Ajker Patrika

মধুমতীর পানি সহনীয় মাত্রার তিনগুণের বেশি লবণাক্ত

শেখ জাবিরুল ইসলাম
আপডেট : ২৩ মে ২০২১, ২২: ১২
মধুমতীর পানি সহনীয় মাত্রার তিনগুণের বেশি লবণাক্ত

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে মধুমতী নদীর পানিতে গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লবণাক্ততার মাত্রা পাওয়া গেছে। এ বছর নদীর পানিতে পাওয়া গেছে ২১০০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) মাত্রার লবণাক্ততা। এ লবণাক্ততা কৃষি, মানবদেহ, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ক্ষতি করছে। মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে মধুমতি নদীর তীরবর্তী জনপদে ডায়রিয়া মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।

গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্র তালুকদার জানান, গ্রীষ্মকালে মধুমতি নদীতে সমুদ্র থেকে লবণ পানি চলে আসে। ২০১৬ সালে মধুমতি নদীর পানিতে ১২০০ পিপিএম লবণাক্ততা পাওয়া যায়। এরপর এ বছর সর্বোচ্চ মাত্রার লবণাক্ততা রেকর্ড করা হয়েছে। মানবদেহের সহনীয় মাত্রা ৬০০ পিপিএম। গোপালগঞ্জে এই মাত্রার তিন গুণেরও বেশি লবণাক্ততা পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় এ বছর মধুমতি নদীর পানিতে লবণাক্ততা ধরা পড়েছে ২১০০ পিপিএম।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় মধুমতি নদীর পানি পরিশোধন করে সরবরাহ করা হয়। গ্রীষ্মকালে বিশেষ করে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত সরবরাহের পানিতে লবণ চলে আসে। এতে দুই পৌরসভার অন্তত তিন লাখ মানুষ সুপেয় পানির সংকটে পড়েন। এ অবস্থার স্থায়ী সমাধানে তিনি এই দুই পৌরসভায় আরও প্ল্যান্ট স্থাপনের পরামর্শ দেন।

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুহাইমিনুল ইসলাম বলেন, গ্রীষ্মে উজানের পানির উৎস কমে যায়। তখন মধুমতি নদীতে বঙ্গোপসাগরের পানি ঢুকে পড়ে। এতে মধুমতি নদীর পানি লবণাক্ত হয়ে পড়ে। এ বছর আগেভাবে গরম পড়েছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টিপাত নেই। প্রখর রোদে মধুমতি নদীতে লবণের মাত্রাও বেড়েছে। লবণাক্ত পানি মান দেহের জন্য ক্ষতিকর। লবণ ফসল ও পরিবেশেরও ক্ষতি করে। এ ছাড়া মিঠাপানির জীব বৈচিত্র্যের জন্য লবণ মারাত্মক হুমকি। এভাবে লবণের আগ্রাসন চলতে থাকলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা, কৃষি ও জীববৈচিত্র্যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।

গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, মধুমতিতে লবণাক্ততার কারণে গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়ায় ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। লবণাক্ত পানি পান করলে ডায়রিয়া, আমাশয়, ক্ষুধামান্দ্য, উচ্চ রক্তচাপ, চর্মরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এসব জটিলতা অবসানে তিনি লবণাক্ত পানি পান না করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, পুকুর ও গভীর নলকূপের পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে।

মধুমতী নদীতে লবণাক্ততা প্রায় চার মাস স্থায়ী হয়। এর কারণে ফসলের ক্ষতি এড়াতে কৃষকদের পুকুর, শ্যালো অথবা গভীর নলকূপের পানি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক ড. অরবিন্দু কামার রায়।

তবে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা গ্রামের কৃষক রবিন চৌধুরী, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী গ্রামের কৃষক মানিক মিয়া, একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের তরুণ বিশ্বাস বলেন, শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই প্রতিবছর মধুমতির পানি লবণাক্ত হয়ে পড়ছে। বছর বছর লবণাক্ততা বাড়ছেই। এ পানি জমিতে ব্যবহার করলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পুকুরেরও যথেষ্ট পানি থাকে না। ভূগর্ভস্থ পানি তুলতে গিয়ে ফসলের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ছেলের জবানবন্দি: স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার মো. ফারুক। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার মো. ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বাবা ও ভাইয়ের পরকীয়ার জেরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে। হত্যার পর লাশের পাশে নির্বিকার বসে ছিলেন তিনি। ৯ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে মাদারীপুরের শিবচরের বাঁশকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানা যায়, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বাবা ও ভাইয়ের অবৈধ সম্পর্ক।

জানা গেছে, প্রথমত নিজের পছন্দের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেয়নি পরিবার। যাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে, তাঁর সঙ্গে রয়েছে ভাই ও বাবার অবৈধ সম্পর্ক। একপর্যায়ে স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এর পেছনেও ছিল বাবার হাত। বাবার সঙ্গে স্ত্রীর পরকীয়া মেনে নিতে না পেরে বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ছেলে ফারুক। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বাবাকে নিয়ে কাজের সন্ধানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শিবচরে আসেন। মূলত কৃষিশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তাঁর বাবা মতিউর। পরে রাতের বেলা ছেলে ফারুকের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাবা মোবাইলে কথা বলা শেষে ঘুমিয়ে পড়লে কোদাল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর গতকাল সোমবার বিকেলে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে হাজির করা হলে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিতে এমন লোমহর্ষক বর্ণনা দেন বাবাকে হত্যাকারী ছেলে মো. ফারুক (২৭)। রাত ১০টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। নিহত মতিউর ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার হারিয়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) জাহাঙ্গীর আলম জানান,  মতিউর ও তাঁর ছেলে ফারুক কাজের সন্ধানে মাদারীপুর জেলার শিবচরের বাঁশকান্দি ইউনিয়নের পঞ্চগ্রামে এসে রসুন বপনের কাজ নেন। রোববার বাবা-ছেলে রাতের খাবার শেষে একসঙ্গে একই বিছানায় ঘুমাতে যান। রাত ১০টার পর বিছানায় শুয়ে ছেলে ফারুকের বউয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন বাবা মতিউর। এ সময় পাশের ঘরে বসে বিড়ি খাচ্ছিলেন ফারুক।

পরে রাত সোয়া ১২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়লে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত বাবার মুখে কোদাল দিয়ে কোপ মারেন। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখ, মাথা আর বুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। মাত্র আড়াই মিনিটে ১৭টি কোপ দেন। মতিউরের মৃত্যু নিশ্চিত হলে তাঁর লাশের পাশে বসে বিড়ি ধরিয়ে টানতে থাকেন ফারুক।

জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, শব্দ পেয়ে পাশের ঘর থেকে বাড়ির মালিকের ছেলে ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং মতিউরকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় ফারুককে অবিচল আর নিশ্চুপ থাকতে দেখে বাড়ির মালিক শিবচর থানায় ফোন দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক ছেলেকে আটক করে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোদাল, ফারুকের রক্তাক্ত জামাকাপড়সহ অন্যান্য আলামত জব্দ করে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, মৃতদেহটি সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় মতিউরের স্ত্রী কোহিনূর বেগম বাদী হয়ে তাঁর ছেলেকে আসামি করে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তার ফারুককে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে হাজির করা হলে তাঁর বাবা মতিউরকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন। নিজের দোষ স্বীকার করে বিচারকের নিকট ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া শেষে ফারুককে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবাকে হত্যার জন্য আগে থেকে পাশের রুমে একটি কোদাল লুকিয়ে রেখেছিলেন ফারুক। অপেক্ষায় ছিলেন কখন তাঁর বাবা ঘুমাতে যাবেন সেই সুযোগের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গৌরীপুরে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, ট্রেন চলাচল বন্ধ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন। ছবি: সংগৃহীত
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জারিয়া অভিমুখী ৪৯ নম্বর বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে হঠাৎ আগুন লেগে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে গৌরীপুর রেলস্টেশনের নিকটে এই ঘটনা ঘটে।

এ সময় ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে দ্রুত ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ইনচার্জ) আকতার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে জারিয়া অভিমুখে চলাচলরত বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে হঠাৎ আগুন লাগে। পরে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ইঞ্জিন পরিবর্তনের কাজ চলছে।

ওসি আরও বলেন, ইঞ্জিন পরিবর্তন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ওই রুটে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে আ.লীগ কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী নগরের সিটিহাট এলাকায় দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করে দুর্বৃত্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী নগরের সিটিহাট এলাকায় দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করে দুর্বৃত্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী নগরের সিটিহাট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত কার্যালয়ের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন নগরের শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুমা মুস্তারী। তিনি বলেন, ‘রাতে জেলা আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিসের সামনের সড়কে দুর্বৃত্তরা পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।’

ওসি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বিস্ফোরিত ককটেলের আলামত উদ্ধার করেছে। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতারাও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তাঁরা এ ব্যাপারে মামলা করতে চেয়েছেন। মামলা দায়ের করা হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান ওসি মাছুমা মুস্তারী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজীপুরে ৭ দোকানে আগুন, ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি

গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সাতটি দোকান পুড়ে ছাই। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সাতটি দোকান পুড়ে ছাই। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সাতটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন পুকুরপাড় এলাকায়।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে রবিনের থাইয়ের দোকান, জাহাঙ্গীর আলমের খাবারের হোটেল, খোকন মিয়ার লেপ-তোশকের দোকান, হারুনের চায়ের দোকান, রাহাতের মুরগি ও ভ্যারাইটি স্টোরের দোকান এবং মায়া রানীর মুদিদোকান।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার রাত দেড়টার সময় মহানগরীর কোনাবাড়ী পুকুরপাড় এলাকায় খোকনের লেপ-তোশকের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে স্থানীয় লোকজন চেষ্টা চালালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে খবর পেয়ে কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

চায়ের দোকানদার হারুন বলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেছে। এই দোকানের ওপরেই আমার সংসার চলত। এখন পথে বসা ছাড়া উপায় নেই।’ হোটেলমালিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘হোটেলের পেছনে পরিবার নিয়ে থাকতাম। আগুন লাগলে কোনোমতে পরিবার নিয়ে বেরিয়ে আসি। আমাদের পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।’ মুরগির দোকানদার রাহাত বলেন, ‘এখন বেতনের সময়। দোকানের খাতা, নগদ টাকা—সবকিছু পুড়ে গেছে। কয়েক লাখ টাকা বাকিতে ছিল, এখন কীভাবে সামলাব বুঝতে পারছি না।’

এ বিষয়ে কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত