Ajker Patrika

চিকিৎসক ছুটিতে, হাসপাতালে সিজার বন্ধ

চিকিৎসক ছুটিতে, হাসপাতালে সিজার বন্ধ

মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একসময় সপ্তাহে তিন দিন সিজারিয়ান অপারেশন হতো। গেল দুই বছর ধরে সেটাও হয়নি ঠিকঠাক। করোনার মধ্যে এই সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করে। হাসপাতালে অ্যানেসথেসিয়া ও গাইনি চিকিৎসক না থাকায় একপ্রকার বন্ধই ছিল নিয়মিত সিজার। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর অন্য হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক ধার করে এনে এ হাসপাতালে সপ্তাহে দুই দিন সিজার কার্যক্রম চলমান ছিল।

দুমাস আগে একজন অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক নিয়োগ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি চিকিৎসক ফারহানা শবনমকে সপ্তাহে তিন দিন দায়িত্ব দিয়ে এ হাসপাতালে পাঠান যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহিন। তখন থেকে সপ্তাহে দুই দিন নিয়মিত মনিরামপুর হাসপাতালে সিজার চালু হয়। হঠাৎ করে গত ৮ নভেম্বর থেকে আবার সিজার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এ হাসপাতালে। গত দুই সপ্তাহে এখানে কোনো সিজার হয়নি। ফলে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা। বাধ্য হয়ে তাঁদের বেসরকারি ক্লিনিক অথবা যশোর সদর হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে। 

জানা গেছে, গাইনি চিকিৎসক ফারহানা শবনম ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে গেছেন। এ কারণেই মনিরামপুর হাসপাতালে বর্তমানে সিজার বন্ধ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, গাইনি চিকিৎসক ফারহানা শবনমের স্বামী অসুস্থ। তিনি চিকিৎসা নিতে ভারত গেছেন। ডা. শবনম ছুটি নিয়ে স্বামীর সঙ্গে গেছেন। তবে তিনি কবে ফিরবেন সেটি নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত মাসে নয়টি সিজার অপারেশন হয়েছে। ৮ নভেম্বরের পর থেকে সিজার বন্ধ। 

উপজেলার মাহমুদকাটি গ্রামের হাসান আলী বলেন, ‘কয়দিন আগে আমার স্ত্রীর সিজার করাব বলে মনিরামপুর হাসপাতালে যাই। নার্সরা বলল হাসপাতালে সিজার বন্ধ। পরে তাঁকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে সিজার করাইছি।’

হাসান বলেন, ‘জেলা শহরে নিয়ে সিজার করানোর খরচ বেশি। যাওয়া আসা সমস্যা। মনিরামপুরে করাতে পারলে ভালো হতো।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, ‘কেশবপুর হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ফারহানা শবনম তিন দিন এখানে আসতেন। তিনি দুদিন সিজার করতেন। একদিন রোগী দেখতেন। তাঁর স্বামী অসুস্থ হওয়ায় তিনি ছুটি নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ভারতে গেছেন। এ কারণে আপাতত সিজার বন্ধ আছে।’

তিনি বলেন, ‘অন্য হাসপাতাল থেকে গাইনি চিকিৎসক আনার সুযোগ নেই। ঝিকরগাছা ও অভয়নগরে যারা আছেন তাঁরা তিন দিন করে শার্শা ও বাঘারপাড়া হাসপাতালে ডিউটি করেন।’

ওই চিকিৎসক কবে দেশে ফিরবেন জানতে চাইলে ডা. শুভ্রা বলেন, ‘ফারহানা শবনম কবে আসবেন তা সঠিক বলা যাচ্ছে না। তিনি এলে আবার মনিরামপুরে সিজার চালু হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের ‘দানবীয় ক্ষেপণাস্ত্রের’ সামনে উন্মুক্ত ইসরায়েলের ‘অ্যাকিলিস হিল’

ভারতীয় বিমানবন্দরে ১১ দিন ধরে পড়ে আছে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ঘনাচ্ছে রহস্য

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ, যেভাবে দেখবেন

মা-মেয়ের ত্রিভুজ প্রেম, বিয়ে ও একটি খুন

মামদানি শতভাগ কমিউনিস্ট উন্মাদ, দেখতেও খারাপ: ট্রাম্প

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত