্বর। দুই বছর ধরে আমার মায়ের ভাতার টাকা খাচ্ছেন তিনি।’ 

অভিযোগের বিষয়ে রিনা পণ্ডিত দেবনাথ বলেন, ‘ভাই আমরা তো রাজনীতি করি, একসঙ্গেই তো থাকব। একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, এরাই (উপকারভোগীরা) আমার লোক।’ উপকারভোগীদের কার্ডে মোবাইল ফোনের নম্বর থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার নম্বর দিয়ে দিছি টাকাও ওরা নিচ্ছে। বিষয়টি আমি ম্যানেজ করে নিব।’ 

চণ্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট সদস্য মুখলেছুর রহমান মাসুম বলেন, ‘কার্ড তো আমি নির্বাচিত হওয়ার আগে করা হয়েছে। বিষয়টি আমার জানা নেই।’ 

নান্দাইল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ইনসান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেউ এইভাবে ভাতাভোগীর টাকা নিতে পারেন না। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত