Ajker Patrika

করোনা সংক্রমণ: বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে কড়াকড়ি

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি  
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে কড়াকড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে কড়াকড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

করোনা শনাক্তের হার বাড়তে থাকায় আবারও বেনাপোল ইমিগ্রেশন এলাকায় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্ক ব্যবহার। আজ সোমবার বন্দরের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের মাস্ক পরার নির্দেশনা দিতে দেখা যায় ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কর্মীদের। তবে মাস্ক ব্যবহার বা সামাজিক দূরত্ব রেখে চলায় অনীহা রয়েছে পাসপোর্টধারী যাত্রী ও বন্দরের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতের কিছু এলাকায় জেনেটিক সিকোয়েন্স পরীক্ষায় ওমিক্রনের এক্সবিবি ধরন শনাক্ত হয়েছে। এই সংক্রমণ যাতে বাংলাদেশে না ছড়ায়, সে লক্ষ্যে ভারতফেরত যাত্রীর শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ আছে কি না পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে অনেকে করোনা সংক্রমণ সুরক্ষা পরামর্শ মানতে অনীহা প্রকাশ করেন।’

ইমিগ্রেশন ও বন্দর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোনো ধরনের নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না খোদ বন্দর ও কাস্টমসের কর্মকর্তারা। মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করছেন। এ ছাড়া বহিরাগতরাও বন্দর, কাস্টমস, ইমিগ্রেশনে মাস্ক ছাড়া অবাধে চলাফেরা করছেন। তবে গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে তাদের অনেকেই মাস্ক পড়তে দেখা যায়।

ভারতফেরত কয়েকজন যাত্রী জানান, চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। দেশে ফিরে দেখছেন, বাংলাদেশে আগত যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে ভারতের ইমিগ্রেশনে কোথাও কোনো পরীক্ষা হয়নি বলে জানান তিনি। আজিজ নামের আরেক যাত্রী বলেন, ভারতে যাওয়ার পথে করোনা সংক্রমণ রোধে যাত্রীদের কোনো ধরনের পরামর্শ দেয়নি ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে কড়াকড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে কড়াকড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জানতে চাইলে বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, করোনার থাবায় অনেক জীবন হারিয়েছে। অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যের। সে ক্ষতি না পুষিয়ে না উঠতেই আবারও হানা দিয়েছে ভাইরাসটি। তবে করোনাকে ভয় না করে সচেতনতার মাধ্যমে সবকিছু চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি ইলিয়াজ আহম্মেদ বলেন, তাঁরা ইমিগ্রেশনে সচেতনতামূলক নানান লিফলেট লাগিয়েছেন। এ ছাড়া দূরত্ব বজায় রেখে পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করা হচ্ছে। যাঁরা পুলিশ সদস্য আছেন তাঁদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে কড়াকড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে কড়াকড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, বর্তমানে ঈদের ছুটিতে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্দর খুললে করোনা সংক্রমণ রোধে সব ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা আবারও জোরদার করা হবে।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশে ২৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। কিন্তু মে মাসে এই সংখ্যা বেড়ে হয় ৮৬।

গত বুধবার দেশে ৪৩ জনের পিসি আর ল্যাব টেস্টে দুজনের দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারাও যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের নমুনা পরীক্ষায় তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

এর আগে ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুই দিনে সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত