Ajker Patrika

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি: ১০ টাকা কেজির চাল ডিলারের পেটে! 

আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২২, ০৯: ২৫
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি: ১০ টাকা কেজির চাল ডিলারের পেটে! 

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪৭টি কার্ডে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ভেতর অনেকেই জানেন না তাঁদের নামে কার্ড রয়েছে। এ ছাড়া তালিকায় থাকা অনেক নামের ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এসব কার্ডের নির্ধারিত চাল ডিলার মনিরুজ্জামান আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মনিরুজ্জামান ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার এবং নন্দীডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তিনি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরে চালের ডিলার হিসেবে চাল বিতরণ করছেন।

তালিকায় নাম থাকা খরুষা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী বারিছন খাতুন বলেন, ‘গত মার্চ মাসে গ্রামের একজনের কাছ থেকে জানতে পারি তালিকায় আমার নাম আছে। তখন নতুন চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে তালিকা দেখে নাম পাই।’

একই গ্রামের মৃত ইছাহকের স্ত্রী ছবুরা খাতুন ও কবীর হোসেনের স্ত্রী রেহেনা খাতুনের নামও পাওয়া গেছে ওই তালিকায়। রেহেনা খাতুন বলেন, ‘আমার নামে চালের কার্ড আছে তা আগে কোনো দিন শুনিনি।’ ছবুরা খাতুন বলেন, ‘আমাদের জন্য ১০ টাকায় চাল দেচ্ছে সরকার, আর তা ডিলার মেরে খাচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই। আমরা চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিছি।’ 

অভিযুক্ত ডিলার মনিরুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগকারীদের নামে চাল প্রতি মাসে কে বা কারা গ্রহণ করে তা আমার জানা নেই। তা ছাড়া কার্ড ইস্যু ও বিতরণ করা সংশ্লিষ্ট মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব। আমি কার্ড পাওয়া সাপেক্ষে চাল দিয়েছি মাত্র। তাদের চাল প্রতি মাসে কেউ না কেউ গ্রহণ করেছেন। এ মাসে তাদেরকে নতুন কার্ডও দেওয়া হয়েছে।’ 

নির্বাসখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বলেন, ‘কয়েকজন সুবিধাভোগী পাঁচ বছর ধরে চাল পান না বলে অভিযোগ করেছেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা গেছে এমন কার্ডের সংখ্যা ৪৭। এসব কার্ডধারীরা জানেন না তাদের নামে চালের কার্ড আছে। এমনও কার্ড আছে, সে নামে ইউনিয়নে কোনো লোক পাওয়া যায়নি।’ 

চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান আরও বলেন, ‘তালিকায় নাম থেকেও যারা এত দিন চাল পাননি তাদের নামে নতুন করে কার্ড করা হয়েছে। আর যে সব নামের অস্তিত্ব মেলেনি সে সব কার্ডের চাল ওঠানো বন্ধ করে দেওয়ায় জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’ 

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ‍্য নিয়ন্ত্রক কাজী আব্দুস সালাম বলেন, ‘পাঁচ বছর চাল না পাওয়ার বিষয়টির জন্য ডিলার দায়ী। এতে ভোক্তারা যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন তা ডিলারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ফ্লাইট থেকে সরানো হলো দুই কেবিন ক্রু

প্রাথমিকে আবার চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নারী কমিশন তৈরির জন্য জুলাই বিপ্লবে কেউ জীবন দেয়নি: মাহমুদুর রহমান

১৯৪৭ থেকে ২০২৫: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ও ফলাফল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত