সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
এক দিন পর আবারও আন্দোলনে নেমেছেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের অনন্ত এ্যাপারেলসে কর্মরত শ্রমিকেরা। এবার নিহত লিজা আক্তারের (২৪) মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নয় দফা দাবি জানিয়ে গার্মেন্টস প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করছেন তাঁর সহকর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে এ প্রতিবেদন (দুপুর ১টা) লেখা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান রয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের ঘটনাস্থলে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
দেখা গেছে, আজ সকাল থেকে তিন শতাধিক নারী-পুরুষ শ্রমিক ফ্যাক্টরির প্রবেশদ্বারে নয় দফা দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। শ্রমিকদের জীবনের চেয়ে কর্মকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের ৯টি দাবির মধ্যে রয়েছে—যেকোনো মুহূর্তে শ্রমিকেরা অসুস্থ ও পারিবারিক সমস্যার সম্মুখীন হলে দ্রুত ছুটি নিশ্চিত করা, শুক্রবার ফ্যাক্টরি বন্ধ, প্রতি মাসের ৬ তারিখ বৃহস্পতিবার পড়লে সেদিন বেতন দেওয়া, রাত ৭টার পর এক ঘণ্টা বেশি কাজ করালে টিফিন বাড়তি দেওয়া, শ্রমিকদের ছাঁটায় করা যাবে না, ঈদের ছুটি ১১ দিন নির্ধারণ করা, অফিসের সিনিয়ররা শ্রমিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার থেকে বিরত থাকা, নিহত লিজার মৃত্যুতে আজ অর্থাৎ এক দিন শোক পালনের উদ্দেশ্যে ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখা, নিয়মিত যাতায়াত ভাড়া ও খাবারের খরচ বাড়ানো।
তামান্না ও মাহমুদা নামের আন্দোলনরত দুই নারী শ্রমিক বলেন, ‘আমাদের দাবি মানতেই হবে। আমাদের মালিক স্যার না আসা পর্যন্ত আমরা কাজে যুক্ত হব না।’
এ বিষয়ের বক্তব্যের জন্য অনন্ত এ্যাপারেলসের অ্যাডমিন ম্যানেজার নামজুল হককে একাধিকবার কল দেওয়া সত্ত্বেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, ‘শ্রমিকেরা এখন যে আন্দোলন করছে সেটা হচ্ছে বিভিন্ন দাবি নিয়ে। এটা মালিকপক্ষ এলেই সমাধান হয়ে যাবে। আমাদের পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বেপজার লোকজন ঘটনাস্থলে আছে।’
আদমজী ইপিজেডের (বেপজার) জিএম মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক মোবাইল ফোনে জানান, শ্রমিকদের সব দাবি মালিকপক্ষ মেনে নিয়েছে। শ্রমিকেরা কাজও শুরু করেছিলেন। হঠাৎ আবার কেন আন্দোলন শুরু করলেন। তাদের দাবি মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলবে। গার্মেন্টস মালিকও আসছে তিনি পথেই আছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি লিজা আক্তার কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের কাছে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তাঁর ছুটির আবেদনকে অসম্মতি জানায়। একপর্যায়ে চিকিৎসার অভাবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেদিন রাতে বাধ্য হয়ে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ।
ততক্ষণ অনেক দেরি হয়ে যায় এবং সেখানে পৌঁছাতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক শ্রমিক লিজাকে মৃত ঘোষণা করেন। সহকর্মীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ক্ষোভে পরদিন গতকাল বুধবার বিক্ষোভে নামেন সহকর্মীরা। তখন মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে সমঝোতার আশ্বাস দিয়ে এক দিনের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে।
এক দিন পর আবারও আন্দোলনে নেমেছেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের অনন্ত এ্যাপারেলসে কর্মরত শ্রমিকেরা। এবার নিহত লিজা আক্তারের (২৪) মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নয় দফা দাবি জানিয়ে গার্মেন্টস প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করছেন তাঁর সহকর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে এ প্রতিবেদন (দুপুর ১টা) লেখা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান রয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের ঘটনাস্থলে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
দেখা গেছে, আজ সকাল থেকে তিন শতাধিক নারী-পুরুষ শ্রমিক ফ্যাক্টরির প্রবেশদ্বারে নয় দফা দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। শ্রমিকদের জীবনের চেয়ে কর্মকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের ৯টি দাবির মধ্যে রয়েছে—যেকোনো মুহূর্তে শ্রমিকেরা অসুস্থ ও পারিবারিক সমস্যার সম্মুখীন হলে দ্রুত ছুটি নিশ্চিত করা, শুক্রবার ফ্যাক্টরি বন্ধ, প্রতি মাসের ৬ তারিখ বৃহস্পতিবার পড়লে সেদিন বেতন দেওয়া, রাত ৭টার পর এক ঘণ্টা বেশি কাজ করালে টিফিন বাড়তি দেওয়া, শ্রমিকদের ছাঁটায় করা যাবে না, ঈদের ছুটি ১১ দিন নির্ধারণ করা, অফিসের সিনিয়ররা শ্রমিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার থেকে বিরত থাকা, নিহত লিজার মৃত্যুতে আজ অর্থাৎ এক দিন শোক পালনের উদ্দেশ্যে ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখা, নিয়মিত যাতায়াত ভাড়া ও খাবারের খরচ বাড়ানো।
তামান্না ও মাহমুদা নামের আন্দোলনরত দুই নারী শ্রমিক বলেন, ‘আমাদের দাবি মানতেই হবে। আমাদের মালিক স্যার না আসা পর্যন্ত আমরা কাজে যুক্ত হব না।’
এ বিষয়ের বক্তব্যের জন্য অনন্ত এ্যাপারেলসের অ্যাডমিন ম্যানেজার নামজুল হককে একাধিকবার কল দেওয়া সত্ত্বেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, ‘শ্রমিকেরা এখন যে আন্দোলন করছে সেটা হচ্ছে বিভিন্ন দাবি নিয়ে। এটা মালিকপক্ষ এলেই সমাধান হয়ে যাবে। আমাদের পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বেপজার লোকজন ঘটনাস্থলে আছে।’
আদমজী ইপিজেডের (বেপজার) জিএম মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক মোবাইল ফোনে জানান, শ্রমিকদের সব দাবি মালিকপক্ষ মেনে নিয়েছে। শ্রমিকেরা কাজও শুরু করেছিলেন। হঠাৎ আবার কেন আন্দোলন শুরু করলেন। তাদের দাবি মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলবে। গার্মেন্টস মালিকও আসছে তিনি পথেই আছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি লিজা আক্তার কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের কাছে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তাঁর ছুটির আবেদনকে অসম্মতি জানায়। একপর্যায়ে চিকিৎসার অভাবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেদিন রাতে বাধ্য হয়ে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ।
ততক্ষণ অনেক দেরি হয়ে যায় এবং সেখানে পৌঁছাতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক শ্রমিক লিজাকে মৃত ঘোষণা করেন। সহকর্মীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ক্ষোভে পরদিন গতকাল বুধবার বিক্ষোভে নামেন সহকর্মীরা। তখন মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে সমঝোতার আশ্বাস দিয়ে এক দিনের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে।
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
১০ মিনিট আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
৩১ মিনিট আগে২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
১ ঘণ্টা আগে