Ajker Patrika

সুন্দরবনে বিলুপ্তপ্রায় বাটাগুর বাসকার ৬৫টি বাচ্চা ফুটেছে

বাগেরহাট ও মোংলা প্রতিনিধি 
সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রে বিলুপ্তপ্রায় বাটাগুর বাসকার ডিম ফুটে ৬৫টি বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। আজ সোমবার ভোরে বাচ্চাগুলোকে বিশেষ ইনকিউবেটর থেকে তুলে কচ্ছপ লালনপালনকেন্দ্রের সংরক্ষণ প্যানে রাখা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রে বিলুপ্তপ্রায় বাটাগুর বাসকার ডিম ফুটে ৬৫টি বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। আজ সোমবার ভোরে বাচ্চাগুলোকে বিশেষ ইনকিউবেটর থেকে তুলে কচ্ছপ লালনপালনকেন্দ্রের সংরক্ষণ প্যানে রাখা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রে বিলুপ্তপ্রায় বাটাগুর বাসকার (কচ্ছপ) ডিম ফুটে ৬৫টি বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। আজ সোমবার ভোরে বাচ্চাগুলোকে বিশেষ ইনকিউবেটর থেকে তুলে কচ্ছপ লালনপালনকেন্দ্রের সংরক্ষণ প্যানে রাখা হয়।

এর আগে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনটি বাটাগুর বাসকা মোট ৮২টি ডিম দেয়। পরে সেগুলো সংগ্রহ করে বিশেষ ইনকিউবেটরে (পুকুরপাড়ের বালুর চর) রাখা হয়। গতকাল রোববার থেকে বাচ্চাগুলো ফুটে বের হতে শুরু করে। সব মিলিয়ে আজ সকাল পর্যন্ত ৬৫টি বাচ্চা হয়। অবশিষ্ট ডিমগুলে নষ্ট হয়েছে। এ পর্যন্ত সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রে ৫২১টি ডিম থেকে ৪৭৫টি বাচ্চা ফুটেছে বলে জানান সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্য প্রাণী ও প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির।

সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রে বিলুপ্তপ্রায় বাটাগুর বাসকার ডিম ফুটে ৬৫টি বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। আজ সোমবার ভোরে বাচ্চাগুলোকে বিশেষ ইনকিউবেটর থেকে তুলে কচ্ছপ লালনপালনকেন্দ্রের সংরক্ষণ প্যানে রাখা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রে বিলুপ্তপ্রায় বাটাগুর বাসকার ডিম ফুটে ৬৫টি বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। আজ সোমবার ভোরে বাচ্চাগুলোকে বিশেষ ইনকিউবেটর থেকে তুলে কচ্ছপ লালনপালনকেন্দ্রের সংরক্ষণ প্যানে রাখা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজাদ কবির বলেন, ৬৫টি বাচ্চা কচ্ছপ লালনপালনকেন্দ্রের সংরক্ষণ প্যানে রাখা হয়েছে। বড় হলে এগুলো সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হবে।

বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, পৃথিবীতে প্রায় ৩০০ প্রজাতির কচ্ছপ রয়েছে। একসময় এই অঞ্চলে প্রায় ২৬ প্রজাতির কচ্ছপ পাওয়া যেত। এর মধ্যে বাটাগুর বাসকার প্রজাতির কচ্ছপ আর দেখা যাচ্ছিল না। ২০০০ সালের দিকে বন্য প্রাণী গবেষকেরা মনে করেছিলেন, পৃথিবীতে আর বাটাগুর বাসকার কোনো অস্তিত্ত্ব নেই। পরে ২০০৮ সালে গবেষকেরা খুঁজতে খুঁজতে নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে আটটি বাটাগুর বাসকা পান, যার মধ্যে চারটি পুরুষ ও চারটি স্ত্রী। প্রজননের জন্য গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হয় কচ্ছপগুলোকে। সেখানে কয়েক বছরে প্রায় ৯৪টি বাচ্চা ফুটেছিল। ২০১৪ সালে মূল আটটি বাটাগুর বাসকা ও তাদের জন্ম দেওয়া ৯৪টি ছানাসহ করমজল কৃত্রিম প্রজননকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীর প্রতি অবমাননা: হেফাজতকে তিন এনসিপি নেত্রীসহ ৬ নারীর লিগ্যাল নোটিশ

রাখাইনে মানবিক করিডর: জান্তার আপত্তিতে সরকারে দ্বিধা

মানবিক করিডরে বাংলাদেশের ফায়দা কী

রোগী দেখতে হবে কমপক্ষে ১০ মিনিট, অতিদরিদ্রদের জন্য বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা

সন্ধ্যায় বাজারে গিয়ে নিখোঁজ, ভোরে কালভার্টের নিচে মিলল নারীর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত