যশোর প্রতিনিধি
সড়কের উপরিভাগের কোথাও ছোট-বড় গর্ত, আবার কোথাও উঠে গেছে পিচ। কোথাও পিচ জড়ো হয়ে সৃষ্টি হয়েছে উঁচু ঢিবি। অসহনীয় ধুলার যন্ত্রণার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন ও যাত্রী-সাধারণ। এ চিত্র যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের খয়েরতলা এলাকার। শুধু এ স্থানই নয়; এই সড়কের যশোর অংশের ১০ কিলোমিটারই বেহাল। শহরের অন্য প্রান্তে যশোর-খুলনা মহাসড়ক। সড়কটি ভিন্ন হলেও যশোর-ঝিনাইদহের মতো একই দৃশ্য সেখানেও। কোথাও পিচ উঠে গেছে। উঁচুনিচু ঢিবি। অনেক স্থান ভেঙে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একই চিত্র যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কেরও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিন মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে মোটরসাইকেল ও ছোট যানবাহনগুলো দুর্ঘটনায় পড়ছে বেশি। অনেক বাস ও ট্রাক সড়কের গর্তের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যাচ্ছে। এতে মৃত্যুসহ অনেকে পঙ্গু হচ্ছেন। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসছে না। মান খারাপ ও অতিবৃষ্টিতে সড়কগুলো আবারও আগের অবস্থায় ফিরেছে।
সওজের তথ্য অনুযায়ী, যশোর-খুলনা মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার, যশোর- সাতক্ষীরা মহাসড়কের নাভারণ থেকে বাগআঁচড়া পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার, যশোর- ঝিনাইদহ মহাসড়কের কালীগঞ্জ পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া যশোর-ঢাকা মহাসড়কের মণিহার অংশে ১ কিলোমিটার সড়ক বেহাল। তবে ভাঙাচোরা সড়কের বিস্তার আরও বেশি। এসবের মধ্যে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলমান রয়েছে।
শহরের খয়েরতলা এলাকার বাসিন্দা তোফাজ্জেল বলেন, ‘তিন বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের যশোর-ঝিনাইদহ অংশের মহাসড়ক বেহাল। এখানে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছিল। বিভিন্ন সময় খোয়া দিয়ে মেরামত করে গেলেও তা টেকসই হয়নি। সর্বশেষ কিছুদিন আগে এ সড়কের চূড়ামনকাটি বাজারের পুরো অংশের সড়কটিতে ইটের সলিং করে রেখে চলে গেছে। এখন প্রতিনিয়ত এখানে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।’
এ সড়কে নিয়মিত থ্রি-হুইলার চালান মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মহাসড়কে খানাখন্দ আর ভাঙা ইটের টুকরার কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে। এতে গাড়ির ক্ষতির পাশাপাশি যাত্রীদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সড়কে ভাঙা ইটের অংশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যানবাহনগুলো বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়।’
মুড়লি মোড়ের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু এ সড়কই নয়, আমাকে যশোর-সাতক্ষীরা, যশোর-নড়াইল- ঢাকা সড়কসহ জেলার বিভিন্ন মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লেও তা মেরামত ও স্থায়ী সংস্কার করতে সড়ক বিভাগ বারবার ব্যর্থ হয়েছে।’
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে, ২০ মিনিটের পথ যেতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। রাস্তায় বড় বড় গর্ত থাকায় গাড়ি উল্টে যাচ্ছে, টায়ার ফেটে যাচ্ছে। সড়কের এই অংশে
চলাচল করা খুব মুশকিল। ভালো মানুষও অনেক সময় এ পথে চলাচল করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত রাস্তাটি ঠিক করার দাবি জানান তাঁরা।
সওজের যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘চলতি বছর অতিবৃষ্টিতে যশোরের বিভিন্ন মহাসড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে যশোর-খুলনা, যশোর-ঝিনাইদহ, যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বেশ কিছু অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো আমরা জরুরি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে থাকি। এ বছর যশোর-খুলনা মহাসড়কে আড়াই কিলোমিটার রাস্তার ঢালাই কাজের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া বিভিন্ন মহাসড়ক জরুরি সংস্কারের জন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে ৭ কোটি টাকার চাহিদা পাঠানো হয়েছে।’
সড়কের উপরিভাগের কোথাও ছোট-বড় গর্ত, আবার কোথাও উঠে গেছে পিচ। কোথাও পিচ জড়ো হয়ে সৃষ্টি হয়েছে উঁচু ঢিবি। অসহনীয় ধুলার যন্ত্রণার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন ও যাত্রী-সাধারণ। এ চিত্র যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের খয়েরতলা এলাকার। শুধু এ স্থানই নয়; এই সড়কের যশোর অংশের ১০ কিলোমিটারই বেহাল। শহরের অন্য প্রান্তে যশোর-খুলনা মহাসড়ক। সড়কটি ভিন্ন হলেও যশোর-ঝিনাইদহের মতো একই দৃশ্য সেখানেও। কোথাও পিচ উঠে গেছে। উঁচুনিচু ঢিবি। অনেক স্থান ভেঙে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একই চিত্র যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কেরও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিন মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে মোটরসাইকেল ও ছোট যানবাহনগুলো দুর্ঘটনায় পড়ছে বেশি। অনেক বাস ও ট্রাক সড়কের গর্তের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যাচ্ছে। এতে মৃত্যুসহ অনেকে পঙ্গু হচ্ছেন। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসছে না। মান খারাপ ও অতিবৃষ্টিতে সড়কগুলো আবারও আগের অবস্থায় ফিরেছে।
সওজের তথ্য অনুযায়ী, যশোর-খুলনা মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার, যশোর- সাতক্ষীরা মহাসড়কের নাভারণ থেকে বাগআঁচড়া পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার, যশোর- ঝিনাইদহ মহাসড়কের কালীগঞ্জ পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া যশোর-ঢাকা মহাসড়কের মণিহার অংশে ১ কিলোমিটার সড়ক বেহাল। তবে ভাঙাচোরা সড়কের বিস্তার আরও বেশি। এসবের মধ্যে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলমান রয়েছে।
শহরের খয়েরতলা এলাকার বাসিন্দা তোফাজ্জেল বলেন, ‘তিন বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের যশোর-ঝিনাইদহ অংশের মহাসড়ক বেহাল। এখানে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছিল। বিভিন্ন সময় খোয়া দিয়ে মেরামত করে গেলেও তা টেকসই হয়নি। সর্বশেষ কিছুদিন আগে এ সড়কের চূড়ামনকাটি বাজারের পুরো অংশের সড়কটিতে ইটের সলিং করে রেখে চলে গেছে। এখন প্রতিনিয়ত এখানে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।’
এ সড়কে নিয়মিত থ্রি-হুইলার চালান মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মহাসড়কে খানাখন্দ আর ভাঙা ইটের টুকরার কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে। এতে গাড়ির ক্ষতির পাশাপাশি যাত্রীদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সড়কে ভাঙা ইটের অংশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যানবাহনগুলো বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়।’
মুড়লি মোড়ের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু এ সড়কই নয়, আমাকে যশোর-সাতক্ষীরা, যশোর-নড়াইল- ঢাকা সড়কসহ জেলার বিভিন্ন মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লেও তা মেরামত ও স্থায়ী সংস্কার করতে সড়ক বিভাগ বারবার ব্যর্থ হয়েছে।’
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে, ২০ মিনিটের পথ যেতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। রাস্তায় বড় বড় গর্ত থাকায় গাড়ি উল্টে যাচ্ছে, টায়ার ফেটে যাচ্ছে। সড়কের এই অংশে
চলাচল করা খুব মুশকিল। ভালো মানুষও অনেক সময় এ পথে চলাচল করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত রাস্তাটি ঠিক করার দাবি জানান তাঁরা।
সওজের যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘চলতি বছর অতিবৃষ্টিতে যশোরের বিভিন্ন মহাসড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে যশোর-খুলনা, যশোর-ঝিনাইদহ, যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বেশ কিছু অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো আমরা জরুরি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে থাকি। এ বছর যশোর-খুলনা মহাসড়কে আড়াই কিলোমিটার রাস্তার ঢালাই কাজের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া বিভিন্ন মহাসড়ক জরুরি সংস্কারের জন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে ৭ কোটি টাকার চাহিদা পাঠানো হয়েছে।’
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারের তমব্রু রাইট ক্যাম্প এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘুমধুমের তমব্রু সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সতর্ক পাহারায় রয়েছে।
১ মিনিট আগেরংপুরের বদরগঞ্জে স্কুলছাত্রীদের অশ্লীল ভিডিও দেখানোর অভিযোগ উঠেছে রবিউল ইসলাম নামের এক দপ্তরির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। ওই দপ্তরির শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না বলে অভিভাবকেরা হুমকি দিয়েছেন। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এক অভিভাবক গত বৃহস্পতিবার ইউএন
৪ মিনিট আগেরাজধানীর মৌচাকে সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ে থাকা প্রাইভেট কার থেকে উদ্ধার হওয়া দুই মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তাঁদের দুজনের বাড়ি একই এলাকায়।
১৩ মিনিট আগেআগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের জন্য আলাদা বুথ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ সোমবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জে র্যাব-১০ সদর দপ্তর, কেন্দ্রীয় কারাগার ও তেঘরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা এই তথ্য জানান।
২৪ মিনিট আগে