রাতুল মণ্ডল, (শ্রীপুর) গাজীপুর
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের একাংশ দখল করে ফেলা হচ্ছে ময়লা। দিনের পর দিন ফেলা ময়লা জমে টিলার রূপ নিয়েছে। এর পাশ দিয়ে চলতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পথচারী ও গণপরিবহনগুলোকে। দুর্গন্ধে আশপাশের পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মাওনা গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় পাশাপাশি কয়েকটি পয়েন্টে মহাসড়কের লেন দখল করে ভাগাড় গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের ময়লা ফেলা হচ্ছে। বিশেষ করে বাজার ও সামিট পাওয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে টিলা সমান ভাগাড় সৃষ্টি হয়েছে। এতে আশপাশের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ময়লা ফেলে ইতিমধ্যে সড়কের এক লেন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে করে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারী, যাত্রী ও চালকেরা। আশপাশে বসবাসকারী ব্যক্তিরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বিপুল মিয়া বলেন, ‘আপনারা এক দিন আশপাশের এলাকায় থাকলে বাঁচতে পারবেন না। আমাদের বেঁচে থাকাই কঠিন। হেঁটে চলাচল করলে বমি আসে। আমাদের শিশু, বৃদ্ধরা খুবই কষ্টে আছে। দুর্গন্ধে পেটে খাবার ঢোকে না। এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে, এলাকা ছাড়তে হবে, এ ছাড়া বিকল্প নেই।’
আরেক বাসিন্দা মনসুর মণ্ডল বলেন, ‘ময়লার জন্য আজ আমরা অসহায়। কত উঁচু ভাগাড় দেখেন। এটা এক দিনের না, বহুদিন ধরে এখানে ময়লা-বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। কী পরিমাণ দুর্গন্ধ, আশপাশের এলাকায় থাকলে বোঝা যাবে। দুর্গন্ধ বাতাসে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার ছড়িয়ে যায়। কার কাছে বিচার দেব? কোনো বিচার পাই না। প্রতিকার মিলছে না। কে ফেলে ময়লা কার নির্দেশনায়, এগুলো বলতে পারব না।’
সড়কটি দিয়ে রিকশা চালানো আব্দুল কাদির বলেন, ‘সড়কের অর্ধেক দখল করে ময়লা ফেলা হচ্ছে। ফুটপাত তো অনেক আগেই বন্ধ। এখন এক লেন বন্ধ হলো। আমরা কোথা দিয়ে চলাচল করব? ভাগাড়ের কাছে এসে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, কখন গাড়ি থাকবে না। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে তো ১ মিনিটের জন্য গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে না। পাশাপাশি কয়েকটি ময়লার ভাগাড় এখানে।’
এখানে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া পোশাকশ্রমিক সাহেরা খাতুন বলেন, ‘এখান দিয়ে চলাচল করতে খুবই সমস্যা। গত বুধবার হেঁটে যাচ্ছিলাম, তখন একটি মোটরসাইকেল আমাকে ফেলে দেয়। আমার হাতে অনেক সমস্যা হয়েছে। আর দুর্গন্ধ কেমন এটা আর কী বলব। এ পথ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পর পেটে ভাত যায় না।’
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ব্যবহার করা ইমাম পরিবহনের বাসচালক নজরুল ঢালী জানান, ময়লায় লেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। জটে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে দুর্গন্ধে যাত্রীদের অনেক সমস্যা হয়। এটা বহুদিনের সমস্যা। কয়েকটি পয়েন্টে এমন বড় বড় ভাগাড় হয়েছে।
এই চালক প্রশ্ন করেন, ‘এগুলো কেউ দেখে না? যাঁদের দায়িত্ব তাঁরা কই? তাঁরা তো কোনো খোঁজখবর নিচ্ছে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদ বলেন, ‘জনভোগান্তির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হবে। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের একাংশ দখল করে ফেলা হচ্ছে ময়লা। দিনের পর দিন ফেলা ময়লা জমে টিলার রূপ নিয়েছে। এর পাশ দিয়ে চলতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পথচারী ও গণপরিবহনগুলোকে। দুর্গন্ধে আশপাশের পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মাওনা গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় পাশাপাশি কয়েকটি পয়েন্টে মহাসড়কের লেন দখল করে ভাগাড় গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের ময়লা ফেলা হচ্ছে। বিশেষ করে বাজার ও সামিট পাওয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে টিলা সমান ভাগাড় সৃষ্টি হয়েছে। এতে আশপাশের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ময়লা ফেলে ইতিমধ্যে সড়কের এক লেন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে করে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারী, যাত্রী ও চালকেরা। আশপাশে বসবাসকারী ব্যক্তিরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বিপুল মিয়া বলেন, ‘আপনারা এক দিন আশপাশের এলাকায় থাকলে বাঁচতে পারবেন না। আমাদের বেঁচে থাকাই কঠিন। হেঁটে চলাচল করলে বমি আসে। আমাদের শিশু, বৃদ্ধরা খুবই কষ্টে আছে। দুর্গন্ধে পেটে খাবার ঢোকে না। এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে, এলাকা ছাড়তে হবে, এ ছাড়া বিকল্প নেই।’
আরেক বাসিন্দা মনসুর মণ্ডল বলেন, ‘ময়লার জন্য আজ আমরা অসহায়। কত উঁচু ভাগাড় দেখেন। এটা এক দিনের না, বহুদিন ধরে এখানে ময়লা-বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। কী পরিমাণ দুর্গন্ধ, আশপাশের এলাকায় থাকলে বোঝা যাবে। দুর্গন্ধ বাতাসে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার ছড়িয়ে যায়। কার কাছে বিচার দেব? কোনো বিচার পাই না। প্রতিকার মিলছে না। কে ফেলে ময়লা কার নির্দেশনায়, এগুলো বলতে পারব না।’
সড়কটি দিয়ে রিকশা চালানো আব্দুল কাদির বলেন, ‘সড়কের অর্ধেক দখল করে ময়লা ফেলা হচ্ছে। ফুটপাত তো অনেক আগেই বন্ধ। এখন এক লেন বন্ধ হলো। আমরা কোথা দিয়ে চলাচল করব? ভাগাড়ের কাছে এসে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, কখন গাড়ি থাকবে না। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে তো ১ মিনিটের জন্য গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে না। পাশাপাশি কয়েকটি ময়লার ভাগাড় এখানে।’
এখানে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া পোশাকশ্রমিক সাহেরা খাতুন বলেন, ‘এখান দিয়ে চলাচল করতে খুবই সমস্যা। গত বুধবার হেঁটে যাচ্ছিলাম, তখন একটি মোটরসাইকেল আমাকে ফেলে দেয়। আমার হাতে অনেক সমস্যা হয়েছে। আর দুর্গন্ধ কেমন এটা আর কী বলব। এ পথ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পর পেটে ভাত যায় না।’
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ব্যবহার করা ইমাম পরিবহনের বাসচালক নজরুল ঢালী জানান, ময়লায় লেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। জটে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে দুর্গন্ধে যাত্রীদের অনেক সমস্যা হয়। এটা বহুদিনের সমস্যা। কয়েকটি পয়েন্টে এমন বড় বড় ভাগাড় হয়েছে।
এই চালক প্রশ্ন করেন, ‘এগুলো কেউ দেখে না? যাঁদের দায়িত্ব তাঁরা কই? তাঁরা তো কোনো খোঁজখবর নিচ্ছে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদ বলেন, ‘জনভোগান্তির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হবে। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।’
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই ১০ বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করলে সে দেশের তুরা জেলা পুলিশ তাদের আটক করে। পরে রোববার বিকেলে নাকুগাঁও আইসিপি দিয়ে তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিজিবি তাদের নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
২৫ মিনিট আগে৯৬ ঘণ্টা পর আজ (১১ আগস্ট) সকাল ৭ টা থেকে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কীর্তি নিশান চাকমা।
৩০ মিনিট আগেনিহত রুপলালের স্ত্রী ভারতী রানী বাদী হয়ে ৭০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে গতকাল রোববার দুপুরে তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেন।
৩৪ মিনিট আগেচাঁদা দাবির অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে ফের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে দলটি। সোমবার (১১ আগস্ট) এনসিপি চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী (দপ্তর) আরিফ মঈনুদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি পত্রে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে