ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল থেকে যশোরের চাঁচড়ার দূরত্ব ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার। এ মহাসড়ক ধরে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মালবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন বেনাপোল ও দর্শনা স্থলবন্দর, মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ দক্ষিণের জেলায় যাতায়াত করে। খুলনার সঙ্গে রাজশাহীর যোগাযোগের একমাত্র সড়কপথও এটি। অথচ মহাসড়কটি বেহাল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কটির ঝিনাইদহ অংশের ২৭ কিলোমিটারের অধিকাংশ স্থানে পিচ-পাথর উঠে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এসব স্থানে ইটের সলিং করে কোনোরকমে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে রাখা হয়েছে। একই অবস্থা যশোর অংশের ২০ কিলোমিটারেও। মহাসড়কের এই দুরবস্থার কারণে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল থেকে যশোরের চাঁচড়া পর্যন্ত ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার সড়ক উইকেয়ার প্রকল্পের আওতায় ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলমান। এ প্রকল্পে সড়কটি লট-১, ২ ও ৩—এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ থেকে সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প উইকেয়ারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১ সালে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো ছয় লেনের এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারায় প্রথম দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। এরপর চলতি বছরের জুন মাসে প্রকল্পের মেয়াদ ৬ মাস বাড়িয়ে সংশোধন প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় সওজ। এতে জমি অধিগ্রহণ ব্যয় ৩ গুণ বাড়িয়ে ২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ কারণে রাস্তার কাজে ধীরগতি দেখা দিয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এ মহাসড়কের ঝিনাইদহের অংশে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থান ভেঙে গেছে। বিষয়খালী এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে ইটের সলিং দেওয়া রয়েছে। বাকি সড়কের বেশির ভাগ স্থানে ঝুঁকি নিয়ে হেলেদুলে চলছে গাড়ি।
স্থানীয়রা বলেন, প্রায় আট মাস সড়কটির এই অবস্থা। ঠিকাদারেরা কিছু স্থানে ইট বিছিয়ে দিয়েছে, তবুও চলাচলের উপযোগী হচ্ছে না। বড় গাড়িগুলো সড়কে চলাচল করলেও গর্তে পড়ে মাঝেমধ্যেই বিকল হয়ে যাচ্ছে।
কুষ্টিয়া থেকে খুলনা যাতায়াতকারী গড়াই পরিবহনের চালক লাল্টু মিয়া বলেন, সড়ক ভাঙা ও গর্ত থাকায় সময়মতো গন্তব্যে যাওয়া যায় না। প্রায় প্রতিদিনই কমবেশি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার বাসিন্দা বসির উদ্দীন বলেন, ‘ভাঙা তো আছেই, সঙ্গে ধুলার যন্ত্রণা। সারা দিনে ঘরবাড়িসহ সবকিছুতে ধুলার স্তর পড়ে যায়। রাস্তায় পানি দেওয়ার কথা থাকলেও নামমাত্র পানি দিচ্ছে। মাসের পর মাস আমরা এভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছি।’
ইজিবাইকচালক ইমন জোয়ারদার বলেন, ‘যাত্রী নিয়ে চলতে গিয়ে কষ্ট হয়। গর্তে পড়লে মনে হয় গাড়ি উল্টে গেল, ভয় করে।
টায়ার ও গাড়ি তো নষ্ট হচ্ছেই প্রতিনিয়ত।’ এ বিষয়ে সওজের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। এখন মহাসড়কটির ছয় লেনে উন্নীতকরণ কাজ শুরু হয়েছে। এটি একটি প্রকল্পের আওতায় চলে গেছে। এখানে আমাদের পক্ষ থেকে নতুন করে কিছু করার নেই।’
ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের উইকেয়ার ফেজ-১-এর উপপ্রকল্প ব্যবস্থাপক-১ নিলন আলী বলেন, ‘পানির সংস্পর্শে এলে বিটুমিনাস সারফেস নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে বর্ষায় রাস্তা সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। যেখানে বেশি সমস্যা ছিল, সেখানে ইট বিছিয়ে দেওয়া হয়। এখন বৃষ্টি নেই; অল্প কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তার সংস্কারকাজ শুরু হবে। তা ছাড়া রাস্তার পাশের জমি এখনো অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়নি। ছয় লেনের সড়কের জন্য আমরা এখনো জমি পুরোপুরি বুঝে পাইনি। এ জন্য কাজে ধীরগতি রয়েছে।’
ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল থেকে যশোরের চাঁচড়ার দূরত্ব ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার। এ মহাসড়ক ধরে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মালবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন বেনাপোল ও দর্শনা স্থলবন্দর, মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ দক্ষিণের জেলায় যাতায়াত করে। খুলনার সঙ্গে রাজশাহীর যোগাযোগের একমাত্র সড়কপথও এটি। অথচ মহাসড়কটি বেহাল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কটির ঝিনাইদহ অংশের ২৭ কিলোমিটারের অধিকাংশ স্থানে পিচ-পাথর উঠে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এসব স্থানে ইটের সলিং করে কোনোরকমে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে রাখা হয়েছে। একই অবস্থা যশোর অংশের ২০ কিলোমিটারেও। মহাসড়কের এই দুরবস্থার কারণে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল থেকে যশোরের চাঁচড়া পর্যন্ত ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার সড়ক উইকেয়ার প্রকল্পের আওতায় ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলমান। এ প্রকল্পে সড়কটি লট-১, ২ ও ৩—এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ থেকে সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প উইকেয়ারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১ সালে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো ছয় লেনের এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারায় প্রথম দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। এরপর চলতি বছরের জুন মাসে প্রকল্পের মেয়াদ ৬ মাস বাড়িয়ে সংশোধন প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় সওজ। এতে জমি অধিগ্রহণ ব্যয় ৩ গুণ বাড়িয়ে ২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ কারণে রাস্তার কাজে ধীরগতি দেখা দিয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এ মহাসড়কের ঝিনাইদহের অংশে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থান ভেঙে গেছে। বিষয়খালী এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে ইটের সলিং দেওয়া রয়েছে। বাকি সড়কের বেশির ভাগ স্থানে ঝুঁকি নিয়ে হেলেদুলে চলছে গাড়ি।
স্থানীয়রা বলেন, প্রায় আট মাস সড়কটির এই অবস্থা। ঠিকাদারেরা কিছু স্থানে ইট বিছিয়ে দিয়েছে, তবুও চলাচলের উপযোগী হচ্ছে না। বড় গাড়িগুলো সড়কে চলাচল করলেও গর্তে পড়ে মাঝেমধ্যেই বিকল হয়ে যাচ্ছে।
কুষ্টিয়া থেকে খুলনা যাতায়াতকারী গড়াই পরিবহনের চালক লাল্টু মিয়া বলেন, সড়ক ভাঙা ও গর্ত থাকায় সময়মতো গন্তব্যে যাওয়া যায় না। প্রায় প্রতিদিনই কমবেশি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার বাসিন্দা বসির উদ্দীন বলেন, ‘ভাঙা তো আছেই, সঙ্গে ধুলার যন্ত্রণা। সারা দিনে ঘরবাড়িসহ সবকিছুতে ধুলার স্তর পড়ে যায়। রাস্তায় পানি দেওয়ার কথা থাকলেও নামমাত্র পানি দিচ্ছে। মাসের পর মাস আমরা এভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছি।’
ইজিবাইকচালক ইমন জোয়ারদার বলেন, ‘যাত্রী নিয়ে চলতে গিয়ে কষ্ট হয়। গর্তে পড়লে মনে হয় গাড়ি উল্টে গেল, ভয় করে।
টায়ার ও গাড়ি তো নষ্ট হচ্ছেই প্রতিনিয়ত।’ এ বিষয়ে সওজের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। এখন মহাসড়কটির ছয় লেনে উন্নীতকরণ কাজ শুরু হয়েছে। এটি একটি প্রকল্পের আওতায় চলে গেছে। এখানে আমাদের পক্ষ থেকে নতুন করে কিছু করার নেই।’
ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের উইকেয়ার ফেজ-১-এর উপপ্রকল্প ব্যবস্থাপক-১ নিলন আলী বলেন, ‘পানির সংস্পর্শে এলে বিটুমিনাস সারফেস নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে বর্ষায় রাস্তা সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। যেখানে বেশি সমস্যা ছিল, সেখানে ইট বিছিয়ে দেওয়া হয়। এখন বৃষ্টি নেই; অল্প কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তার সংস্কারকাজ শুরু হবে। তা ছাড়া রাস্তার পাশের জমি এখনো অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়নি। ছয় লেনের সড়কের জন্য আমরা এখনো জমি পুরোপুরি বুঝে পাইনি। এ জন্য কাজে ধীরগতি রয়েছে।’
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীদের নিরাপদে বিচরণের জন্য ২০২৩ সালে ট্রেন ও সড়কপথে যানবাহনের গতিসীমা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। কেউই তা মেনে চলছে না।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
৩ ঘণ্টা আগেনগদ টাকার সঙ্গে ঘুষ হিসেবে ঘুমানোর জন্য খাট নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হুদা তালুকদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ঘুষ আদায় করতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট।
৪ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের অনুসারীরা ২০ জুন বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। তারই জের ধরে ২১ জুন রাতে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে আব্দুল কুদ্দুসকে (৬০) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে