গাজীপুরের শ্রীপুরে অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। যুবকের নাম এনামুল হক (৩৬)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার সদর থানার চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের মো. ইসলাম উদ্দিনের ছেলে। তিনি ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় একটি বালুমহালে লেবার সর্দার হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
এদিকে এক নারী তাঁকে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন বলে স্বজনেরা দাবি করেছেন। ওই নারীই ভাড়াটে খুনির মাধ্যমে এনামুুলকে হত্যা করিয়েছেন বলে দাবি পরিবারের। নিহত যুবক এনামুল হকের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী এলাকায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আফসার উদ্দিনের বাড়ির অদূরে একটি বাগানের লিচুগাছ থেকে ওই যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, তাঁকে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী লাকি আক্তার মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে জানান, ২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর মোবাইলে কল দেন স্বামী এনামুল হক। এরপর ভয়ার্ত কণ্ঠে তাঁকে জানান, সাহারা নামের এক নারী তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। হত্যার পর তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার হুমকিও দিচ্ছেন। লেবার সর্দার থেকেও তাঁকে বাদ দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করেছেন। এরপর সন্তানদের দেখে রাখতে বলে ফোন কেটে দেন এনামুল হক।
লাকি আক্তার বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমার স্বামীর মোবাইল নম্বর বন্ধ পাই। এদিকে মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়ার পর স্বামীর সহযোগী তিন বন্ধু আমার ভাশুর ইব্রাহিম খলিলকে ফোন করে ঢাকায় যেতে বলেন। এরপর আমিসহ আমার ভাশুর ঢাকায় যাওয়ার পর বালুর গদির মালিক মাতবরকে বিষয়টি খুলে বলি। তখন বালুর গদির মাতবর আশপাশে খোঁজ-খবর নিতে বলেন। এরপর আমি ওই নারী সাহারা খাতুনের মোবাইল নম্বরে কল করে অনেক আকুতি-মিনতি করে আমার স্বামীর খোঁজ চাই। ওই নারী আমার কথার কোনো পাত্তা না দিয়ে কল কেটে দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। আমার স্বামীর কাছ থেকে যত দূর জানতে পারছি, ওই নারী একেক সময় একেক ঠিকানা দিয়েছে। তার বাড়ি কখনো মাদারীপুর, কখনো বরিশাল আবার বিক্রমপুর বলেছে।’
নিহত যুবকের বড় ভাই ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘খুনের চার দিন পর ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করা এক শ্রমিক আমাকে ফোন করে জানান ভাইকে খুঁজে পাচ্ছেন না। এরপর আমি আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে ওখানে যাই। যাওয়ার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করে ভাইয়ের কোনো সন্ধান না পেয়ে রাত পৌনে ১টায় আবার ময়মনসিংহে ফেরত আসি। এর দুই দিন পর শ্রীপুর থানার পুলিশ আমাদের মেম্বারকে একটি লাশ পাওয়া গেছে বলে খবর দেয়। এরপর থানায় গিয়ে আমার ভাইয়ের পরিচয় শনাক্ত করি। এত দিনে গাজীপুর মহাসাগরীয় গণকবরে ভাইয়ের মরদেহ দাফন হয়ে গেছে।’
ইব্রাহিম খলিল জানান, গাজীপুর গণকবর থেকে মরদেহ উঠিয়ে তাঁদের বাড়িতে নেওয়ার জন্য আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাঁদের ধারণা, সাহারা নামের ওই নারী ভাড়াটে খুনির মাধ্যমে তাঁর ভাইকে তুলে নিয়ে হত্যা করে মরদেহ বাগানে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছেন।
ইব্রাহীম বলেন, ‘আমার ভাই এনামুল হক ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় মাতবরের বালুর গদির লেবার সর্দার হিসেবে কাজ করত। আমার ভাইয়ের উপার্জন দিয়ে চলছিল চারটি অবুঝ শিশুর লেখাপড়াসহ সবকিছু। আমার বৃদ্ধ বাবাকেও ভাই দেখভাল করত। নিমেষেই চারপাশে অন্ধকার নেমে এল আমার ভাইয়ের সংসারে! কে দেখবে এই চার শিশুকে?’
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। খুনিদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ। মামলার তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলা যাবে না।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। যুবকের নাম এনামুল হক (৩৬)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার সদর থানার চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের মো. ইসলাম উদ্দিনের ছেলে। তিনি ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় একটি বালুমহালে লেবার সর্দার হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
এদিকে এক নারী তাঁকে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন বলে স্বজনেরা দাবি করেছেন। ওই নারীই ভাড়াটে খুনির মাধ্যমে এনামুুলকে হত্যা করিয়েছেন বলে দাবি পরিবারের। নিহত যুবক এনামুল হকের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী এলাকায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আফসার উদ্দিনের বাড়ির অদূরে একটি বাগানের লিচুগাছ থেকে ওই যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, তাঁকে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী লাকি আক্তার মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে জানান, ২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর মোবাইলে কল দেন স্বামী এনামুল হক। এরপর ভয়ার্ত কণ্ঠে তাঁকে জানান, সাহারা নামের এক নারী তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। হত্যার পর তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার হুমকিও দিচ্ছেন। লেবার সর্দার থেকেও তাঁকে বাদ দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করেছেন। এরপর সন্তানদের দেখে রাখতে বলে ফোন কেটে দেন এনামুল হক।
লাকি আক্তার বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমার স্বামীর মোবাইল নম্বর বন্ধ পাই। এদিকে মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়ার পর স্বামীর সহযোগী তিন বন্ধু আমার ভাশুর ইব্রাহিম খলিলকে ফোন করে ঢাকায় যেতে বলেন। এরপর আমিসহ আমার ভাশুর ঢাকায় যাওয়ার পর বালুর গদির মালিক মাতবরকে বিষয়টি খুলে বলি। তখন বালুর গদির মাতবর আশপাশে খোঁজ-খবর নিতে বলেন। এরপর আমি ওই নারী সাহারা খাতুনের মোবাইল নম্বরে কল করে অনেক আকুতি-মিনতি করে আমার স্বামীর খোঁজ চাই। ওই নারী আমার কথার কোনো পাত্তা না দিয়ে কল কেটে দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। আমার স্বামীর কাছ থেকে যত দূর জানতে পারছি, ওই নারী একেক সময় একেক ঠিকানা দিয়েছে। তার বাড়ি কখনো মাদারীপুর, কখনো বরিশাল আবার বিক্রমপুর বলেছে।’
নিহত যুবকের বড় ভাই ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘খুনের চার দিন পর ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করা এক শ্রমিক আমাকে ফোন করে জানান ভাইকে খুঁজে পাচ্ছেন না। এরপর আমি আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে ওখানে যাই। যাওয়ার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করে ভাইয়ের কোনো সন্ধান না পেয়ে রাত পৌনে ১টায় আবার ময়মনসিংহে ফেরত আসি। এর দুই দিন পর শ্রীপুর থানার পুলিশ আমাদের মেম্বারকে একটি লাশ পাওয়া গেছে বলে খবর দেয়। এরপর থানায় গিয়ে আমার ভাইয়ের পরিচয় শনাক্ত করি। এত দিনে গাজীপুর মহাসাগরীয় গণকবরে ভাইয়ের মরদেহ দাফন হয়ে গেছে।’
ইব্রাহিম খলিল জানান, গাজীপুর গণকবর থেকে মরদেহ উঠিয়ে তাঁদের বাড়িতে নেওয়ার জন্য আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাঁদের ধারণা, সাহারা নামের ওই নারী ভাড়াটে খুনির মাধ্যমে তাঁর ভাইকে তুলে নিয়ে হত্যা করে মরদেহ বাগানে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছেন।
ইব্রাহীম বলেন, ‘আমার ভাই এনামুল হক ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় মাতবরের বালুর গদির লেবার সর্দার হিসেবে কাজ করত। আমার ভাইয়ের উপার্জন দিয়ে চলছিল চারটি অবুঝ শিশুর লেখাপড়াসহ সবকিছু। আমার বৃদ্ধ বাবাকেও ভাই দেখভাল করত। নিমেষেই চারপাশে অন্ধকার নেমে এল আমার ভাইয়ের সংসারে! কে দেখবে এই চার শিশুকে?’
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। খুনিদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ। মামলার তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলা যাবে না।’
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
১৭ মিনিট আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২১ মিনিট আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪১ মিনিট আগেইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
১ ঘণ্টা আগে