Ajker Patrika

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে ডিএনসিসির সেবা কার্যক্রম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে ডিএনসিসির সেবা কার্যক্রম

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আঞ্চলিক কার্যালয়ের সেবা কার্যক্রম। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ডিএনসিসি অঞ্চল-৫ কার্যালয়ের ভবনটিতে একাধিক জায়গায় ছাদের আস্তর খসে রড বেরিয়ে গেছে। সিঁড়িতে ও দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল। যেকোনো সময় ভবনটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছে। 

ডিএনসিসির সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষের ছাদের একাংশ খসে পড়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। কক্ষটি বর্তমানে তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছে। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) মোতাকাব্বীর আহমেদ এখন অন্য একজন কর্মকর্তার রুম ভাগাভাগি করে অফিস করেন। 

আজ সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কারওয়ান বাজারে রংচটা দুই তলা ভবনটির সিঁড়ি বেয়ে উঠতে চোখে পড়েছে দেয়াল ফাটলের চিহ্ন। ভবনের এমন পরিস্থিতিতেও আঞ্চলিক কার্যালয়ের সেবা কার্যক্রম থেমে নেই।  

ওই কার্যালয়ে কথা হয় ফার্মগেটের ব্যবসায়ী আশিকুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স করতে এসেছেন। আশিকুজ্জামান জানান, ‘বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। ট্রেড লাইসেন্সটা খুব প্রয়োজন, তাই এখানে আসতে হয়েছে।’ 

মেয়ের জন্ম নিবন্ধনের কাজে এসেছেন কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা নার্গিস আক্তার। তিনি বলেন, ‘ভবনটি অনেক পুরোনো। তবে এটা ভেঙে পড়তে পারে এমন ধারণা তাঁর ছিল না।’ 

ঝুঁকির কথা জেনেও কারওয়ান বাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রতিদিন অফিস করেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী রোটন ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘ভয় তো লাগেই। না এসে তো উপায় নেই।’ 

ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর তথ্যমতে, আঞ্চলিক এই কার্যালয়টিতে ডিএনসিসির প্রায় ১৫০ কর্মী কাজ করে। এতে প্রতিদিন সেবা নিতে আসে ডিএনসিসির ৯টি ওয়ার্ডের (২৬-৩৪ ওয়ার্ড) এক হাজারের বেশি সেবাগ্রহীতা। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) মোতাকাব্বীর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত অনেক আগে থেকেই। সম্প্রতি ভবনের ছাদ থেকে আস্তরণ খসে পড়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ভবনটি পরিদর্শন করেছেন।’ 

আঞ্চলিক কার্যালয় শিগগিরই স্থানান্তর করা হবে জানিয়ে মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, ‘কারওয়ান বাজার থেকে আঞ্চলিক কার্যালয় দ্রুত স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদের পাশে ডিএনসিসির কমিউনিটি সেন্টারে অফিস হবে আঞ্চলিক কার্যালয় সরিয়ে নেওয়া হবে। ওখানে এখন র‍্যাব অফিস রয়েছে, সেটা সরানো হবে। ৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে মিটিং হয়েছে। অফিস স্থানান্তর করতে আরও ১৫ দিন সময় লাগবে।’ 

২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কারওয়ান বাজারের আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে। এর সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটির মালিকানাধীন আরও ১১টি মার্কেট ভবনকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে কয়েকটি ভবন পুরোপুরি ভেঙে ফেলার, কয়েকটি রেট্রোফিটিংয়ের (নির্মিত ভবনের সক্ষমতা বাড়ানো) সুপারিশ দেয় বুয়েট। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগের বাজার শাখার তালিকায়ও ওই মার্কেট ভবনকে পরিত্যক্ত দেখানো হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাতক্ষীরায় শিক্ষকের পিটুনিতে হাসপাতালে স্কুলছাত্রী

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শিক্ষকের পিটুনিতে আহত এক স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নূরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

ছাত্রীর বাবা জানান, শ্রেণিকক্ষের ফ্যান ছাড়ার অভিযোগে শিক্ষক নাজমুল হোসেনের পিটুনিতে আহত হয় তাঁর মেয়ে। শিক্ষকের এলোপাতাড়ি মারপিটের সময় পাঠদানকক্ষের জানালার গ্রিলের সঙ্গে মাথায় ধাক্কা লাগলে মাশকুরা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে অন্য শিক্ষকেরা স্থানীয় ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি করে।

মাশকুরার সহপাঠীরা জানায়, পাঠদান চলাকালে শ্রেণিকক্ষের ফ্যান বন্ধ ছিল। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীর অনুরোধে মাশকুরা ফ্যানের সুইচ ‘অন’ করলে শ্রেণিশিক্ষক নাজমুল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর শুরু করে। শুরুতে স্টিলের স্কেল দিয়ে হাতে পিটুনি দিলেও একপর্যায়ে তিনি হাত দিয়ে মারধর শুরু করেন। পরে মাশকুরা শ্রেণিকক্ষের জানালার গ্রিলের সঙ্গে মাথায় ধাক্কা লাগলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমুল হোসেন জানান, শাসনের জন্য তিনি মারতে উদ্যত হয়েছিলেন। তবে মাশকুরা ভয়ে মাথা সরিয়ে নেওয়ার কারণে গ্রিলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিম হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে ছাত্রীর বাবার সঙ্গে শিক্ষকদের একটা সমঝোতা হয়েছে।

শ্যামনগর থানার ওসি হুমায়ূন কবির জানান, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় নির্বাচনের আগে ব্রাকসু আইন সংশোধন সম্ভব নয়: উপাচার্য

বেরোবি সংবাদদাতা
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শ‌ওকাত আলী। ছবি: সংগৃহীত
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শ‌ওকাত আলী। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) আইন জাতীয় নির্বাচনের আগে সংশোধন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শ‌ওকাত আলী। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলনসহ শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনের পর গত ২৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় আইনে যুক্ত হয় শিক্ষার্থী সংসদ আইন। কিন্তু গঠনতন্ত্রে নারী শিক্ষার্থীদের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিনিধিত্বের জায়গা না রাখা; মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক পদ না রাখা এবং অনাস্থা প্রস্তাবের বিধান রাখার প্রতিবাদ জানান একদল শিক্ষার্থী। তাঁরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিধি সংশোধন করে নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার দাবি তোলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শ‌ওকাত আলী সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেছেন—ব্রাকসুর বিধিমালা জাতীয় নির্বাচনের আগে সংশোধন করা সম্ভব নয়। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করতে হলে এই বিধিমালাতেই করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামের চালিতাতলীতে এবার প্রতিবন্ধী অটোচালককে গুলি

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৬
দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত মো. ইদ্রিস। ছবি: সংগৃহীত
দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত মো. ইদ্রিস। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের চালিতাতলীতে এবার দুর্বৃত্তের গুলিতে মো. ইদ্রিস নামের এক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি, মাদক কারবারে বাধা দেওয়ায় ইদ্রিসকে গুলি করা হয়েছে।

আহত ইদ্রিস পরিবার নিয়ে বহদ্দারহাট এলাকায় থাকেন। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশাচালক বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক জানান, আহত অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তিনি হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

এর আগে একই এলাকায় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তের গুলিতে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে সরোয়ার বাবলা নামের একজনের মৃত্যু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এক মঞ্চে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির দুই নেতা, আন্দোলনের ঘোষণা

পাবনা ও চাটমোহর প্রতিনিধি 
স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনের ঘোষণা দেন মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির দুই নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনের ঘোষণা দেন মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির দুই নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিভেদ ভুলে এক মঞ্চে এসে স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে একসঙ্গে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন পাবনা-৩ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত দুই নেতা কে এম আনোয়ারুল ইসলাম ও হাসাদুল ইসলাম হীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের পাঠানপাড়া মহল্লায় আনোয়ারুল ইসলামের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক এমপি ও চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৩১ দফা বাস্তবায়নে তৎপর। ৭ নভেম্বর উদ্যাপন করতে চাই। দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আপনাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই। চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুরের বিএনপির নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সামনে এগোতে চাই। আপনাদের আহ্বান জানাই, আসুন আগামী ৮ নভেম্বর বালুচর মাঠে একসঙ্গে মিলিত হই।’

চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেন, ‘আমি এবং আনোয়ার চাচা একসঙ্গে মিলিত হয়ে আমরা কর্মসূচি নিয়েছি। ৭ নভেম্বর শুক্রবার, চাটমোহরে সব দোকানপাট বন্ধ থাকে, তাই আমরা পরদিন ৮ নভেম্বর কর্মসূচি দিয়েছি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হীরা বলেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত দেখতে চাই, চূড়ান্ত মনোনয়ন পর্যন্ত দেখতে চাই। তারপর আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত সংবাদ সম্মেলন করে আপনাদের জানাব। আমাদের আন্দোলন চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুরের মানুষের স্বার্থে। আমাদের দাবি একটাই, আমরা পাবনা-৩ আসনের স্থানীয় প্রার্থী চাই। চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা আশা করব, দলের হাইকমান্ড সার্বিক বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’

জানা গেছে, পাবনা-৩ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনকে। তাঁর বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলায়। প্রার্থী হওয়ার পর অবশ্য তিনি চাটমোহরের ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। প্রায় তিন মাস আগে তিনি এখানে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।

এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে চাটমোহর উপজেলা বিএনপিতে বিভাজন চলছিল। সাবেক এমপি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম এবং সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা আলাদাভাবে নিজেদের কর্মী-সমর্থক নিয়ে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। দুজনই পাবনা-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এখন বিভেদ ভুলে দুজন একসঙ্গে আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়ায় উত্তাপ বাড়ছে পাবনা-৩ আসনের ভোটের মাঠে। শুরু হয়েছে নতুন মেরুকরণ। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত কি হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত