আজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘মেয়ে অরিত্রিকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকেরা। মেয়ে হারানোর ব্যথা নিয়ে ছয়টি বছর কাটালাম। বিচারের জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে?’ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী এই প্রশ্ন রাখেন সংবাদ সম্মেলনে।
আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকার কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) কার্যালয়ে অরিত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলার বিচার চেয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বাবা দিলীপ অধিকারী। এ সময় অরিত্রীর মা বিউটি অধিকারী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দিলীপ অধিকারী বলেন, ‘মেয়ে হারানোর ব্যথা নিয়ে ছয়টি বছর কাটালাম। বিচার চাইতে গিয়ে নিজের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য ন্যায়বিচার পেলাম না। সাক্ষ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও রায়ের পর্যায়ে এসে আমাদের হতাশ হতে হলো। ছয়বার রায়ের তারিখ পড়লেও অদৃশ্য কারণে তা ঘোষণা করা হলো না। কিন্তু কেন রায় দিল না, এখন আমার মেয়ের আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলার বিচার পাব কি না তা নিয়ে সংশয়ে আছি। তবে যত দিন বেঁচে আছি, তত দিন আমি বিচার চাইতেই থাকব।’
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে অরিত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার আদরের সন্তান অরিত্রী। ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির একজন মেধাবী ছাত্রী ছিলে। স্কুলের শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনা, শাখা প্রধান জিনাত আক্তার, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নাজনীন ফেরদৌস আমাদের সামনে অরিত্রীর সঙ্গে নির্মম ও নির্দয় আচরণ করায় এবং বারবার ছাড়পত্র (টিসি) দেওয়ার হুমকি দেন। এতে অরিত্রী মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর সে আত্মহত্যা করে। আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া চার মাসের বেশি সময় পার হলেও নতুন তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আদালতের কোনো আদেশ পাইনি।’
তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, ‘পিবিআইতে খোঁজ নিয়েছি, তবে চার মাসের বেশি সময় পার হলেও এই সংস্থা তদন্তের কোনো আদেশ পায়নি। আজ অবধি কোনো অগ্রগতি নেই। এভাবে যদি সময় চলে যায়, তাহলে কীভাবে আমি ন্যায় বিচার পাব? আমি বিচার নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছি। ন্যায় বিচারের আশায় ছয়টি বছর পার করলাম। এই বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা করতে হবে। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ন্যায় বিচার চাচ্ছি।’
আসামিপক্ষের আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে দিলীপ অধিকারী বলেন, এ মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোশারফ হোসেন কাজল। যিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের একজন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ছিলেন এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় লড়েছেন। আমার মেয়ের আত্মহত্যা প্ররোচনায় মামলার সাক্ষীদের তিনি বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন। বিচার কাজে বাধা প্রদান করেন। তার কারণে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এখন ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর শিক্ষকদের দ্বারা বাবা-মার অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে অরিত্রী অধিকারী। অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিনাত আক্তারকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি পুলিশ। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা (তৎকালীন) জজ রবিউল আলম। সাক্ষ্য গ্রহণও হয়।
পরবর্তীতে মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে পাঠানো হয়। গত বছর ২৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন। তবে রায়ের তারিখ ৬ দফা পেছানো হয়। সর্বশেষ গত ২৫ জুলাই রায় ঘোষণার তারিখে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে পুনরায় মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর থেমে আছে অরিত্রির আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা।

‘মেয়ে অরিত্রিকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকেরা। মেয়ে হারানোর ব্যথা নিয়ে ছয়টি বছর কাটালাম। বিচারের জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে?’ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী এই প্রশ্ন রাখেন সংবাদ সম্মেলনে।
আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকার কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) কার্যালয়ে অরিত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলার বিচার চেয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বাবা দিলীপ অধিকারী। এ সময় অরিত্রীর মা বিউটি অধিকারী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দিলীপ অধিকারী বলেন, ‘মেয়ে হারানোর ব্যথা নিয়ে ছয়টি বছর কাটালাম। বিচার চাইতে গিয়ে নিজের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য ন্যায়বিচার পেলাম না। সাক্ষ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও রায়ের পর্যায়ে এসে আমাদের হতাশ হতে হলো। ছয়বার রায়ের তারিখ পড়লেও অদৃশ্য কারণে তা ঘোষণা করা হলো না। কিন্তু কেন রায় দিল না, এখন আমার মেয়ের আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলার বিচার পাব কি না তা নিয়ে সংশয়ে আছি। তবে যত দিন বেঁচে আছি, তত দিন আমি বিচার চাইতেই থাকব।’
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে অরিত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার আদরের সন্তান অরিত্রী। ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির একজন মেধাবী ছাত্রী ছিলে। স্কুলের শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনা, শাখা প্রধান জিনাত আক্তার, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নাজনীন ফেরদৌস আমাদের সামনে অরিত্রীর সঙ্গে নির্মম ও নির্দয় আচরণ করায় এবং বারবার ছাড়পত্র (টিসি) দেওয়ার হুমকি দেন। এতে অরিত্রী মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর সে আত্মহত্যা করে। আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া চার মাসের বেশি সময় পার হলেও নতুন তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আদালতের কোনো আদেশ পাইনি।’
তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, ‘পিবিআইতে খোঁজ নিয়েছি, তবে চার মাসের বেশি সময় পার হলেও এই সংস্থা তদন্তের কোনো আদেশ পায়নি। আজ অবধি কোনো অগ্রগতি নেই। এভাবে যদি সময় চলে যায়, তাহলে কীভাবে আমি ন্যায় বিচার পাব? আমি বিচার নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছি। ন্যায় বিচারের আশায় ছয়টি বছর পার করলাম। এই বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা করতে হবে। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ন্যায় বিচার চাচ্ছি।’
আসামিপক্ষের আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে দিলীপ অধিকারী বলেন, এ মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোশারফ হোসেন কাজল। যিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের একজন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ছিলেন এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় লড়েছেন। আমার মেয়ের আত্মহত্যা প্ররোচনায় মামলার সাক্ষীদের তিনি বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন। বিচার কাজে বাধা প্রদান করেন। তার কারণে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এখন ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর শিক্ষকদের দ্বারা বাবা-মার অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে অরিত্রী অধিকারী। অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিনাত আক্তারকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি পুলিশ। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা (তৎকালীন) জজ রবিউল আলম। সাক্ষ্য গ্রহণও হয়।
পরবর্তীতে মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে পাঠানো হয়। গত বছর ২৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন। তবে রায়ের তারিখ ৬ দফা পেছানো হয়। সর্বশেষ গত ২৫ জুলাই রায় ঘোষণার তারিখে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে পুনরায় মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর থেমে আছে অরিত্রির আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘মেয়ে অরিত্রিকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকেরা। মেয়ে হারানোর ব্যথা নিয়ে ছয়টি বছর কাটালাম। বিচারের জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে?’ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী এই প্রশ্ন রাখেন সংবাদ সম্মেলনে।
আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকার কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) কার্যালয়ে অরিত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলার বিচার চেয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বাবা দিলীপ অধিকারী। এ সময় অরিত্রীর মা বিউটি অধিকারী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দিলীপ অধিকারী বলেন, ‘মেয়ে হারানোর ব্যথা নিয়ে ছয়টি বছর কাটালাম। বিচার চাইতে গিয়ে নিজের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য ন্যায়বিচার পেলাম না। সাক্ষ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও রায়ের পর্যায়ে এসে আমাদের হতাশ হতে হলো। ছয়বার রায়ের তারিখ পড়লেও অদৃশ্য কারণে তা ঘোষণা করা হলো না। কিন্তু কেন রায় দিল না, এখন আমার মেয়ের আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলার বিচার পাব কি না তা নিয়ে সংশয়ে আছি। তবে যত দিন বেঁচে আছি, তত দিন আমি বিচার চাইতেই থাকব।’
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে অরিত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার আদরের সন্তান অরিত্রী। ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির একজন মেধাবী ছাত্রী ছিলে। স্কুলের শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনা, শাখা প্রধান জিনাত আক্তার, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নাজনীন ফেরদৌস আমাদের সামনে অরিত্রীর সঙ্গে নির্মম ও নির্দয় আচরণ করায় এবং বারবার ছাড়পত্র (টিসি) দেওয়ার হুমকি দেন। এতে অরিত্রী মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর সে আত্মহত্যা করে। আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া চার মাসের বেশি সময় পার হলেও নতুন তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আদালতের কোনো আদেশ পাইনি।’
তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, ‘পিবিআইতে খোঁজ নিয়েছি, তবে চার মাসের বেশি সময় পার হলেও এই সংস্থা তদন্তের কোনো আদেশ পায়নি। আজ অবধি কোনো অগ্রগতি নেই। এভাবে যদি সময় চলে যায়, তাহলে কীভাবে আমি ন্যায় বিচার পাব? আমি বিচার নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছি। ন্যায় বিচারের আশায় ছয়টি বছর পার করলাম। এই বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা করতে হবে। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ন্যায় বিচার চাচ্ছি।’
আসামিপক্ষের আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে দিলীপ অধিকারী বলেন, এ মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোশারফ হোসেন কাজল। যিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের একজন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ছিলেন এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় লড়েছেন। আমার মেয়ের আত্মহত্যা প্ররোচনায় মামলার সাক্ষীদের তিনি বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন। বিচার কাজে বাধা প্রদান করেন। তার কারণে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এখন ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর শিক্ষকদের দ্বারা বাবা-মার অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে অরিত্রী অধিকারী। অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিনাত আক্তারকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি পুলিশ। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা (তৎকালীন) জজ রবিউল আলম। সাক্ষ্য গ্রহণও হয়।
পরবর্তীতে মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে পাঠানো হয়। গত বছর ২৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন। তবে রায়ের তারিখ ৬ দফা পেছানো হয়। সর্বশেষ গত ২৫ জুলাই রায় ঘোষণার তারিখে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে পুনরায় মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর থেমে আছে অরিত্রির আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা।

‘মেয়ে অরিত্রিকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকেরা। মেয়ে হারানোর ব্যথা নিয়ে ছয়টি বছর কাটালাম। বিচারের জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে?’ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী এই প্রশ্ন রাখেন সংবাদ সম্মেলনে।
আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকার কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) কার্যালয়ে অরিত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলার বিচার চেয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বাবা দিলীপ অধিকারী। এ সময় অরিত্রীর মা বিউটি অধিকারী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দিলীপ অধিকারী বলেন, ‘মেয়ে হারানোর ব্যথা নিয়ে ছয়টি বছর কাটালাম। বিচার চাইতে গিয়ে নিজের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য ন্যায়বিচার পেলাম না। সাক্ষ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও রায়ের পর্যায়ে এসে আমাদের হতাশ হতে হলো। ছয়বার রায়ের তারিখ পড়লেও অদৃশ্য কারণে তা ঘোষণা করা হলো না। কিন্তু কেন রায় দিল না, এখন আমার মেয়ের আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলার বিচার পাব কি না তা নিয়ে সংশয়ে আছি। তবে যত দিন বেঁচে আছি, তত দিন আমি বিচার চাইতেই থাকব।’
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে অরিত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার আদরের সন্তান অরিত্রী। ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির একজন মেধাবী ছাত্রী ছিলে। স্কুলের শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনা, শাখা প্রধান জিনাত আক্তার, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নাজনীন ফেরদৌস আমাদের সামনে অরিত্রীর সঙ্গে নির্মম ও নির্দয় আচরণ করায় এবং বারবার ছাড়পত্র (টিসি) দেওয়ার হুমকি দেন। এতে অরিত্রী মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর সে আত্মহত্যা করে। আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া চার মাসের বেশি সময় পার হলেও নতুন তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আদালতের কোনো আদেশ পাইনি।’
তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, ‘পিবিআইতে খোঁজ নিয়েছি, তবে চার মাসের বেশি সময় পার হলেও এই সংস্থা তদন্তের কোনো আদেশ পায়নি। আজ অবধি কোনো অগ্রগতি নেই। এভাবে যদি সময় চলে যায়, তাহলে কীভাবে আমি ন্যায় বিচার পাব? আমি বিচার নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছি। ন্যায় বিচারের আশায় ছয়টি বছর পার করলাম। এই বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা করতে হবে। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ন্যায় বিচার চাচ্ছি।’
আসামিপক্ষের আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে দিলীপ অধিকারী বলেন, এ মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোশারফ হোসেন কাজল। যিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের একজন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ছিলেন এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় লড়েছেন। আমার মেয়ের আত্মহত্যা প্ররোচনায় মামলার সাক্ষীদের তিনি বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন। বিচার কাজে বাধা প্রদান করেন। তার কারণে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এখন ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর শিক্ষকদের দ্বারা বাবা-মার অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে অরিত্রী অধিকারী। অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিনাত আক্তারকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি পুলিশ। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা (তৎকালীন) জজ রবিউল আলম। সাক্ষ্য গ্রহণও হয়।
পরবর্তীতে মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে পাঠানো হয়। গত বছর ২৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন। তবে রায়ের তারিখ ৬ দফা পেছানো হয়। সর্বশেষ গত ২৫ জুলাই রায় ঘোষণার তারিখে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে পুনরায় মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর থেমে আছে অরিত্রির আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা।

মোংলার পশুর নদে পড়ে নিখোঁজ হওয়া আমেরিকাপ্রবাসী ও বিমানবাহিনীর সাবেক পাইলট নারী পর্যটক রিয়ানা আবজালের (২৮) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৭টার দিকে জয়মনিরঘোলের সরকারি খাদ্যগুদামের জেটি এলাকার পশুর নদ থেকে ভাসমান এ লাশটি উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। পরে লাশ চাঁদপাই নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৮ মিনিট আগে
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সূর্যনারায়ণপুর গ্রামের কাওলারটেক এলাকায় কৃষক গিয়াস উদ্দিন (৪০) ও এক শিয়ালের মধ্যে গড়ে উঠেছে এক অনন্য বন্ধুত্বের সম্পর্ক। মানুষ ও বন্য প্রাণীর পারস্পরিক ভয়ের দেয়াল পেরিয়ে বিশ্বাসের এই ব্যতিক্রমী বন্ধন এখন এলাকায় আলোড়ন তুলেছে।
৮ মিনিট আগে
বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো উগান্ডার জাতীয় পাখি গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেনের ছানার জন্ম হলো। গাজীপুরের শ্রীপুরে সাফারি পার্কের ক্রাউন ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে ছানাটির জন্ম হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
রাজবাড়ীর পাংশায় পারিবারিক কলহের জেরে আব্দুল সাত্তার মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের...
২৫ মিনিট আগেমোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

মোংলার পশুর নদে পড়ে নিখোঁজ হওয়া আমেরিকাপ্রবাসী ও বিমানবাহিনীর সাবেক পাইলট নারী পর্যটক রিয়ানা আবজালের (২৮) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৭টার দিকে জয়মনিরঘোলের সরকারি খাদ্যগুদামের জেটি এলাকার পশুর নদ থেকে ভাসমান এ লাশটি উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। পরে লাশ চাঁদপাই নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গত শনিবার ১৩ জন পর্যটক সুন্দরবনের করমজল ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জালি বোটে যাত্রা শুরু করেন। বোটটি বেলা ১টার দিকে সুন্দরবনের ঢাংমারি খালসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে প্রবল ঢেউয়ে বোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এরপর স্থানীয় বোটের সহায়তায় ১২ জন ট্যুরিস্টকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও একজনকে (রিয়ানা আবজাল) উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে বোটে থাকা এক ব্যক্তি বিষয়টি কোস্ট গার্ডকে অবগত করেন। তার ভিত্তিতে কোস্ট গার্ডের দুটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। ৩ দিনের ধারাবাহিক অনুসন্ধানের পর সোমবার সকাল ৭টার দিকে মোংলার জয়মনি এলাকার সাইলোর জেটিসংলগ্ন পশুর নদ থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ পর্যটক রিয়ানা আবজালের মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
জানা গেছে, রিয়ানা আবজাল তাঁর বাবা-মা, ভাই-বোন ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুন্দরবন ভ্রমণে এসেছিলেন। রিয়ানার বাবা ঢাকার উত্তরার বাসিন্দা। তিনি পেশায় বিমানবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার। আর রিয়ানা বিমানবাহিনীর পাইলট ছিলেন। স্বামীসহ বসবাস করতেন আমেরিকায়। গত মাসের মাঝামাঝি আমেরিকা থেকে ঢাকায় আসেন রিয়ানা। ২০২১ সালে রিয়ানার বিয়ে হয় আমেরিকাপ্রবাসী স্বামীর সঙ্গে। তাঁদের কোনো সন্তান ছিল না।
এদিকে স্ত্রী নিখোঁজের খবর পাওয়ার পর গতকাল রোববার স্বামী তৌহিদুল ইসলাম ঢাকায় আসেন। রিয়ানার বাবা আবুল কালাম আজাদ বলেন, রিয়ানাকে কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে শ্বশুরবাড়িতে দাফন করা হবে।

মোংলার পশুর নদে পড়ে নিখোঁজ হওয়া আমেরিকাপ্রবাসী ও বিমানবাহিনীর সাবেক পাইলট নারী পর্যটক রিয়ানা আবজালের (২৮) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৭টার দিকে জয়মনিরঘোলের সরকারি খাদ্যগুদামের জেটি এলাকার পশুর নদ থেকে ভাসমান এ লাশটি উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। পরে লাশ চাঁদপাই নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গত শনিবার ১৩ জন পর্যটক সুন্দরবনের করমজল ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জালি বোটে যাত্রা শুরু করেন। বোটটি বেলা ১টার দিকে সুন্দরবনের ঢাংমারি খালসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে প্রবল ঢেউয়ে বোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এরপর স্থানীয় বোটের সহায়তায় ১২ জন ট্যুরিস্টকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও একজনকে (রিয়ানা আবজাল) উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে বোটে থাকা এক ব্যক্তি বিষয়টি কোস্ট গার্ডকে অবগত করেন। তার ভিত্তিতে কোস্ট গার্ডের দুটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। ৩ দিনের ধারাবাহিক অনুসন্ধানের পর সোমবার সকাল ৭টার দিকে মোংলার জয়মনি এলাকার সাইলোর জেটিসংলগ্ন পশুর নদ থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ পর্যটক রিয়ানা আবজালের মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
জানা গেছে, রিয়ানা আবজাল তাঁর বাবা-মা, ভাই-বোন ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুন্দরবন ভ্রমণে এসেছিলেন। রিয়ানার বাবা ঢাকার উত্তরার বাসিন্দা। তিনি পেশায় বিমানবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার। আর রিয়ানা বিমানবাহিনীর পাইলট ছিলেন। স্বামীসহ বসবাস করতেন আমেরিকায়। গত মাসের মাঝামাঝি আমেরিকা থেকে ঢাকায় আসেন রিয়ানা। ২০২১ সালে রিয়ানার বিয়ে হয় আমেরিকাপ্রবাসী স্বামীর সঙ্গে। তাঁদের কোনো সন্তান ছিল না।
এদিকে স্ত্রী নিখোঁজের খবর পাওয়ার পর গতকাল রোববার স্বামী তৌহিদুল ইসলাম ঢাকায় আসেন। রিয়ানার বাবা আবুল কালাম আজাদ বলেন, রিয়ানাকে কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে শ্বশুরবাড়িতে দাফন করা হবে।

‘মেয়ে অরিত্রিকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকেরা। মেয়ে হারানোর ব্যথা নিয়ে ছয়টি বছর কাটালাম। বিচারের জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে?’ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী এই প্রশ্ন রাখেন সংবাদ সম্মেলনে।
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সূর্যনারায়ণপুর গ্রামের কাওলারটেক এলাকায় কৃষক গিয়াস উদ্দিন (৪০) ও এক শিয়ালের মধ্যে গড়ে উঠেছে এক অনন্য বন্ধুত্বের সম্পর্ক। মানুষ ও বন্য প্রাণীর পারস্পরিক ভয়ের দেয়াল পেরিয়ে বিশ্বাসের এই ব্যতিক্রমী বন্ধন এখন এলাকায় আলোড়ন তুলেছে।
৮ মিনিট আগে
বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো উগান্ডার জাতীয় পাখি গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেনের ছানার জন্ম হলো। গাজীপুরের শ্রীপুরে সাফারি পার্কের ক্রাউন ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে ছানাটির জন্ম হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
রাজবাড়ীর পাংশায় পারিবারিক কলহের জেরে আব্দুল সাত্তার মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের...
২৫ মিনিট আগেকাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সূর্যনারায়ণপুর গ্রামের কাওলারটেক এলাকায় কৃষক গিয়াস উদ্দিন (৪০) ও এক শিয়ালের মধ্যে গড়ে উঠেছে এক অনন্য বন্ধুত্বের সম্পর্ক। মানুষ ও বন্য প্রাণীর পারস্পরিক ভয়ের দেয়াল পেরিয়ে বিশ্বাসের এই ব্যতিক্রমী বন্ধন এখন এলাকায় আলোড়ন তুলেছে।
পেশায় কৃষক গিয়াস উদ্দিন স্ত্রী-সন্তানদের থেকে আলাদা নির্জন পরিবেশে বসবাস করেন। গরু, ছাগল, মুরগি, ভেড়ার পাশাপাশি তাঁর বিশেষ সঙ্গী এখন একটি শিয়াল, যার নাম তিনি দিয়েছেন ‘লালু’। প্রায় এক বছর আগে গিয়াস উদ্দিনের এক বন্ধু বনের ভেতর থেকে একটি সদ্য চোখ ফোটা শিয়াল ছানাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় খুঁজে পান। সেই ছানাটিকে বাড়িতে এনে লালনপালনের দায়িত্ব নেন গিয়াস উদ্দিন। এর পর থেকেই লালু তাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে।
এখন লালুর বয়স এক বছরের বেশি। সে রান্না করা ভাত, তরকারি, মাংস, পাউরুটি, বিস্কুট—সবই খেতে পারে। দিনের অধিকাংশ সময় লালু থাকে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির উঠানে কিংবা ঘরের ভেতরে। মাঝে মাঝে বনে চলে গেলেও গিয়াস উদ্দিনের ডাক শুনলেই ছুটে ফিরে আসে।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘লালুকে ছোট থেকে লালন করছি। তার প্রতি মায়া জন্মেছে। মনে হয়, যেন সে আমার বন্ধু। ফসলের খেতে কাজ করতে গেলে সে পাশে বসে থাকে। আমি যেখানেই যাই, সে আমাকে খুঁজে বের করে সেখানে হাজির হয়।’
প্রতিবেশী মো. আজিজুল বলেন, ‘দৃশ্যটা সত্যিই অসাধারণ। মানুষের এত কাছে এসে বন্য প্রাণীর এমন আচরণ বিরল। শিয়ালটি গিয়াস উদ্দিনকে বিশ্বাস করে বলেই সে মানুষের সঙ্গেই থাকে।’
তবে বন্য প্রাণীকে এত কাছাকাছি রাখা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ রয়েছে। কাপাসিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘শিয়াল রেবিস ভাইরাস বহন করতে পারে, যা জলাতঙ্কের মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই এ ধরনের প্রাণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বিপজ্জনক। এ ছাড়া বন্য প্রাণী সংরক্ষণের দিক থেকেও বন বিভাগকে বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।’
প্রকৃতি ও মানবতার এই অদ্ভুত সহাবস্থান এখন সূর্যনারায়ণপুর গ্রামে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। কেউ একে দেখছেন এক অসাধারণ বন্ধুত্বের গল্প হিসেবে, কেউবা ভাবছেন এর সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে।

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সূর্যনারায়ণপুর গ্রামের কাওলারটেক এলাকায় কৃষক গিয়াস উদ্দিন (৪০) ও এক শিয়ালের মধ্যে গড়ে উঠেছে এক অনন্য বন্ধুত্বের সম্পর্ক। মানুষ ও বন্য প্রাণীর পারস্পরিক ভয়ের দেয়াল পেরিয়ে বিশ্বাসের এই ব্যতিক্রমী বন্ধন এখন এলাকায় আলোড়ন তুলেছে।
পেশায় কৃষক গিয়াস উদ্দিন স্ত্রী-সন্তানদের থেকে আলাদা নির্জন পরিবেশে বসবাস করেন। গরু, ছাগল, মুরগি, ভেড়ার পাশাপাশি তাঁর বিশেষ সঙ্গী এখন একটি শিয়াল, যার নাম তিনি দিয়েছেন ‘লালু’। প্রায় এক বছর আগে গিয়াস উদ্দিনের এক বন্ধু বনের ভেতর থেকে একটি সদ্য চোখ ফোটা শিয়াল ছানাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় খুঁজে পান। সেই ছানাটিকে বাড়িতে এনে লালনপালনের দায়িত্ব নেন গিয়াস উদ্দিন। এর পর থেকেই লালু তাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে।
এখন লালুর বয়স এক বছরের বেশি। সে রান্না করা ভাত, তরকারি, মাংস, পাউরুটি, বিস্কুট—সবই খেতে পারে। দিনের অধিকাংশ সময় লালু থাকে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির উঠানে কিংবা ঘরের ভেতরে। মাঝে মাঝে বনে চলে গেলেও গিয়াস উদ্দিনের ডাক শুনলেই ছুটে ফিরে আসে।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘লালুকে ছোট থেকে লালন করছি। তার প্রতি মায়া জন্মেছে। মনে হয়, যেন সে আমার বন্ধু। ফসলের খেতে কাজ করতে গেলে সে পাশে বসে থাকে। আমি যেখানেই যাই, সে আমাকে খুঁজে বের করে সেখানে হাজির হয়।’
প্রতিবেশী মো. আজিজুল বলেন, ‘দৃশ্যটা সত্যিই অসাধারণ। মানুষের এত কাছে এসে বন্য প্রাণীর এমন আচরণ বিরল। শিয়ালটি গিয়াস উদ্দিনকে বিশ্বাস করে বলেই সে মানুষের সঙ্গেই থাকে।’
তবে বন্য প্রাণীকে এত কাছাকাছি রাখা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ রয়েছে। কাপাসিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘শিয়াল রেবিস ভাইরাস বহন করতে পারে, যা জলাতঙ্কের মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই এ ধরনের প্রাণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বিপজ্জনক। এ ছাড়া বন্য প্রাণী সংরক্ষণের দিক থেকেও বন বিভাগকে বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।’
প্রকৃতি ও মানবতার এই অদ্ভুত সহাবস্থান এখন সূর্যনারায়ণপুর গ্রামে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। কেউ একে দেখছেন এক অসাধারণ বন্ধুত্বের গল্প হিসেবে, কেউবা ভাবছেন এর সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে।

‘মেয়ে অরিত্রিকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকেরা। মেয়ে হারানোর ব্যথা নিয়ে ছয়টি বছর কাটালাম। বিচারের জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে?’ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী এই প্রশ্ন রাখেন সংবাদ সম্মেলনে।
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
মোংলার পশুর নদে পড়ে নিখোঁজ হওয়া আমেরিকাপ্রবাসী ও বিমানবাহিনীর সাবেক পাইলট নারী পর্যটক রিয়ানা আবজালের (২৮) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৭টার দিকে জয়মনিরঘোলের সরকারি খাদ্যগুদামের জেটি এলাকার পশুর নদ থেকে ভাসমান এ লাশটি উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। পরে লাশ চাঁদপাই নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৮ মিনিট আগে
বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো উগান্ডার জাতীয় পাখি গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেনের ছানার জন্ম হলো। গাজীপুরের শ্রীপুরে সাফারি পার্কের ক্রাউন ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে ছানাটির জন্ম হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
রাজবাড়ীর পাংশায় পারিবারিক কলহের জেরে আব্দুল সাত্তার মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের...
২৫ মিনিট আগেপ্রতিনিধি, শ্রীপুর

বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো উগান্ডার জাতীয় পাখি গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেনের ছানার জন্ম হলো। গাজীপুরের শ্রীপুরে সাফারি পার্কের ক্রাউন ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে ছানাটির জন্ম হয়েছে।
জানা গেছে, পার্কে এক জোড়া গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন আছে। এর আগে এরা ডিম দিলেও ছানা হয়নি। এবারই প্রথম ডিম ফুটে ছানার জন্ম হলো। কিছু দিন আগে ছানাটির জন্ম হয়। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ছানার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ঝোপের আড়ালে এটিকে রেখে যত্ন নিচ্ছে। চলতি সপ্তাতে স্ত্রী ও পুরুষ পাখি আর ছানাটির একত্রে বিচরণ বেড়েছে। এখনো স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ছানাকে নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছে। ছানাকে সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখছে এই পাখির জুটি।
পার্ক সূত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি একটি ডিম পাড়ে। এরপর আরও দুটি ডিম পাড়ে। এরপর পার্ক কর্তৃপক্ষ এদের বিষয়ে আলাদা নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ায়। পার্কে ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে এক কোণে স্ত্রী পাখি ডিমে তা দিতে থাকে। স্ত্রী পাখি খাবার খেতে গেলে পুরুষ পাখিও ডিমে তা দেয়। পালা করেই স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ডিমে তা দিতে থাকে। তবে তিনটি ডিমের মধ্যে একটি ছানার জন্ম হয়।
পার্কের ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে দায়িত্ব পালনকারী কর্মী সোহাগ হাসান জানান, সারা দিন অ্যাভিয়ারির ঘন জঙ্গলের ভেতরেই স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ছানা নিয়ে লুকিয়ে থাকে। তবে দুপুরের দিকে পাখি দুটি বাচ্চা নিয়ে অল্প সময়ের জন্য আশপাশে বিচরণ করে। এ সময় স্ত্রী ও পুরুষ পাখির মাঝখানে হাঁটতে দেখা যায় ছানাটিকে।
সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান জানান, গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি আফ্রিকার দেশ উগান্ডার জাতীয় পাখি। এটি সাফারি পার্কে ২০১৩ সালের দিকে আনা হয়েছিল। এরপর বেশ কয়েকবার ডিম পাড়লেও বাচ্চা টিকেনি। তিনি দাবি করেন, এবারই প্রথম দেশে গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখির ছানা হলো। উন্মক্ত পরিবেশে এই পাখি ২০ বছর বাঁচলেও আবদ্ধ পরিবেশে ২৫ বছর পর্যন্ত বাঁচার রেকর্ড আছে। তিন বছর বয়সে এরা প্রাপ্তবয়স্ক হয়। এরপর তারা সঙ্গী বাছাই করে। গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি একবার জুটি বাঁধলে সারাজীবন একসঙ্গে থাকে।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (সহকারী বন সংরক্ষক) মো. তারেক রহমান বলেন, ‘সাফারি পার্কে প্রথমবার গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি একটি বাচ্চা ফুটিয়েছে। আশা করি, বাচ্চাটি সারভাইভ করবে। এই পাখির জুটি আরও সুখবর দেবে বলে আমি আশাবাদী।’

বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো উগান্ডার জাতীয় পাখি গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেনের ছানার জন্ম হলো। গাজীপুরের শ্রীপুরে সাফারি পার্কের ক্রাউন ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে ছানাটির জন্ম হয়েছে।
জানা গেছে, পার্কে এক জোড়া গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন আছে। এর আগে এরা ডিম দিলেও ছানা হয়নি। এবারই প্রথম ডিম ফুটে ছানার জন্ম হলো। কিছু দিন আগে ছানাটির জন্ম হয়। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ছানার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ঝোপের আড়ালে এটিকে রেখে যত্ন নিচ্ছে। চলতি সপ্তাতে স্ত্রী ও পুরুষ পাখি আর ছানাটির একত্রে বিচরণ বেড়েছে। এখনো স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ছানাকে নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছে। ছানাকে সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখছে এই পাখির জুটি।
পার্ক সূত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি একটি ডিম পাড়ে। এরপর আরও দুটি ডিম পাড়ে। এরপর পার্ক কর্তৃপক্ষ এদের বিষয়ে আলাদা নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ায়। পার্কে ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে এক কোণে স্ত্রী পাখি ডিমে তা দিতে থাকে। স্ত্রী পাখি খাবার খেতে গেলে পুরুষ পাখিও ডিমে তা দেয়। পালা করেই স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ডিমে তা দিতে থাকে। তবে তিনটি ডিমের মধ্যে একটি ছানার জন্ম হয়।
পার্কের ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে দায়িত্ব পালনকারী কর্মী সোহাগ হাসান জানান, সারা দিন অ্যাভিয়ারির ঘন জঙ্গলের ভেতরেই স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ছানা নিয়ে লুকিয়ে থাকে। তবে দুপুরের দিকে পাখি দুটি বাচ্চা নিয়ে অল্প সময়ের জন্য আশপাশে বিচরণ করে। এ সময় স্ত্রী ও পুরুষ পাখির মাঝখানে হাঁটতে দেখা যায় ছানাটিকে।
সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান জানান, গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি আফ্রিকার দেশ উগান্ডার জাতীয় পাখি। এটি সাফারি পার্কে ২০১৩ সালের দিকে আনা হয়েছিল। এরপর বেশ কয়েকবার ডিম পাড়লেও বাচ্চা টিকেনি। তিনি দাবি করেন, এবারই প্রথম দেশে গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখির ছানা হলো। উন্মক্ত পরিবেশে এই পাখি ২০ বছর বাঁচলেও আবদ্ধ পরিবেশে ২৫ বছর পর্যন্ত বাঁচার রেকর্ড আছে। তিন বছর বয়সে এরা প্রাপ্তবয়স্ক হয়। এরপর তারা সঙ্গী বাছাই করে। গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি একবার জুটি বাঁধলে সারাজীবন একসঙ্গে থাকে।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (সহকারী বন সংরক্ষক) মো. তারেক রহমান বলেন, ‘সাফারি পার্কে প্রথমবার গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি একটি বাচ্চা ফুটিয়েছে। আশা করি, বাচ্চাটি সারভাইভ করবে। এই পাখির জুটি আরও সুখবর দেবে বলে আমি আশাবাদী।’

‘মেয়ে অরিত্রিকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকেরা। মেয়ে হারানোর ব্যথা নিয়ে ছয়টি বছর কাটালাম। বিচারের জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে?’ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী এই প্রশ্ন রাখেন সংবাদ সম্মেলনে।
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
মোংলার পশুর নদে পড়ে নিখোঁজ হওয়া আমেরিকাপ্রবাসী ও বিমানবাহিনীর সাবেক পাইলট নারী পর্যটক রিয়ানা আবজালের (২৮) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৭টার দিকে জয়মনিরঘোলের সরকারি খাদ্যগুদামের জেটি এলাকার পশুর নদ থেকে ভাসমান এ লাশটি উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। পরে লাশ চাঁদপাই নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৮ মিনিট আগে
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সূর্যনারায়ণপুর গ্রামের কাওলারটেক এলাকায় কৃষক গিয়াস উদ্দিন (৪০) ও এক শিয়ালের মধ্যে গড়ে উঠেছে এক অনন্য বন্ধুত্বের সম্পর্ক। মানুষ ও বন্য প্রাণীর পারস্পরিক ভয়ের দেয়াল পেরিয়ে বিশ্বাসের এই ব্যতিক্রমী বন্ধন এখন এলাকায় আলোড়ন তুলেছে।
৮ মিনিট আগে
রাজবাড়ীর পাংশায় পারিবারিক কলহের জেরে আব্দুল সাত্তার মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের...
২৫ মিনিট আগেরাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর পাংশায় পারিবারিক কলহের জেরে আব্দুল সাত্তার মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক অশোক কুমার এ রায় দেন। রায়ের সময় দুই আসামি অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন মিরাজ মৃধা (পলাতক), সাঈদ মৃধা, মনিরুল শেখ, আশরাফুল শেখ, আশরাফ শেখ, আছাদ শেখ, দিলু মৃধা, তোফাজ্জেল ওরফে তোফা, মাহাতাব শেখ, ঠান্ডা মৃধা (পলাতক)।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৬ জুন পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের জাগিরমালঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল সাত্তার মৃধাকে পারিবারিক কলহের জেরে ঈদের দিন সকালে গলা কেটে হত্যা করেন তাঁর ভাই-ভাতিজারা। পরদিন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনকে খালাস দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি।’

রাজবাড়ীর পাংশায় পারিবারিক কলহের জেরে আব্দুল সাত্তার মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক অশোক কুমার এ রায় দেন। রায়ের সময় দুই আসামি অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন মিরাজ মৃধা (পলাতক), সাঈদ মৃধা, মনিরুল শেখ, আশরাফুল শেখ, আশরাফ শেখ, আছাদ শেখ, দিলু মৃধা, তোফাজ্জেল ওরফে তোফা, মাহাতাব শেখ, ঠান্ডা মৃধা (পলাতক)।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৬ জুন পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের জাগিরমালঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল সাত্তার মৃধাকে পারিবারিক কলহের জেরে ঈদের দিন সকালে গলা কেটে হত্যা করেন তাঁর ভাই-ভাতিজারা। পরদিন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনকে খালাস দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি।’

‘মেয়ে অরিত্রিকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকেরা। মেয়ে হারানোর ব্যথা নিয়ে ছয়টি বছর কাটালাম। বিচারের জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে?’ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী এই প্রশ্ন রাখেন সংবাদ সম্মেলনে।
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
মোংলার পশুর নদে পড়ে নিখোঁজ হওয়া আমেরিকাপ্রবাসী ও বিমানবাহিনীর সাবেক পাইলট নারী পর্যটক রিয়ানা আবজালের (২৮) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৭টার দিকে জয়মনিরঘোলের সরকারি খাদ্যগুদামের জেটি এলাকার পশুর নদ থেকে ভাসমান এ লাশটি উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। পরে লাশ চাঁদপাই নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৮ মিনিট আগে
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সূর্যনারায়ণপুর গ্রামের কাওলারটেক এলাকায় কৃষক গিয়াস উদ্দিন (৪০) ও এক শিয়ালের মধ্যে গড়ে উঠেছে এক অনন্য বন্ধুত্বের সম্পর্ক। মানুষ ও বন্য প্রাণীর পারস্পরিক ভয়ের দেয়াল পেরিয়ে বিশ্বাসের এই ব্যতিক্রমী বন্ধন এখন এলাকায় আলোড়ন তুলেছে।
৮ মিনিট আগে
বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো উগান্ডার জাতীয় পাখি গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেনের ছানার জন্ম হলো। গাজীপুরের শ্রীপুরে সাফারি পার্কের ক্রাউন ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে ছানাটির জন্ম হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে