প্রতিনিধি, বেলাব (নরসিংদী)
আমাদের অতীত ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে মৃৎশিল্পের কথা। এমন একসময় ছিল যখন আমাদের পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব কাজে মাটির তৈরি জিনিসের বিকল্প কিছুই ছিল না। কিন্তু কালের পরিক্রমায় বাহারি ডিজাইনের প্লাস্টিক, মেলামাইন, সিরামিক ও সিলভারের জিনিসের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় মাটির তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা কমে যাচ্ছে। যার কারণে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষের যেমন কমে গেছে কাজের পরিধি, তেমনি কমেছে তাঁদের উপার্জন। জীবন–জীবিকার জন্য বাধ্য হয়ে অনেকে এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। এ জন্য হারিয়ে যাওয়ার পথে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্প।
জানা যায়, উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের সুটুরীয়া গ্রামের কুমারপাড়ায় শত বছরের অধিক সময় ধরে এই মৃৎশিল্পের কাজ চলে আসছে। এমন একসময় ছিল যখন এই কুমারপাড়ার সব পরিবারের মৃৎশিল্পের নির্ভর করে জীবিকা চলত। বর্তমানে এই কুমারপাড়ায় ৪০টি পরিবার বসবাস করলেও ১০টির বেশি তাদের বংশীয় পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশা শুরু করেছে। বর্তমানে এ পাড়ায় ২০-২৫টি পরিবার অতিকষ্টে এ পেশা ধরে রেখেছে।
মৃৎশিল্পী মিন্টু চন্দ্র পাল জানান, পিতা–মাতার কাছ থেকে দেখে দেখে তিনি এই মাটির কাজ শিখেছেন। যখন তিনি এ কাজ শিখেছেন, তখন তাঁদের তৈরি মাটির জিনিসের চাহিদা ছিল ব্যাপক। কিন্তু বর্তমান সময়ে দিন দিন মাটির জিনিসের চাহিদা কমে যাচ্ছে। যার কারণে কমে যাচ্ছে তাঁদের আয়-উপার্জনও। ফলে এক প্রকার দুঃখ–কষ্টের মাঝেই যাচ্ছে তাঁদের জীবন।
মিন্টু চন্দ্র আরও জানান, একসময় তাঁদের গ্রামের পাশের বিভিন্ন জমি থেকে বিনা মূল্যে মাটি সংগ্রহ করতে পারতেন। কিন্তু এখন দেশে বেড়েছে ইটের ভাটা। যার কারণে কৃষকেরা আর বিনা মূল্যে তাঁদের মাটি দিচ্ছেন না। ইটের ভাটায় মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন তাঁরা। এ জন্য মাটি কিনে এসব জিনিসপত্র তৈরি করে আগের মতো লাভ হয় বলে জানান তিনি।
নিশা রানী নামের এক মৃৎশিল্পী জানান, একসময় তাঁদের এখানে ভাত, তরকারির পাতিল, বড় কলস, মটকিসহ বিভিন্ন ধরনের হাঁড়ি–পাতিল আর বাচ্চাদের খেলনা মিলিয়ে ৪০-৫০ প্রকার জিনিস তৈরি করা হতো। কিন্তু এখন মাত্র ৮-১০ প্রকার জিনিস তৈরি হচ্ছে। কেবল বৈশাখ মাস এলেই মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন প্রকার জিনিস তৈরির চাপ বাড়ে। এ ছাড়া বছরের অন্যান্য সময়ে কাজের তেমন চাপ থাকে না।
বেলাব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন শাহিন জানান, বেলাবয় ঐতিহ্যবাহী এ মৃৎশিল্প টিকিয়ে রাখতে সাধ্যমতো কারিগরদের পাশে থাকবে প্রশাসন। তাঁদের পণ্য উৎপাদনে কাঁচামালের সমস্যা থাকলে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আমাদের অতীত ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে মৃৎশিল্পের কথা। এমন একসময় ছিল যখন আমাদের পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব কাজে মাটির তৈরি জিনিসের বিকল্প কিছুই ছিল না। কিন্তু কালের পরিক্রমায় বাহারি ডিজাইনের প্লাস্টিক, মেলামাইন, সিরামিক ও সিলভারের জিনিসের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় মাটির তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা কমে যাচ্ছে। যার কারণে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষের যেমন কমে গেছে কাজের পরিধি, তেমনি কমেছে তাঁদের উপার্জন। জীবন–জীবিকার জন্য বাধ্য হয়ে অনেকে এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। এ জন্য হারিয়ে যাওয়ার পথে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্প।
জানা যায়, উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের সুটুরীয়া গ্রামের কুমারপাড়ায় শত বছরের অধিক সময় ধরে এই মৃৎশিল্পের কাজ চলে আসছে। এমন একসময় ছিল যখন এই কুমারপাড়ার সব পরিবারের মৃৎশিল্পের নির্ভর করে জীবিকা চলত। বর্তমানে এই কুমারপাড়ায় ৪০টি পরিবার বসবাস করলেও ১০টির বেশি তাদের বংশীয় পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশা শুরু করেছে। বর্তমানে এ পাড়ায় ২০-২৫টি পরিবার অতিকষ্টে এ পেশা ধরে রেখেছে।
মৃৎশিল্পী মিন্টু চন্দ্র পাল জানান, পিতা–মাতার কাছ থেকে দেখে দেখে তিনি এই মাটির কাজ শিখেছেন। যখন তিনি এ কাজ শিখেছেন, তখন তাঁদের তৈরি মাটির জিনিসের চাহিদা ছিল ব্যাপক। কিন্তু বর্তমান সময়ে দিন দিন মাটির জিনিসের চাহিদা কমে যাচ্ছে। যার কারণে কমে যাচ্ছে তাঁদের আয়-উপার্জনও। ফলে এক প্রকার দুঃখ–কষ্টের মাঝেই যাচ্ছে তাঁদের জীবন।
মিন্টু চন্দ্র আরও জানান, একসময় তাঁদের গ্রামের পাশের বিভিন্ন জমি থেকে বিনা মূল্যে মাটি সংগ্রহ করতে পারতেন। কিন্তু এখন দেশে বেড়েছে ইটের ভাটা। যার কারণে কৃষকেরা আর বিনা মূল্যে তাঁদের মাটি দিচ্ছেন না। ইটের ভাটায় মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন তাঁরা। এ জন্য মাটি কিনে এসব জিনিসপত্র তৈরি করে আগের মতো লাভ হয় বলে জানান তিনি।
নিশা রানী নামের এক মৃৎশিল্পী জানান, একসময় তাঁদের এখানে ভাত, তরকারির পাতিল, বড় কলস, মটকিসহ বিভিন্ন ধরনের হাঁড়ি–পাতিল আর বাচ্চাদের খেলনা মিলিয়ে ৪০-৫০ প্রকার জিনিস তৈরি করা হতো। কিন্তু এখন মাত্র ৮-১০ প্রকার জিনিস তৈরি হচ্ছে। কেবল বৈশাখ মাস এলেই মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন প্রকার জিনিস তৈরির চাপ বাড়ে। এ ছাড়া বছরের অন্যান্য সময়ে কাজের তেমন চাপ থাকে না।
বেলাব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন শাহিন জানান, বেলাবয় ঐতিহ্যবাহী এ মৃৎশিল্প টিকিয়ে রাখতে সাধ্যমতো কারিগরদের পাশে থাকবে প্রশাসন। তাঁদের পণ্য উৎপাদনে কাঁচামালের সমস্যা থাকলে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সড়কের গর্তে আটকে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। পেছনে তৈরি হয়েছে যানজট। পেছন থেকে কেউ জোরে হর্ন দিচ্ছে, আবার কেউ করছে গালাগাল। শেষমেশ কয়েকজন মিলে ধাক্কা দিয়ে ওঠাতে হয়েছে রিকশাটিকে। গত রোববার সকালে এমনটাই দেখা যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে হাতিরঝিল যাওয়ার সড়কে। সড়কটি পান্থপথ-তেজগাঁও লিংক রোড নামেও...
৮ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে কুটিরশিল্প মেলা। ১৮ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মেলায় হস্ত ও কুটিরশিল্পের কোনো পণ্য নেই। রয়েছে দুটি মিষ্টির দোকান, কয়েকটি ফুচকার স্টল, ভূতের বাড়ি জাদু প্রদর্শনী, সার্কাস, নাগরদোলা, স্লিপার, ওয়াটার বোট, লটারির টিকিট বিক্রির ১০-১২টি কাউন্টার ও লটারির ড্র...
৮ ঘণ্টা আগেরাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহিয়া। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেল তাঁকে উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার...
১১ ঘণ্টা আগেমালিকদের সব রকম অপকৌশল ও চাতুরতা সম্পর্কে শ্রমিকেরা সজাগ, সতর্ক ও সচেতন। মহান মে দিবসের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে