বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস পালের বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূতভাবে দরপত্র আহ্বান ও পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলা পরিষদের নীতিমালা উপেক্ষা করে নিজে দরপত্র আহ্বান করে চার ঠিকাদারের অনুকূলে ৩০ লাখ টাকার অধিক কার্যাদেশ দিয়েছেন। দরপত্র দাখিলের শেষ সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগে উপজেলা প্রশাসনের নোটিশ বোর্ডে ওই কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
এসব অনিয়মের বিষয়ে তদন্তের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মো. রফিকুল ইসলাম মোল্লা নামের এক ঠিকাদার। ইতিমধ্যে বিষয়টি আমলে নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এমন অবস্থায় কার্যাদেশ চারটি বাতিল করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন কার্যালয় ও বাসভবন মেরামত, সংস্কারসহ বিভিন্ন কাজের জন্য চলতি বছরের ৯ মার্চ ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর প্রায় দুই মাস পর চারটি দরপত্র আহ্বান করা হয়।
অভিযোগকারী রফিকুল জানান, ৮ মে দরপত্র আহ্বানের তারিখ দেখানো হলেও কোনো পত্রিকায় এই দরপত্র প্রকাশ করা হয়নি। ১৪ মে বেলা ১১টা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের নোটিশ বোর্ডে ওই দরপত্র আহ্বানের নোটিশ টাঙানো হয়নি।
রফিকুল বলেন, ‘আমি নিয়মিত উপজেলা প্রশাসনের নোটিশ বোর্ড দেখি। ১৪ মে বেলা ১১টার সময়ও আমি নোটিশ বোর্ডে কোনো নোটিশ পাইনি। পরে এদিন ১টার সময় বোর্ডে ওই চারটি নোটিশ প্রদর্শন করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে দেড়টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে যাই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিএর (প্রধান সহকারী) কাছে দরপত্র ক্রয় করতে গেলে তিনি বলেন, ওই কাজের কোনো দরপত্র নেই। কী কাজ, কত টাকায় করতে হবে, তা উল্লেখ না থাকলে কীভাবে দরপত্রে অংশগ্রহণ করব, এমন প্রশ্ন করলে সিএ আমাকে বলেন, “এটা স্যার (ইউএনও) জানেন।”’
এদিকে ১৫ মে চারটি দরপত্রের বিপরীতে চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কার্যাদেশ দেন ইউএনও তাপস। এতে দেখা যায়, প্রথম দরপত্রে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসকক্ষ ও উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অফিসকক্ষ সংস্কার ও মেরামত এবং ইউএনওর বাসভবন (দ্বিতীয়তলা) সংস্কার ও মেরামতের জন্য শেখ জাহিদুজ্জামানের মালিকানাধীন মেসার্স জ্যোতি এন্টারপ্রাইজ কার্যাদেশ পায়। সেখানে প্রাক্কলিত মূল্য ছিল ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৮৪৬ টাকা এবং কার্যাদেশ ছিল ৭ লাখ ৫১ হাজার ৮৪৫ টাকা।
দ্বিতীয় দরপত্রে উপজেলা প্রকৌশলীর অফিসকক্ষ সংস্কার ও মেরামত এবং ইউএনওর বাসভবনের সীমানাপ্রাচীর উঁচুকরণ, ফটক সংস্কার ও মেরামতের কার্যাদেশ পায় চিরঞ্জীব বিশ্বাসের মালিকানাধীন মেসার্স বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ। এই কাজের প্রাক্কলিত মূল্য ছিল ৮ লাখ ৫১ হাজার ৬৮০ টাকা এবং কার্যাদেশ ছিল ৮ লাখ ৫০ হাজার ৬৮০ টাকা।
তৃতীয় দরপত্রে ইউএনওর ও উপজেলা পরিষদের কার্যালয় সংস্কার ও মেরামতের কার্যাদেশ দেওয়া হয় তাহজ্জত খানের মালিকানাধীন মেসার্স ইউসুফ খান এন্টারপ্রাইজকে। এই কাজের প্রাক্কলিত মূল্য ছিল ৭ লাখ ২ হাজার ২৭১ টাকা এবং কার্যাদেশ দেওয়া হয় ৭ লাখ ১ হাজার ২৭০ টাকায়।
চতুর্থ দরপত্রে ইউএনওর অফিস বাংলো সংস্কার ও মেরামতের কার্যাদেশ নেয় মো. ফারুক মল্লিকের মল্লিক ইন্টারন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ। এই কাজের প্রাক্কলিত মূল্য ছিল ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৬ টাকা এবং কার্যাদেশ ছিল ৭ লাখ ২৫ হাজার ৯৯০ টাকা।
প্রাক্কলিত মূল্য ও চুক্তি মূল্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ব্যবধান মাত্র ১ থেকে ২ হাজার টাকা। এ থেকেই বোঝা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দরপত্র আহ্বানকারীদের আগে থেকেই বোঝাপড়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জ্যোতি এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ জাহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমি কোনো কাজ পাইনি। কে আপনাকে এসব তথ্য দিয়েছে?’
এ নিয়ে কথা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সরকারি প্রকৌশলী বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী এই কাজের দরপত্র আহ্বান করবেন উপজেলা প্রকৌশলী। কিন্তু অজানা কারণে দরপত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহ্বান করেছেন।’
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইউএনও তাপস বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই চারটি কাজের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আবারও দরপত্র আহ্বান করা হবে। সামনে জুন মাস হওয়ায় উপজেলা পরিষদের আরও কিছু কাজ করানো হবে। এ জন্য একসঙ্গে দরপত্র আহ্বান করা হবে।’ তবে নীতিমালা অনুযায়ী দরপত্র আহ্বান না করা ও পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান এই কর্মকর্তা।
যোগাযোগ করা হলে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান বলেন, ‘দরপত্র আহ্বান-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস পালের বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূতভাবে দরপত্র আহ্বান ও পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলা পরিষদের নীতিমালা উপেক্ষা করে নিজে দরপত্র আহ্বান করে চার ঠিকাদারের অনুকূলে ৩০ লাখ টাকার অধিক কার্যাদেশ দিয়েছেন। দরপত্র দাখিলের শেষ সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগে উপজেলা প্রশাসনের নোটিশ বোর্ডে ওই কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
এসব অনিয়মের বিষয়ে তদন্তের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মো. রফিকুল ইসলাম মোল্লা নামের এক ঠিকাদার। ইতিমধ্যে বিষয়টি আমলে নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এমন অবস্থায় কার্যাদেশ চারটি বাতিল করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন কার্যালয় ও বাসভবন মেরামত, সংস্কারসহ বিভিন্ন কাজের জন্য চলতি বছরের ৯ মার্চ ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর প্রায় দুই মাস পর চারটি দরপত্র আহ্বান করা হয়।
অভিযোগকারী রফিকুল জানান, ৮ মে দরপত্র আহ্বানের তারিখ দেখানো হলেও কোনো পত্রিকায় এই দরপত্র প্রকাশ করা হয়নি। ১৪ মে বেলা ১১টা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের নোটিশ বোর্ডে ওই দরপত্র আহ্বানের নোটিশ টাঙানো হয়নি।
রফিকুল বলেন, ‘আমি নিয়মিত উপজেলা প্রশাসনের নোটিশ বোর্ড দেখি। ১৪ মে বেলা ১১টার সময়ও আমি নোটিশ বোর্ডে কোনো নোটিশ পাইনি। পরে এদিন ১টার সময় বোর্ডে ওই চারটি নোটিশ প্রদর্শন করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে দেড়টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে যাই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিএর (প্রধান সহকারী) কাছে দরপত্র ক্রয় করতে গেলে তিনি বলেন, ওই কাজের কোনো দরপত্র নেই। কী কাজ, কত টাকায় করতে হবে, তা উল্লেখ না থাকলে কীভাবে দরপত্রে অংশগ্রহণ করব, এমন প্রশ্ন করলে সিএ আমাকে বলেন, “এটা স্যার (ইউএনও) জানেন।”’
এদিকে ১৫ মে চারটি দরপত্রের বিপরীতে চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কার্যাদেশ দেন ইউএনও তাপস। এতে দেখা যায়, প্রথম দরপত্রে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসকক্ষ ও উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অফিসকক্ষ সংস্কার ও মেরামত এবং ইউএনওর বাসভবন (দ্বিতীয়তলা) সংস্কার ও মেরামতের জন্য শেখ জাহিদুজ্জামানের মালিকানাধীন মেসার্স জ্যোতি এন্টারপ্রাইজ কার্যাদেশ পায়। সেখানে প্রাক্কলিত মূল্য ছিল ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৮৪৬ টাকা এবং কার্যাদেশ ছিল ৭ লাখ ৫১ হাজার ৮৪৫ টাকা।
দ্বিতীয় দরপত্রে উপজেলা প্রকৌশলীর অফিসকক্ষ সংস্কার ও মেরামত এবং ইউএনওর বাসভবনের সীমানাপ্রাচীর উঁচুকরণ, ফটক সংস্কার ও মেরামতের কার্যাদেশ পায় চিরঞ্জীব বিশ্বাসের মালিকানাধীন মেসার্স বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ। এই কাজের প্রাক্কলিত মূল্য ছিল ৮ লাখ ৫১ হাজার ৬৮০ টাকা এবং কার্যাদেশ ছিল ৮ লাখ ৫০ হাজার ৬৮০ টাকা।
তৃতীয় দরপত্রে ইউএনওর ও উপজেলা পরিষদের কার্যালয় সংস্কার ও মেরামতের কার্যাদেশ দেওয়া হয় তাহজ্জত খানের মালিকানাধীন মেসার্স ইউসুফ খান এন্টারপ্রাইজকে। এই কাজের প্রাক্কলিত মূল্য ছিল ৭ লাখ ২ হাজার ২৭১ টাকা এবং কার্যাদেশ দেওয়া হয় ৭ লাখ ১ হাজার ২৭০ টাকায়।
চতুর্থ দরপত্রে ইউএনওর অফিস বাংলো সংস্কার ও মেরামতের কার্যাদেশ নেয় মো. ফারুক মল্লিকের মল্লিক ইন্টারন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ। এই কাজের প্রাক্কলিত মূল্য ছিল ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৬ টাকা এবং কার্যাদেশ ছিল ৭ লাখ ২৫ হাজার ৯৯০ টাকা।
প্রাক্কলিত মূল্য ও চুক্তি মূল্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ব্যবধান মাত্র ১ থেকে ২ হাজার টাকা। এ থেকেই বোঝা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দরপত্র আহ্বানকারীদের আগে থেকেই বোঝাপড়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জ্যোতি এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ জাহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমি কোনো কাজ পাইনি। কে আপনাকে এসব তথ্য দিয়েছে?’
এ নিয়ে কথা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সরকারি প্রকৌশলী বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী এই কাজের দরপত্র আহ্বান করবেন উপজেলা প্রকৌশলী। কিন্তু অজানা কারণে দরপত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহ্বান করেছেন।’
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইউএনও তাপস বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই চারটি কাজের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আবারও দরপত্র আহ্বান করা হবে। সামনে জুন মাস হওয়ায় উপজেলা পরিষদের আরও কিছু কাজ করানো হবে। এ জন্য একসঙ্গে দরপত্র আহ্বান করা হবে।’ তবে নীতিমালা অনুযায়ী দরপত্র আহ্বান না করা ও পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান এই কর্মকর্তা।
যোগাযোগ করা হলে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান বলেন, ‘দরপত্র আহ্বান-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নাব্যতা-সংকট দূর হওয়ায় দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এই রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
২ মিনিট আগেকোনো তদবির বা ঘুষ ছাড়াই মাত্র ১২০ টাকা খরচ করে শারীরিক ও মেধাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে গাজীপুর জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন ৪৭ জন বেকার নারী-পুরুষ। তাঁদের মধ্যে ৪১ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছেন আরও ৯ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ইলেকট্রিক টেকনিশিয়ান ও চা দোকানিও রয়েছেন।
৪ মিনিট আগেময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে নূরনবী হক জিসান (২৬) নামে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
৯ মিনিট আগেচুয়াডাঙ্গায় এক যৌতুক মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে বাদীকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস এই রায় ঘোষণা করেন।
১৮ মিনিট আগে