মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় আজ শনিবার ঘোষণা করেছেন আদালত। সকাল সাড়ে ৯টায় মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে চার আসামির মধ্যে শিশুটির বোনের শ্বশুরকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাকি তিন আসামিকে (বোনের শাশুড়ি, স্বামী ও ভাশুর) বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মাগুরা দায়রা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
তবে মামলার রায় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিশুটির মা। তিনি এই মামলার বাদী। তিনি রায়ের পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘রায়ে হিটু শেখের ফাঁসি দিয়েছে ঠিক আছে। কিন্তু তার ছেলে সজীব কেন ছাড়া পেল? সজীবই তো ঘটনা ঘটাইছে। বাকিরা সবাই জানত। সব প্রমাণ পাওয়ার পরও আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমরা সন্তুষ্ট না। আমরা উকিলের সাথে কথা বলব। কাগজ নিয়ে ঢাকার আদালতে আপিল করব।’
মামলার বিষয়ে সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘আদালতে সব আসামির অভিযোগ অনুসারে আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিলাম। হিটু শেখের ফাঁসি দিয়েছে এতে আমরা সন্তুষ্ট, কিন্তু বাকি আসামিদের বেকসুর খালাস হওয়ায় আমরা কিছুটা অসন্তুষ্ট। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে সরকারি অপর কৌঁসুলি এহসানুল হক সমাজী জানান, মামলার রায়ে তাঁরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন।
আলোচিত এই মামলার রায় ঘিরে আদালত চত্বরে সকাল থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মামলার রায় জানতে উৎসুক জনতাও ভিড় করে আদালত প্রাঙ্গণে।
অভিযোগ গঠন বা বিচার শুরুর ২১ দিনের মাথায় আলোচিত এই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হলো। ঘটনার মাত্র দুই মাস ১১ দিনের মাথায় এই মামলার রায় হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন রাত সাড়ে ১০টায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়, ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
গত ২৭ এপ্রিল মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/ ২ ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অপরাধ), শিশুটির বোনের স্বামী ও ভাশুরকে ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশ (ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং বোনের শাশুড়ির বিরুদ্ধে ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্টের অভিযোগ) অভিযোগ গঠন করা হয়।
গত ১৩ মে মামলার শেষ যুক্তিতর্ক শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ পাওয়া বিশেষ কৌঁসুলি আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মামলায় আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মেডিকেল অ্যাভিডেন্স ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। আমরা আশা করছি, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।’
বড় বোনের বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে গত ৬ মার্চ সকালে অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়
মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় আজ শনিবার ঘোষণা করেছেন আদালত। সকাল সাড়ে ৯টায় মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে চার আসামির মধ্যে শিশুটির বোনের শ্বশুরকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাকি তিন আসামিকে (বোনের শাশুড়ি, স্বামী ও ভাশুর) বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মাগুরা দায়রা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
তবে মামলার রায় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিশুটির মা। তিনি এই মামলার বাদী। তিনি রায়ের পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘রায়ে হিটু শেখের ফাঁসি দিয়েছে ঠিক আছে। কিন্তু তার ছেলে সজীব কেন ছাড়া পেল? সজীবই তো ঘটনা ঘটাইছে। বাকিরা সবাই জানত। সব প্রমাণ পাওয়ার পরও আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমরা সন্তুষ্ট না। আমরা উকিলের সাথে কথা বলব। কাগজ নিয়ে ঢাকার আদালতে আপিল করব।’
মামলার বিষয়ে সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘আদালতে সব আসামির অভিযোগ অনুসারে আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিলাম। হিটু শেখের ফাঁসি দিয়েছে এতে আমরা সন্তুষ্ট, কিন্তু বাকি আসামিদের বেকসুর খালাস হওয়ায় আমরা কিছুটা অসন্তুষ্ট। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে সরকারি অপর কৌঁসুলি এহসানুল হক সমাজী জানান, মামলার রায়ে তাঁরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন।
আলোচিত এই মামলার রায় ঘিরে আদালত চত্বরে সকাল থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মামলার রায় জানতে উৎসুক জনতাও ভিড় করে আদালত প্রাঙ্গণে।
অভিযোগ গঠন বা বিচার শুরুর ২১ দিনের মাথায় আলোচিত এই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হলো। ঘটনার মাত্র দুই মাস ১১ দিনের মাথায় এই মামলার রায় হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন রাত সাড়ে ১০টায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়, ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
গত ২৭ এপ্রিল মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/ ২ ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অপরাধ), শিশুটির বোনের স্বামী ও ভাশুরকে ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশ (ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং বোনের শাশুড়ির বিরুদ্ধে ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্টের অভিযোগ) অভিযোগ গঠন করা হয়।
গত ১৩ মে মামলার শেষ যুক্তিতর্ক শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ পাওয়া বিশেষ কৌঁসুলি আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মামলায় আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মেডিকেল অ্যাভিডেন্স ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। আমরা আশা করছি, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।’
বড় বোনের বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে গত ৬ মার্চ সকালে অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই ১০ বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করলে সে দেশের তুরা জেলা পুলিশ তাদের আটক করে। পরে রোববার বিকেলে নাকুগাঁও আইসিপি দিয়ে তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিজিবি তাদের নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
২৩ মিনিট আগে৯৬ ঘণ্টা পর আজ (১১ আগস্ট) সকাল ৭ টা থেকে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কীর্তি নিশান চাকমা।
২৮ মিনিট আগেনিহত রুপলালের স্ত্রী ভারতী রানী বাদী হয়ে ৭০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে গতকাল রোববার দুপুরে তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেন।
৩২ মিনিট আগেচাঁদা দাবির অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে ফের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে দলটি। সোমবার (১১ আগস্ট) এনসিপি চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী (দপ্তর) আরিফ মঈনুদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি পত্রে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে