নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেড় যুগ আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও লেখক হুমায়ুন আজাদকে হত্যার ঘটনায় চারজনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। তবে বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা করায় এই রায় হওয়ার পরও হতাশ হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এই মামলার বিচারে না আসায় ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
হুমায়ুন আজাদের ছোট ভাই ও মামলার বাদী মঞ্জুর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক-দুই বছর না, ১৮ বছর ধরে অপেক্ষা করছি আমরা। সেই আবেগ এখন অনেকটাই ভোঁতা হয়ে গেছে।’
মামলার বাদী অভিযোগ করে বলেন, ‘এ মামলা তো শেষ হয়েছে সেদিনই, যেদিন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। আবার এখন যখন রায় হয়েছে, চারজনের দুজনই নেই। আর কী থাকল এ মামলায়?’
এর আগে আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আল-মামুন চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। সর্বোচ্চ সাজার পাশাপাশি চার আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন তিনি।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ মিজান ওরফে শাওন ওরফে সাকিব, আনোয়ার আলম ওরফে আনোয়ার, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নুর মোহাম্মদ ওরফে শামীম।
সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নুর মোহাম্মদ পলাতক থাকায় তাঁরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর অথবা কোনো আদালতে আত্মসমর্পণের পর এই রায় কার্যকর হবে।
আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন, আসামিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। তবে দণ্ড কার্যকরের আগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্টের অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স) নিতে হবে। আদালত মামলার নথি দ্রুত হাইকোর্টে পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা আসামি মিজানুর রহমান ওরফে শাওন ও আনোয়ার আলমকে আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে গত ২৭ মার্চ রায় ঘোষণার জন্য এই দিন ধার্য করেন।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে বইমেলা থেকে ফেরার পথে হুমায়ুন আজাদকে কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। পরদিন তাঁর ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। বিদেশে উন্নত চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ওই বছরের ৮ আগস্ট তিনি জার্মানিতে যান। পরে ১১ আগস্ট রাতে তিনি মারা যান। ১২ আগস্ট হুমায়ুন আজাদের মৃতদেহ উদ্ধার করেন জার্মানি পুলিশ। এরপর হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (খুন) সংযুক্ত করার আবেদন জানান। আদালত তা মঞ্জুর করলে, এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা। ওই বছরই অভিযোগ গঠন করা হয়। অপর আসামি রকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহমুদ মারা যাওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দেড় যুগ আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও লেখক হুমায়ুন আজাদকে হত্যার ঘটনায় চারজনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। তবে বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা করায় এই রায় হওয়ার পরও হতাশ হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এই মামলার বিচারে না আসায় ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
হুমায়ুন আজাদের ছোট ভাই ও মামলার বাদী মঞ্জুর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক-দুই বছর না, ১৮ বছর ধরে অপেক্ষা করছি আমরা। সেই আবেগ এখন অনেকটাই ভোঁতা হয়ে গেছে।’
মামলার বাদী অভিযোগ করে বলেন, ‘এ মামলা তো শেষ হয়েছে সেদিনই, যেদিন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। আবার এখন যখন রায় হয়েছে, চারজনের দুজনই নেই। আর কী থাকল এ মামলায়?’
এর আগে আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আল-মামুন চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। সর্বোচ্চ সাজার পাশাপাশি চার আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন তিনি।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ মিজান ওরফে শাওন ওরফে সাকিব, আনোয়ার আলম ওরফে আনোয়ার, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নুর মোহাম্মদ ওরফে শামীম।
সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নুর মোহাম্মদ পলাতক থাকায় তাঁরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর অথবা কোনো আদালতে আত্মসমর্পণের পর এই রায় কার্যকর হবে।
আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন, আসামিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। তবে দণ্ড কার্যকরের আগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্টের অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স) নিতে হবে। আদালত মামলার নথি দ্রুত হাইকোর্টে পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা আসামি মিজানুর রহমান ওরফে শাওন ও আনোয়ার আলমকে আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে গত ২৭ মার্চ রায় ঘোষণার জন্য এই দিন ধার্য করেন।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে বইমেলা থেকে ফেরার পথে হুমায়ুন আজাদকে কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। পরদিন তাঁর ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। বিদেশে উন্নত চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ওই বছরের ৮ আগস্ট তিনি জার্মানিতে যান। পরে ১১ আগস্ট রাতে তিনি মারা যান। ১২ আগস্ট হুমায়ুন আজাদের মৃতদেহ উদ্ধার করেন জার্মানি পুলিশ। এরপর হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (খুন) সংযুক্ত করার আবেদন জানান। আদালত তা মঞ্জুর করলে, এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা। ওই বছরই অভিযোগ গঠন করা হয়। অপর আসামি রকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহমুদ মারা যাওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
খুলনার দাকোপ উপজেলায় জমি দখল করতে অবৈধভাবে ফসলি জমিতে বালু ভরাট করা হয়েছে। তারপর সেই জমিতে বেসরকারি শিপইয়ার্ড নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা। আজ শনিবার খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জমির মালিক ক্ষতিগ্রস্ত ছয়জন এই অভিযোগ করেন।
১ মিনিট আগেরাজবাড়ীর পাংশায় ইউনিয়ন যুবদল কর্মী রাশিদুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। পূর্বশত্রুতার জেরে আজ শনিবার সকালে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের নিভা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগেসাতক্ষীরায় অপরিপক্ব এক ট্রাক আম বাজারজাতের চেষ্টাকালে জব্দ করে ধ্বংস করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে এই অভিযান চালানো হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রথমে ট্রাকে অপরিপক্ব আমের বিষয়টি শনাক্ত করেন। পরে তাঁরা আমবাহী একটি ট্রাক
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হাতিরঝিলে যুবদল কর্মী মো. আরিফ সিকদার হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ও শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ‘শুটার’ মাহফুজুর রহমান বিপুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ শনিবার সন্ধ্যায় র্যাব-৩–এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সনদ বড়ুয়া বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য
১ ঘণ্টা আগে