Ajker Patrika

দশটি মেধাতালিকা দিয়েও শিক্ষার্থী খুঁজে পায়নি ইবি

ইবি প্রতিনিধি
দশটি মেধাতালিকা দিয়েও শিক্ষার্থী খুঁজে পায়নি ইবি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে দশটি মেধাতালিকা দিয়েও শিক্ষার্থী খুঁজে পায়নি। ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু ইবি এখনো ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি। আজ বুধবার ভর্তির দশম মেধাতালিকার কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

এ পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৭১৫ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো খালি রয়েছে ৩০৫টি আসন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমি শাখার উপ রেজিস্ট্রার শহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান। 

জানা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তিতে গুচ্ছর অন্তর্ভুক্ত মোট ২ হাজার ২০টি আসন। গত ১১ নভেম্বর প্রথম মেধাতালিকার ভর্তি সম্পন্ন হয়। পর্যায়ক্রমে দশম ধাপের মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়ে ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে আজ। 

কয়েকটি মেধাতালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, যতই মেধাতালিকা প্রকাশ হচ্ছে ততই ভর্তি হওয়ার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে না। গণবিজ্ঞপ্তিতে যারা আবেদন করেছেন তাঁদের ভর্তির জন্য মেধাতালিকা দেওয়া হচ্ছে বারবার। কিন্তু আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছেন না। সর্বশেষ অষ্টম ও নবম মেধাতালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে ভর্তি হয়েছে ৭৭ ও ৫৮ জন শিক্ষার্থী।

আসন খালি থাকায় শিগগিরই ১১ তম মেধাতালিকা প্রকাশ করার কথা। তারপরও আসন খালি থাকলে পর্যায়ক্রমে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। 

এদিকে ভর্তি পরীক্ষার প্রায় ছয় মাসেও ভর্তি কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এই দীর্ঘসূত্রতার কারণ হিসেবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নেওয়াকে দায়ী করেছেন তাঁরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুচ্ছ পরীক্ষার তীব্র বিরোধিতা করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, ইবি এককভাবে পরীক্ষা নিলে আসন সম্পূর্ণ হয়ে যেত। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শেদ বলেন, গুচ্ছের ভর্তি প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি হতাশাজনক। শিক্ষকদের মধ্যেও এ নিয়ে হতাশা কাজ করছে। শিক্ষার্থীদের কষ্ট দূর করতে গুচ্ছ পদ্ধতি চালু হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে যে সমস্যা হচ্ছে তা হতাশাজনক।

সার্বিক ভর্তির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা জাতীয় সিদ্ধান্ত। চাইলেই আমরা বের হতে পারি না। এখন কেন শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে না। এটা পর্যালোচনা করে দেখতে হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত