Ajker Patrika

১১ সড়ক খুঁড়ে ঠিকাদার উধাও বছরের পর বছর

  • অধিকাংশ সড়কের কাজ ৪০-৬০ শতাংশ।
  • চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী।
  • চলতি অর্থবছরের মধ্যে কাজ শেষ করার আশ্বাস এলজিইডির।
জাহিদ হাসান, যশোর 
কার্পেটিংয়ের পর দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় সড়ক খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চলাচলকারীরা। সম্প্রতি যশোর সদর উপজেলার মনোহরপুর যোগীপাড়া-ওসমানপুর সড়কে। ছবি: আজকের পত্রিকা
কার্পেটিংয়ের পর দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় সড়ক খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চলাচলকারীরা। সম্প্রতি যশোর সদর উপজেলার মনোহরপুর যোগীপাড়া-ওসমানপুর সড়কে। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন অন্তত ১১টি সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ বছরের পর বছর ফেলে রেখেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এসব সড়কের কাজ কয়েক বছর আগে শুরু হলেও শেষ করতে পারেনি তারা। ৪ থেকে ৫ বছরে অধিকাংশ সড়কের কাজ হয়েছে মাত্র ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ।

এদিকে দীর্ঘদিন কাজ করে ফেলে রাখায় সড়ক খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। ফেলে রাখা খোয়ার লাল গুঁড়া-বালিতে পথচারী বা সড়কের পাশে বসতবাড়ির লোকজন নাস্তানাবুদ হচ্ছে। আবার বৃষ্টি হলে কাদায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে সড়ক। তাই দ্রুত রাস্তার কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এলজিইডি অফিসের তথ্যমতে, সদর উপজেলার উপশহর তৈলকূপ বাজার সড়কের কাশিমপুর ভায়া দিঘিরপাড় পর্যন্ত ৩ দশমিক ৭১ কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ পায় ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম। ২০২০ সালের ১৬ জুন ওই কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ৫ বছরে ওই সড়কের কাজ হয়েছে মাত্র ৬০ শতাংশ। সদর উপজেলার হুদার মোড় হতে হাপানিয়া ভায়া ফুলবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের ১ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিং কাজ পায় ঠিকাদার হানিফ ট্রেডিং অ্যান্ড স্টিল হাউস। সড়কটির কাজ ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪ বছর পরেও সড়কের কাজ হয়েছে মাত্র ৬০ শতাংশ। শর্শনাদাহ-ভবানিপুর সড়কের ১ দশমিক ৭০ কিলোমিটার সড়কের কাজ পায় ঠিকাদার মেসার্স নাহিদ এন্টারপ্রাইজের আব্দুর রউফ। ২০২৪ সালের জুনে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ওই সড়কে মাত্র ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে।

এ ছাড়া মনোহরপুর যোগীপাড়া থেকে ওসমানপুর সড়কে ১ দশমিক ৭০ কিলোমিটার সড়কের কাজ পায় মেসার্স রেনু এন্টারপ্রাইজের আনন্দ বিশ্বাস। কাজ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। মেয়াদ শেষে মাত্র ৬০ শতাংশ কাজ হয়েছে।

একইভাবে নতুনহাট-দত্তপাড়া সড়ক, বলাডাঙ্গা-মথুরাপুর, মালঞ্চী কোল্ড স্টোর থেকে আরাবপুর ইউপি, বসুন্দিয়া ইউপি থেকে সেবানন্দপুরের খেয়াঘাট সড়কসহ কয়েকটি স্থানে সড়কের কাজ শেষ হয়নি।

এসব সড়কের কাজ দীর্ঘদিনেও শেষ না হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে মানুষ। জানতে চাইলে ঠিকাদার আনন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘রাস্তার কাজ করতে দেরি হয়েছে। আশা করি ঈদের আগেই কাজ শেষ করতে পারব।’ আরেক ঠিকাদার আব্দুর রউফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে রাস্তার কাজ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছি। চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। এ জন্য কাজে দেরি হয়েছে। আশা করছি দ্রুত কাজ শেষ করব।’

এ বিষয়ে সদর উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী চৌধুরী মোহাম্মদ আসিফ রেজা বলেন, কয়েকটি গ্রামীণ সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ ঠিকাদার ৫০ থেকে ৬৫ শতাংশ সম্পন্ন করেছে। ঠিকাদারদের অবহেলায় কাজ শেষ হয়নি। আশা করি খুব দ্রুত বাকি কাজ শেষ করা হবে।

এলজিইডি যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি ইতিমধ্যে তদারকি করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ডেকে দ্রুত কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরের মতো কাজগুলো শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এসব ঠিকাদার কাজ শুরু না করলে রি-টেন্ডার করে কাজ শুরু করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত