Ajker Patrika

বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছাত্রলীগের হামলা ও ভাঙচুর

নরসিংদী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২২, ২১: ১৮
বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছাত্রলীগের হামলা ও ভাঙচুর

নরসিংদীর বেলাবতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন অপু, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার তৌফিক ও তাঁদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে খাদ্য ও পথ্য সরবরাহের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এই হামলা চালান তাঁরা। এ ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০ জনকে আসামি করে বেলাব থানায় অভিযোগ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নূর আসাদুজ্জামান।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে ছাত্রলীগের দুজন কর্মী প্রথমে নিচতলার হাসপাতালে ঢুকে সিসিটিভির লাইন কেটে দেন। পরে প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মী হাসপাতালে ঢুকে দ্বিতীয় তলার সিসিটিভির লাইনও কেটে দেন এবং কিছু আসবাব ভাঙচুর করেন। এ সময় তাঁরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অফিস কক্ষে ঢুকতে চাইলে হাসপাতালের কর্মচারীরা গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ঢিল ছুড়ে হাসপাতালের গ্লাস ভাঙচুর করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাদ্য সরবরাহ, ধোলাই ও মালামাল সরবরাহের জন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। এতে অন্য ঠিকাদারদের লাইসেন্স ব্যবহার করে একাধিক দরপত্র জমা দেয় অপুসহ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত নেতা-কর্মীরা।

আজ বুধবার এই দরপত্রের ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এই দরপত্র ছাত্রলীগের পক্ষের ঠিকাদারদের অনুকূলের যাচ্ছে না এমন খবর পেয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন অপু ও ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার তৌফিকের সহযোগীরা হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। এ সময় হাসপাতালের সিসিটিভির সংযোগকারী তার ছিঁড়ে ফেলাসহ, হাসপাতালের দরজা, জানালার গ্লাস ভাঙচুর ও হাসপাতালের ভেতরে রক্ষিত বিভিন্ন সরকারি সম্পদ নষ্ট করেন।

খবর পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুজ্জামান খান ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার খালেদা এবং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর পর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন অপু ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার তৌফিক এবং তাদের সহযোগীরা হাসপাতাল ত্যাগ করে।

এই হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে কর্মরত সব চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেবাদান বন্ধ করে দেন এবং হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করেন।

এ নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন অপু বলেন, ‘কোন হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রলীগের কয়েকজনের সঙ্গে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাঁদের সরিয়ে নিয়ে আসি।

এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নূর আসাদুজ্জামান।
 
এ নিয়ে সিভিল সার্জন মো. নূরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাসপাতালে হামলার ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নূর আসাদুজ্জামান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।’

এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদকে কল করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন না ধরায় তাঁর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত