নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে মেগা প্রকল্প ও অর্থনীতি নিয়ে যেসব পরিকল্পনা হচ্ছে, সেখানে পরিকল্পনাবিদ বা অর্থনীতিবিদ দিয়ে কোনো কাজ করানো হচ্ছে না। বরং সে কাজগুলো করছেন আমলারই। এতে দেশের উন্নয়নের সঠিক পরিকল্পনা হচ্ছে না, শিক্ষার মান নষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ।
এ সময় মামুনুর রশীদ প্রশ্ন রেখে আরও বলেন, ‘দেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী মুখস্থ করে পাস করা আমলারা করবে, নাকি পরিকল্পনা বোঝা অর্থনীতিবিদরা?’
আজ সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন আখ্যান ও সমান্তরাল বাস্তবতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান তিনি এমন মন্তব্য করেন। এর আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়ন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম।
আলোচনার শুরুতে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘বড় ধরনের রাজনৈতিক সমস্যা রয়েছে। যদি রাজনৈতিকভাবে সমাধান না করা যায়, তাহলে এটা সমাধান করা কঠিন। এখানে রাজনীতিবিদ, প্রযুক্তিবিদ ও অর্থনীতিবিদদের যুক্ত হতে হবে।’
শিক্ষা ধ্বংস করা হয়েছে উল্লেখ করে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘৯০ দশকের পর থেকে মানবিক সংস্কৃতি ক্রমাগত কমে গেছে। শিক্ষাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় স্পর্শ করে না। এর একটি হচ্ছে শিক্ষা। আমেরিকাতে তাই, জাপানেও তাই। এটা শিক্ষাবিদদের ব্যাপার। কিন্তু জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু হয়েছে শিক্ষকদের সামনে আঙুল উঁচিয়ে কথা বলা। এই আঙুল উঠতে উঠতে কোথায় গেল। শিক্ষকদের গলায় জুতার মালা, শিক্ষককে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
সব সংকটের কারণ আমলাতন্ত্র জানিয়ে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘চাকরি-নিয়োগ সব ক্ষেত্রে সংকট। পত্রিকায় এত লেখালিখি হয় কিন্তু কথাও কোনো প্রভাব ফেলছে না। আমার কাছে মনে হয় সমস্ত ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে ও মূল ঘটনার নায়ক হচ্ছে আমলাতন্ত্র। আমি প্রয়াত অধ্যাপক আনিসুর রহমান সাহেবের স্মৃতিকথায় পড়ালাম, প্লানিং কমিশন যেটা বঙ্গবন্ধু করলেন, যেটার চেয়ারম্যান ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। সেখানে যে সদস্য ছিলেন তাঁদের যে কী অত্যাচার করেছে আমলারা। অত্যাচার করে বের করে দিয়েছে।’
মামুনুর রশীদ আরও বলেন, ‘এই যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়েছে। এখানে এখন বড় জ্যামের জায়গা হয়েছে। এটা হয়েছে কেন? কারণ, খুব দ্রুত এয়ারপোর্ট থেকে যেন গাড়িগুলো চলে আসে ৷ এখানে তো আগের জ্যাম আছেই। দুটা মিলে প্রবল জ্যাম হচ্ছে। এটা করেছে পরিকল্পনা কমিশনের আমলাগুলো। কিন্তু এটা করতে হতো টাউন প্লানার (নগর পরিকল্পনাবিদ) দিয়ে। তাদের ছাড়া পরিকল্পনা হয়।’
এসডিজি বাস্তবায়ন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম কর্তৃক ২০২২ সালে দেশের সাতটি জেলা শহরে নাগরিক পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ের প্রাপ্ত মতামত বিশ্লেষণ করে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন আখ্যান ও সমান্তরাল বাস্তবতা: পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাবনা’ শীর্ষক প্রকাশনা প্রকাশ করে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম।
অনুষ্ঠানে নিবন্ধ উপস্থাপনে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু সেই উন্নয়নের ভাগীদার সবাই সমানভাবে হয়নি। বাংলাদেশের ধনী ১০ শতাংশ এখন ৪১ শতাংশ আয় কে নিয়ন্ত্রণ করে। সবচেয়ে গরিব যে ১০ শতাংশ আছে, তারা ১ দশমিক ৩ শতাংশ আয় কে নিয়ন্ত্রণ করে। গ্রামে বৈষম্যের পরিমাণ বাড়ছে। দেশে বিত্তবান মানুষ একই সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবানদের উত্থান ঘটেছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, এখন বাংলাদেশে এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে পরিবেশ প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। দেশের ছোট-বড় সব প্রতিষ্ঠানেই আর্থিক দুর্নীতি আছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে যে সম্পদের যেমন ব্যবহার হওয়া উচিত তা হচ্ছে না। গণতান্ত্রিক জবাবদিহি নেই।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশে সমান্তরাল বাস্তবতা ও উন্নয়ন আখ্যান কত সহজ কাজ হবে, যেটা যাঁরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছেন তাঁদের বলতে হবে, করতে হবে।
অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ৭০ ভাগ শিক্ষা আসছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কিন্তু অর্থনীতি যেখানে কাজ করছে, সেখানে সব জায়গায় এই শিক্ষার দরকার নেই। এখানে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে।
সাবেক বিচারপতি আব্দুল মতিন বলেন, মানুষকে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় যে শিক্ষার দরকার, সেটা দিতে হবে।
দেশে মেগা প্রকল্প ও অর্থনীতি নিয়ে যেসব পরিকল্পনা হচ্ছে, সেখানে পরিকল্পনাবিদ বা অর্থনীতিবিদ দিয়ে কোনো কাজ করানো হচ্ছে না। বরং সে কাজগুলো করছেন আমলারই। এতে দেশের উন্নয়নের সঠিক পরিকল্পনা হচ্ছে না, শিক্ষার মান নষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ।
এ সময় মামুনুর রশীদ প্রশ্ন রেখে আরও বলেন, ‘দেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী মুখস্থ করে পাস করা আমলারা করবে, নাকি পরিকল্পনা বোঝা অর্থনীতিবিদরা?’
আজ সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন আখ্যান ও সমান্তরাল বাস্তবতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান তিনি এমন মন্তব্য করেন। এর আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়ন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম।
আলোচনার শুরুতে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘বড় ধরনের রাজনৈতিক সমস্যা রয়েছে। যদি রাজনৈতিকভাবে সমাধান না করা যায়, তাহলে এটা সমাধান করা কঠিন। এখানে রাজনীতিবিদ, প্রযুক্তিবিদ ও অর্থনীতিবিদদের যুক্ত হতে হবে।’
শিক্ষা ধ্বংস করা হয়েছে উল্লেখ করে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘৯০ দশকের পর থেকে মানবিক সংস্কৃতি ক্রমাগত কমে গেছে। শিক্ষাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় স্পর্শ করে না। এর একটি হচ্ছে শিক্ষা। আমেরিকাতে তাই, জাপানেও তাই। এটা শিক্ষাবিদদের ব্যাপার। কিন্তু জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু হয়েছে শিক্ষকদের সামনে আঙুল উঁচিয়ে কথা বলা। এই আঙুল উঠতে উঠতে কোথায় গেল। শিক্ষকদের গলায় জুতার মালা, শিক্ষককে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
সব সংকটের কারণ আমলাতন্ত্র জানিয়ে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘চাকরি-নিয়োগ সব ক্ষেত্রে সংকট। পত্রিকায় এত লেখালিখি হয় কিন্তু কথাও কোনো প্রভাব ফেলছে না। আমার কাছে মনে হয় সমস্ত ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে ও মূল ঘটনার নায়ক হচ্ছে আমলাতন্ত্র। আমি প্রয়াত অধ্যাপক আনিসুর রহমান সাহেবের স্মৃতিকথায় পড়ালাম, প্লানিং কমিশন যেটা বঙ্গবন্ধু করলেন, যেটার চেয়ারম্যান ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। সেখানে যে সদস্য ছিলেন তাঁদের যে কী অত্যাচার করেছে আমলারা। অত্যাচার করে বের করে দিয়েছে।’
মামুনুর রশীদ আরও বলেন, ‘এই যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়েছে। এখানে এখন বড় জ্যামের জায়গা হয়েছে। এটা হয়েছে কেন? কারণ, খুব দ্রুত এয়ারপোর্ট থেকে যেন গাড়িগুলো চলে আসে ৷ এখানে তো আগের জ্যাম আছেই। দুটা মিলে প্রবল জ্যাম হচ্ছে। এটা করেছে পরিকল্পনা কমিশনের আমলাগুলো। কিন্তু এটা করতে হতো টাউন প্লানার (নগর পরিকল্পনাবিদ) দিয়ে। তাদের ছাড়া পরিকল্পনা হয়।’
এসডিজি বাস্তবায়ন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম কর্তৃক ২০২২ সালে দেশের সাতটি জেলা শহরে নাগরিক পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ের প্রাপ্ত মতামত বিশ্লেষণ করে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন আখ্যান ও সমান্তরাল বাস্তবতা: পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাবনা’ শীর্ষক প্রকাশনা প্রকাশ করে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম।
অনুষ্ঠানে নিবন্ধ উপস্থাপনে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু সেই উন্নয়নের ভাগীদার সবাই সমানভাবে হয়নি। বাংলাদেশের ধনী ১০ শতাংশ এখন ৪১ শতাংশ আয় কে নিয়ন্ত্রণ করে। সবচেয়ে গরিব যে ১০ শতাংশ আছে, তারা ১ দশমিক ৩ শতাংশ আয় কে নিয়ন্ত্রণ করে। গ্রামে বৈষম্যের পরিমাণ বাড়ছে। দেশে বিত্তবান মানুষ একই সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবানদের উত্থান ঘটেছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, এখন বাংলাদেশে এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে পরিবেশ প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। দেশের ছোট-বড় সব প্রতিষ্ঠানেই আর্থিক দুর্নীতি আছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে যে সম্পদের যেমন ব্যবহার হওয়া উচিত তা হচ্ছে না। গণতান্ত্রিক জবাবদিহি নেই।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশে সমান্তরাল বাস্তবতা ও উন্নয়ন আখ্যান কত সহজ কাজ হবে, যেটা যাঁরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছেন তাঁদের বলতে হবে, করতে হবে।
অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ৭০ ভাগ শিক্ষা আসছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কিন্তু অর্থনীতি যেখানে কাজ করছে, সেখানে সব জায়গায় এই শিক্ষার দরকার নেই। এখানে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে।
সাবেক বিচারপতি আব্দুল মতিন বলেন, মানুষকে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় যে শিক্ষার দরকার, সেটা দিতে হবে।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
৬ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৮ ঘণ্টা আগে