বাগেরহাট প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বাগেরহাটের উপকূলজুড়ে প্রবল বেগে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস বইছে। গতকাল রোববার রাত পৌনে ১টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন রয়েছে সম্পূর্ণ বাগেরহাট জেলা।
শরণখোলার রায়েন্দা এলাকা থেকে আলী আকবর জানান, শরণখোলায় প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছে। নদীর পানি বেড়েছে। আতঙ্কে প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনের থেকে রাতের জোয়ারে দুই থেকে তিন ফুটের বেশি পানি বেড়েছে বাগেরহাটের বিভিন্ন নদী খালে। বেড়িবাঁধ ও সড়ক উপচে পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে। এই অবস্থায় আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কেটেছে বাগেরহাটবাসীর।
এদিকে জেলার উপকূলীয় দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষের জন্য খোলা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। রোববার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাগেরহাটের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঝড়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নদীতীরবর্তী এলাকায় বসবাস করা জনসাধারণের জন্য জেলায় ৩৫৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। রোববার সকাল থেকে রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপি, স্কাউটসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ৫ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে মাইকিং করে। দুপুরের পর থেকে নারী, পুরুষ ও শিশুরা আশ্রয়কেন্দ্রে আশা শুরু করে। রাত পর্যন্ত এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া ৪ হাজারের বেশি গৃহপালিত গরু-ছাগলও আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে রাখা হয়েছে।
যদিও আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক কম বলে জানা গেছে। সন্ধ্যার পর শরণখোলা ও মোংলা উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একেকটিতে আশ্রয় নিয়েছেন ১০-১৫ জন। তবে নদীতীরবর্তী এলাকায় কোনো কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে এই সংখ্যা ৫০ থেকে ৬০ জন।
এদিকে রোববার বিকেল থেকে ঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন প্রায় ৫ লাখ গ্রাহক। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রোববার সকালেই বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে জেলার অধিকাংশ এলাকা। এর মধ্যে মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা ও রামপাল উপজেলার প্রায় অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না সারা দিনই। তবে জেলা সদরের পৌর শহরে রোববার রাত সাড়ে ১০টায়ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রেখেছে। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ সন্ধ্যা থেকে পুরোপুরি সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। ঝোড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক সুশান্ত রায়।
পল্লী বিদ্যুতের সঙ্গে রাত ১১টার পরে জেলা শহরেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ওয়েস্ট জন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড-ওজোপাডিকো। এর ফলে পুরো বাগেরহাট জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বাগেরহাটের উপকূলজুড়ে প্রবল বেগে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস বইছে। গতকাল রোববার রাত পৌনে ১টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন রয়েছে সম্পূর্ণ বাগেরহাট জেলা।
শরণখোলার রায়েন্দা এলাকা থেকে আলী আকবর জানান, শরণখোলায় প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছে। নদীর পানি বেড়েছে। আতঙ্কে প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনের থেকে রাতের জোয়ারে দুই থেকে তিন ফুটের বেশি পানি বেড়েছে বাগেরহাটের বিভিন্ন নদী খালে। বেড়িবাঁধ ও সড়ক উপচে পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে। এই অবস্থায় আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কেটেছে বাগেরহাটবাসীর।
এদিকে জেলার উপকূলীয় দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষের জন্য খোলা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। রোববার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাগেরহাটের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঝড়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নদীতীরবর্তী এলাকায় বসবাস করা জনসাধারণের জন্য জেলায় ৩৫৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। রোববার সকাল থেকে রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপি, স্কাউটসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ৫ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে মাইকিং করে। দুপুরের পর থেকে নারী, পুরুষ ও শিশুরা আশ্রয়কেন্দ্রে আশা শুরু করে। রাত পর্যন্ত এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া ৪ হাজারের বেশি গৃহপালিত গরু-ছাগলও আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে রাখা হয়েছে।
যদিও আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক কম বলে জানা গেছে। সন্ধ্যার পর শরণখোলা ও মোংলা উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একেকটিতে আশ্রয় নিয়েছেন ১০-১৫ জন। তবে নদীতীরবর্তী এলাকায় কোনো কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে এই সংখ্যা ৫০ থেকে ৬০ জন।
এদিকে রোববার বিকেল থেকে ঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন প্রায় ৫ লাখ গ্রাহক। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রোববার সকালেই বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে জেলার অধিকাংশ এলাকা। এর মধ্যে মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা ও রামপাল উপজেলার প্রায় অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না সারা দিনই। তবে জেলা সদরের পৌর শহরে রোববার রাত সাড়ে ১০টায়ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রেখেছে। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ সন্ধ্যা থেকে পুরোপুরি সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। ঝোড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক সুশান্ত রায়।
পল্লী বিদ্যুতের সঙ্গে রাত ১১টার পরে জেলা শহরেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ওয়েস্ট জন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড-ওজোপাডিকো। এর ফলে পুরো বাগেরহাট জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
আলু সংরক্ষণ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বগুড়ার কৃষকেরা। পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকায় কৃষকের বাড়িতেই আলু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। যে কারণে আলু চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে এই অঞ্চলের কৃষকদের।
৫ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ঘুমন্ত মাদকাসক্ত ছেলেকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর থানায় এসে বৃদ্ধ বাবা আত্মসমর্পণ করেছেন। মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধ বাবা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
৮ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
১ ঘণ্টা আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
১ ঘণ্টা আগে