জাহিদ হাসান, যশোর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরের পরাজিত দুই হেভিওয়েট প্রার্থী রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করছেন। উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার সদরের আর যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের সাবেক সংসদ প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য নিজ উপজেলার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। দুজনেই উপজেলা নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থী দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে স্বপনের প্রার্থী আমজাদ হোসেন লাভলু বিজয়ী হয়েছেন। তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে আনন্দমিছিলের নামে শক্তির মহড়াও দিয়েছেন।
অন্যদিকে, সদর ছেড়ে কেশবপুরের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর গত তিন বছর সদরের রাজনীতিতে আধিপত্যে ভাটা পড়ে শাহীনের। সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আবার তিনি মনোনিবেশ করেছেন সদরের রাজনীতিতে। চাচাতো ভাই তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারে বসাতে চান তিনি। নিজ প্রার্থীকে জেতানোর মাধ্যমে সদরের রাজনীতিতে আধিপত্য প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা শাহীনের।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, শাহীন চাকলাদার ও স্বপন ভট্টাচার্য—দুজনেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েও পরাজিত হন। পরাজিত হয়ে দুই হেভিওয়েট নেতার রাজনীতিতে ভাটা পড়ে।
জানা গেছে, স্বপন ভট্টাচার্য পরাজিত হন জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি এস এম ইয়াকুব আলীর কাছে। নতুন মুখের কাছে এই হেভিওয়েট প্রতিমন্ত্রী ধরাশায়ী হওয়ার পর উপজেলার রাজনীতি অনেকটা একপেশে হয়ে যায়। পরে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ বেছে নেন উপজেলা নির্বাচনে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে স্বপন ভট্টাচার্য উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলুকে সমর্থন করেন। অন্যদিকে বর্তমান এমপি ইয়াকুব আলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেনকে সমর্থন করেন। নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বিজয়ী হন লাভলু। নির্বাচনের এক দিন পরেই উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীদের সমাগম ঘটিয়ে বিজয় মিছিল ও সমাবেশ করেন স্বপন ভট্টাচার্য। এটি বিজয় মিছিল নামে তাঁর শক্তির মহড়া এবং মধুর প্রতিশোধ উদ্যাপন বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা।
পরাজিত হওয়ার পরে রাজনীতিতে ভাটা পড়েনি দাবি করে স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘পরাজিত হয়েও নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলাম। নেতা-কর্মীরাও পাশে ছিলেন। এখনো উপজেলায় আমার জনপ্রিয়তা রয়েছে, নেতা-কর্মীও রয়েছেন। নিজেদের ভেতর নির্বাচন হওয়ায় দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং হচ্ছে, থাকবে। কিন্তু জনগণের সমর্থন কোন দিকে, সেটাই মূল বিষয়।’
এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আজিজুল ইসলামের কাছে পরাজিত হওয়ার পর কেশবপুরে দলীয় কর্মসূচিতে তেমন একটা দেখা যায়নি শাহীন চাকলাদারকে। কেশবপুরের রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তিনি। তবে এখন পুরোদমে সদরের রাজনীতিতে মনোনিবেশ তাঁর।
নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, সদরে শাহীনের বেশ প্রভাব রয়েছে, রয়েছে অনেক অনুসারী। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের সঙ্গে এই উপজেলার টানা তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে কেশবপুরের সংসদ সদস্য হওয়ার পর সদরের রাজনীতিতে কিছুটা আলগা হয়ে গিয়েছিলেন। তাই এখন আবারও সদরের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করতে চান তিনি। তারই প্রথম ধাপ হিসেবে উপজেলায় বসাতে চান চাচাতো ভাই তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে। তবে শাহীনের সদরে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টায় ছাড় দিতে নারাজ যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বিপুলকে সমর্থন দিয়েছেন।
শাহীন চাকলাদার বলেন, ‘কেশবপুর আওয়ামী লীগে অনৈক্য। তাই ওখানে আর যাইনি। সদর ছেড়ে কেশবপুরে চলে যাওয়ায় সদরে দলের সাংগঠনিক গতিশীলতা নেই বললেই চলে। তাই সংগঠনকে গতিশীল করতে কাজ করছি।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরের পরাজিত দুই হেভিওয়েট প্রার্থী রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করছেন। উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার সদরের আর যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের সাবেক সংসদ প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য নিজ উপজেলার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। দুজনেই উপজেলা নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থী দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে স্বপনের প্রার্থী আমজাদ হোসেন লাভলু বিজয়ী হয়েছেন। তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে আনন্দমিছিলের নামে শক্তির মহড়াও দিয়েছেন।
অন্যদিকে, সদর ছেড়ে কেশবপুরের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর গত তিন বছর সদরের রাজনীতিতে আধিপত্যে ভাটা পড়ে শাহীনের। সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আবার তিনি মনোনিবেশ করেছেন সদরের রাজনীতিতে। চাচাতো ভাই তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারে বসাতে চান তিনি। নিজ প্রার্থীকে জেতানোর মাধ্যমে সদরের রাজনীতিতে আধিপত্য প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা শাহীনের।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, শাহীন চাকলাদার ও স্বপন ভট্টাচার্য—দুজনেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েও পরাজিত হন। পরাজিত হয়ে দুই হেভিওয়েট নেতার রাজনীতিতে ভাটা পড়ে।
জানা গেছে, স্বপন ভট্টাচার্য পরাজিত হন জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি এস এম ইয়াকুব আলীর কাছে। নতুন মুখের কাছে এই হেভিওয়েট প্রতিমন্ত্রী ধরাশায়ী হওয়ার পর উপজেলার রাজনীতি অনেকটা একপেশে হয়ে যায়। পরে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ বেছে নেন উপজেলা নির্বাচনে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে স্বপন ভট্টাচার্য উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলুকে সমর্থন করেন। অন্যদিকে বর্তমান এমপি ইয়াকুব আলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেনকে সমর্থন করেন। নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বিজয়ী হন লাভলু। নির্বাচনের এক দিন পরেই উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীদের সমাগম ঘটিয়ে বিজয় মিছিল ও সমাবেশ করেন স্বপন ভট্টাচার্য। এটি বিজয় মিছিল নামে তাঁর শক্তির মহড়া এবং মধুর প্রতিশোধ উদ্যাপন বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা।
পরাজিত হওয়ার পরে রাজনীতিতে ভাটা পড়েনি দাবি করে স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘পরাজিত হয়েও নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলাম। নেতা-কর্মীরাও পাশে ছিলেন। এখনো উপজেলায় আমার জনপ্রিয়তা রয়েছে, নেতা-কর্মীও রয়েছেন। নিজেদের ভেতর নির্বাচন হওয়ায় দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং হচ্ছে, থাকবে। কিন্তু জনগণের সমর্থন কোন দিকে, সেটাই মূল বিষয়।’
এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আজিজুল ইসলামের কাছে পরাজিত হওয়ার পর কেশবপুরে দলীয় কর্মসূচিতে তেমন একটা দেখা যায়নি শাহীন চাকলাদারকে। কেশবপুরের রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তিনি। তবে এখন পুরোদমে সদরের রাজনীতিতে মনোনিবেশ তাঁর।
নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, সদরে শাহীনের বেশ প্রভাব রয়েছে, রয়েছে অনেক অনুসারী। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের সঙ্গে এই উপজেলার টানা তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে কেশবপুরের সংসদ সদস্য হওয়ার পর সদরের রাজনীতিতে কিছুটা আলগা হয়ে গিয়েছিলেন। তাই এখন আবারও সদরের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করতে চান তিনি। তারই প্রথম ধাপ হিসেবে উপজেলায় বসাতে চান চাচাতো ভাই তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে। তবে শাহীনের সদরে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টায় ছাড় দিতে নারাজ যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বিপুলকে সমর্থন দিয়েছেন।
শাহীন চাকলাদার বলেন, ‘কেশবপুর আওয়ামী লীগে অনৈক্য। তাই ওখানে আর যাইনি। সদর ছেড়ে কেশবপুরে চলে যাওয়ায় সদরে দলের সাংগঠনিক গতিশীলতা নেই বললেই চলে। তাই সংগঠনকে গতিশীল করতে কাজ করছি।’
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৪ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৪ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৪ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৪ ঘণ্টা আগে