মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
শুকনো মৌসুমে এবার কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি রক্ষাবাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। বিগত সাত দিনে পদ্মাপাড়ের শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমরকান্দি এলাকায় প্রায় ১৫০ মিটার বাঁধ ধসে গেছে। এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড বা সংশ্লিষ্টদের কোনো মাথাব্যথা নেই। এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। শুধু চিঠি চালাচালির মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ এই বাঁধ রক্ষা সীমাবদ্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
অন্যদিকে, নির্মাণের মাত্র তিন বছরের মাথায় বাঁধে ধস দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত পদ্মাপাড়ের মানুষ। হুমকিতে পড়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ি ও আশপাশের এলাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করে বলেন, প্রকল্পটি নিয়ে শুরু থেকে অভিযোগ ছিল। ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির মধ্য দিয়ে গত ২০১৮ সালের ৩০ জুন অসম্পূর্ণ প্রকল্পকে সম্পূর্ণ দেখিয়ে কাগজে-কলমে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করা হয়নি। ফলে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রকল্পটি বর্তমানে ধ্বংসের মুখে পড়েছে। কিন্তু এ নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। এখনই ধস ঠেকানো না গেলে কুঠিবাড়িসহ আশপাশের কয়েক হাজার ফসল, কৃষিজমি, ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি সংরক্ষণ বাঁধ’ প্রকল্প শিরোনামে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি রক্ষা করার জন্য ৩ দশমিক ৭২০ কিলোমিটার এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ না হতেই গত ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাঁধে প্রথম ভাঙন দেখা যায়। তখন বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
এবার আবার শুকনা মৌসুমে কোমরকান্দি এলাকায় ১৫০ মিটার বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে শিলাইদহ কুঠিবাড়িসহ আশপাশের বিশাল জনপদ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে পদ্মাপাড়ের মানুষ। তবে ধস লাগার সাত দিন পার হয়ে গেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো খবর নেই।
আজ রোববার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোমরকান্দি এলাকায় পদ্মা নদীর তীররক্ষা বাঁধের প্রায় ১৫০ মিটার ধসে গেছে। ধস অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে কোমরকান্দি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সপ্তাহখানেক আগে বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। নির্মাণের সময় পাইলিংয়ের কাজে অনিয়ম থাকায় অসময়ে বাঁধ ধসে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, কাজে অনিয়ম থাকায় বাঁধ ভেঙে গেছে। ভাঙন ঠেকানো না গেলে কুঠিবাড়িসহ আশপাশ এলাকায় কৃষিজমি, ফসল, ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাবে।
কোমরকান্দি গ্রামের মরিয়ম খাতুন বলেন, ‘শেষ আশাটুকুও ভেঙে গেল। ব্যাটারা কাজে ফাঁকি দিছে। মাইরে খাইছে। এখন আমরা দিশেহারা হয়েছি।’
কলেজছাত্রী বাসনা খাতুন বলেন, ‘এই বাঁধ দিয়েই নিয়মিত কলেজে যাওয়া-আসা করি। নির্মাণকাজে ত্রুটি থাকায় ভেঙে যাচ্ছে। ভাঙন রোধ করা দরকার।’
কুঠিবাড়ির কাস্টডিয়ান মখলেসুর রহমান মোবাইলে বলেন, ‘ঢাকায় ট্রেনিংয়ে আছি। এটা আমাদের কাজ নয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্যাপার। তবু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে দৃশ্যমান কোনো কাজ পানি উন্নয়নয় বোর্ড এখনো শুরু করেনি।
এ নিয়ে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবছার উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলার জন্য মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
শুকনো মৌসুমে এবার কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি রক্ষাবাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। বিগত সাত দিনে পদ্মাপাড়ের শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমরকান্দি এলাকায় প্রায় ১৫০ মিটার বাঁধ ধসে গেছে। এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড বা সংশ্লিষ্টদের কোনো মাথাব্যথা নেই। এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। শুধু চিঠি চালাচালির মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ এই বাঁধ রক্ষা সীমাবদ্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
অন্যদিকে, নির্মাণের মাত্র তিন বছরের মাথায় বাঁধে ধস দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত পদ্মাপাড়ের মানুষ। হুমকিতে পড়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ি ও আশপাশের এলাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করে বলেন, প্রকল্পটি নিয়ে শুরু থেকে অভিযোগ ছিল। ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির মধ্য দিয়ে গত ২০১৮ সালের ৩০ জুন অসম্পূর্ণ প্রকল্পকে সম্পূর্ণ দেখিয়ে কাগজে-কলমে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করা হয়নি। ফলে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রকল্পটি বর্তমানে ধ্বংসের মুখে পড়েছে। কিন্তু এ নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। এখনই ধস ঠেকানো না গেলে কুঠিবাড়িসহ আশপাশের কয়েক হাজার ফসল, কৃষিজমি, ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি সংরক্ষণ বাঁধ’ প্রকল্প শিরোনামে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি রক্ষা করার জন্য ৩ দশমিক ৭২০ কিলোমিটার এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ না হতেই গত ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাঁধে প্রথম ভাঙন দেখা যায়। তখন বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
এবার আবার শুকনা মৌসুমে কোমরকান্দি এলাকায় ১৫০ মিটার বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে শিলাইদহ কুঠিবাড়িসহ আশপাশের বিশাল জনপদ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে পদ্মাপাড়ের মানুষ। তবে ধস লাগার সাত দিন পার হয়ে গেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো খবর নেই।
আজ রোববার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোমরকান্দি এলাকায় পদ্মা নদীর তীররক্ষা বাঁধের প্রায় ১৫০ মিটার ধসে গেছে। ধস অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে কোমরকান্দি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সপ্তাহখানেক আগে বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। নির্মাণের সময় পাইলিংয়ের কাজে অনিয়ম থাকায় অসময়ে বাঁধ ধসে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, কাজে অনিয়ম থাকায় বাঁধ ভেঙে গেছে। ভাঙন ঠেকানো না গেলে কুঠিবাড়িসহ আশপাশ এলাকায় কৃষিজমি, ফসল, ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাবে।
কোমরকান্দি গ্রামের মরিয়ম খাতুন বলেন, ‘শেষ আশাটুকুও ভেঙে গেল। ব্যাটারা কাজে ফাঁকি দিছে। মাইরে খাইছে। এখন আমরা দিশেহারা হয়েছি।’
কলেজছাত্রী বাসনা খাতুন বলেন, ‘এই বাঁধ দিয়েই নিয়মিত কলেজে যাওয়া-আসা করি। নির্মাণকাজে ত্রুটি থাকায় ভেঙে যাচ্ছে। ভাঙন রোধ করা দরকার।’
কুঠিবাড়ির কাস্টডিয়ান মখলেসুর রহমান মোবাইলে বলেন, ‘ঢাকায় ট্রেনিংয়ে আছি। এটা আমাদের কাজ নয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্যাপার। তবু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে দৃশ্যমান কোনো কাজ পানি উন্নয়নয় বোর্ড এখনো শুরু করেনি।
এ নিয়ে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবছার উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলার জন্য মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরার একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস প্রায় সাত বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে। এতে করে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করা শ্রমিকদের অনেকে এখন বেকার জীবন কাটাচ্ছেন। তবে কর্তৃপক্ষ দাবি, কারখানার বিশাল প্রাঙ্গণে বেসরকারি সহযোগিতায় একাধিক...
৬ ঘণ্টা আগেসড়কের মধ্যে থেকে বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ না করেই প্রশস্ত করা হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়ক। সড়কটি ৬ দশমিক ২ মিটার থেকে উন্নীত করা হচ্ছে ১০ দশমিক ৩ মিটারে। এ অবস্থায় ৪৮১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক প্রশস্তকরণের সুফল নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেকর্মচারীরা বাতিলের দাবি জানালেও সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। এই অধ্যাদেশ সংশোধন করে যেসব ধারায় অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে, সেখানে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অধ্যাদেশ সংশোধন করে সেখানে কোন কোন বিষয় যুক্ত করা হবে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তা চূড়ান্ত করবে...
৬ ঘণ্টা আগেউত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা পঞ্চগড়ে নদী থেকে প্রতিদিন উত্তোলন করা হচ্ছে হাজার হাজার টন বালু। এই বালু এখন আর সীমাবদ্ধ নেই জেলার অভ্যন্তরে বা পাশের কোনো উপজেলায়। তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে; বিশেষত ঢাকা, গাজীপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাটের নির্মাণ প্রকল্পগুলোতে।
৬ ঘণ্টা আগে