Ajker Patrika

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর

প্রকল্পভুক্ত না থাকায় রপ্তানিবঞ্চিত আম

  • এ বছর আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৩০০ হেক্টরে
  • এখানকার আম প্রকল্পের আওতায় না থাকায় রপ্তানি হচ্ছে না
  • ভবিষ্যতে প্রকল্পভুক্ত করা হবে: কৃষি অধিদপ্তর
কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি 
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বাগানে আম পরিচর্যা করছেন এক চাষি। সম্প্রতি উপজেলার সলেমানপুর গ্রামে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বাগানে আম পরিচর্যা করছেন এক চাষি। সম্প্রতি উপজেলার সলেমানপুর গ্রামে। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে আম উৎপাদনের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঞ্চল হিসেবে খ্যাত ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর। এখানে অনেক নামী জাতের আম চাষ হচ্ছে, যা কয়েকবার বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এই ফল রপ্তানিযোগ্য করতে স্থানীয় চাষিরা উৎপাদনে ব্যবহার করছেন ব্যাগ ও গ্যাপ পদ্ধতি। কিন্তু এখন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের আওতাভুক্ত না থাকায় এখানকার আম রপ্তানি করা যাচ্ছে না।

চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোটচাঁদপুরে উন্নত জাতের মধ্যে হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, গোবিন্দ, বানানা, হাঁড়িভাঙ্গা, কাটিমন, বারি ৩ ও ৪, বিশ্বনাথ এবং মল্লিকা আম চাষ করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিদেশে রপ্তানির উদ্দেশ্যে বানানা, কাটিমন, হিমসাগর ও আম্রপালি ব্যাগ ও গ্যাপ পদ্ধতিতে চাষ করছেন চাষিরা।

চার বছর আগে আব্দুল আজিজ কোটচাঁদপুরে ব্যাগ পদ্ধতিতে আমের চাষ শুরু করেন। এখন তাঁকে অনুসরণ করে অন্য চাষিরা ব্যাগে আম চাষ শুরু করেছেন। এ বছর তাঁরা প্রায় ৫০ হাজার ব্যাগে আম চাষ করেছেন। এ ছাড়া গ্যাপ পদ্ধতি অনুসরণ করেও চাষ করা হচ্ছে আম। এতে করে ১০০-১৫০ টন আম এখান থেকে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আমচাষি আবুল হোসেন। তিনি এ বছর ১০ বিঘা জমিতে আমের চাষ করেছেন। এর মধ্যে ২ টন হিমসাগর আর ১০ টন আম্রপালি রপ্তানিযোগ্য করে ব্যাগ ও গ্যাপ পদ্ধতিতে চাষ করা হয়েছে।

আবুল হোসেন বলেন, যদি আমের ব্যাগপ্রতি ১ টাকা ব্যয় হয়, তারপরও বাজারের আমের তুলনায় কেজিতে ৫০-৮০ টাকা দামে ব্যবধান থাকে এই আমের। ব্যাগের আম প্রাকৃতিক এবং বিষ ও পোকামুক্ত হয়। এ জন্য বাজারে চাহিদাও ভালো। এই আম যদি বিদেশে পাঠানো যেত, তাহলে চাষিরা অনেক বেশি লাভবান হতেন। সরকারও লাভবান হতো।

এ নিয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এ বছর আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৩০০ হেক্টরে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি। আমি শুনেছিলাম এক-দুবার ক্রেতাদের মাধ্যমে বিদেশে আম রপ্তানি করা হয়েছিল কোটচাঁদপুর থেকে। এরপর আর রপ্তানি করা হয়নি। এ বছর কথাবার্তা চলছে ক্রেতাদের সঙ্গে।

তাঁরা আমাদের আম্রপালি কিনবেন বলে জানিয়েছেন।’

যোগাযোগ করা হলে ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ষষ্ঠী চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি বাজারে ঘুরে দেখলাম অনেক ভালো আম হয় এখানে। তবে আম রপ্তানিতে কিছু কাজ আছে, সেগুলো করতে হবে। বিদেশে আম রপ্তানির জন্য “রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প” আছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের আম বিদেশে রপ্তানি করা হয়। ইতিমধ্যে এ বছর ওই প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ টন আম চীনে রপ্তানি করা হয়েছে। আমাদের আম ওই প্রকল্পের আওতায় না থাকায় রপ্তানি হচ্ছে না। ভবিষ্যতে প্রকল্পভুক্ত করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি বাসভবনে একাই থাকতেন শরীয়তপুরের ডিসি, পরিবার থাকত ঢাকায়

স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে ফাঁস দিলেন স্ত্রী

‘তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস’ বলেই জুলাই যোদ্ধাকে মারধর

ইরানে ভূমিকম্প নিয়ে পারমাণবিক পরীক্ষার জল্পনা, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

বুশেহরে হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে ‘ফুকুশিমা’ ঘটতে পারে, বিশ্লেষকদের হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত