শামিমুজ্জামান, খুলনা
খুলনার ভৈরব নদের বিআইডব্লিউ ঘাটে সারিবদ্ধভাবে রয়েছে ট্যুর অপারেটরদের জাহাজ। ট্যুর অপারেটররা এই জাহাজে করেই পর্যটকদের নিয়ে যান সুন্দরবনে। প্রায় ১৮ মাস এই জাহাজগুলো এভাবে থাকায় রক্ষণাবেক্ষণেও গুনতে হচ্ছে টাকা। একদিকে ব্যবসা বন্ধ অন্যদিকে রক্ষণাবেক্ষণে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়; সব মিলিয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছেন ট্যুর অপারেটররা।
দেশের পর্যটনকেন্দ্র খুললেও এখনো খোলেনি সুন্দরবন। কবে খুলবে তা-ও জানেন না ট্যুর অপারেটররা। সব মিলিয়ে ১৭ হাজার কর্মী রয়েছেন অনিশ্চয়তার মধ্যে। যদিও বন বিভাগ বলছে ১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে সুন্দরবন। তবে ট্যুর অপারেটররা এখনো কিছুই জানতে পারেননি। রয়েছেন গোলকধাঁধায়। খুলবে কি খুলবে না, তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৯ মার্চ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৭ মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে খুলে দেওয়া হয়। ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে চলতি বছরের ৩ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ। করোনা সংক্রমণরোধে পর্যায়ক্রমে এ নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়। এখনো বন্ধ রয়েছে সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্র।
এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটনের সঙ্গে জড়িত ১৭ হাজার কর্মী আর্থিক সংকটে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটনের জন্য সুন্দরবন খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে এলেও সে দাবি পূরণ হয়নি। অপরদিকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ১৯ আগস্ট থেকে পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র আসনসংখ্যার শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে এখনো সুন্দরবন খুলে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে ট্যুর অপারেট অব বাংলাদেশ (টোয়াব) সুন্দরবন-বিষয়ক কো-চেয়ারম্যান এমডি মাজহারুল ইসলাম কচি বলেন, ‘১৯ আগস্ট থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হলেও সুন্দরবনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। শুনছি আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে, তবে সে বিষয়ে এখনো আমাদের কিছুই জানায়নি বন বিভাগ।
‘তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কিছু বলছে না। আমরা রয়েছি একধরনের গোলকধাঁধায়। এদিকে দীর্ঘদিন সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ থাকায় পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কর্মীরা রয়েছেন বিপাকে। তবে পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন যেদিনই খুলে দেওয়া হোক আমরা প্রস্তুত রয়েছি। ইতিমধ্যে কর্মীদের করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আবার সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ থাকলেও সুন্দরবনে চোরা শিকারি জেলেদের প্রবেশ বন্ধ ছিল না।’
এ ব্যাপারে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিড বলেন, ‘প্রায় দুই বছর বনে আমরা যাই না, সে ক্ষেত্রে কি বন সম্পূর্ণভাবে রক্ষা পেয়েছে? আমার তো মনে হয় আরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। চোরা শিকারিরা ঠিকই সক্রিয়। বিষ দিয়ে মাছ শিকার হচ্ছে। অথচ আমরা যদি যেতাম, তাহলে ওই সব শিকারির জন্য আরও বেশি সমস্যা হতো। আমাদের দেখে তারা পালিয়ে যেত। সাহস পেত না। কিন্তু এখন নির্বিঘ্নে কাজ করছে।’ তিনি দ্রুত পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সাধারণত জুলাই-আগস্ট মাছের প্রজনন মৌসুম। তবে এবার জুন মাস থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ শিকার ও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর থেকে মাছ শিকারের জন্য পাস পারমিট দেওয়া হবে।
খুলনা আঞ্চলিক বন সংরক্ষক মিহির কুমার বলেন, সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ হয়েছিল পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ১ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তখন ৫০ শতাংশ পর্যটক বনে প্রবেশ করতে পারবেন।
খুলনার ভৈরব নদের বিআইডব্লিউ ঘাটে সারিবদ্ধভাবে রয়েছে ট্যুর অপারেটরদের জাহাজ। ট্যুর অপারেটররা এই জাহাজে করেই পর্যটকদের নিয়ে যান সুন্দরবনে। প্রায় ১৮ মাস এই জাহাজগুলো এভাবে থাকায় রক্ষণাবেক্ষণেও গুনতে হচ্ছে টাকা। একদিকে ব্যবসা বন্ধ অন্যদিকে রক্ষণাবেক্ষণে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়; সব মিলিয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছেন ট্যুর অপারেটররা।
দেশের পর্যটনকেন্দ্র খুললেও এখনো খোলেনি সুন্দরবন। কবে খুলবে তা-ও জানেন না ট্যুর অপারেটররা। সব মিলিয়ে ১৭ হাজার কর্মী রয়েছেন অনিশ্চয়তার মধ্যে। যদিও বন বিভাগ বলছে ১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে সুন্দরবন। তবে ট্যুর অপারেটররা এখনো কিছুই জানতে পারেননি। রয়েছেন গোলকধাঁধায়। খুলবে কি খুলবে না, তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৯ মার্চ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৭ মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে খুলে দেওয়া হয়। ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে চলতি বছরের ৩ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ। করোনা সংক্রমণরোধে পর্যায়ক্রমে এ নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়। এখনো বন্ধ রয়েছে সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্র।
এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটনের সঙ্গে জড়িত ১৭ হাজার কর্মী আর্থিক সংকটে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটনের জন্য সুন্দরবন খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে এলেও সে দাবি পূরণ হয়নি। অপরদিকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ১৯ আগস্ট থেকে পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র আসনসংখ্যার শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে এখনো সুন্দরবন খুলে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে ট্যুর অপারেট অব বাংলাদেশ (টোয়াব) সুন্দরবন-বিষয়ক কো-চেয়ারম্যান এমডি মাজহারুল ইসলাম কচি বলেন, ‘১৯ আগস্ট থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হলেও সুন্দরবনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। শুনছি আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে, তবে সে বিষয়ে এখনো আমাদের কিছুই জানায়নি বন বিভাগ।
‘তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কিছু বলছে না। আমরা রয়েছি একধরনের গোলকধাঁধায়। এদিকে দীর্ঘদিন সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ থাকায় পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কর্মীরা রয়েছেন বিপাকে। তবে পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন যেদিনই খুলে দেওয়া হোক আমরা প্রস্তুত রয়েছি। ইতিমধ্যে কর্মীদের করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আবার সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ থাকলেও সুন্দরবনে চোরা শিকারি জেলেদের প্রবেশ বন্ধ ছিল না।’
এ ব্যাপারে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিড বলেন, ‘প্রায় দুই বছর বনে আমরা যাই না, সে ক্ষেত্রে কি বন সম্পূর্ণভাবে রক্ষা পেয়েছে? আমার তো মনে হয় আরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। চোরা শিকারিরা ঠিকই সক্রিয়। বিষ দিয়ে মাছ শিকার হচ্ছে। অথচ আমরা যদি যেতাম, তাহলে ওই সব শিকারির জন্য আরও বেশি সমস্যা হতো। আমাদের দেখে তারা পালিয়ে যেত। সাহস পেত না। কিন্তু এখন নির্বিঘ্নে কাজ করছে।’ তিনি দ্রুত পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সাধারণত জুলাই-আগস্ট মাছের প্রজনন মৌসুম। তবে এবার জুন মাস থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ শিকার ও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর থেকে মাছ শিকারের জন্য পাস পারমিট দেওয়া হবে।
খুলনা আঞ্চলিক বন সংরক্ষক মিহির কুমার বলেন, সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ হয়েছিল পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ১ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তখন ৫০ শতাংশ পর্যটক বনে প্রবেশ করতে পারবেন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিন-রাত চলছে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু তোলার কাজ। বিশেষ করে উপজেলার সাঁও, চাওয়াই ও করতোয়া নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে নির্বিচারে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে এবং আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙনের। নদীর দুই তীর, ফসলি জম
৪ ঘণ্টা আগেচলমান সংস্কারের আওতায় অঙ্গীভূত আনসারদের সুনির্দিষ্টকরনের মাধ্যমে উপজেলা আনসার কোম্পানির প্রশিক্ষণ ধারণাকে ঢেলে সাজিয়ে একটি জাতীয় নিরাপত্তা প্লাটফর্মে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
৫ ঘণ্টা আগেজনবলসহ বিভিন্ন সংকটে ভুগছে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল। জেলার ২০ লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবার এই কেন্দ্রটিতে প্রয়োজনের চেয়ে কয়েক গুণ কম চিকিৎসক, কর্মচারী আছেন। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা।
৫ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বরপা মীরাবাড়ির বাসিন্দা আসাদ ভূঁইয়া (৪৫)। কাজ করতেন স্থানীয় এক ওয়ার্কশপে। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সংসার চালিয়ে যাচ্ছিলেন কোনোরকমে। গত বছরের ২৫ আগস্ট রূপসী মোড়ে গাজী টায়ার্স কারখানায় লুটপাট ও মারামারি শুরু হলে হাজারো
৫ ঘণ্টা আগে