কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেন এক নারী। তবে পুলিশ অভিযোগের তদন্ত করে থানায় ফেরার আগেই ওই নারীকে আবারও পিটিয়ে আহত করেছেন অভিযুক্তরা। গত ২৮ মার্চ বিকেলে কোটচাঁদপুরের হাড়ভাঙ্গা বিদ্যাধরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে ভুক্তভোগী তাসলিমা খাতুন স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগী তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘গত ২৫ মার্চ আমাদের বাড়িতে ঢিল ছোড়ে খায়রুলের ছেলে ইসরাফিল হোসেন। এই কথা জিজ্ঞেস করায় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের নির্দেশে ইয়ারুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, তাসলিমা, কল্পনা, পাখি দলবেঁধে এসে আমাকে মারতে থাকে। এ সময় আমার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে তাঁরা আমাকে ছেড়ে দেয়।’
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘‘তাঁদের মূলত রাগ গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা নৌকার পক্ষে ভোট করেছিলাম। আর তাঁরা ভোট করেছিল ট্রাক মার্কায়। সেই থেকে তাঁরা আমাদের ভালো চোখে দেখে না। বিভিন্ন সময় তাঁরা হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। সেদিন সামান্য ঘটনা নিয়ে তাঁরা আমাকে মারপিট করেন। এ ঘটনায় গত ২৫ মার্চ কোটচাঁদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। ২৮ মার্চ ওই অভিযোগের তদন্ত করতে আসে পুলিশ।
‘‘তদন্ত করে পুলিশ থানায় যাবার আগেই তাঁরা দলবেঁধে এসে আবারও আমাকে মারপিট করতে থাকে। এতে আমি গুরুতর আহত হয়ে পড়ি। এ সময় স্থানীয়রা আমাকে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। ওই ঘটনায় আমার স্বামী বাবলু রহমান বাদি হয়ে থানায় আবারও একটা জিডি করেছেন।’’
তাসলিমা খাতুনের স্বামী বাবলু রহমান বলেন, ‘তাঁদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ ভোটকে কেন্দ্র করে। আমরা নৌকার পক্ষে ভোট করায় তাঁরা বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। মারার কোনো সুযোগ পাচ্ছিল না। সেদিন সামান্য ঢিল ছোড়ার কথা জিজ্ঞেস করতেই তাঁরা আমার স্ত্রীকে এভাবে মেরে আহত করেছেন।’
ঘটনাটি নিয়ে থানায় জিডি করলেও এখনো তাঁরা হুমকি-ধামকি দিয়েই যাচ্ছে। অন্যদিকে তাদের হাতে মার খেয়ে আমার স্ত্রী এখনও গুরুতর অসুস্থ্য রয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
এ বিষয়ে বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই মহিলা আমাদের জায়গায় দখল করে বসবাস করেন। জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে চলে আসার পর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় আমাদের বাড়ির লোকজন পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। গালিগালাজের এক পর্যায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে আমরা কেউ তাঁকে মারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মূলত তাঁরা এখন আমাদের জায়গাটা ছাড়বে না। এ কারণে মামলা দিয়ে ঘটনাটি ভিন্ন দিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ওই মহিলা বেশ খারাপ। আমাদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আবার আদালতও মামলা করেছেন ওই নারী।’
কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল-মামুন বলেন, ‘ওই ঘটনায় থানায় একটা অভিযোগ ও একটা জিডি করেছেন ভুক্তভোগী। এর মধ্যে জিডিটি আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত আমাদের আদেশ দেবেন। এরপর আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেন এক নারী। তবে পুলিশ অভিযোগের তদন্ত করে থানায় ফেরার আগেই ওই নারীকে আবারও পিটিয়ে আহত করেছেন অভিযুক্তরা। গত ২৮ মার্চ বিকেলে কোটচাঁদপুরের হাড়ভাঙ্গা বিদ্যাধরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে ভুক্তভোগী তাসলিমা খাতুন স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগী তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘গত ২৫ মার্চ আমাদের বাড়িতে ঢিল ছোড়ে খায়রুলের ছেলে ইসরাফিল হোসেন। এই কথা জিজ্ঞেস করায় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের নির্দেশে ইয়ারুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, তাসলিমা, কল্পনা, পাখি দলবেঁধে এসে আমাকে মারতে থাকে। এ সময় আমার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে তাঁরা আমাকে ছেড়ে দেয়।’
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘‘তাঁদের মূলত রাগ গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা নৌকার পক্ষে ভোট করেছিলাম। আর তাঁরা ভোট করেছিল ট্রাক মার্কায়। সেই থেকে তাঁরা আমাদের ভালো চোখে দেখে না। বিভিন্ন সময় তাঁরা হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। সেদিন সামান্য ঘটনা নিয়ে তাঁরা আমাকে মারপিট করেন। এ ঘটনায় গত ২৫ মার্চ কোটচাঁদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। ২৮ মার্চ ওই অভিযোগের তদন্ত করতে আসে পুলিশ।
‘‘তদন্ত করে পুলিশ থানায় যাবার আগেই তাঁরা দলবেঁধে এসে আবারও আমাকে মারপিট করতে থাকে। এতে আমি গুরুতর আহত হয়ে পড়ি। এ সময় স্থানীয়রা আমাকে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। ওই ঘটনায় আমার স্বামী বাবলু রহমান বাদি হয়ে থানায় আবারও একটা জিডি করেছেন।’’
তাসলিমা খাতুনের স্বামী বাবলু রহমান বলেন, ‘তাঁদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ ভোটকে কেন্দ্র করে। আমরা নৌকার পক্ষে ভোট করায় তাঁরা বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। মারার কোনো সুযোগ পাচ্ছিল না। সেদিন সামান্য ঢিল ছোড়ার কথা জিজ্ঞেস করতেই তাঁরা আমার স্ত্রীকে এভাবে মেরে আহত করেছেন।’
ঘটনাটি নিয়ে থানায় জিডি করলেও এখনো তাঁরা হুমকি-ধামকি দিয়েই যাচ্ছে। অন্যদিকে তাদের হাতে মার খেয়ে আমার স্ত্রী এখনও গুরুতর অসুস্থ্য রয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
এ বিষয়ে বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই মহিলা আমাদের জায়গায় দখল করে বসবাস করেন। জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে চলে আসার পর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় আমাদের বাড়ির লোকজন পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। গালিগালাজের এক পর্যায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে আমরা কেউ তাঁকে মারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মূলত তাঁরা এখন আমাদের জায়গাটা ছাড়বে না। এ কারণে মামলা দিয়ে ঘটনাটি ভিন্ন দিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ওই মহিলা বেশ খারাপ। আমাদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আবার আদালতও মামলা করেছেন ওই নারী।’
কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল-মামুন বলেন, ‘ওই ঘটনায় থানায় একটা অভিযোগ ও একটা জিডি করেছেন ভুক্তভোগী। এর মধ্যে জিডিটি আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত আমাদের আদেশ দেবেন। এরপর আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহিয়া। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেল তাঁকে উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার...
৩১ মিনিট আগেমালিকদের সব রকম অপকৌশল ও চাতুরতা সম্পর্কে শ্রমিকেরা সজাগ, সতর্ক ও সচেতন। মহান মে দিবসের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের শিবচরে নিজের ১৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলেকে আড়িয়াল খাঁ নদে ফেলে দিয়েছেন এক মা। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের হাজি শরীয়তুল্লাহ সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবন্ধী ছেলের বোঝা বইতে না পেরে ছেলেকে নদে ফেলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই নারী।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর সদর উপজেলায় মাদ্রাসা থেকে জোবায়ের ইবনে জিদান (১২) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, মাদ্রাসার শিক্ষকেরা নির্যাতনে জিদানকে হত্যা করে লাশ শৌচাগারে ঝুলিয়ে রেখেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহব্বতপুর কাঞ্চন মেম্বারের পোল
১ ঘণ্টা আগে