Ajker Patrika

সাংবাদিক দম্পতি সাগর–রুনি হত্যায় অংশ নেয় দুজন, তবে শনাক্ত করা যায়নি

  • হাইকোর্টে টাস্কফোর্সের অগ্রগতি প্রতিবেদন
  • প্রথমে ছুরিকাঘাত সাগরকে, পরে রুনিকে
  • তদন্তে আরও সময় চেয়েছে টাস্কফোর্স
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ মে ২০২৫, ১০: ৪৩
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। ফাইল ছবি
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। ফাইল ছবি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি আত্মহত্যা করেননি, তাঁরা খুন হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় দুজন। প্রথমে সাগর ও পরে রুনিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তবে ডিএনএ রিপোর্টে অস্পষ্টতা থাকায় হত্যাকারীদের শনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয়নি।

আলোচিত এই হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে মামলাটি তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্স। সম্প্রতি হাইকোর্টে এই প্রতিবেদন দিয়ে তদন্তের জন্য আরও সময় প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

টাস্কফোর্সের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ও পিবিআইপ্রধান মো. মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হাইকোর্ট জানতে চেয়েছেন কী কী কাজ করা হয়েছে। আমরা সেই কাজগুলোর হিসাব আদালতে জমা দিয়েছি।’

তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, তদন্তে দাম্পত্য কলহ, চুরি কিংবা পেশাগত কারণে হত্যার কোনো প্রমাণ মেলেনি। ভিসেরা রিপোর্টেও চেতনানাশক বা বিষাক্ত কিছু পাওয়া যায়নি। রান্নাঘরে থাকা ছুরি ও বঁটি দিয়েই সাগর-রুনিকে হত্যা করা হয়। গুরুতর আঘাতের পরও তাঁরা কিছু সময় জীবিত ছিলেন। ঘটনার সময় বাসায় আগে থেকে কেউ ছিল না এবং বাইরে থেকে কেউ জোর করে ঢোকার চিহ্নও পাওয়া যায়নি।

অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং মামলাটির তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে জানিয়েছি। তিনি আদালতকে বিয়ষটি অবহিত করেছেন।’

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে র‍্যাবের কাছ থেকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব সরিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন। এই টাস্কফোর্সে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিজ্ঞ সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে টাস্কফোর্সকে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। এ সময়ে নতুন করে ৭ সাংবাদিকসহ ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

চলতি বছরের ২২ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায়, রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে খুন হন সাগর ও রুনি। ডিএনএ পরীক্ষার ভিত্তিতে জানা গেছে, প্রথমে সাগর ও পরে রুনিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সময় সন্তান মেঘ একই খাটে তাঁদের সঙ্গে ঘুমাচ্ছিল। ধারণা করা হয়, সাগর বাধা দিতে পারেন—এই আশঙ্কায় তাঁর হাত-পা বাঁধা হয়। রুনির হাত-পা বাঁধা হয়নি, কারণ তাঁকে নারী হিসেবে শারীরিকভাবে দুর্বল ভাবা হয়েছিল। রক্তের ছাপ বিশ্লেষণ করে শুরুতে ধারণা করা হয়, রুনি আগে মারা গেছেন। পরে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে বলা হয়, সাগরের মৃত্যু হয়েছে পরে।

তদন্তকারীদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ড ঘটার পর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে। তার আগে স্থানীয় মানুষ ও সাংবাদিকদের ভিড়ে অনেক আলামত ধ্বংস হয়ে যায়। তবে রান্নাঘরের বারান্দার সাড়ে ১৪ ইঞ্চি ও সাড়ে ৮ ইঞ্চির দুটি ভাঙা অংশ নতুন বলে শনাক্ত করা হয়েছে, যা দিয়ে একজন সহজেই প্রবেশ ও প্রস্থান করতে পারে। যদিও ওই স্থানে কোনো পূর্ণাঙ্গ পায়ের ছাপ পাওয়া যায়নি।

সিআইডির সহায়তায় ডিএনএ বিশ্লেষণ করে টাস্কফোর্স জানায়, একসঙ্গে দুই বা তিনজনের ডিএনএ থাকলে তা শনাক্ত করা সম্ভব হলেও পাঁচ থেকে ছয়জনের ডিএনএ থাকলে আলাদা করে শনাক্ত করা কঠিন। সাগর-রুনি হত্যা মামলার নমুনায় পাঁচ-ছয়জনের ডিএনএ থাকায় এখনো স্পষ্টভাবে কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। ওই সময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে কর্মরত ছিলেন সাগর। রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচনে ব্যালটের কাগজ কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে কিনছে ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ছাপানোর কাগজ কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনার কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে কিনছে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য ইসি থেকে ৯১৫ টন কাগজের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। কর্ণফুলী পেপার মিলস কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ১৭৮.০০৯ টন কাগজ নির্বাচন কমিশনে সরবরাহ করেছে। বাকি ৭৩৬ টন ধাপে ধাপে উৎপাদন করে ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে সরবরাহ করা হবে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী পেপার মিলসের (কেপিএম) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশন থেকে রঙিন (সবুজ, গোলাপি, অ্যাজুরলেইড) এবং বাদামি সালফেট কাগজ মিলে সর্বমোট ৯১৪.০০৯ টন কাগজের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এর বাজারমূল্য প্রায় ১১.১১ কোটি টাকা। তিনি আরও জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কেপিএমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩৫০০ টন, যার মূল্য ৪০-৪৫ কোটি টাকা। চলতি বছরের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১০৯৩ টন কাগজ উৎপাদিত হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি নির্বাচন কমিশনসহ বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিস (বিএসও), বিভিন্ন বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৮৯৪ টন কাগজ সরবরাহের আদেশ পাওয়া গেছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ৩৭.৩৩ কোটি টাকা। ৮ নভেম্বর পর্যন্ত কাগজ বিক্রি হয়েছে ৯২৩ টন।

প্রসঙ্গত, ১৯৫৩ সালে ৬৮ একর জমি এবং ৪৩১ একর আবাসিক স্থাপনায় প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি উপমহাদেশের বৃহত্তম কাগজ কল হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল। সাত দশকের পুরোনো এই প্রতিষ্ঠানে এখনো কাগজ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘দামি মোবাইল ফোন কেনার টাকা না পেয়ে’ কলেজছাত্রের আত্মহত্যা

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা )প্রতিনিধি
রাব্বি হাসান অনিক। ছবি: সংগৃহীত
রাব্বি হাসান অনিক। ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় রাব্বি হাসান অনিক (১৭) নামের কলেজছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, পরিবারের কাছে থেকে দামি মোবাইল ফোন কেনার টাকা চেয়ে না পেয়ে কীটনাশক পান করে অনিক। গতকাল রোববার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় সে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

অনিক কেন্দুয়া পৌরসভার বাদেআঠারবাড়ী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। সে ময়মনসিংহের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

জানা গেছে, অনিক কয়েক দিন আগে বাড়িতে আসে। দামি মোবাইল ফোন কেনার জন্য পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা আবদার করে সে। কিন্তু অভিভাবকেরা এতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে রাগ করে গত শনিবার রাতে সে কীটনাশক পান করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল রাত ৯টার দিকে সে মারা যায়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ গ্রামের বাড়িতে আনার পর আজ তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিহির রঞ্জন দেব বলেন, এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা মুখ খুলছে না। তবে শুনেছি, দামি মোবাইল ফোন কেনার টাকা চেয়ে না পাওয়ায় এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শরীয়তপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
পানিতে ডুবে মারা যাওয়া দুই শিশু। ছবি: আজকের পত্রিকা
পানিতে ডুবে মারা যাওয়া দুই শিশু। ছবি: আজকের পত্রিকা

শরীয়তপুরের জাজিরায় পুকুরে ডুবে সিয়াম (৩) ও আবদুল্লাহ (৪) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের হাজী তাহের মল্লিকেরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সিয়াম ওই গ্রামের মাদ্রাসাশিক্ষক আবু নাঈমের ছেলে এবং আবদুল্লাহ একই গ্রামের দুলাল মল্লিকের ছেলে। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগনে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানা গেছে, সকালে শিশু দুটি বাড়ির আঙিনায় খেলছিল। একপর্যায়ে পরিবারের অগোচরে তারা বাড়ির পেছনের পুকুরে পড়ে যায়। এদিকে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বজনেরা। পরে পুকুর থেকে শিশু দুটির নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের জাজিরা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় বাসিন্দা আজহার মোল্লা বলেন, বাচ্চা দুইটা প্রতিদিন সকালে একসঙ্গে খেলত।

আরেক স্থানীয় নারী রুবিনা বেগম জানান, ‘আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম বাচ্চারা হয়তো পাশের বাড়িতে গেছে। পরে সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করে পুকুর থেকে তাদের উদ্ধার করি।’

নিহত শিশু সিয়ামের বাবা আবু নাঈম বলেন, ‘আমার বাবাটা খুব শান্ত ছিল। কে জানত এটাই শেষ সকাল ছিল ওর জীবনের। আল্লাহ যেন এই কষ্ট কাউকে না দেন।’

এ বিষয়ে নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর ঢালী বলেন, ‘আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করছি এবং সবাইকে শিশুদের নিরাপত্তায় আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল বলেন, ‘তাহের মল্লিকেরকান্দি গ্রামে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বকেয়া বেতনের দাবিতে ডিইপিজেড শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

সাভার(ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ২১
বকেয়া বেতনের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বকেয়া বেতনের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) চারটি বন্ধ কারখানা চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার ডিইপিজেডের মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। পরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস শেল নিক্ষেপ ও জলকামান দিয়ে গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বকেয়া বেতনের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বকেয়া বেতনের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিক্ষোভকারীরা জানান, গত ২২ অক্টোবর হঠাৎ করে একই মালিকানাধীন গোল্ড টেক্স লিমিটেড, গোল্ড টেক্স গার্মেন্টস, সাউথ চায়না ব্লিচিং অ্যান্ড ডাইং ফ্যাক্টরি লিমিটেড এবং অ্যাক্টর স্পোর্টিং লিমিটেড সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বন্ধ ঘোষণার আগে তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়নি। কয়েকবার আশ্বাস দিলেও বেতন পরিশোধ করা হয়নি।

আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকেরা ডিইপিজেডের মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং একপর্যায়ে মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস শেল নিক্ষেপ ও জলকামান দিয়ে গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ বিষয়ে ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, সাউথ চায়না ব্লিচিং অ্যান্ড ডাইং ফ্যাক্টরি লিমিটেড, গোল্ড টেক্স লিমিটেড, গোল্ড টেক্স গার্মেন্টস ও অ্যাক্টর স্পোর্টিং লিমিটেড সাময়িকভাবে বন্ধ এই চারটি কারখানার মধ্যে তিনটির শ্রমিকদের আড়াই মাসের এবং অন্য একটির দুই মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বন্ধ কারখানাগুলো চালুর চেষ্টা করছেন কর্তৃপক্ষ। যদি তাঁরা ব্যর্থ হন তবে নির্দিষ্ট সময় পর সরকারি নিয়ম অনুসারে কারখানা বিক্রি করে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করা হবে।

আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরাতে গেলে শ্রমিকেরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় জলকামান দিয়ে পানিয়ে ছিটিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে মহাসড়ক অবরোধ করলে কয়েকটি কাঁদানে গ্যাস শেল নিক্ষেপ করে তাদের সরাতে হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত